ইনসাইড এডুকেশন

মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের তৃতীয় অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:৪৯ এএম, ১৩ নভেম্বর, ২০২০


Thumbnail

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষিত রাখতে সব স্কুল-কলেজ বন্ধ। এ পরিস্থিতে মাধ্যমিক স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা হবে না। কিন্তু পরবর্তী শ্রেণিতে প্রমোশন দেওয়া হবে সবাইকে। কোনো মার্কিং বা গ্রেডিং দেওয়া হবে না। সবাই সমান পাস। এ প্রেক্ষিতে ৩০ দিনের মধ্যে শেষ করা যায় এমন সিলেবাস তৈরি করা হয়েছে। এ সিলেবাসের আলোকে শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হচ্ছে। ৬ সপ্তাহে শিক্ষার্থীদের এসব অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হবে।

ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের তৃতীয় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। এই অ্যাসাইনমেন্ট ছাড়া পরীক্ষা বা বাড়ির কাজের মতো অন্য কোনো উপায়ে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা যাবে না বলেও বলা হয়েছে।

দেশে করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির কারণে এর ক্ষতি পোষাতে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের আলোকে গত রোববার থেকে শুরু হয়েছে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা। এই পাঠদান শুরুর পর সাপ্তাহিক অ্যাসাইনমেন্টের (কাজ) ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে পাঠদান শেষ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই থেকে ৩০ কার্যদিবসের জন্য তৈরি করা হয়েছে সিলেবাস। এর আলোকে বাসায় বসে শিক্ষার্থীরা বিষয়ভিত্তিক ‘অ্যাসাইনমেন্ট’ (কাজ) করে মূল্যায়নের জন্য সেগুলো শিক্ষকের কাছে জমা দেবে।

এর আগে গত শনিবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) বিষয়ভিত্তিক ও শ্রেণি অনুযায়ী পাঠপরিকল্পনা প্রকাশ করে। এতে শিক্ষকের জন্য কয়েকটি (১২টি) নির্দেশনা আছে। সেগুলো হচ্ছে শিক্ষার্থীকে প্রতি সপ্তাহে ৩টি করে অ্যাসাইনমেন্ট দিতে হবে; নির্ধারিত বিষয়ের প্রস্তাবিত অ্যাসাইনমেন্ট জমা নেওয়া, মূল্যায়ন, পরীক্ষকের মন্তব্যসহ শিক্ষার্থীকে দেখানো এবং পরে প্রতিষ্ঠানে সেটি সংরক্ষণ করার কাজ ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে; এই কার্যক্রমে প্রতিটি শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে; তারা সাদা কাগজে লিখে অ্যাসাইনমেন্ট (কাজ) জমা দেবে; অ্যাসাইনমেন্টের আওতায় ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন, সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন, সৃজনশীল প্রশ্ন, প্রতিবেদন প্রণয়ন ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত আছে; অভিভাবক বা তাঁর প্রতিনিধি স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে প্রতি সপ্তাহে এক দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অ্যাসাইনমেন্ট সংগ্রহ করবেন এবং জমা দেবেন।

ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতিটি বিষয়ে অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে বিস্তারিত সিলেবাস পাওয়া যাচ্ছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ওয়েবসাইটে (http://www.dshe.gov.bd)।

এর আগে মাউশি থেকে এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সংসদ টেলিভিশনে প্রচারিত ‘আমার ঘরে আমার স্কুল’ প্রোগ্রামের মাধ্যমে পাঠদান এবং স্কুল পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনলাইন শ্রেণি পাঠদান ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। আর মূল্যায়ন যেন তাদের ওপর কোনো মানসিক ও শারীরিক চাপ সৃষ্টি করতে না পারে, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা নিজেরাও যেন তাদের পাঠ অগ্রগতি ও দুর্বলতা সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারে। এতে মোট আটটি নির্দেশনা দিয়েছিল মাউশি। এগুলোর মধ্যে আছে অ্যাসাইনমেন্ট প্রদান/গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানপ্রধান শ্রেণিভিত্তিক কর্মসূচি নির্ধারণ এবং আলাদাভাবে প্রদান/গ্রহণের ব্যবস্থা করবেন। অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের দুর্বল দিক ধরে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে সেগুলোর ওপর বিশেষ নজর দিয়ে কাঙ্ক্ষিত শিখন ফল অর্জনের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। প্রতিষ্ঠানপ্রধানেরা শিক্ষকদের মূল্যায়নসহ অ্যাসাইনমেন্টগুলো সংরক্ষণের ব্যবস্থা করবেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে স্থানান্তরিত শিক্ষার্থীরা নিকটবর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অ্যাসাইনমেন্ট সংগ্রহ/জমা প্রদান করতে পারবে।

শিক্ষার্থীকে পড়াশোনার সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখতে বাড়ির কাজ ও অ্যাসাইনমেন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। পাঠ্যসূচি ও মূল্যায়ন টুলস তৈরির ক্ষেত্রে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৮ সপ্তাহ পাওয়া যাবে। কোন সপ্তাহে শিক্ষার্থীর কী মূল্যায়ন করা হবে, তার নির্দেশনা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে দেওয়া হয়েছে। প্রথম সপ্তাহে মূল্যায়নের পর দ্বিতীয় সপ্তাহের প্রস্তুতি নিতে হবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে ৮ সপ্তাহ শেষে শিক্ষার্থী মূল্যায়ন কার্যক্রম শেষ হবে।

অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া বা গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানপ্রধানেরা শ্রেণিভিত্তিক কর্মসূচি নির্ধারণ ও আলাদাভাবে দেওয়া এবং গ্রহণের ব্যবস্থা করবেন। এ ক্ষেত্রে অনলাইনের সাহায্যে বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রতিষ্ঠানপ্রধান বা অভিভাবক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অ্যাসাইনমেন্ট শিক্ষার্থীদের কাছে দেবেন ও গ্রহণ করবেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অ্যাসাইনমেন্ট ব্যতীত মূল্যায়নসংক্রান্ত অন্য কোনো কার্যক্রম (যেমন পরীক্ষা গ্রহণ, বাড়ির কাজ দেওয়া ইত্যাদি) গ্রহণ করতে পারবে না।

এ ছাড়া অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের দুর্বল দিক চিহ্নিত করবেন এবং পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে সেগুলোর ওপর বিশেষ নজর দিয়ে কাঙ্ক্ষিত ফল অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। প্রতিষ্ঠানপ্রধানেরা শিক্ষকদের মূল্যায়নসহ অ্যাসাইনমেন্টগুলো সংরক্ষণের ব্যবস্থা করবেন। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে স্থানান্তরিত শিক্ষার্থীরা কাছাকাছি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অ্যাসাইনমেন্ট সংগ্রহ বা জমা দিতে পারবে। সে ক্ষেত্রে অভিভাবক বা শিক্ষার্থী তার নিকটবর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে সব আঞ্চলিক উপপরিচালক, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা, উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা সমন্বয় করবেন।

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ

প্রকাশ: ০২:২৮ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী পালনের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকদের নির্দেশ দেওয়া হয়।

সোমবার (৬ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গত ২ এপ্রিল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এতে জানানো হয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গত ২ এপ্রিল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

নির্দেশনায় বলা হয়, দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা, রচনা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে বিশ্বকবি ও জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী আবশ্যিকভাবে উদযাপন করতে হবে।

আগামী ২৫ বৈশাখ ৮ মে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী এবং ১১ জ্যৈষ্ঠ ২৫ মে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী পালনের জন্য অনুরোধ করা হলো।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পর মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর সোমবার (৬ মে) দেশের মাদ্রাসাগুলোর অধ্যক্ষ, সুপার ও এবতেদায়ি প্রধানদের দুই কবির জন্মবার্ষিকী আবশ্যিকভাবে পালনের নির্দেশ দেয়।


শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   কবি   জন্মবার্ষিকী   মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর   শিক্ষা মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু আজ

প্রকাশ: ০৯:১৫ এএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

মঙ্গলবার (৭ মে) প্রায় দুই সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এর আগে সোমবার (৬ মে) উপসচিব আক্তারুন্নাহারের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এতে বলা হয়, মঙ্গলবার (৭ মে) থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (প্রাক-প্রাথমিকসহ), শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো পরিচালিত লার্নিং সেন্টারসমূহের শ্রেণি কার্যক্রমসহ সকল কার্যক্রম ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী যথারীতি চালু রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

এর আগে তীব্র তাপদাহের কারণে এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর গত ২৮ এপ্রিল থেকে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খুলে দেয়া হয়। তবে দাবদাহ স্বাভাবিক পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত ক্লাসের সময় কমিয়ে আনা ছাড়াও প্রাত্যহিক সমাবেশ বা অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার শর্ত জুড়ে দেয়া হয়।

অন্যদিকে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী- শনিবার (১১ মে) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করবেন তারা। সোমবার (৬ মে) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম বিপ্লব এ ঘোষণা দেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা না রাখার জন্য শিক্ষক সমাজের পক্ষে আগেই বিবৃতি দেয়া হয়েছে, যা গণমাধ্যমে গুরুত্বসহকারে প্রকাশিত হয়েছে। সরকারের এমন একতরফা সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থী-শিক্ষক-অভিভাবকরা সংক্ষুব্ধ।

এতে আরও বলা হয়, এ পরিস্থিতিতে প্রতিবাদস্বরূপ ‌‘কর্মবিরতি’ পালনের জন্য মাধ্যমিক পর্যায়ের সব স্তরের শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে। সরকারের সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে প্রতি শনিবার পুরো কর্মদিবস ‘কর্মবিরতি’র মতো কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হবে।

শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার যৌক্তিকতা তুলে ধরে তারা বলেন, কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ শিক্ষক কিংবা শিক্ষার্থীর সৃষ্ট নয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাময়িক বন্ধ হতেই পারে, আগেও হয়েছে। সে কারণে নির্ধারিত ছুটি কমিয়ে দেয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়।

তারা বলেন, অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের চিকিৎসা নেয়া, আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়ানো, আচার-অনুষ্ঠান ও বিশ্রামসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা এবং পদক্ষেপ থাকেন। একদিনের ছুটিতে যাবতীয় কাজ ও সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। এতে সামাজিক, শারীরিক, মানসিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতিরও সম্মুখীন হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে তারা আরও বলেন, জাতীয় দিবসগুলোতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবস্থান নিতে হচ্ছে, অথচ সেদিন অন্যদের ছুটি। শুধু তাই নয়, শিখন ঘাটতি পূরণ করতে গত বছরের গ্রীষ্মকালীন ছুটি ও শীতকালীন ছুটি বাতিল করা হয়েছে। চলতি বছর রমজানের ছুটি কমানো হয়েছে, যা মোটেই সুবিবেচনাপ্রসূত হয়নি। এসব সিদ্ধান্ত নির্লিপ্ততারই বহিঃপ্রকাশ।


প্রাথমিক বিদ্যালয়   ক্লাস   প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

এসএসসি পরীক্ষার ফল ১২ মে, জানা যাবে যেভাবে

প্রকাশ: ১০:৩৫ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল আগামী ১২ মে (রোববার) প্রকাশিত হবে। এদিন বেলা ১১টায় ফলাফল নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং অনলাইনে একযোগে প্রকাশিত হবে।

সোমবার (৬ মে) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাসার স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।

ফল জানবেন যেভাবে

আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশের পর শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট ও এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানা যাবে। ওয়েবসাইটে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, পরীক্ষার নাম, বছর ও শিক্ষা বোর্ড সিলেক্ট করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে ফল জানা যাবে।

এ ছাড়া মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবার স্পেস দিয়ে পাসের বছর লিখে পাঠাতে হবে 16222 নম্বরে। উদাহরণ: SSC Dha 123456 2024, লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে জানা যাবে ফল।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় গত ১২ মার্চ। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ থেকে ২০ মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়।

৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে এই পরীক্ষায় ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করে।

এসএসসি পরীক্ষা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ

প্রকাশ: ০৮:৪১ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য অনুষ্ঠিত গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ (মানবিক) ইউনিটের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।

রোববার (৫ মে) জিএসটি সমন্বিত ভর্তি কমিটির সভায় এ ফল উপস্থাপনের পর প্রকাশ করা হয়। এ পরীক্ষায় পাসের হার ৩৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ। ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ‘বি’ ইউনিটভুক্ত শিক্ষার্থীদের জন্য ৪ হাজার ৫১৫টি আসন রয়েছে।

ঘোষিত ফলাফলে জানানো হয়, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য এ বছর ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করেন। এর মধ্যে ৮৫ হাজার ৫৪৮ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। পরীক্ষায় ৩১ হাজার ৮১ জন শিক্ষার্থী ৩০ নম্বরের উপরে পেয়ে ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতা অর্জন করেছেন। যে হিসাবে পাসের হার ৩৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, ‘বি’ ইউনিটে সর্বোচ্চ ৭৬ দশমিক ২৫ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছেন ঢাকার বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থী রুকাইয়া ফেরদৌস লামিয়া। তার রোল নং ৩১৮৬৩০ এবং তার কেন্দ্র ছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপকেন্দ্র ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ।

এ ছাড়াও পরীক্ষায় ৭৫ নম্বরের উপরে পেয়েছেন ১ জন, ৭০ নম্বরের ওপরে ৭ জন, ৬৫ নম্বরের উপরে ৪৯ জন, ৬০ নম্বরের উপরে ২১৯ জন, ৫৫ নম্বরের উপরে ৭৮৩ জন, ৫০ নম্বরের উপরে ২৪২৫ জন, ৪৫ নম্বরের উপরে ৫৮৩০ জন, ৪০ নম্বরের উপরে ১১৬৪৬ জন, ৩৫ নম্বরের উপরে ২০১৩২ জন এবং ৩০ নম্বরের উপরে পেয়ে ৩১০৮৩ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন।

এ ছাড়াও পরীক্ষায় বিভিন্ন কারণে ২৩ জন শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র বাতিল হয়েছে। ‘বি’ ইউনিটের গতবার পাসের হার ছিল ৫৬ দশমিক ৩২ শতাংশ। শিক্ষার্থীরা আজ রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে জিএসটির ওয়েবসাইট (https://gstadmission.ac.bd/) থেকে ফলাফল জানতে পারবেন।

এদিকে গুচ্ছভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের আর্কিটেকচার (ড্রয়িং) পরীক্ষার ফলাফলও ঘোষণা করা হয়েছে। পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ড্রয়িং (ব্যবহারিক) পরীক্ষার মোট নম্বরের ৩০ শতাংশকে পাস হিসেবে বিবেচনা করে ৮৭৭ জনকে উত্তীর্ণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। পাসকৃত শিক্ষার্থীরাও আজ রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের আগেই জিএসটির ওয়েবসাইটে গিয়ে তাদের ফলাফল দেখতে পাবেন। গুচ্ছভুক্ত ৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্কিটেকচারে ভর্তির জন্য মোট ১৬৫টি আসন রয়েছে।

প্রসঙ্গত, আগামী ১০ মে ‘সি’ ইউনিটে বাণিজ্য বিভাগ থেকে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টা পূর্বেই কেন্দ্রে পৌঁছানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিট   ফল প্রকাশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ, পাশ ৩৬ শতাংশ


Thumbnail

দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বি’ (মানবিক) ইউনিটের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে পাশ করেছে ৩৬.৩৩ শতাংশ পরীক্ষার্থী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জিএসটি সমন্বিত ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন।

রোববার (৫ মে) জিএসটি সমন্বিত ভর্তি কমিটির সভায় এ ফল উপস্থাপনের পর প্রকাশ করা হয়। এ পরীক্ষায় পাসের হার ৩৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ। 

ঘোষিত ফলাফলে জানানো হয়, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে  প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য এ বছর ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করেন। এর মধ্যে ৮৫ হাজার ৫৪৮ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। পরীক্ষায় ৩১ হাজার ৮১ জন শিক্ষার্থী ৩০ নম্বরের উপরে পেয়ে ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতা অর্জন করেছেন। যে হিসাবে পাসের হার ৩৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ। ভর্তির জন্য ‘বি’ ইউনিটভুক্ত শিক্ষার্থীদের জন্য ৪ হাজার ৫১৫টি আসন রয়েছে।

উপাচার্য বলেন, পরীক্ষায় বিভিন্ন কারণে ০.০৩ শতাংশ তথা ২৩ জন শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র বাতিল হয়েছে। শিক্ষার্থীরা আজ রাত ১১ টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে জিএসটির ওয়েবসাইট (https://gstadmission.ac.bd/) থেকে ফলাফল জানতে পারবেন। 

ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, ‘বি’ ইউনিটে সর্বোচ্চ ৭৬ দশমিক ২৫ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছেন ঢাকার বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থী রুকাইয়া ফেরদৌস লামিয়া। তার রোল নং ৩১৮৬৩০ এবং তাঁর কেন্দ্র ছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপকেন্দ্র ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ।

এদিকে গুচ্ছভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের আর্কিটেকচার (ড্রয়িং) পরীক্ষার ফলাফলও ঘোষণা করা হয়েছে। পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ড্রয়িং (ব্যবহারিক) পরীক্ষার মোট নম্বরের ৩০ শতাংশকে পাস হিসেবে বিবেচনা করে ৮৭৭ জনকে উত্তীর্ণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। পাসকৃত শিক্ষার্থীরাও আজ রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের আগেই জিএসটির ওয়েবসাইটে গিয়ে তাদের ফলাফল দেখতে পাবেন। গুচ্ছভুক্ত চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্কিটেকচারে ভর্তির জন্য মোট ১৬৫টি আসন রয়েছে।  

উল্লেখ্য, আগামী ১০ মে ‘সি’ ইউনিটে বাণিজ্য বিভাগ থেকে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টা পূর্বেই কেন্দ্রে পৌঁছানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 


গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন