নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৫৭ এএম, ৩০ অক্টোবর, ২০২০
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বাকী আর মাত্র ৪ দিন। শেষ মুহূর্তে এসে ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড’ বা `প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ স্থান` দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী দুই প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জো বাইডেন। প্রতিনিয়ত এসব রাজ্য চষে বেড়াচ্ছেন তারা। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড’-গুলোতে প্রায় প্রতিদিনই ঝটিকা সফরে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জো বাইডেন।
হোয়াইট হাউজের টিকিট পাওয়ার লড়াইয়ে কেউ-ই দোদুল্যমান রাজ্যগুলো হাতছাড়া করতে চাইছেন না। ফলে তুমুল প্রতিযোগিতাপূর্ণ অঙ্গরাজ্যগুলোতে চলছে জোরালো প্রচার। দুই প্রধান প্রার্থীর নির্বাচনী সফর পরিকল্পনায় বোঝা যায় আলাদা করে বিভিন্ন রাজ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার গুরুত্ব।
গোটা দেশে ট্রাম্পের চেয়ে ৭ থেকে ৯ শতাংশ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন বাইডেন। তবে নির্বাচনের ফলের অর্ধেকটাই নির্ভর করছে তুমূল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অঙ্গরাজ্যগুলো ঠিক কোন দিকে যায় তার ওপর। ট্রাম্প মধ্য পশ্চিমাঞ্চলের তিনটি রাজ্য মিশিগান, উইসকনসিন এবং নেব্রাস্কায় যাচ্ছেন, যেখানে তিনি ২০১৬ সালে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে পরাস্ত করেছিলেন। দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য এই ভোট সুরক্ষিত রাখতে তিনি চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে জরিপে দেখা যাচ্ছে যে, ট্রাম্প মিশিগান ও উইসকনসিনে পিছিয়ে আছেন। অবশ্য নির্ভরযোগ্য রিপাবলিকান রাজ্য নেব্রাস্কায় তিনি এগিয়ে আছেন।
এদিকে ভোটের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছেন বাইডেন। খানিকটা আক্রমণাত্মক অবস্থানে রয়েছেন তিনি। দক্ষিণের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের দুই জায়গায় প্রচার অভিযান চালাচ্ছেন বাইডেন। ১৯৯২ সালের পর জর্জিয়ায় ডেমোক্র্যাটরা জয়লাভ করেনি। জরিপে দেখা যাচ্ছে, ওই রাজ্যের ১৬টি ইলেক্টরাল কলেজ ভোট পাবার জন্য বাইডেন ও ট্রাম্পের অবস্থান প্রায় একই স্থানে।
নিয়ম অনুযাযী, যে রাজ্যে যে প্রার্থী সবচেয়ে বেশি ভোট পান সেই রাজ্যের সবকটি ইলেক্টরাল ভোট তিনিই জিতে নেন। ফলে ৫৩৮ সদস্য বিশিষ্ট ইলেক্টরাল কলেজের সংখ্যাগরিষ্ঠ সংখ্যক ২৭০টি ভোট পাবার জন্য ট্রাম্প ও বাইডেন উভয়ই উন্মুখ হয়ে আছেন।
আগাম ভোটের বিষয়ে রিপাবলিকানদের তুলনায় ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে আগ্রহ বেশি। ব্যাটলগ্রাউন্ড হিসেবে পরিচিত পাঁচটি সুইং স্টেটে রিপাবলিকানদের চেয়ে প্রায় ২০ লাখ বেশি ডেমোক্র্যাট ভোট দিয়েছেন। ২০১৬ সালে যে পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে অল্প ব্যবধানে জয় পেয়েছিলেন ট্রাম্প, এবার সেখানে পড়া আগাম ভোটে অনেক এগিয়ে ডেমোক্র্যাটরা।অঙ্গরাজ্যটিতে যতসংখ্যক রিপাবলিকান আগাম ভোট দিয়েছেন, তার তিনগুণ দিয়েছেন ডেমোক্র্যাটরা।
রিপাবলিকান অঙ্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত টেক্সাসেও এবার প্রচুর আগাম ভোট পড়েছে। ২০১৬ সালে অঙ্গরাজ্যটিতে পড়া মোট ভোটের ৮০ শতাংশের বেশি এরই মধ্যে দেওয়া হয়ে গেছে। আর অ্যারিজোনা, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, নেভাদা ও নর্থ ক্যারোলাইনায় পড়েছে গত নির্বাচনে পড়া মোট ভোটের ৬০ শতাংশের বেশি।
সুইং স্টেটগুলোয় ২০১৬ সালে পড়া মোট ভোটের হিসাবে ফ্লোরিডায় ৬৩, নর্থ ক্যারোলাইনায় ৬৭, ওহাইওতে ৩৯, মিশিগানে ৪৩, পেনসিলভানিয়ায় ২৮, অ্যারিজোনায় ৬০, উইসকনসিনে ৪৫ ও আইওয়ায় ৪৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্য হিসেবে বিবেচিত জর্জিয়ায় ৬৬, মিনেসোটায় ৪০, নেভাদায় ৬৬ ও টেক্সাসে ৮২ শতাংশ ভোট এরই মধ্যে পড়েছে।
করোনার কারণে প্রথমবারের মতো আগাম ভোটের সুযোগ দেওয়া অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে নিউইয়র্ক অন্যতম। এ অঙ্গরাজ্যে এরই মধ্যে ৪ লাখ ২২ হাজার ভোট পড়েছে, যা ২০১৬ সালে পড়া মোট ভোটের ৫ শতাংশ। অঙ্গরাজ্যটিতে মাত্রই আগাম ভোট শুরু হয়েছে, চলবে ১ অক্টোবর পর্যন্ত। ফলে নিউইয়র্কের মতো অঙ্গরাজ্যগুলোয় আরো বহু আগাম ভোট পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিশেষত ডেমোক্র্যাট হিসেবে পরিচিত অঙ্গরাজ্যগুলোয় আগাম ভোট পড়ার হার বেশি। বিপরীতে ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন বেশি এমন অঙ্গরাজ্যগুলোয় আগাম ভোট পড়ার হার কম।
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে আগামী ২৭ জুন প্রথম দফায় বিতর্কে অংশ নিতে রাজি হয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং নির্বাচনে তার রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু এ বিতর্কের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মাদক নিচ্ছেন কি না, তা পরীক্ষার দাবি করেছেন ট্রাম্প। গত শুক্রবার মিনেসোটায় দলীয় এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প তাঁর বক্তব্যে এ দাবি করেন।
গত মার্চে বাইডেনের স্টেট অব দ্য ইউনিয়নের ভাষণ উল্লেখ করে সাবেক
এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট মাদক পরীক্ষার দাবি তোলেন। তিনি বলেন, স্টেট অব দ্য ইউনিয়নের
ভাষণের সময় বাইডেন যেন ঘুড়ির মতো উড়ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি এই ব্যক্তির সঙ্গে বিতর্কে
অংশ নিতে চাই। কিন্তু তার আগে আমি তাঁর মাদক পরীক্ষা করার দাবি করব।’ ট্রাম্প অবশ্য
নিজে এ পরীক্ষা করাবেন কি না, তা বলেননি।
স্টেট অব দ্য ইউনিয়নের দীর্ঘ ভাষণের সময় ৮১ বছর বয়সী বাইডেন জোরে
ও দ্রুত কথা বলছিলেন। ওই বক্তব্যের পর রিপাবলিকানদের ডক্টরস ককাসের কো-চেয়ার গ্রেগ
মারফি বাইডেনের সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্পের পক্ষ থেকে অবশ্য
বাইডেনের মাদক পরীক্ষা চাওয়ার বিষয়টি নতুন নয়।
এর আগে, ২০২০ সালে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে অভিযোগ তুলে বলা হয়, ডেমোক্র্যাটদের
দলীয় নির্বাচনের সময় বাইডেনের আচরণ স্বাভাবিক ছিল না। তিনি বাইডেনের সঙ্গে বিতর্কের
আগে তাই তাঁর মাদক পরীক্ষা করার দাবি করেছিলেন। অবশ্য ওই সময় ট্রাম্প বা বাইডেন কেউই
মাদক পরীক্ষা করাননি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে ২৭ জুন এবং ১০ সেপ্টেম্বরের
দুই বিতর্ক অত্যন্ত উত্তেজনাকর মুহূর্ত হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম
সিএনএন বলেছে, তাদের আটলান্টা স্টুডিওতে প্রথম বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে কোনো দর্শকের
উপস্থিতি থাকবে না। বিতর্কটি উপস্থাপনা করবেন জেক ট্যাপার ও ডানা ব্যাশ। ট্রাম্প অবশ্য
জেক ট্যাপারের ব্যাপক সমালোচনা করেছেন।
মার্কিন নির্বাচন সামনে রেখে দ্বিতীয় বিতর্কটির আয়োজন করছে সংবাদমাধ্যম এবিসি। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর এ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। বিতর্কে অংশ নেওয়ার জন্য ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেন এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। দুই প্রার্থীই সে আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ডোনাল্ড ট্রাম্প জো বাইডেন
মন্তব্য করুন
ভারতে চলছে লোকসভার নির্বাচন।
গত ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এ নির্বাচন চলবে আগামী ১ জুন পর্যন্ত। এবারের নির্বাচনে
দেশটির বৃদ্ধ নাগরিকরা বাড়ি থেকে ভোট দিচ্ছেন। তারই অংশ হিসেবে বাড়িতে বসে ভোট দিয়েছেন
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।
দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রীর
ভোট দেওয়ার একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে ভোট দিয়ে নিজের হাতের আঙ্গুলের
কালি দেখাচ্ছেন তিনি। তবে ছবিটিতে মনমোহনকে দেখে শুরুতে চেনাই যাচ্ছিল না।
বৃদ্ধ বয়সের পুরো ছাপ পড়েছে
তার শরীরে। ৯২ বছর বয়সী মনমোহন বয়সের ভারে যেন নুয়ে পড়ছেন। তবে তা সত্ত্বেও নিজের ভোটাধিকারটি
প্রয়োগ করেছেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক
ব্যক্তি লিখেছেন, ৯২ বছর বয়সেও নিজের ভোট দিচ্ছেন মনমোহন। তাকে দেখে তরুণদের অনুপ্রাণিত
হওয়া উচিত।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) থেকে
দিল্লির প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তা বাড়ি থেকে ভোট গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেন। এই
প্রক্রিয়ায় ভোট দিচ্ছেন বয়স্ক ও শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিরা। এটি আগামী ২৪ মে পর্যন্ত
চলবে।
মন্তব্য করুন
কর্মীদের বোনাস দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে বিশ্বের
সেরা বিমান কোম্পানি সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস। সিএনএনের সংবাদে বলা হয়েছে, যে মানদণ্ড তারা
স্থাপন করেছে, তার উচ্চতা অনেক বেশি।
বিষয়টির সঙ্গে সম্পৃক্ত সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের এক কর্মী। নাম প্রকাশ
না করার শর্তে ওই কর্মী সিএনএনকে এ তথ্য দিয়েছেন যে, ভালো মুনাফা করার কারণে সিঙ্গাপুর
এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ তার কর্মীদের আট মাসের বেতনের সমান বোনাস দেবে। কারণ হিসেবে তিনি
বলেছেন, এ তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশিত হওয়ার নয়।
এ বিষয়ে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের সঙ্গে সিএনএন যোগাযোগ করলেও তাৎক্ষণিকভাবে
তারা মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
গত বুধবার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আর্থিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে সিঙ্গাপুর
এয়ারলাইনস। সেখানে তারা বলেছে, সেই অর্থবছরে বিমান সংস্থাটি ১৯৮ কোটি ডলার নিট মুনাফা
করেছে।
আয়ের বিবরণীতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস বলেছে, উত্তর এশিয়ার দেশগুলো,
যেমন চীন, হংকং, জাপান ও তাইওয়ানের মতো দেশ মহামারির পর তাদের সীমান্ত পুরোপুরি খুলে
দিয়েছে। সে কারণে এসব দেশে ভ্রমণ বেড়েছে। মানুষের ভ্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসও
বড় অঙ্কের মুনাফা করেছে।
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস গত অর্থবছরের জন্য স্ক্রাইট্র্যাক্স ওয়ার্ল্ড
এয়ারলাইনস অ্যাওয়ার্ডস প্রণীত ক্রমতালিকায় বিশ্বের সেরা বিমান সংস্থার পুরস্কার পেয়েছে।
সংস্থাটির প্রণীত ক্রমতালিকায় গত ২৩ বছরের মধ্যে এ নিয়ে পঞ্চমবার তারা শীর্ষস্থান পেয়েছে।
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোহ চুন ফং বলেছেন,
প্রতিষ্ঠানটির সব কর্মী নিরন্তর কাজ করায় এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। তাঁদের এই শ্রম–ঘামের
কারণে মহামারির পর সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস বাজারে খুব ভালোভাবে ফিরে আসতে পেরেছে।
তবে শুধু সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস নয়, আরও বেশ কয়েকটি এয়ারলাইনস কর্মীদের
উদার হস্তে বোনাস দিচ্ছে। জানা গেছে, দুবাইয়ের এমিরেটস এয়ারলাইনস তার কর্মীদের ২০ সপ্তাহের
বেতনের সমপরিমাণ বোনাস দিচ্ছে। সিএনএন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা মন্তব্য করতে
রাজি হয়নি।
আয় বিবরণীতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস অবশ্য বলেছে, আগামী অর্থবছরে ব্যবসার
জগতে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হতে পারে। তারা বলেছে, ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা,
সামষ্টিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, মূল্যস্ফীতির চাপ ও সরবরাহব্যবস্থায় নানা ধরনের বাধা
বৈশ্বিক বিমান পরিবহন শিল্পের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে।
মহামারির সময় মানুষের যাতায়াতে বিধিনিষেধের কারণে বিমান সংস্থাগুলো বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছিল। সেই বাস্তবতা এখন আর নেই। বিধিনিষেধ প্রায় সবই উঠে গেছে। ফলে বিমান পরিবহন সংস্থাগুলোও বড় অঙ্কের মুনাফার মুখ দেখছে।
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস সিএনএন সংবাদ
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের জাবালিয়া শরণার্থী
ক্যাম্পের পশ্চিমাঞ্চলে ইসরায়েলি হামলায় আট ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে নারী
ও শিশুও রয়েছেন। নিহতরা জাবালিয়ার আল-ফালুজা নামক একটি এলাকায় পানি আনতে গিয়েছিলেন।
এক প্রত্যক্ষদর্শী হামলার ব্যাপারে
বলেন, “আমরা ফালুজা থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছিলাম, যেটিকে নিরাপদ স্থান হিসেবে ভাবা হয়েছিল।
কিন্তু হঠাৎ করে ইসরায়েলিরা সেখানে গোলা ছুড়েছে। আমরা জানি না কোথায় যাব।”
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ হামলার
একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম
আলজাজিরা।
গত কয়েকদিন ধরে জাবালিয়ায় ব্যাপক
হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। স্থল হামলা ছাড়াও বিমান থেকে প্রতিনিয়ত সেখানে
বোমা ফেলছে তারা।
গাজার মধ্যে যেসব শরণার্থী শিবির রয়েছে সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো জাবালিয়া। যুদ্ধের আগে এখানে হাজার হাজার মানুষ থাকতেন। এখনো শরণার্থী শিবিরটিতে অসংখ্য মানুষ রয়েছেন।
মন্তব্য করুন
আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয়
ঘোর প্রদেশে হড়কা বান-ভূমিধসে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৮ মে) এক বিবৃতিতে
এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ওই প্রদেশের পুলিশ।
শনিবারের বিবৃতিতে ঘোর প্রাদেশিক
পুলিশের মুখপাত্র আবদুল রহমান বাদ্রি বলেন, ‘শুক্রবারের হড়কা বান-ভূমিধসে প্রদেশে অন্তত
৫০ জন নিহত হয়েছেন এবং এখনও নিখোঁজ আছেন আরও অনেকে। নিখোঁজদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু
হয়েছে।’
বিবৃতিতে আবদুল রহমান বাদ্রি আরও জানান, শুক্রবারের হড়কা বানে প্রায় ২ হাজার বাড়িঘর সম্পূর্ণ ধ্বংস এবং আরও কয়েক হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কয়েক হাজার গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে, শত শত একর কৃষিজমির ফসল নষ্ট হয়েছে, শতাধিক সেতু ও কালভার্ট ধ্বংস হয়েছে এবং হাজার হাজার গাছ উপড়ে গেছে।
বানের পানি, বাড়িঘর-গাছ-পাথরের
ধ্বংসস্তূপ জমা হয়ে প্রদেশের অধিকাংশ সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে বলেও উল্লেখ করা
হয়েছে বিবৃতিতে।
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে আগামী ২৭ জুন প্রথম দফায় বিতর্কে অংশ নিতে রাজি হয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং নির্বাচনে তার রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু এ বিতর্কের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মাদক নিচ্ছেন কি না, তা পরীক্ষার দাবি করেছেন ট্রাম্প। গত শুক্রবার মিনেসোটায় দলীয় এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প তাঁর বক্তব্যে এ দাবি করেন।