নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:১৬ পিএম, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২০
কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্যে দুর্বৃত্তরা ভাঙচুর করেছে। এতে হাতসহ ভাস্কর্যের বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরপর সন্ধ্যায় একদল বিক্ষুব্ধ মানুষ বিএনপি জেলা কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এদিকে রাত সাড়ে ৭টার দিকে ভাঙচুর করা বঙ্গবন্ধুর ওই ভাস্কর্যে গুলি বর্ষণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, শুক্রবার মধ্য রাতে দুর্বৃত্তরা নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যটি ভাঙচুর করে বলে শনিবার দুপুরে নির্মাণকারী শ্রমিকরা জানায়। এ ঘটনা জানার পর পুলিশ জেলার সবগুলো ভাস্কর্যে নজরদারি শুরু করেছে। এরপর সন্ধ্যায় বিক্ষুব্ধ একদল মানুষ শহরের এনএস রোডে জেলা বিএনপির অফিসে হামলা করে সেখানে ভাঙচুর করে। এরপর রাত সাড়ে ৭টার দিকে ওই ভাস্কর্য লক্ষ্য করে দুই রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, একটি নোহা মাইক্রোবাস থেকে সেখানে গুলি ছুড়ে সেটি ঝিনাইদহের দিকে চলে যায়। সর্বশেষ রাত ৯টার দিকে একদল বিক্ষুব্ধ লোকজন শহরের মজমপুর গেটে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সোহরাব উদ্দিনের ভাইয়ের মালিকানাধীন এসবি পরিবহনের অফিস ও কাউন্টার ভাঙচুর করে। এ সময় ছবি তুলতে গেলে দুজন সংবাদকর্মীও হামলার স্বীকার হন।
পৌরসভা সূত্র জানায়, গত নভেম্বর মাসের শুরুতে কুষ্টিয়া পৌরসভা কতৃপক্ষ ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ের শাপলার ভাস্কর্য ভেঙে সেখানে তিনটি প্রধান সড়ককে সামনে রেখে নিচের দিকে জাতীয় চার নেতার মুর্যালে উপরে বঙ্গবন্ধুর তিনটি ভাস্কর্যের নির্মাণ কাজ শুরু করে। ইতিমধ্যে শহরের মজমপুরের অংশে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ দেওয়ার একটি ভাস্কর্য তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। গতকাল শুক্রবার রাতে কে বা কারা সেটির বিভিন্ন অংশ ভেঙে ফেলে।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত বলেন, ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। সেখানে রাত দুইটার দিকে দুজনকে ভাস্কর্য ভাঙচুর করতে দেখা যাচ্ছে। তাদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। অচিরেই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলী বলেন, আওয়ামী লীগের বিরোধী বঙ্গবন্ধুকে যারা মানতে পারে না তারাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলাও করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পাঁচ বছর বয়সী শিশু মুজাহিদ পাঁচশ’ টাকার একটি নোট নিয়ে বাড়ির পাশে এক দোকানে কিছু কিনতে যাচ্ছিল। এসময় তার কাছ থেকে টাকা কেড়ে নিতে কৌশলে এক কিশোর ব্রহ্মপুত্রের কাছে টাকা কেড়ে নিয়ে শিশুটিকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর থেকে নিখোঁজ শিশু মুজাহিদ। দুইদিনেও তার খোঁজ মেলেনি।
আজ রোববার (১২ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস।
এর আগে, শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে উপজেলার সানন্দবাড়ী এলাকার পাটাধোয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ওই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ শামিম হোসেনকে (১৫) আটক করে পুলিশ। ইতোমধ্যে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে ওই কিশোর।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে মুজাহিদ তার বাবা-মায়ের অগোচরে ঘর থেকে ৫০০ টাকার একটি নোট নিয়ে পাশের এক দোকানে যায়। এসময় শামীম টাকার লোভে শিশু মুজাহিদের পিছু নেয় এবং টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য বেড়ানোর কথা বলে তাকে বাড়ির নিকটবর্তী ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে মুজাহিদের কাছ থেকে কৌশলে টাকা নিতে না পেরে শামীম জোরপূর্বক ৫শ’ টাকা কেড়ে নিয়ে তাকে সানন্দবাড়ি ব্রহ্মপুত্র নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এ ঘটনার পর থেকে ভয়ে শামিম গা ঢাকা দেয়। পরে নিখোঁজ মুজাহিদের স্বজনরা শামিমকে সন্দেহ করে পুলিশকে জানালে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে তাকে আটক করা হয়।
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, শামিমকে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে আটক করা হয়েছে। শনিবার ঘটনাস্থলে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে মুজাহিদকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করেছে। ছোট ছেলে মুজাহিদ, সাঁতার জানে না। ধারণা করা হচ্ছে, মুজাহিদের মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করা হলে আদালতে প্রেরণ করা হয় শামিমকে।
ব্রহ্মপুত্র নদ ৫শ’টাকার লোভ শিশু কিশোর
মন্তব্য করুন
ভারতের হাইকমিশনার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পাঁচ বছর বয়সী শিশু মুজাহিদ পাঁচশ’ টাকার একটি নোট নিয়ে বাড়ির পাশে এক দোকানে কিছু কিনতে যাচ্ছিল। এসময় তার কাছ থেকে টাকা কেড়ে নিতে কৌশলে এক কিশোর ব্রহ্মপুত্রের কাছে টাকা কেড়ে নিয়ে শিশুটিকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর থেকে নিখোঁজ শিশু মুজাহিদ। দুইদিনেও তার খোঁজ মেলেনি।