নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:১৪ পিএম, ২৯ অক্টোবর, ২০২০
গায়ে রঙচটা টি-শার্ট। চেহারায় বাহাদুরির ছাপ! মাথায় নেই কোনো হেলমেট। চোখে সাঁটা কালো চশমা। চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার রাস্তায় এক নিষিদ্ধ মোটরসাইকেল নিয়ে সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির এক ছাত্রলীগ নেতার ভীতিকর ছুটোছুটিতে অতিষ্ট এলাকাবাসী। তবে তাতে ভ্রুক্ষেপ নেই সেই নেতার। বরং আমদানি নিষিদ্ধ সেই মোটরসাইকেল চালানোর ভিডিও তার নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে চলেছেন। সর্বশেষ এরকম ভিডিও দেখা গেল গত ৬ অক্টোবর।
ওই মোটরসাইকেলের ব্র্যান্ডের নাম ‘রয়েল এনফিল্ড’। দৈত্যাকৃতির এই মোটরবাইক নিয়ে দাপিয়ে বেড়ান যিনি উপজেলার সড়কজুড়ে— নাম তার ইমরান হোসেন। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ইমরানের বাড়ি সাতকানিয়া উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নে। ইমরান হাসানের এই মোটরসাইকেলের পেছনে সাঁটা রয়েছে নম্বরপ্লেটও। তাতে লেখা আছে ঢাকা মেট্রো-থ ১৪-১১১২। ঢাকা বিআরটিএ কার্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিআরটিএ সার্ভারে এই নম্বরের একটি ট্রাক রেজিস্ট্রেশন করা আছে। কুমিল্লা জেলার আবদুস সালামের ছেলে মো. ইসমাইলের নামে এই ট্রাকটির রেজিস্ট্রেশন।
অন্যদিকে ঢাকা মেট্রো-খ ১৪-১১১২ নম্বরে কোনো গাড়িই রেজিস্ট্রেশনভুক্ত নেই বলে জানিয়েছে ঢাকা বিআরটিএর যানবাহন রেজিস্ট্রার বিভাগের এক কর্মকর্তা। বাংলাদেশভিত্তিক একটি গাড়ি বিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয় মোটরসাইকেল নির্মাতা কোম্পানি রয়েল এনফিল্ড ৩৪৬ সিসির নিচে এখন পর্যন্ত কোনো মোটরসাইকেল উৎপাদন করেনি। রয়েল এনফিল্ড বাংলাদেশে তাদের কোনো গাড়ি বৈধভাবে রফতানি করে না। কারণ তাদের উৎপাদিত গাড়ি ৩৫০ সিসির চেয়েও বেশি সক্ষমতাসম্পন্ন।
এ বিষয়ে বিআরটিএ চট্টগ্রামের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এ ধরনের মোটরবাইক কেবল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ব্যবহার করতে পারেন। এত উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন মোটরবাইক কেন এবং কিভাবে আনা হয়েছে তা অনুসন্ধান করা উচিত। এ ধরনের গাড়ি ব্যবহারকারীদের সম্পদের তথ্যও সংগ্রহ করার নির্দেশনা রয়েছে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থার কাছে।’
তিনি আরও বলেন, চোরাচালানের মাধ্যমে অথবা অন্য কোন পণ্যের আড়ালে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে এ নিষিদ্ধ মোটরসাইকেল আমদানি করা হয়েছে। এটি জব্দ করে ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে চোরাচালান আইনে মামলা করা উচিত। দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এ ধরনের কিছু নিষিদ্ধ মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। সাতকানিয়ায় যিনি এই গাড়ি নামিয়েছেন তার বিষয়েও তদন্ত হওয়া উচিত।’ বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে, দেশে সর্বোচ্চ ১৬৫ সিসির মোটরসাইকেল আমদানির সুযোগ রয়েছে। এর বেশি সিসির মোটরসাইকেল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আমদানি নীতি (২০১৫-১৮) সংশোধন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এই আদেশ জারি করেছে।
তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছে, মোটরসাইকেল আমদানির ক্ষেত্রে পুলিশ কিংবা আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা বাহিনী ১৬৫ সিসির বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন মোটরসাইকেল আমদানি করার সুযোগ পাবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা সুদৃঢ় করতে এসএসএফকে শুভেচ্ছা উপহার দেওয়ার জন্য ৬৫০ সিসির দুটি সুজুকি মোটরসাইকেল আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ঢাকার তেজগাঁওয়ের র্যানকন মোটরবাইককে (সুজুকি) এ অনুমতি দেওয়া হয়। এ ধরনের মোটরসাইকেল আমদানির অনুমতিতে তিনটি শর্তও দেওয়া হয়েছে। এগুলো হল বিধি অনুযায়ী শুল্ক কর ও জরিমানা আদায় করতে হবে। স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সকে (এসএসএফ) উপহার ব্যতীত অন্য কোথাও এ গাড়ি বিক্রি করা যাবে না এবং আমদানি নীতি সংক্রান্ত যাবতীয় বিধি প্রতিপালন করতে হবে।
যেখানে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় নিয়োজিত এসএসএফকে উপহার দেওয়ার জন্য ১৬৫ সিসির বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন মোটরসাইকেল আমদানির অনুমতি দিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানটিকে শর্ত জুড়ে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, সেখানে সাতকানিয়ায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতার এ ধরণের মোটরসাইকেল চালিয়ে বাহাদুরি প্রদর্শনকে নেতিবাচকভাবেই দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে সাতকানিয়ার একজন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ইমরান হাসান একজন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। সে নিষিদ্ধ মোটরসাইকেল এলাকায় চালাচ্ছে। যা এলাকার মানুষ তার ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ বলেই ধরে নিচ্ছে। ভবিষ্যতে তার মত নেতারা জনপ্রতিনিধি হবে। এমন মানসিকতা নিয়ে তো জনগণের সামনে যাওয়া যায় না।’ তিনি আরও বলেন, এ ধরনের নিষিদ্ধ মোটরসাইকেল অনেক দাম দিয়ে দেশে সরবরাহ করে থাকে চোরাকারবারিরা। তার সাথে চোরাকারবারিদের কোনো যোগসাজশ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা উচিত।’
এর আগে সর্বশেষ গত ৫ অক্টোবর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানার পাথরঘাটা এলাকার বান্ডেল রোডের ‘মা’ ভবনের নিচতলা থেকে রয়েল এনফিল্ড ব্র্যান্ডের ৩৫০ সিসির একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় ১১ অক্টোবর ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে চোরাচালান আইনে মামলা দায়ের করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
এনবিআর চেয়ারম্যান ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
চিকিৎসা ঝিনাইদহ-৪ আনোয়ারুল আজিম আনা
মন্তব্য করুন
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. মো ইফতেখারুজ্জামান বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অধিকাংশ প্রার্থী ক্ষমতাশীল দলের। অনেকেই ক্ষমতাশীলদের আত্মীয় স্বজন। প্রার্থীদের মধ্যে পুরুষের অধিক্য রয়েছে। ব্যবসায়ীদের প্রাধান্য একই রকম। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে ৭০ শতাংশ ব্যবসায়ী। রাজনীতির সঙ্গে সম্পদ বৃদ্ধির একটি যোগসূত্র দেখা যাচ্ছে। ক্ষমতা ও আয় বৃদ্ধির সঙ্গে রাজনীতির সরাসরি সম্পৃক্ততা দেখা যাচ্ছে। যে কারণে দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারছে না।
রোববার (১৯ মে) ধানমন্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব কথা বলেন তিনি।
দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ১৬০ উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে পেশা হিসাবে ব্যবসায়ীদের আধিক্য রয়েছে। এ পর্যায়ে দ্বিতীয় ধাপে পেশা হিসাবে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ৭০.৫১ শতাংশ ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের প্রায় ৬৮.৭৩ শতাংশ ব্যবসায়ী।
যেখানে প্রথম ধাপে পেশা হিসাবে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ৭০ শতাংশই ছিলেন ব্যবসায়ী, ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের প্রায় ৬৭ শতাংশ ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ২৪ শতাংশ ব্যবসাকে পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন।
দ্বিতীয় দাপে ১৬০টি উপজেলার মধ্যে ১৫৭টির প্রার্থীর হলফনামা নির্বাচন কমিশন প্রকাশ করেছে, বাকি তিনটি করেনি। প্রার্থীদের হলফনামায় দেওয়া আট ধরনের তথ্যের বহুমাত্রিক ও তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন চেয়ারম্যান টিআইবি
মন্তব্য করুন
দায়িত্ব গ্রহণের ৪ বছর পূর্তি
উপলক্ষ্যে বিগত দিনের উন্নয়ন কার্যক্রমের চিত্র তুলে ধরছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের
মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
রোববার (১৯ মে) নগর ভবনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে দায়িত্বভার গ্রহণের চার বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন।
শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘বৈশ্বিক করোনা মহামারির সময়ে আমি দায়িত্বভার গ্রহণ করি। করোনার মাঝেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করতে প্রায় সব খাতেই আমরা আমূল পরিবর্তন আনতে সচেষ্ট হই। একটি উন্নত, বাসযোগ্য ঢাকা বিনির্মাণে বিগত চার বছরে সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন খাতে বিদ্যমান অনিয়ম-দুর্নীতি দূর করে সুশাসন নিশ্চিত, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তন সাধন, আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলসহ মাণ্ডা, শ্যামপুর, জিরানি ও কালুনগর খাল পুনরুদ্ধার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টিতে উদ্যোগ গ্রহণ, বছরব্যাপী সমন্বিত মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন, ঢাকার সচলতা আনয়নে বহুমাত্রিক উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন, দশকের পর দশক ধরে চলা দখল সাম্রাজ্যের অবসান ঘটানো, প্রতিটি ওয়ার্ডে খেলার মাঠ-উদ্যান- কাঁচাবাজার, গণশৌচাগার প্রতিষ্ঠা, জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ও বাস্তবভিত্তিক কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং সর্বোপরি ঢাকার ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে ঢাকাকে বিশ্বের বুকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করতে নানাবিধ কর্মকাণ্ড পরিচালন ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং তা অব্যাহতভাবে চলমান রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দায়িত্বভার গ্রহণের প্রথম দিন হতেই কর্পোরেশনের সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাফিলতি, অনিয়ম, দুর্নীতি দূর করার মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমি শূন্য সহনশীলতা নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলেছি। প্রশাসনিক সংস্কারের আওতায় এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।’
দায়িত্ব পালনে অবহেলা, গাফিলতি ও দুর্নীতির দায়ে বিগত ৪ বছরে বিভিন্ন স্তরের ৩৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এছাড়াও কর্পোরেশনের প্রাত্যহিক কার্যক্রম সম্পাদনে জনবলের যে তীব্র সংকট ছিল তা উত্তরণে বিগত ৪ বছরে ভারী গাড়ির ১৪৩ জন চালক, ৬৬ জন উপ-সহকারী প্রকৌশলী, ৭৭ জন হিসাব সহকারী, ২৭ জন রেভিনিউ সুপারভাইজার, ৩১ জন পরিচ্ছন্ন পরিদর্শক, ২০ জন স্প্রেম্যান সুপারভাইজারসহ বিভিন্ন বিভাগে সর্বমোট ৮৭৯ জন জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং ২১৭ জনের নিয়োগ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
মেয়র বলেন, ‘মেয়র নির্বাচনের আগে আমি ঢাকাবাসীর ওপর কোনো রকমের করের বোঝা না চাপিয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেছিলাম। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বিগত চার বছরে আমরা কোনো খাতে কোনো কর বৃদ্ধি করিনি। বরং এসময়ে ২৫টি নতুন খাত সৃষ্টি করা হয়েছে এবং ১৪টি নতুন খাত হতে আমরা রাজস্ব আদায় শুরু করেছি। ফলে করোনা মহামারির মতো বৈশ্বিক সংকটের মাঝেও রাজস্ব আদায়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ইতিহাস সৃষ্টি করে চলেছে, যা অদ্যাবধি অগ্রসরমান। ২০১৯-২০ অর্থবছরে কর্পোরেশনের রাজস্ব আদায় ছিল মাত্র ৫১৩.৯৬ কোটি টাকা, যা ২০২০-২১, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরে যথাক্রমে ৭০৩.৩১ কোটি, ৮৭৯.৬৫ কোটি ও ১০৩১.৯৭ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত যে রাজস্ব আদায় হয়েছে তা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৫৪ কোটি টাকা বেশি। ফলে চলমান অর্থবছরে আমরা পূর্বেকার মাইলফলক অতিক্রম করতে পারব বলে আশাবাদী।’
আগে সব উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য কর্পোরেশনকে প্রকল্প নির্ভর থাকতে হতো। কিন্তু রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে ঢাকাবাসীর কল্যাণে অনেক উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য আমাদেরকে এখন আর প্রকল্প নির্ভর থাকতে হয় না। বিগত চার বছরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নিজস্ব অর্থায়নে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে নানাবিধ অবকাঠামো নির্মাণ, উন্নয়ন ও সংস্কার করেছে। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে ২০২০-২১ সালে ১২১.৮৫ কোটি, ২০২১-২২ সালে ৩৩৯.৪৪ কোটি, ২০২২-২৩ সালে ৩৯০.১৬ কোটি এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪০০ কোটি টাকার বেশি অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র, খাল- নর্দমা-বক্স কালভার্ট হতে বর্জ্য অপসারণ, সড়ক, জলাবদ্ধতা নিরসনে অবকাঠামো, সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র, গণশৌচাগার ইত্যাদি অনেক উদ্যোগ ও অবকাঠামো নির্মাণ, উন্নয়ন ও সংস্কার করেছি।
তিনি আরও বলেন, ‘দখলমুক্তির ধারাবাহিকতায় আমরা দীর্ঘ এক শতাব্দী পর নলগোলা ভাওয়াল রাজবাড়ি (রাজকুঠি), ৮০ বছর পর সূত্রাপুরের মাইশা খাল, তিন দশক পর রায় সাহেব বাজার মোড়, ২ যুগ পর লক্ষ্মীবাজারে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পার্কিংয়ের জায়গা, চার দশক পর ধলপুর ক্লিনার কলোনি হতে অবৈধ দখলদারিত্বের অবসান ঘটিয়েছি। ফলে, বিগত চার বছরে শতাধিক উচ্ছেদ অভিযানের মাধ্যমে ৫৭.৭২৪ একর ভূমি উদ্ধার করেছি, যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৪ হাজার ৯ শত ৮৩ কোটি টাকার বেশি।’
এই চার বছরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অটল, অদম্য ও অনমনীয় কর্মোদ্যোগের ফলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে সুশাসন নিশ্চিত হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকাবাসীর আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে, যে সংস্থা একসময় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দিতে হিমশিম খেতো সে সংস্থা আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ, আত্মনির্ভরশীল ও মর্যাদাপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন মেয়র।
মেয়র তাপস চার বছর উন্নয়ন কার্যক্রম ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন
মন্তব্য করুন
দেড় মাসেরও বেশি সময় পর আবার মেট্রোরেলের ওপর ভ্যাট বসানোর বিষয়টি সামনে এসেছে। এ নিয়ে সরকারের দুটি সংস্থা রীতিমতো মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। আগামী ১লা জুলাই থেকে এনবিআর বা জাতীয় রাজস্ব উন্নয়ন বোর্ড মেট্রোরেলের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসাতে চায়। অন্যদিকে এতে সায় নেই মেট্রোরেল কৃর্তপক্ষের। আরও স্পষ্ট করে বললে বলা যায় যে, এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মুখোমুখি অবস্থান গ্রহণ করেছেন।
ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ ও সদরের আংশিক) আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার চিকিৎসার জন্য চলতি মাসে ভারতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন। সেখানে গিয়ে তিনি গত ৩ দিন ধরে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছেন। শনিবার (১৮ মে) রাতে সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) আব্দুর রউফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করানো হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা বিভাগ বিষয়টি তদারকি করছে। সংসদ সদস্যের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বলেন, গত দুদিন ধরে বাবার সঙ্গে যোগাযোগ নেই। আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। তবে সব উপায়ে চেষ্টা করছি। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিণ্টু বলেন, বিষয়টি তার পরিবার আজকেই আমাকে জানিয়েছে। তিনি এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে জানাবেন। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবু আজিফ জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্য নিখোঁজ থাকার খবর লোকমুখে শুনেছি। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. মো ইফতেখারুজ্জামান বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অধিকাংশ প্রার্থী ক্ষমতাশীল দলের। অনেকেই ক্ষমতাশীলদের আত্মীয় স্বজন। প্রার্থীদের মধ্যে পুরুষের অধিক্য রয়েছে। ব্যবসায়ীদের প্রাধান্য একই রকম। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে ৭০ শতাংশ ব্যবসায়ী। রাজনীতির সঙ্গে সম্পদ বৃদ্ধির একটি যোগসূত্র দেখা যাচ্ছে। ক্ষমতা ও আয় বৃদ্ধির সঙ্গে রাজনীতির সরাসরি সম্পৃক্ততা দেখা যাচ্ছে। যে কারণে দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারছে না।