নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৩ অক্টোবর, ২০২০
আওয়ামীলীগের কমিটি নিয়ে বির্তক যেন থামছেই না। সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামীলীগের চারটি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এই কমিটি ঘোষণা করার পর নতুন করে বির্তক সৃষ্টি হয়েছে। আওয়ামীলীগের একাধিক নেতা বলছেন; প্রধানমন্ত্রীর বার বার সর্তকবাণী সত্ত্বেও এই কমিটিতে বির্তকিত ও অনুপ্রবেশকারীদের নাম আছে।
এই নিয়ে আওয়ামীলীগের মধ্যে অস্বস্তি এবং বিক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে আওয়ামীলীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশ দিয়েছেন যে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তাদের অভিযোগ সম্পর্কে সুনিদিষ্ট লিখিত চিঠি দিতে।
লিখিত চিঠির প্রেক্ষিতে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কয়েকজনকে দিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত কমিটি ওই অভিযোগের সত্যতা যাচাই বাছাই করবে। প্রয়োজনে সরজমিনে এলাকায় গিয়ে অভিযোগ সম্পর্কে খতিয়ে দেখবে। এবং শেষ পর্যন্ত যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয় তবে কমিটি থেকে তাকে বাদ দেয়া হবে।
আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন; যে পূর্নাঙ্গ কমিটিগুলো গঠন করা হয়েছে সে কমিটিতে যাদের নাম আছে তাদের বিরুদ্ধে যদি কোন অভিযোগ থাকে তাহলে সে অভিযোগ তদন্ত করা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে তাদের নাম কমিটি থেকে বাদ যাবে। সেখানে নতুন ব্যাক্তি অর্ন্তভুক্ত করা হবে।
কাজেই কমিটিতে নাম আছে বলেই তিনি নিশ্চিত এবং পরবর্তী সম্মেলন না হওয়া পর্যন্ত তিনি কমিটির সদস্য থাকবেন এমন কোন গ্যারান্টি নেই।
আওয়ামীলীগের একাধিক নেতা বলেছেন যে; কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে নানারকম সর্তকতার পরেও কিছু কিছু ব্যাক্তির নাম এসেছে যারা বির্তকিত। আবার অনেকে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে কাউকে বির্তর্কিত করার চেষ্টা করছে। এজন্যই এটি যাচাই বাছাই করা প্রয়োজন।
আওয়ামীগের যে চারটি কমিটি গঠন করা হয়েছে সে চারটি কমিটিতে ৩৭ জনের বিরুদ্ধে নানারকম অভিযোগ উঠেছে।
এই অভিযোগগুলো মোটা দাগে চার প্রকার।
প্রথমত; যারা বির্তকিত কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। যেমন ক্যাসিনো বানিজ্য, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি ইত্যাদি।
দ্বিতীয়ত; যারা অনুপ্রবেশকারী বিশেষ করে জামাত শিবিরের ঘরানার রাজনীতি থেকে আওয়ামীলীগে এসেছেন।
তৃতীয়ত; যারা বিভিন্ন নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিরোধীতা করেছে এবং
চতুর্থত; যারা ওয়ান ইলেভেনসহ বিভিন্ন সময়ে আওয়ামীলীগের মূল ধারার বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছে।
এই চারটি অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে পাওয়া যাবে তারা কমিটিতে থাকবেন না বলেই জানা গেছে।
এখন যে কমিটিগুলো ঘোষণা করা হয়েছে সে কমিটিতে এই চার বৈশিষ্টের লোকজন আছে বলে আওয়ামীলীগের অনেকে অভিযোগ করছেন।
তবে আওয়ামীলীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেছেন কিছু কিছু অভিযোগের সত্যতা অবশ্যই আছে। কয়েকজন যে বিতর্কিত আছেন তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দায়ী ব্যাক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং কমিটি থেকে বাদ দেয়া হবে।
যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তারা বেশিরভাগেই আওয়ামীলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের শিকার। এবং ধরনের গুজব বা অপপ্রচারের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
আওয়ামীলীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেছেন যে স্বেচ্ছাসেবক লীগের একজনের নামে ক্যাসিনো বানিজ্য করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এবং তাকে সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতির ক্যাশিয়ার বলা হয়েছে।
আওয়ামীলীগের নিজস্ব তদন্তে পাওয়া গেছে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি আসলে ক্যাসিনো কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তার আগোচরে এই ঘটনা ঘটেছে। গোয়েন্দা অনুসন্ধানেও দেখা গেছে স্বেচ্ছাসেবক লীগের আগের সভাপতির সম্পত্তির পরিমাণ খুবই কম। তিনি একটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন।
একইভাবে কৃষক লীগের একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে তিনি জামাত শিবিরের রাজনীতির সম্পৃক্ত ছিলেন বাস্তবে দেখা যাচ্ছে এ ধরনের কোন ঘটনা নেই।
আর এ কারণেই বিষয়টি আওয়ামীগ সভাপতি পর্যন্ত গড়িয়েছে। আওয়ামীলীগ সভাপতি এ ব্যাপারে নির্মোহ এবং নিরপেক্ষভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আওয়ামীলীগ সভাপতি এ সমস্ত কমিটিতে যদি কোন বির্তকিত নাম থাকে তাহলে তা যাচাই বাছাই করার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে অভিযোগ উঠলেই কাউকে বাদ দেয়ার যে প্রবণতা সেটি যেন অনুসরণ করা না হয়। তাহলে সংগঠনের কার্যক্রমে বিঘ্ন হবে। এবং এক ধরনের অভিযোগ দেয়ার প্রতিযোগীতা তৈরি হবে মনে করছেন আওয়ামীলীগ সভাপতি।
এ কারণেই সবগুলো অভিযোগ লিখিত দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং এটি যাচাই বাছাই করা হবে। তবে লিখিত অভিযোগ দেয়ার নির্দেশনা দেয়ার পর এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে খুবই কম।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
নাশকতা মামলা বিএনপি ইশরাক হোসেন
মন্তব্য করুন
‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?
রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।
রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
‘ব্যাংক মাফিয়া মাস্তান ঋণখেলাপি
মন্তব্য করুন
সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত।
রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের ও পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা এ যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।
তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।
জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি যেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। নির্বাচন পরবর্তী কোন্দল বন্ধে বিভিন্ন রকম উদ্যোগও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই একাধিক বার দলীয় কোন্দল বন্ধের জন্য তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাংগঠনিক অবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। এই কোন্দল এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন বা অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই। দলের এই কোন্দল এতদিন তৃণমূল পর্যায় থাকলেও সেটি এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও শুরু হয়েছে।