নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৯ পিএম, ২১ নভেম্বর, ২০২০
সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন অনাকাঙ্খিত ইস্যু তৈরি করা হচ্ছে। এই ইস্যুগুলো সরকারকে নানারকম অস্বস্তিতে ফেলছে। তবে সরকারের নীতিনির্ধারক মহল সূত্রে জানা গেছে, সরকার এ ধরনের ইস্যুগুলোতে মোটেও উদ্বিগ্ন নয় বরং কঠোর হবে এ ধরনের উস্কানীমুলক তৎপরতা এবং ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে বদ্ধপরিকর। আর এজন্য সরকার কঠোর অবস্থানে যেতেও কার্পণ্য করবেনা। একাধিক সরকারি সূত্রে জানা গেছে যে, সরকার সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়কে চিহ্নিত করেছেন। যে বিষয়গুলো নিয়ে সরকার কোনরকম সমঝোতায় যাবে না, বরং কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবে। যে সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ে কঠোর অবস্থানে যেতে পারে সরকার তার মধ্যে রয়েছে:-
১। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য : সরকারের পক্ষ থেকে সুস্পষ্টভাবে বলে দেয়া হয়েছে যে ধোলাইপাড়ে এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে সরকার কোনরকম আপোষ-সমঝোতার মধ্যে যাবে না, এ নিয়ে সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে। সরকারের একাধিক মন্ত্রী বলেছেন, আওয়ামী লীগের ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে। এ সমস্ত ধর্মান্ধ মৌলবাদীদের উস্কানিতে আওয়ামী লীগের পিছু হটার কোন কারণ নাই। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে ভবিষ্যতে যদি কেউ বাড়াবাড়ি করে সে ব্যাপারে সরকারের অবস্থান হবে অত্যন্ত কঠোর।
২। জঙ্গিবাদ বন্ধ: আবার দেশে জঙ্গিবাদের উৎপাত শুরু হয়েছে। মাঝখানে নিষ্ক্রিয় থাকার পর এখন আবার বিভিন্ন স্থানে জঙ্গিদের তৎপরতা লক্ষ্য করছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান এর পর ঢাকার উত্তরাতে ৩১ টি বোমা পাওয়া গেছে। যেটিও জঙ্গিবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের কাজ বলে মনে করছেন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন । আর এখন সরকার জঙ্গিবাদ বন্ধে আবার কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে ব্যাপারে সর্তকতা জারি করা হয়েছে। সরকারি সূত্রগুলো মনে করছে, দেশকে রাজনৈতিক অস্থিতিশীল করার জন্য জঙ্গি সংগঠনগুলোকে ব্যবহার করা হতে পারে এবং এই জঙ্গি সংগঠনগুলোকে উস্কে দেয়া হতে পারে। আর এজন্যই এখন জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আবার সাঁড়াশি অভিযানে যাচ্ছেন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা।
৩। প্রশাসনের শুদ্ধি অভিযান: সাম্প্রতিক সময়ে সরকার লক্ষ্য করছে যে প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় স্বাধীনতাবিরোধী জামাত পন্থী এবং বিএনপিপন্থী লোকজন আছে। তারা সক্রিয় ভুমিকা পালন করছে সরকারকে বিব্রত অবস্থায় ফেলার জন্য। তারা এ সমস্ত কর্মকাণ্ড করছে যা সরকারের নীতি এবং অবস্থানের পরিপন্থী। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্য স্তরের কিছু কর্মকর্তার কর্মকাণ্ড সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলেছে। আর এ কারণেই সরকার প্রশাসনে একটি শুদ্ধি অভিযানে যাচ্ছে। যে শুদ্ধি অভিযানে জামাত-বিএনপি পন্থিদেরকে চিহ্নিত করা হবে। যারা সরকারের নীতি আদর্শের পরিপন্থী কর্মকাণ্ড করছে তাদেরকে শাস্তি মূলক ব্যবস্থার আওতায় আনা হবে।
৪। আর জ্বালাও-পোড়াও সহ্য করা হবে না: গত ১২ নভেম্বর কয়েকটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছিল এই বিষয়টা নিয়ে সরকার কঠোর অবস্থানে গেছে। এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সরকারি সূত্রগুলো বলছে, সরকার এখন জ্বালাপোড়াও এর ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে গেছে। এ ধরনের ঘটনা যদি ভবিষ্যতে কেউ ঘটাতে চায় তাদের কেও কঠোর আইনের আওতায় আনা হবে। ১২ নভেম্বরের ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে খুঁজে বের করা হচ্ছে এবং তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
৫। পুরানো মামলা সচল করা হবে: ২০১৪-১৫ সালে যারা অগ্নিসন্ত্রাস সহ বিভিন্ন সহিংসতায় জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো দ্রুত চালু করা এবং তদন্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কারণ সরকারি সূত্রগুলো মনে করছে, সেই সময় ওই ঘটনায় সঙ্গে যারা জড়িত তারা এখন নতুন করে সংঘটিত হয়ে অপকর্ম করার চেষ্টা করছে। তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মাধ্যমে চিরতরে বন্ধ করতে চায় সরকার। এর এর জন্যই কঠোর অবস্থানে যেতে চায় সরকার।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৭ মে) ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপজেলার বসন্তপুর
এলাকায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম কক্সবাজারগামী রিলাক্স পরিবহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ ঘটনা
ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, আমরা
ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্তলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস গাড়িতে করে
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। পরে পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায়
গাড়ির ভিতর থেকে নিহত পাঁচ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বিস্তারিত আসছে...
মহাসড়ক দুর্ঘটনা ঢাকা-চট্টগ্রাম
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ (শুক্রবার)। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে দীর্ঘ নির্বাসন জীবন শেষে তিনি বাংলার মাটিতে ফিরে আসেন। এদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে তিনি ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে কলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। ওই সময় বিদেশে থাকায় বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। এর আগে ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।
সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে প্রিয় স্বদেশ ভূমিতে প্রত্যাবর্তন করেন শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ৬ বছর নির্বাসিত জীবন শেষে বাংলাদেশে ফিরে আসেন তিনি। সেদিন রাজধানী ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকা শহর মিছিল আর স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া আর প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টিও সেদিন লাখ লাখ মানুষের মিছিলের গতিরোধ করতে পারেনি। কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও শেরেবাংলা নগর পরিণত হয় জনসমুদ্রে।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে এক নজর দেখতে সেদিন সারা বাংলাদেশের মানুষের গন্তব্য ছিল রাজধানী ঢাকা। স্বাধীনতার অমর স্লোগান, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয় বাংলার আকাশ-বাতাস। জনতার কণ্ঠে বজ্রনিনাদে ঘোষিত হয়েছিল ‘হাসিনা তোমায় কথা দিলাম পিতৃ হত্যার বদলা নেব’; ‘ঝড়-বৃষ্টি আঁধার রাতে আমরা আছি তোমার সাথে’। ‘শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছায় স্বাগতম’।
দৃঢ় অঙ্গীকার, বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার, স্বৈরতন্ত্রের চির অবসান ঘটিয়ে জনগণের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সার্বভৌম সংসদীয় পদ্ধতির শাসন ও সরকার প্রতিষ্ঠার শপথ নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা।
ওই দিন বিকেল সাড়ে চারটায় আকাশে যখন শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানটি দেখা যায় তখন সকল নিয়ন্ত্রণ আর অনুরোধ আবেদন অগ্রাহ্য করে হাজার হাজার মানুষ বিমান বন্দরের ভেতরে ঢুকে যায়। অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই বিমানটি অবতরণ করে। জনতা একেবারেই বিমানের কাছে চলে যায়। বহু চেষ্টার পর জনতার স্রোতকে কিছুটা সরিয়ে একটি ট্রাক ককপিটের দরজার একেবারে সামনে নেয়া হয়। এই সময়ে শেখ হাসিনা ভেতর থেকে জনতার উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন।
বেলা ৪টা ৩২ মিনিটে শেখ হাসিনা বিমান থেকে সিঁড়ি দিয়ে ট্রাকে নেমে আসেন। কুর্মিটোলা থেকে শেখ হাসিনার শেরেবাংলা নগরে এসে পৌঁছতে সময় লাগে ৩ ঘণ্টা। এই সময় ঝড় বৃষ্টিতে নগর জীবন প্রায় বিপন্ন। রাস্তাঘাট স্বাভাবিক জীবন যখন ব্যাহত তখন সেখানে অপেক্ষা করে কয়েক লাখ মানুষ। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তিনি গণসংবর্ধনা মঞ্চে উপস্থিত হন।
১৯৮১ সালের ১৭ মে ঝড়-বাদল আর জনতার আনন্দাশ্রুতে অবগাহন করে শেরে বাংলা নগরে লাখ লাখ জনতার সংবর্ধনার জবাবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘সব হারিয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তার আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির পিতার হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই।’
তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আমার আর হারাবার কিছুই নেই। পিতা-মাতা, ভাই রাসেলসহ সকলকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি, আমি আপনাদের মাঝেই তাদেরকে ফিরে পেতে চাই। বাঙালি জাতির আর্থ-সামাজিক তথা সার্বিক মুক্তি ছিনিয়ে আনতে চাই।’
ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার নিরবচ্ছিন্ন দীর্ঘ সংগ্রাম শুরু হয়। জেল-জুলম, অত্যাচার কোনো কিছুই তাকে তার পথ থেকে টলাতে পারেনি এক বিন্দু। শত প্রতিকূলতাতেও হতোদ্যম হননি কখনো। বাংলার মানুষের হারিয়ে যাওয়া অধিকার পুনরুদ্ধার করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি বার বার স্বৈরাচারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করেছেন। আবির্ভূত হয়েছেন গণতন্ত্রের মানসকন্যা রূপে।
আওয়ামী লীগ সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর দীর্ঘ ৪৩ বছরের রাজনৈতিক জীবনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বৈরশাসনের অবসান, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বাঙালির ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে। খাদ্যে স্বয়ংস্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর খুনি ও একাত্তরের মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্য সম্পন্ন এবং রায় কার্যকর করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব, যোগ্যতা, নিষ্ঠা, মেধা-মনন, দক্ষতা, সৃজনশীলতা, উদার গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে এক সময় দারিদ্র্য-দুর্ভিক্ষে জর্জরিত যে বাংলাদেশ অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম করতো সেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বজয়ের নবতর অভিযাত্রায় এগিয়ে চলছে। বিশ্বসভায় আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ তালাবিহীন ঝুঁড়ির অপবাদ ঘুচিয়ে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ন্যায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যখনই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তখন এদেশের মাটি ও মানুষের কল্যাণে বাস্তবায়ন করেছেন বহুমাত্রিক উদ্যোগ। বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের প্রতি অগাধ প্রেম এবং অক্ষয় ভালোবাসাই হলো তার রাজনৈতিক শক্তি।
শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ (শুক্রবার)। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে দীর্ঘ নির্বাসন জীবন শেষে তিনি বাংলার মাটিতে ফিরে আসেন। এদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে তিনি ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে কলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান।
১৭ মে, ১৯৮১ সাল। হঠাৎ করেই যেন দুলে উঠল বাংলাদেশ। জেগে উঠল ঘুমন্ত বাংলা। সামরিক শাসনের শিকলে বন্দী অযুত-নিযুত বাঙালী আড়মোড়া ভেঙে উঠে দাঁড়িয়েছিলেন। কারণ সেদিন দেশে এসেছিলেন বঙ্গববন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। দিনটি ছিলো ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ কান্না আবেগের একদিন। আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। তার বিমানটি যখন বাংলার মাটি স্পর্শ করে তখন ঢাকায় তুমুল বৃষ্টি। সেই বৃষ্টি মুখর এক বিকেলে শেখ হাসিনা এক বুক কান্না নিয়ে বাংলার মাটিতে পা স্পর্শ করেন। বাংলার মাটি স্পর্শ করে প্রথমেই তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
১৭ মে ১৯৮১, শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। এক প্রতিকূল পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছিলেন। পিতার রক্তে ভেজা মাটিতে কপাল স্পর্শ করে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। তাঁর কান্নার সঙ্গে যোগ দিয়েছিল প্রকৃতিও। আর সে কারণেই ঢাকার আকাশ জুড়ে নেমেছিল মুষলধারে বৃষ্টি। সেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে লাখো মানুষ শেখ হাসিনাকে বরণ করে নিয়েছিল।