নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ২৯ অক্টোবর, ২০২০
যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হিসেবে ৪৯ বছর বয়সী আইনের অধ্যাপক এমি কনি ব্যারেট শপথ নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। যুক্তরাষ্ট্রর প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ হোয়াইট হাউসের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে জনগণের উদ্দেশ্যে বিচারক হয়ে তিনি বললেন ‘আমি আইনকে পলিসি থেকে রক্ষা করব।‘ আমি একজন পাবলিক পলিসির ছাত্র এবং ন্যায় গবেষক । রক্ষণশীল চিন্তার ধারক হিসেবে পরিচিত অধ্যাপক জাস্টিস ব্যারেটের কথা আমাকে যেন গভীর ঘুম থেকে জাগিয়ে দিলো। দর্শনের ছাত্র হিসেবে নৈতিকতার কথা বলি , সমাজদর্শন পড়েছি বলে প্রথা, লোকাচার , লোকনীতি বুঝতে চেষ্টা করি। জাস্টিস আমার প্রিয় বিষয় বলে আইন নিয়েও কিছুটা ভাবি। চেষ্টা করছি বটে কিন্তু সেগুলো খুব গভীর ভাবে উপলব্ধি করেছি বা করতে পেরেছি বলে মনে হয় না। মনে অনেক প্রশ্ন জাগে। কিছু প্রশ্নর উত্তর পাই কিছু অজানা থেকে যায়। অনেক কিছু বুঝতে না পারলেও চেষ্টা করে যাই কারণ কথায় আছে “একবার না পারিলে দেখো শতবার।“
মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন: কি বোঝাতে চেয়েছেন জাস্টিস ব্যারেট এমন একটি সন্ধিক্ষণে এমন একটি উক্তি উচ্চারণ করে? যখন কিনা সারা পৃথিবীর মানুষ একটি কঠিন সময়ে এক দুর্দান্ত ভাইরাস থেকে সৃষ্ট মহামারী মোকাবেলায় হিমশিম খাচ্ছে। তখন কিনা জাস্টিস ব্যারেট নিয়োগ পাওয়াতে যুক্তরাষ্ট্রর অবহেলিত দরিদ্র কালো মানুষ শংকিত হচ্ছে। তাদের আশংকা স্বাস্থ্য সুরক্ষার ওবামা কেয়ার পলিসি কোর্টে বাতিল হয়ে যাবে যদি জাস্টিস ব্যারেট বিচারক হন। তিনি কি তবে পলিসি থেকে আইনকে দূরে রাখতে ওবামা কেয়ার পলিসি বাতিল করবেন? ভালো পলিসিকে আইনে রূপান্তর করা যায় কি ? যদি যায় তবে পলিসি ও আইন একে অপরের সতীর্থ হতে পারে।
আমরা জানি তিনি ডেমোক্রাটদের ব্যাপক সমালোচনা কাঁধে নিয়ে ৫২-৪৮ ভোট সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হয়েছেন। সুতরাং, বিচারক হয়ে শপথ নেয়ার পর ৭ সন্তানের জননী কেন আইনকে পলিসি থেকে আলাদা রাখবেন বললেন তা গভীর চিন্তার বিষয়।
আমরা জানি পলিসি মানে হলো সরকার ‘যা করে” বা ‘করে না’- সেটাকে বোঝায়। যেমন সরকার ক্ষমতাবানকে ধরতে চায় না আবার ওই একই আইন ভাঙলে দুর্বলকে আটক করে। সুতরাং , আইন ও পলিসি যে ভিন্ন সেটা সাধারণ মানুষ বোঝে। তদুপুরি জাস্টিস ব্যারেট কেন বললেন আইনকে পলিসি থেকে রক্ষা করবেন গবেষক , সাধারণ নাগরিক সহ সকলেরই শংকা-নির্ঘাত তিনি এমন কিছু মিন করছেন যা হয়তো আগামীতে জানা যাবে যা হবে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
আইন কিভাবে আসে সে সম্পর্কে আমাদের কিছুটা ধারণা হয়েছে। সম্প্রতি যেমন মহামান্য রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ ধর্ষণএর শাস্তি নির্ধারণ করে অধ্যাদেশ জারি করেছেন। এবং সেটি মন্ত্রী পরিষদ আইন হিসেবে অনুমোদন দিয়েছেন। এবং এটি সংসদে পাস হলে আইন চূড়ান্ত হবে। অনুরূপভাবে, সংসদ আইন করেছিল বাংলাদেশে তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুপ্রিম কোর্ট সেই আইন বিলুপ্তি করে দিয়েছে। আমরা সরকারি কিছু দপ্তরকে আইন প্রয়োগ করতে দেখি। আমরা ভ্রাম্যমান বিচারককে সাংসদ পুত্র ইরফানকে আইন অনুসারে জেলে পাঠাতে দেখলাম। আমরা আরো দেখলাম কিভাবে আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার অপরাধে হাজি সেলিম পরিবারের দাপট ও সম্মান শুন্যের কোঠায় নেমে গেলো। সুতরাং আইন থাকা , না থাকা , ও আইনের গতি-প্রকৃতি প্রভৃতি সম্পর্কে কিছুটা আমরা কিছুটা জানি। আইন এমন বিষয় যে আদালতে আইন জানিনা বললে কোনো মাফ নেই। আইন আসলে সরল কথায় কঠিন নিয়ম অনুসরণ। আর পলিসি হলো : করলেও হয় না করলেও হয়।
আমরা জানি আইনের কিছু ফাঁক-ফোঁকরও আছে। আর তাই ক্রসফায়ার এর নামে তাজা মানুষ হত্যা করা বৈধ হয়ে যায় আইনের ওই ফাঁকফোঁকরে। আইন আছে বলে একজন রাজনীতিবিদকে সমালোচনা করবার অপরাধে গভীর রাতে পুলিশ একজন মহিলা শিক্ষককে গ্রেফতার করে। আবার সেই রাষ্ট্রর মহামান্য রাষ্ট্রপতি আক্ষেপ করেন বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের জন্য নাগরিকের সমালোচনায় কষ্ট পেয়ে। এখানে নাকি আইন নীরব দর্শক !
সেনা আইন ছিল বলেই বঙ্গবন্ধু ডালিম গংদেরকে চাকরিচ্যুত করেছিলেন শৃংখলা ভঙ্গের জন্য। আইন না থাকলেও হাঁ/না ভোট করে জিয়াউর রহমান প্রেসিডেন্ট হয়ে বৈধতা নিয়েছিলেন। তিনি আইন করে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের হত্যাকান্ডকে বৈধতা দিয়েছিলেন। আইনের এই সব বৈচিত্রময় চেহারা এবং পলিসির সঙ্গে এর পার্থক্য গোলমাল বাধিয়ে ধাঁধা লাগিয়ে দেয়। কিভাবে এই গোলমাল থেকে বের হওয়া যায় বিচারকরা তার পথ দেখাতে পারেন। জানিনা জাস্টিস ব্যারেট কিভাবে, কি দৃষ্টিকোণ থেকে তিনি আইনকে পলিসি থেকে রক্ষা করবেন তা খোলাসা করে বললেননি।
প্ৰশ্ন করা যেতে পারে -আইন কেন? সুবিচার করবার জন্য তো? তাহলে সুবিচার মানে কি? সুবিচার মানে এই -যে খুনিকে ছেড়ে দেয়া হবে অনুকম্পা করে? সুবিচার মানে এই যে খুনি ডালিম -কর্নেল ফারুক আইন পরিষদের সদস্য হবে? আর যেখানে জীবন রক্ষা করা আইনের লক্ষ্য, সেখানে সাজা হিসেবে মৃতুদণ্ড দেয়া কি আইন হতে পারে? মৃতুদণ্ড অনেক দেশে আছে নিষিদ্ধ- সেই সব দেশ যুদ্ধের নামে একটি বোমা মেরে লক্ষ্ মানুষ মারে তাদের কাছে “আইন” যে আসলে কি তার বোঝার বিষয়। জাস্টিস ব্যারেট আইন বলতে কি বোঝান তা তার বিচারকার্য থেকে আগামীতে জানা যাবে। হয়তো আইনের নতুন সংজ্ঞা আমরা পাবো তার বিচারকার্য থেকে। অপেক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে আমরা অনেকে ঘুমিয়ে যাবো হয়তো !
আমাদের রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে সব সময় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার কথা শুনতে পাই। কিন্তু মাঝে মাঝে সেই সব কথা গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে। আমরা দেখি উপরতলার মানুষরা আইনের সুযোগ যেন একটু বেশি পায়। আইন অনুসারে আগামৗ জামিন পেয়ে যান- কারণ ওনারা দামি উকিল ভাড়া করতে পারেন। তখন মনে হয় আইন মানে অর্থ। আর তাই বুঝি কিছু মানুষ অর্থ কামাইতে অতুলনীয় হতে চেষ্টা করেন। অর্থের অভাবে আর একজন গরিব মানুষ একটি রায়ের জন্য দিনের পর দিন জেলে থাকতে থাকতে জীবন শেষ করে দেন।
এইতো কদিন আগে জানা গেলো কিভাবে বিনা বিচারে জাহালম দিনের পর দিন জেলে কাটিয়েছেন। তার ক্ষমতা ছিলোনা হাই কোর্টে আপিল করবার। তার কোনো আইনজীবি ছিলোনা যে একটি জামিন নিয়ে দেবে। আইন তাই একটি ভীতিকর অবস্থা যা মানুষকে শৃংখলিত করে রাখে। মানুষের স্বাধীনতাকে কেড়ে নেয়। আর তাই হাসতে হাসতে আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রপতি বলেন - আমাদের বাক স্বাধীনতা নিচ্চিত করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্যর্থ। এরকম সমালোচনা আমরা করতে পারি কি ? মহামান্য রাষ্ট্রপতির কথার সূত্র ধরে ধরপাকড়াও করতে পুলিশ মাঠে নেমে পড়ে না বলে রক্ষা। আবার বিদেশে বসে কোনো ব্যক্তি কারো টেলিফোন কোনভারসেশন প্রচার করলে ওই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন উল্লেখ করে সতর্ক বার্তা দেয়া হয়। তখন আমার জানতে ইচ্ছে করে - আইন আসলে কি? ক্ষমতাবানের জন্য আইন ও সাধারণের জন্য আইন ভিন্ন কিনা?
কিছু মানুষ যাদের কোনো নৈতিক ভিত্তি নেই তারা যদি রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসে, যেমন জিয়াউর রহমান, কিছুকে আইন বলে চালিয়ে দেয় তাহলে সেটা কি আইন? নাকি আমাদের সমাজ দিনের পর দিন বিবেচনা করে রীতিনীতি হিসেবে মান্য করে এবং সেটি যদি আইন হয় কোনো বৈধ প্রতিষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তবে সেটি কোনো পলিসি দিয়ে না প্রয়োগ করা কি আইন? অবৈধ আইন দিয়ে মোস্তাক -জিয়া - সাত্তার -এরশাদ-খালেদা জিয়া দিনের পর দিন খুনিদেরকে পুরস্কৃত করেছেন। আইন তখন কোথায় ছিল জানিনা। যারা আইনের রক্ষক তারা কিছুই করেননি।
আইন অনেক কঠিন বিষয়। আইনের ভিতর গাইন ঢুকলে খবর আছে। যেমন বাক স্বাধীনতার আইন আছে আবার ধর্ম নিয়ে কিছু বললে খবর আছে। সাম্প্রতিক বাংলাদেশে আইন ও অধিকার ভালোভাবে বিবেচনার চিন্তা না করে সরল বিশ্বাসে কথা বলে এজন্য শিক্ষকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে, আর আরেক শিক্ষার্থীর ছাত্রত্বও চলে গেছে । মনে হচ্ছে তাদের জন্য কোথাও কেউ নেই।
এক সময় আমরা ৭৪ এর কালো আইন নিয়ে কথা বলতে শুনেছি, এখন সেখানে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন জায়গা পেয়েছে-এখন আইনের ফাঁকা থাকবার জো নেই ! সরকারের পলিসি হতে পারে এই আইনটির প্রয়োগকে স্থগিত রাখা। জাস্টিস ব্যারেট যদি এরকম হস্তক্ষেপকে বোঝাতে চান তার ঐতিহাসিক বক্তব্য দিয়ে তবে মানুষ খুশি হবে কি? কারণ বাংলাদেশে এই আইনটি বাতিলের দাবি দিন দিন জোরালো হচ্ছে। জাস্টিস ব্যারেট যদি আইনকে রক্ষা করতে পলিসিকে উপেক্ষা করেন তবে মানুষ ক্ষুব্ধ হবে। আইন অমান্য করবে। সেটা কাম্য হতে পারে কি ?
দেশ উন্নত হয়েছে, ভারতের থেকে উন্নত। আনন্দের সংবাদ। তবে উন্নত দেশে সমালোচনা করা গেলেও বাংলাদেশে সেটা খুবই সীমিত বললে দোষের হতে পারে! সত্যি কথা বলতে কি আসল উন্নয়ন আমরা এখনো দেখিনি। ১৯৯০ সালেই ভারতে পাতাল রেল দেখেছি। সেখানকার ১০ বিশ্ববিদ্যালয় ranking এ আছে। আছে তাজমহলের মতো সপ্তম আশ্চর্য। উন্নয়নের শিখরে যেতে আরও অনেক দূর যেতে হবে। আমার পারব ইনশাল্লাহ।
আমাদের বিচার বিভাগের বেশ উন্নতি হয়েছে। আমরা আনন্দিত যে এখন আমাদের বিচারকরা স্বতঃপ্রনোদিত হয়ে অনেক বিষয় আমলে নিয়েছেন এবং বিচার করছেন। কিন্তু ভাবতে পারেন কি ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ এই ২১ বছর ওই দূরসময়গুলোতে সেই আইনগত ক্ষমতা প্রয়োগ করতে কোনো বিচারক আসেননি। বরং সংসদে আইন পাশ হবার পর বঙ্গবন্ধু হত্যার মামলা হলে বিচারক বিব্রত হয়ে জাতিকে হতভম্ব করেছেন। বিচারের বাণী নীরবে কাঁদে- যেমনটি বাঙালি কেঁদেছে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ২০০৯ সালের ৮ নভেম্বর পর্যন্ত। আইন বটে ! বটেন!
আইন নাকি সকলের জন্য সমান। আইন নাকি রক্ষাকবচ। আইন বলে রাষ্ট্রর চোখে সকল নাগরিক সমান। এই যদি হয় আইনের ধারা তবে কেন সেখানে বৈষম্য? কেন একজনকে ট্যাক্স ফ্রি গাড়ি দেয়া হবে? আর কেন একজন দিনের পর দিন ট্যাক্স গুনে যাবে ওই সব ব্যক্তির সকল বিলাসিতার খরচ বহন করতে? উন্নয়ন মানে এই বৈষম্য থেকে উত্তরণ। সেটি কবে আসবে কেউ জানে না। তবে আলো আসবে !
আজকাল প্রায় সতর্ক বার্তা পাচ্ছি। আমি জোট সরকারের বিরুদ্ধে লড়েছি এবং এই সরকারকে নির্বাচিত করেছি আমার স্বাধীনতাকে পূর্ণাঙ্গ ভোগ করবার জন্য। আমরা জাতির পিতার হত্যার বিচার চেয়েছি যেন আমাদের বিচারহীনতার জগতে বসবাস না করতে হয়। কিন্তু সেখানে আবার একটু একটু ভয় জায়গা করে নিচ্ছে। আমারই দলের মানুষ যাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধে লড়াই করেছি তারা যেন অচেনা হয়ে যাচ্ছেন ! এখন ওই জোট সরকারের অনেকে দলে ভিড়ে গেছে এবং তাদের ইন্ধনে আমাদেরকে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
ছোট্ট বেলায় এক কবির কাছে অটোগ্রাফ নিতে গিয়েছিলাম। তিনি লিখেছিলেন বঞ্চনার জীবন যেন না আসে। কবিতালাপ গোষ্ঠীর ওই সমাবেশ আজও স্মৃতির মনিকোঠায় সঞ্চিত আছে। বিগত ৩৯ বছর আমি জাস্টিস শব্দটার খুঁজছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিস পেয়েছেন। জাতির পিতার হত্যার বিচার ২১ বছর পর শুরু হয়ে শেষ হয়েছে। সেই আশায় আমরা অনেকেই বুক বাধি। আমরাও একদিন বিচার পাবো !
জাস্টিস ব্যারেটকে যদি পেতাম তাকে প্রশ্ন করতাম: আপনার কাছে বিচার মানে কি? কেন আইনকে পলিসি থেকে দূরে রাখবেন? ন্যায় বিচারকে আইন দিয়ে প্রতিষ্ঠ না করা গেলে পলিসি দিয়ে কি করা যাবে কি? আপনার দেশে যে কালো মানুষগুলো আছে সেই কালো মানুষগুলোকে আপনার পূর্বপুরুষ নিয়ে গেছেন জোর করে- এটা ছিল তাদের পলিসি। আর কিছু মানুষ গেছে লটারিতে- সেটাও একটি পলিসি। কিছু মানুষ স্বাধীনতার জন্য আপনাদের দেশে গেছে- এটা ছিল যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও অভিবাসীদের পলিসি। কিছু মানুষ তাদের মেধার জোরে গেছেন- যা একটি যুক্তরাষ্ট্র সরকারি পলিসি। অথচ আপনার মনোয়নকারী প্রেসিডেন্ট ডোনাল ট্রাম্প তাদেরকে তাড়িয়ে দিতে চান- তাড়িয়ে দেয়ার আইন করতে চান। আইন করে তাদের বাঁচার অধিকার কি ছিনিয়ে নেয়া যায় কি? আপনি কি সেই আইনের রক্ষক হবেন? আপনাকে স্বাগত জানাতে পারছিনা কেন জানিনা - তবে যদি পারতাম ভালো লাগতো। কারণ আমিতো ওই কালো মানুষদের একজন - যারা সাদাদের থেকে আলাদা। কালো দরিদ্রদের ভয় শুন্য পৃথিবী কোনোদিন হবে কি?- যদিও আপনার দেশে বর্ণবাদ নির্মূলের আইন আছে। কাগুজে আইন নয়- ন্যায়ের পক্ষে থাকবো হোক আমাদের প্রত্যাশা।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ১১:১১ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪
মন্তব্য করুন
আজকাল গণমাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগনের যোগ্যতা-অযোগ্যতা, অনিয়ম, দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি প্রভৃতি নিয়ে প্রায়শঃ খবর প্রকাশিত হতে দেখছি। আমিও একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। কোন কোন গণমাধ্যমের খবরে আমার নামটিও রয়েছে। সে প্রেক্ষিতে এই লেখা। লেখাটির শিরোনাম কি দেব বুঝতে পারছি না। অগত্যা ‘একজন উপাচার্যের কৈফিয়ত’ এই নাম দিয়েই লেখাটি শুরু করলাম।
আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা থেকে অবসর নেয়ার পর পরই ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করে আসছি। আমার দায়িত্ব পালনের প্রথম দিকে প্রায় এক/দেড় বছর ছিল করোনাকাল। সে সময় আমি ও আমার স্ত্রী দু’জনই দু’বার করোনা আক্রান্ত হয়েছিলাম। করোনাকালে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ন্যয় এই বিশ্ববিদ্যলয়েও কম-বেশী সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও উপাচার্যের অফিস চলতো প্রায় স্বাভাবিক সময়ের মত। এসময়ে আমাদের প্রধান চেষ্টা ছিল অনলাইন এবং পরবর্তীতে অনলাইন-অফলাইন সমন্বিত মোডে কি করে ক্লাস-পরীক্ষা চালু রাখা যায়। আমার একটি তৃপ্তির অনুভূতি যে, তখন থেকে এ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষনা কার্যক্রম ধারাবাহিকভাবে অব্যহত রয়েছে; নানারকম প্রতিকুলতা সত্বেও ক্লাস-পরীক্ষা একদিনের জন্যও বন্ধ থাকেনি কিম্বা তেমন কোন অস্থিরতাও তৈরী হয়নি।
গত এক/দেড় বছর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে দৃশ্যপট পাল্টাতে শুরু করেছে। এখানে বিশেষ করে কিছু সংখ্যক শিক্ষক রয়েছেন যাঁরা কম-বেশী সব আমলে উপাচার্যের প্রীতিভাজন হয়ে প্রশাসনকে কব্জায় নিয়ে নিজেদের মত করে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করতে চান। এমনটি না হলে সাধারনতঃ কোন উপাচার্যই তাঁদের মেয়াদ পূর্ণ করতে সক্ষম হন না। জন্মকাল থেকে ১৩ জনের মধ্যে এ পর্যন্ত এক/দু’জন উপাচার্য কেবল মেয়াদ শেষ করতে পেরেছেন। যাহোক এই শিক্ষকগণের কেউ কেউ সুবিধা করতে না পেরে অন্তত এক-দু’জন শিক্ষক আমাকে এমনও বলেছেন যে, পূর্বে কম-বেশী সকল উপাচার্য তাদের নিয়ে চলেছেন, অথছ আমার সময়ে তিনি/তারা একটু ঝাড়ুদারের দায়িত্বও পাচ্ছেন না। এরপর থেকে দিনে দিনে শুরু হয়েছে অনলাইন ও বিভিন্ন ডিজিটাল প্লাটফর্মে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার আর অপপ্রাচারের প্লাবন। একটি একটি করে তা’ পাঠকের জন্য তুলে ধরতে চাই।
প্রায় দেড় বছর পূর্বে হঠাৎ করে একদিন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ভ্যানে মাইক লাগিয়ে আমার কণ্ঠ-সাদৃশ্য বাক্যাংশের একটি অডিও বাজিয়ে কে বা কারা প্রচার করতে থাকে যে, উপাচার্য হিসেবে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ বানিজ্য করছি। মূলত : ঘটনাটি ছিল এমন যে, ওই সময়ে শিক্ষক শুন্য একটি বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের জন্য একটি বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছিল। সেখানে মাত্র তিনটি আবেদনপত্র জমা পড়েছিল এবং নিয়োগ পরীক্ষায় দু’জন প্রার্থী উপস্থিত হয়েছিলেন। আমরা প্রার্থী স্বল্পতার জন্য ওই পরীক্ষা বাতিল করে পুনঃবিজ্ঞাপনের সিদ্ধান্ত নেই। এর কয়েকদিন পর আমি আমার এক ছাত্রকে (যিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকও বটে) অনুরোধ করি যে, তোমরা ঢাকায় থাকো, আমাদের শিক্ষক দরকার। তুমি আমাদের একটু সাহায্য করো- তোমার বন্ধু-বান্ধব বা পরিচিতজনদের বলো তারা যেন এখানে দরখস্তকরে। উত্তরে সে জানায় যে, স্যার ওখানে কেউ যেতে চায় না। তাছাড়া একটা দরখস্ত করতে গেলে ৫/৬ হাজার টাকা ব্যয় হয়-তাই কেউ দরখস্ত করতেও উৎসাহি হয় না। আমি তখন জবাবে বলি-ওরা তোমাদেরই বন্ধুবান্ধব, প্রয়োজনে টাকা পয়সা দিয়ে সহায়তা করে তাদের দরখস্তকরতে একটু উদ্বুদ্ধ করো। এই কথোপকথনের ‘টাকা-পয়সা দিয়ে’ এই বাক্যাংশটুকু নিয়ে কিভাবে তারা একটি অডিও বানিয়ে প্রচার আরম্ভ করে যে, উপাচার্য নিয়োগ বানিজ্য করছেন। শুনেছি এভাবে তারা একাধিক অডিও [যা’ শুধুমাত্র একজন অর্থাৎ আমার কন্ঠ সাদৃশ্য এবং তা’ মিথ্যা, বানোয়াট, খÐিত, এক পক্ষীয় (অন্য প্রান্তে কে কি বলছেন তার কোন হদিস নেই) এবং হয়তোবা সুপার এডিটেড] বানিয়ে বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়ে উপাচার্যকে কিভাবে হেনস্থা করে তাদের অপ-ইচ্ছার কাছে নতি স্বীকার করানো যায় সে চেষ্টাই তারা অনবরত করে যাচ্ছে।
আমি আমার কণ্ঠ সদৃশ্য আরও একটি অডিও’র বক্তব্য শুনেছি। এটিও ছিল এক পক্ষীয় এবং খÐিত। আমার আলাপন সেখানে পূর্ণাঙ্গ নেই। অপর প্রান্তে কে কথা বলছেন তারও কোন অস্তিত্ব নেই। অডিও’র বিষয়টি হলো-আমি কোন একজনকে বলছি যে, ‘আপনার নির্দিষ্ট প্রার্থীকে আমার কাছে পাঠিয়ে দিবেন’ ....................আমি দেখবো। সাধারণত: কোন নিয়োগের আগে অনেকেই অনুরোধ করেন যাতে তার প্রার্থীকে যেন একটা চাকুরী দেয়া হয়। বিশেষ করে জনপ্রতিনিধিগণ অথবা কোন রাজনীতিক/সামাজিক ব্যক্তিত্ব ১টি পদের জন্য কখনও কখনও ৩/৪ জন প্রার্থীর রোল নম্বর পাঠিয়েও এ ধরনের অনুরোধ করেন। ধরা যাক, এদের মধ্যে একজনেরই চাকুরিটি হয়েছে। অধিকাংশ সময়ে সে ফিরে গিয়ে তার জন্য অনুরোধকারীকে সুখবরটি জানায় কি-না তা’ আমার জানা নেই। কিšদ প্রায়শ এমনটি ঘটে যে, বাকী যাদের চাকারী হয় না তারা গিয়ে তাদের স্ব-স্ব নেতা বা অনুরোধককারীকে এই বলে বিষিয়ে তোলে যে, উপাচার্য আপনার অনুরোধের কোন দামই দিলেন না। এমন পরিস্থিতিতে মন খারাপ করে জনপ্রতিনিধিগণ বা রাজনৈতিক/সামাজিক নেতৃবৃন্দ টেলিফোন করে আমাকে হয়তো বলে থাকেন-আপনি আমার একটা অনুরোধ রাখলেন না। এমতপরিস্থিতিতে আমাকে জবাব দিতে হয় যে, এরপর তাহলে আপনার সুনির্দিষ্ট প্রার্থীকে আমার সাথে দেখা করতে বলবেন ............. আমি দেখবো। এই ‘দেখা করতে বলা’ কি নিয়োগ বানিজ্যের সাথে যায়? এভাবে একটি গোষ্ঠী কেবলই মিথ্যাচার করে উপাচার্য হিসেবে আমাকে নাজেহাল করার অনবরত চেষ্টা করে যাচ্ছে যাতে আমি নতি স্বীকার করে তাদের হাতের পুতুল হয়ে কাজ করি। মিথ্যার কাছে নতি স্বীকার করে চেঁচে থাকার ইচ্ছে বা অভিপ্রায় আমার নেই।
আমার বিরুদ্ধে না-কি অভিযোগ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণ কাজে আমি অতিরিক্ত কাজ দেখিয়ে ৬ থেকে ৮ কোটি টাকার বিল বানিয়ে অর্থ-আত্মসাৎ করেছি বা করার চেষ্টা করেছি। রুচিহীন এবং উদ্ভট এসব অভিযোগের জবাব দিতেও আমি ইতস্তবোধ করছি। উল্লেখ্য নির্মাণ কাজের বাস্তব অগ্রগতি পরিমাপ করে ৩/৪ মাস অন্তর পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর বিল ঠিকাদারের প্রদান করা হয়। এই কাজে বিভিন্ন পর্যায়ে সাইট ইঞ্ছিনিয়ার-সহকারী ইঞ্জিনিয়ার-নির্বাহী বা তত্ত¡াবধায়ক ইঞ্জিনিয়ার-প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক প্রমুখ কর্তৃক পরীক্ষিত ও নীরিক্ষিত কাজের পরিমাপ এবং প্রস্তাবিত বিল ঠিক থাকলে তা’ চলে যায় ট্রেজারার মহোদয়ের কাছে। তখন তাঁর নেতৃত্বে গঠিত ভিজিলেন্স টিম সরেজমিনে সাইট পরিদর্শন করে সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে তা’ উপাচার্যের নিকট অনুমোদনের জন্য উপাস্থাপন করা হয়। বর্নিত ক্ষেত্রে আমার নিকট ফেবরিকেটেড ওই বিল অনুমোদনের জন্য কোন ফাইলই উপস্থাপিত হয়নি। বরং ৪/৫ মাস পূর্বে আমার দপ্তরে একটি বেনামী চিঠি আসে যে, নির্মান কাজ বেশী দেখিয়ে আট কোটি টাকার একটি বিল প্র¯দত করে তা’ প্রক্রিয়া করা হয়েছে। এই চিঠির সাথে ফটোকপিকৃত কিছু ডকুমেন্ট ছিল যা’ দেখে অভিযোগের সত্যতা থাকতে পরে বলে আমার কাছে মনে হয়েছিল। আমি তাৎক্ষনিকভাবে এই চিঠির ভিত্তিতে একজন সিন্ডিকেট সদস্যকে আহবায়ক এবং খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপককে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করি। ইতোমধ্যে কমিটি তাদের রিপোর্ট প্রদান করেছে। পরবর্তী সিন্ডিকেট সভায় তা’ উপস্থাপিত হবে এবং সিন্ডিকেট সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এখানে উপচার্য হিসেবে আমি কি দূর্নীতি করেছি আশাকরি পাঠকবর্গ তা’ উপলব্ধি করতে পারছেন।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যাপারে দু’একটি অনলাইন পত্রিকায় নিউজ করানো হচ্ছে যে, প্রকল্প সাইটে মাটির নিচে পাইলিং এর জন্য যে রড ঢোকানো হয়েছে সেখানেও না-কি উপাচার্য হিসেবে আমি দূর্নীতি বা অনিয়ম করেছি। যেকোন নির্মাণে পাইলিংয়ের জন্য মাটির নিচে রড কতটুকু ঢুকাতে হবে তা’ নির্ভর করে সয়েল টেস্ট রিপোর্টের উপর। আমি উপাচার্য হিসেবে যোগদানের বহু পূর্বেপ্রকল্পটি অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় সয়েল টেস্ট করে প্রকল্প দলিল প্রনীত ও অনুমোদিত হয়েছিল।
আমার সময়ে এসে প্রকল্পের কাজ শুরুর পর যখন পাইলিং আরম্ভ হয় তখন সংবাদকর্মীদের মাধ্যামে আমি জানতে পারি যে, প্রকল্প দলিল অনুযায়ী মাটির নিচে যে পর্যন্ত রড ঢোকানোর কথা (ধরা যাক ৫০’) তার চেয়ে কম গভীরতায় রড ঢুকিয়ে পাইলিং এর প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। আমি সাথে সাথে প্রধান প্রকৌশলীকে বিষয়টি দেখতে বলি এবং ভিজিলেন্স টীম পাঠিয়ে তাদের ব্যবস্থা নিতে বলি। ভিজিলেন্স টীমের সদস্য এবং ইঞ্জিনিয়ারিং অফিসের কর্মকর্তাগণ আমাকে এসে রিপোর্ট করেন যে, সয়েল টেস্টিং এর ভিত্তিতে যেভাবে পাইলিং এর রড প্রকল্প অনুযায়ী মাটির নিচে ঢোকানোর কথা বাস্তবে তা’ ঢোকানো যাচ্ছে না। রড ঢুকছে তার কম (কম-বেশী ৪০’)। এ পর্যায়ে সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে পুনরায় সয়েল টেস্ট ও তা’ ভেটিং করিয়ে টেস্টের রিপোর্ট অনুযায়ী সেই গভীরতায় রড ঢুকিয়ে পাইলিং এর কাজ করা হয়েছে। এই বিষয়টি প্রজেক্ট ইমপ্লিমেন্টেশন কমিটির (যেখানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা কমিশন, আই এম ই ডি, ইউ জি সি-র প্রতিনিধিগণ থাকেন) সভায় অবহিত করা হয়েছে। এখানে উপাচার্য কিভাবে রড কম গভীরতায় ঢুকিয়ে দূর্নীতি বা অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন সে বিবেচনার ভার পাঠকদের উপর ছেড়ে দিলাম।
আমি প্রায়শঃ শুনি যে, আমার বিরুদ্ধে না-কি আরও একটি অভিযোগ যে, আমি অবৈধভাবে কর্মকর্তাদের উচ্চতর বেতন স্কেল প্রদান করেছি। বিষয়টি আমি নিচেয় ব্যাখ্যা করছি। তার আগে বলে রাখা দরকার যে, এটি ডেপুটি এবং এসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার পর্যায়ের সকল কর্মকর্তার জন্য একটি আর্থিক সুবিধা প্রদানের বিষয়। এটি প্রদানের ক্ষেত্রে আর্থিক নিয়মের কোন ব্যত্বয় ঘটলে ইউ জি সি অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা বছরে একাধিকবার অডিট করেন তারা আপত্তি উত্থাপন করতে পারেন। কিন্তু উপাচার্যের দূর্নীতির উপাদান এখানে কি থাকতে পারে তা’ আমার বোধগম্য নয়।
ঘটনাটি ছিল এমন যে, ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেল কার্যকর হওয়ার পূর্বে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি এবং এসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার পর্যায়ের কর্মকর্তাদের একটি নির্দিষ্ট সময় পরে একধাপ উচ্চতর স্কেলে বেতন উন্নীত করে তা’ প্রদান করা হতো। ২০১৫ সালের বেতন স্কেল কার্যকর হওয়ার পর এই সুযোগ রহিত করা হয়। আমি ২০২০ সালের শেষ দিকে করোনাকালে যখন এখানে উপাচার্য হিসেবে যোগদান করি তার কয়েকদিনের মধ্যে ওই পর্যায়ের কর্মকর্তাদের একটি অংশ এসে আমার সাথে দেখা করে দাবী জানায় যে, এই স্কেল উন্নীতকরণ ঘটবে উপ-রেজিস্ট্রার ও সহকারী রেজিস্ট্রার পর্যায়ের সকল কর্মকর্তার ক্ষেত্রে। কিšদ পূর্বের প্রশাসন ২০১৯ সালে বেছে বেছে তাদের অনুগত কর্মকর্তাদের এই সুযোগ প্রদান করেছেÑ কাজেই অবশিষ্টদেরও এটি দিতে হবে। বিষয়টি নিয়ে ২০২২ সালের দিকে তারা একটি বড় আন্দোলন গড়ে তোলে এবং প্রায় ২ মাস ধরে কর্মবিরতি পালন করে। এক পর্যায়ে গিয়ে এবিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি দেখতে পায় এই সুবিধাটি ২০১৫ সালের পে-স্কেলের সময় রহিত করা হলেও ঢাকাসহ রাজশাহী, চট্টগ্রাম, জাহাঙ্গীর নগর, মওলানা ভাষানী বিশ্ববিদ্যালয় বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এটি তখনও চালু রয়েছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সুবিধা পূর্বে অলরেডি কর্মকর্তাদের একটি অংশকে দেয়া হয়েছে এবং কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তখনও এই সুবিধা প্রদান বহাল রয়েছে। এই বিবেচনায় কর্মকর্তাদের আর একটি অংশ যাতে বঞ্চিত না হয় (অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে তখনকার পরিস্থিতি) সেসব বিবেচনায় নিয়ে কমিটি বঞ্চিতদের জন্য স্কেল উন্নীত করণের সুপারিশ করে। এই সুপারিশ ফিন্যান্স কমিটি এবং সিন্ডিকেটে এই শর্তে অনুমোদন দেয়া হয় যে, এব্যাপারে ভবিষ্যতে কখনও যদি অডিট আপত্তি উত্থাপি হয় তাহলে এই উন্নীতকরণ বাতিল হবে এবং কর্মকর্তাদের দেয়া অর্থ ফেরত দিতে হবে। বিষয়টি সে সময় এভাবে ফয়সালা করা হয়েছে। এখানে উপাচার্য হিসেবে আমার দূর্নীতির জায়গাটি কোথায় তা’ আমার বোধগম্য নয়। আমি মনে করি এটি বড়জোর একটি অডিট আপত্তি/অনাপত্তির বিষয়। ব্যক্তি বা সামস্টিক দূর্নীতির সংগার সাথে এটি যায়-কি?
উপাচার্য হিসেবে আমার বিরুদ্ধে আরও একটি অভিযোগ সম্পর্কে দু’একটি অনলাইন পত্রিকা এবং নষ্ট-ভ্রষ্ট ওই গোষ্ঠীর প্রচার-প্রপাগাÐা থেকে জেনেছি যে, আমি আমার ঢাকার বাসার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকায় সিকিউরিটি নিয়োগ দিয়েছি। এটি সর্বৈব মিথ্যা রটনা। ঢাকায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি রেস্ট হাউজ রয়েছে। সেখানে মাত্র ২ জন কর্মী (একজন কুক, একজন সাধারণ) কাজ করে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিদিন গড়ে ১৫/২০ জন শিক্ষক-কর্মকর্তা (কখনও কখনও তাদের পরিবার-বিশেষ করে চিকিৎসার জন্য) ঢাকায় গিয়ে রেস্ট হাউজে অবস্থান করেন। উল্লেখ্য এসময়ে বেশ কয়েকমাস ধরে রেস্ট হাউজ ভবনের সংস্কার কাজ চলছিল। রেস্ট হাউজে ইবি পরিবারের সদস্যগণ দিনে-রাতে (কোন ধরাবাধা সময় নেই) যাতায়াত করেন। তাদের জন্য বার বার গেট খোলা এবং লাগানোর মত কোন জনবলই সেখানে ছিল না। অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী স্থায়ী জনবল নিয়োগেরও তেমন কোন সুযোগ ছিল না। সেসময় এস্টেট অফিস থেকে আমাকে জানানো হয় যে, ঢাকা রেস্ট হাউজে কিছু সিকিউরিটি ডেপুট (নিয়োগ নয়) করা দরকার। ইবি ক্যাম্পাসের কয়েকজন আনসার দিয়ে সেটা করা যায় কি-না সে ব্যাপারে এস্টেট অফিস আমাকে অবহিত করে যে, আনসার ডেপুট করা অনেক খরচের ব্যাপার এবং বারো জনের নিচেয় আনসার কর্তৃপক্ষ জনবল দিবে না। বিকল্প হিসেবে স্বল্প সংখ্যক (৫/৬ জন) জনবল বরং সিকিউরিটি সংস্থা থেকে ডেপুট করা যায়। সে অনুযায়ী যথাযথ বিধি বিধান প্রতিপালন করে ফিন্যান্স কমিটি এবং সিন্ডিকেটের অনুমোদন নিয়ে ঢাকা রেস্ট হাউজের জন্য ছয়জন সিকিউরিটির সেবা হায়ার করা হয়েছে। উপাচার্য হিসেবে প্রায়শ আমাকে শিক্ষা মন্ত্রনালয়, ইউ জি সি, ধর্ম মন্ত্রনালয় (ইসলামী ফাউন্ডেশন), এ ইউ বি-র সভা এবং গুচ্ছের সভাসমূহে যোগাযোগসহ প্রভৃতি কারণে ঢাকায় যেতে হয়। সেকারণে শিফট অনুযায়ী সিকিউরিটি সদস্য যারা রেস্ট হাউজে ডিউটি করে তাদের একজন রেস্ট হাউজে এবং একজনকে উপাচার্যের বাসায় ডিউটি বন্টন করা হয়েছে মাত্র। উপাচার্যের বাসার জন্য কোন সিকিউরিটি সদস্য নিয়োগ দেয়া হয়নি। উপাচার্যের বাসার জন্য সিকিউরিটি নিয়োগ দেয়া হয়েছে এটাও একটি মিথ্যা প্রচারণা।
প্রকৃতপক্ষ আমি জানিনা উপাচার্য হিসেবে আমার বিরুদ্ধে আর কি কি অভিযোগ রয়েছে? অভিযোগগুলো কিসের ভিত্তিতে করা হয়েছে? অভিযোগগুলো কারা করেছে তা’ও আমার জানা নেই। যাহোক একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর প্রচার প্রপাগান্ডার কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে ইউ জি সি-কে দিয়ে একটি তদন্ত কমিটি করিয়েছে। কমিটির সদস্যবৃন্দ আমাকে সুনির্দিষ্ট কয়েকটি বিষয়ে লিখিত মতামত/বক্তব্য দিতে বলেছিলেন। আমি তাঁদের নিকট লিখিত ভাবে (ডকুমেন্টসহ) আমার বক্তব্য প্রেরণ করেছি।
আশাকরি পাঠকবৃন্দ বিষয়সমূহ অবহিত হয়ে একজন উপাচার্যকে কিভাবে কেবল রসালো, মিথ্যা, বানোয়াট এবং বস্তনিষ্ঠহীন অভিযোগ তুলে তাঁকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে তা’ উপলব্ধি করতে সক্ষম হবেন। উপাচার্য এবং ব্যক্তি মানুষ হিসেবে আমি শুধু এতটুকুই বলবোÑআমি কোন দূর্নীতি করে উপাচার্যের এই চেয়ারকে কলুসিত করিনি; আমি স্বার্থান্বেষী নষ্ট-ভ্রষ্ট কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর কাছে মাথা নত করবো না।
অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম
উপাচার্য, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
মন্তব্য করুন
মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তার হয়েছে। দেশজুড়ে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
কেউ বলছে, মিল্টন যতটুকু ভাল কাজ করেছে, তাই বা কজন করে। আবার অনেকে বলছে, মিল্টন অনেক
ভয়ঙ্কর কিছু কাজ করেছে। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। আবার কেউবা বলছে, মিডিয়ার
লোকজন সত্য বলছে না। যা বলছে, তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এসব দেখে শুনে আমরা আম জনতা দিকবিদিকহীন।
দিশা খুঁজে পাই না। কোনটা সত্যি আর কোনটা মিথ্যা, তা নিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলছি। সত্য
মিথ্যা খোঁজার দায়িত্ব আম জনতার না। সেসব খুঁজবে আইনের লোকজন। মিল্টন সমাদ্দার এখন
আইনের লোকের হাতে। তাতেই আম জনতার স্বস্তি। এবার নিশ্চয় জনতা জানতে পারবে কে সত্যি
আর কে মিথ্যা। মিল্টন নাকি মিডিয়ার লোকজন?
আইনের লোকজন চুলচেরা বিশ্লেষণ করে যেন জনতাকে জানিয়ে দেয়, মিল্টন
যা করছে, তা ঠিক করছে, নাকি বেঠিক করছে। যা করছে, তা কি মানবতার পক্ষে নাকি মানবতা
বিরোধী। আসলেই কি কিডনি বা অন্য অঙ্গ বিক্রি
করছে। নাকি সব ভাওতাবাজি। নাকি আয়নাবাজি। মিডিয়া যা লিখছে, তা কি সব ঠিক। নাকি বাড়াবাড়ি। এসব জানার
অধিকার জনতার রয়েছে। আশা করি দ্রুততম সময়ে জনতা তা জানতে পারবে। নাকি সাগর রুনিকে কে
বা কারা হত্যা করেছে, সে প্রশ্নের মত এসব প্রশ্নও আকাশে মিলিয়ে যাবে। নাকি বৈশাখের আগুন ঝরা তেতাল্লিশ উর্ধ
লসিয়াসে উদ্বায়ু হয়ে যাবে। মিল্টন যদি কোন অন্যায় করে থাকে, তার যেন বিচার হয়, শাস্তি
হয়। মিডিয়া যদি অসত্য তথ্য দিয়ে বাড়াবাড়ি করে থাকে, তারও যেন শাস্তি হয়। মিল্টনের গ্রেফতারের
মাধ্যমে এ সব কঠিন প্রশ্নের যেন সহজ উত্তর বেরিয়ে
আসে, এ প্রত্যাশা আমাদের সবার।
পরিশেষে, সমাজসেবা অধিদপ্তরের কাছে মিনতি, তারা যেন আশ্রমে আশ্রিতদের
আপাতত দেখভাল করেন। তাদের তিনবেলা যেন আহার জোটে। ওষুধ পথ্যের যেন ঘাটতি না হয়। মিলটনকে
বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে যেয়ে আশ্রিতরা যেন অন্ন, বস্ত্র বা চিকিৎসাহীনতায় কষ্ট
না পায়। সবার মনে রাখা প্রয়োজন, আশ্রিতরা তো কোন অন্যায় করেনি। সমাজ সেবা
অধিদপ্তর মিল্টনের অবর্তমানে আশ্রিতদের কদরের কোন কমতি করবে না,
সে প্রত্যাশা সকল আম জনতার।
পাদটীকা: আজকের অনলাইন পত্রিকাসমূহের একটি খবর। দেশের গণমাধ্যমে
ভুয়া খবরের সংখ্যা বেড়েছে ৩ গুণ। ২০২৩ সালে দেশের মূলধারার গণমাধ্যমে মোট ৪৪টি ঘটনায়
ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর খবর প্রচার হতে দেখা গেছে। তাই সাধু সাবধান।
লেখকঃ প্রবাসী চিকিৎসক, কলামিস্ট।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
আজকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হয়েছে। সকল স্থানীয় সরকার নির্বাচন যেভাবে হয় তার সামান্যতম কোন ব্যতিক্রম হয়নি। ভোটাররা উৎসাহ নিয়ে ভোট দিয়েছে। কোথাও কোথাও অনেক ভোটার আছেন যারা মনে করেন যে, অমুকে তো অনেকে জনপ্রিয় প্রার্থী, তিনিই বিজয়ী হবেন। আমার ভোট না দিলেও হবে। এ রকম মনোভাব নিয়ে অনেকে ভোট দেয়নি। আর কিছু জায়গা আছে ছোট খাটো মারামারি হয়েছে। যা এদেশের স্থানীয় নির্বাচনের চরিত্র।
মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারলাম যে, হিটলারের প্রচারমন্ত্রী গোয়েবলসের বাড়ি বিনা টাকায় বিক্রি করার জন্য কর্তৃপক্ষ আগ্রহী প্রার্থী পাওয়ার চেষ্টা করছে। আমার মনে হলো যে, আমাদের একজন ভালো খরিদ্দার আছে এবং তার কাছে এই গোয়েবেলসের বাড়িটি বিক্রি করলে গোয়েবেলসের আদর্শটাও বেঁচে থাকবে এবং কর্তৃপক্ষেরও উপকার হবে। আর এ খরিদ্দার হচ্ছে বিএনপি এবং এবং লন্ডনে পলাতক দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া বাড়িটি কিনতে পারেন। তিনি হচ্ছেন গোয়েবেলসের এই বাড়ির যোগ্য ব্যক্তি। কারণ তিনি গোয়েবেলসের ভাবশিষ্য।
আজকাল গণমাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগনের যোগ্যতা-অযোগ্যতা, অনিয়ম, দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি প্রভৃতি নিয়ে প্রায়শঃ খবর প্রকাশিত হতে দেখছি। আমিও একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। কোন কোন গণমাধ্যমের খবরে আমার নামটিও রয়েছে। সে প্রেক্ষিতে এই লেখা। লেখাটির শিরোনাম কি দেব বুঝতে পারছি না। অগত্যা ‘একজন উপাচার্যের কৈফিয়ত’ এই নাম দিয়েই লেখাটি শুরু করলাম।
মিল্টন সমাদ্দার গ্রেফতার হয়েছে। দেশজুড়ে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ বলছে, মিল্টন যতটুকু ভাল কাজ করেছে, তাই বা কজন করে। আবার অনেকে বলছে, মিল্টন অনেক ভয়ঙ্কর কিছু কাজ করেছে। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। আবার কেউবা বলছে, মিডিয়ার লোকজন সত্য বলছে না। যা বলছে, তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এসব দেখে শুনে আমরা আম জনতা দিকবিদিকহীন। দিশা খুঁজে পাই না। কোনটা সত্যি আর কোনটা মিথ্যা, তা নিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলছি। সত্য মিথ্যা খোঁজার দায়িত্ব আম জনতার না। সেসব খুঁজবে আইনের লোকজন। মিল্টন সমাদ্দার এখন আইনের লোকের হাতে। তাতেই আম জনতার স্বস্তি। এবার নিশ্চয় জনতা জানতে পারবে কে সত্যি আর কে মিথ্যা। মিল্টন নাকি মিডিয়ার লোকজন?
প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শুরু হচ্ছে আগামী ৮ মে। নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগ সভাপতি দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নির্দেশনা ছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকটতম আত্মীয় স্বজনেরা প্রার্থী হতে পারবেন না। শুধু তাই নয়, নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা কোন প্রকার হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না। কোন প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে অবস্থান গ্রহণ করতে পারবেন না। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা দলের সাধারণ সম্পাদক বারবার নেতাকর্মীদের এবং মন্ত্রী-এমপিদের বলেছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলেও সত্য আওয়ামী লীগ সভাপতি দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার এই নির্দেশনা এবং দলের সাধারণ সম্পাদক বারবার বলার পরেও কেউ তা কর্ণপাত করলেন না। অথচ যারা এই নির্দেশনা মানলেন না তাদের অবস্থা এমন যে, যেন তারা শেখ হাসিনার জন্য জীবনও দিতে প্রস্তুত।