নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০১ পিএম, ০৭ জানুয়ারী, ২০২১
টানা ১২ বছর ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশতো বটেই উপমহাদেশে এবং বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এটি একটি বিরল ঘটনা। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় একটি দল দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকলেই মানুষ পরিবর্তনের দিকে ঝুকে, পরিবর্তন চায়। তাই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ভালো কাজ করেও ক্ষমতায় থাকা এবং জনপ্রিয়তা ধরে রাখা কঠিন। কিন্তু এই কঠিন কাজটিই সহজ ভাবে করেছে আওয়ামী লীগ। কিভাবে এক যুগ ক্ষমতায় টিকে আছে?
টানা ক্ষমতায় থেকেও জনপ্রিয় থাকার কৌশলই বা কি? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকার কৌশল ৫টি। এগুলো হলো:
১. জনগণকে উন্নয়নের ধারায় সম্পৃক্ত করা: ২০০৮ এর নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য ছিলো টার্নিং পয়েন্ট। ঐ নির্বাচনের ইশতেহারে আওয়ামী লীগ সময় নিঘন্ট (টাইম বাউন্ড) উন্নয়ন কর্মসূচী ঘোষণা করে। ডিজিটাল বাংলাদেশের একটি রূপ পরিকল্পনা ঘোষণা করে। ক্ষমতায় এসে একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অনুযায়ী উন্নয়ন কর্মসূচী বাস্তবায়ন শুরু করে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, এই উন্নয়ন কর্মসূচীতে জনগনকে সম্পৃক্ত করে। ফলে ব্যক্তিগত জীবনে মানুষের মধ্যে যেমন উন্নত এবং স্বাচ্ছন্দ্য জীবনের আকাংখা তৈরি হয়, তেমনি সামাজিক ভাবে সমাজে একটি উন্নয়ন চেতনা সৃষ্টি হয়। এরফলে কর্মজাগরণের একটি আবহ তৈরি করতে সক্ষম হয় আওয়ামী লীগ। এতে করে, জনগন জালাও পোড়াও হরতালের রাজনীতিকে বর্জন শুরু করে। ফলে, সরকার বিরোধি আন্দোলন অসম্ভব হয়ে পরেছে এখন।
২. প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক: ২০০৯ সাল থেকেই আওয়ামী লীগ সরকার প্রশাসনকে নিবিড় পরিচর্যায় রাখে। পে স্কেল দিয়ে বেতন স্কেল বাড়ানো নিয়মিত নিয়োগ ও পদোন্নতির ধারা চালু করে। ফলে, প্রশাসন এই সরকারের উপর আস্থাশীল হয়ে ওঠে। সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য বা গোপন গ্রুপিং কমে যায়। প্রশাসনে পদোন্নতি এবং ভালো পোষ্টিং পেতে সরকারের ঘনিষ্ঠ হবার প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
৩. সেনাবাহিনীতে পেশাদারিত্ব: বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে উচ্চাভিলাষী কিছু সেনাকর্মকর্তা রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের ঘটনা ঘটায়। ৭৫ থেকে ৮২ পর্যন্ত সেনা অভ্যুত্থান ছিলো নিয়মিত বাস্তবতা। এমনকি ২০০৭ সালে ড: ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তত্বাধায়ক সরকারের পেছনেও সেনাবাহিনীর একটি অংশের সমর্থন ছিলো। আওয়ামী লীগ পদোন্নতি, প্রশিক্ষণ, দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সেনাবাহিনীতে শৃংখলা ফিরিয়ে আনা এবং পেশাদারিত্বের উপর জোর দেয়া। ফলে গত এক দেশকে সেনাবাহিনী রাজনীতি বিযুক্ত হয়ে একটি পেশাদার বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠেছে। রাজনীতিতে সেনাবাহনীর হস্তক্ষেপ না করার ফলে ষড়যন্ত্র বা অন্য পন্থায় আওয়ামীলীগকে সরানো কঠিন হয়ে পরেছে।
৪. বিরোধি দলকে নিয়ন্ত্রনে রাখার কৌশল: গত ১২ বছরে দেশের বিরোধি দলগুলোর লাগাম সরকারের হাতেই ছিলো। বড় ধরনের সরকার বিরোধি আন্দোলন হতে পারেনি। বিরোধি রাজনীতির বদলে আওয়ামী লীগ ঐক্যমতের রাজনীতিকে বিকষিত করে। তাছাড়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ইস্যু আওয়ামী লীগকে বাড়তি সুবিধা দেয়।
৫. দলের শুদ্ধি অভিযান: টানা ক্ষমতায় থেকেও আওয়ামী লীগ দলে দানব তৈরী হতে দেয়নি। নানা অনিয়মের অভিযোগে অনেক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে আওয়ামী লীগ পশ্চিম বঙ্গের বামফ্রন্টের মতো সরকারের চেয়েও বড় হয়নি।
মূলত: এই পাচ কৌশলেই আওয়ামী লীগ বড় ধরনের চাপ ছাড়াই ক্ষমতায় টিকে আছে।
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী এন্থনি এলবানিজ। সম্প্রতি এক শুভেচ্ছা বার্তায় এ অভিনন্দন জানান তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানান, আগামী বছরগুলোতে অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য উন্মুখ।
বাংলাদেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার মাধ্যমে আঞ্চলিক শান্তি, উন্নয়ন ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে কাজ করতে চান উল্লেখ করেন এন্থনি এলবানিজ।
প্রধানমন্ত্রী এন্থনি এলবানিজ চিঠিতে আরও উল্লেখ করেন, ভারত মহাসাগরের দেশ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উভয় দেশের একই ধরনের স্বার্থ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করতে অস্ট্রেলিয়া প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অস্ট্রেলিয়া এন্থনি এলবানিজ বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লু’র সফর আর নির্বাচনের পরে তার সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফর, দুটোর মধ্যে আকাশ পাতাল তফাত। ডোনাল্ড লু নিজেই স্বীকার করেছেন। বাংলাদেশ সফর শেষে যাওয়ার পথে তিনি তার বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে পরিষ্কার বলেছেন, অতীতের মতপার্থক্যকে সরিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। আর এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে আগের অবস্থানে নেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
কীভাবে সম্ভব হল, কীভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউটার্ন নিল? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার পার্সোনাল ডিপ্লোমেসির কারণে। এটি ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর আরেকটি অংশ। ২০১৮ সালের পর থেকেই বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি নেতিবাচক অবস্থান গ্রহণ করতে শুরু করে। বিশেষ করে জো বাইডেন প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ নীতি বদলাতে থাকে। এসময় একের পর এক চাপ প্রয়োগ করা হতে থাকে বাংলাদেশের উপর।
বিশেষ করে ২০২২ সালের ১৫ মার্চ পিটার ডি হাস বাংলাদেশে আসার পর সরকারের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রায় মুখোমুখি একটি অবস্থানে চলে যায়। দুই দেশের মধ্যে নানা রকম ভুল বোঝাবোঝি সৃষ্টি হয়েছিল। এর একটি বড় কারণ ছিল যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে বাংলাদেশ সম্পর্কে ভুল তথ্য দেওয়া হচ্ছিল। আর এই সমস্ত ভুল তথ্যের কারণেই যুক্তরাষ্ট্র একটি ভিন্নরকম অবস্থান গ্রহণ করেছিল বাংলাদেশের ব্যাপারে।
কিন্তু ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর আস্তে আস্তে পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকে। কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা অবশ্য মনে করেন যে, নির্বাচনের আগে থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পরিবর্তন ঘটে থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবস্থান পরিবর্তনের ক্ষেত্রে একাধিক ভূমিকা কাজ করেছে বলেই অনেকে মনে করে যেটি ডোনাল্ড লু’র সফরে স্পষ্ট প্রতিভাত হয়েছে।
প্রথমত ভারতের প্রভাব। ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের ব্যাপারে নেতিবাচক অবস্থান থেকে সরে আসার জন্য চেষ্টা করেছে এবং সফল হয়েছে। ভারতের এই অবস্থানের প্রধান কারণ ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত বিশ্বাস করে তার উপর আস্থা রাখে এবং শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প বাংলাদেশে নেই, এই উপলব্ধি থেকেই নরেন্দ্র মোদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলেছেন বলে কূটনৈতিক মহল মনে করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত কারণে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটাতে চাইনি।
দ্বিতীয়ত, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে ব্যক্তিগত উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার পর তিনি সেখানে নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এছাড়াও ভারত সফরের সময় তিনি অ্যান্থনি ব্লিনকেন এবং জো বাইডেনের সঙ্গেও কথা বলেন। সবকিছু মিলিয়ে তার উদ্যোগ সফল হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য সালমান এফ রহমানকেও দায়িত্ব দিয়েছিলেন এবং সালমান এফ রহমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছেন।
তৃতীয়ত, বিরোধী দলের ভুল রাজনীতি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাশা করেছিল যে, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এবং এই কারণেই নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লু শর্তহীন সংলাপের উপর জোর দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যখন বিএনপি নির্বাচনে যায়নি, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেনি। আর সবকিছু মিলিয়ে এখন নতুন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ আছে, মার্কিন স্বার্থ আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে ব্যবসার পরিধি বাড়াতে চায়, চীনের আগ্রাসন কমাতে চায়। সবকিছু মিলিয়ে তাদের সামনে বর্তমান সরকারই একমাত্র বিকল্প। আর তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান পরিবর্তন করেছে, রীতিমতো ইউটার্ন নিয়েছে।
বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জো বাইডেন ডোনাল্ড লু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মন্তব্য করুন
ছাগলনাইয়া উপজেলা মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল
মন্তব্য করুন
১৭ মে ১৯৮১, শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। এক প্রতিকূল পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছিলেন। পিতার রক্তে ভেজা মাটিতে কপাল স্পর্শ করে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। তাঁর কান্নার সঙ্গে যোগ দিয়েছিল প্রকৃতিও। আর সে কারণেই ঢাকার আকাশ জুড়ে নেমেছিল মুষলধারে বৃষ্টি। সেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে লাখো মানুষ শেখ হাসিনাকে বরণ করে নিয়েছিল।
নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লু’র সফর আর নির্বাচনের পরে তার সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফর, দুটোর মধ্যে আকাশ পাতাল তফাত। ডোনাল্ড লু নিজেই স্বীকার করেছেন। বাংলাদেশ সফর শেষে যাওয়ার পথে তিনি তার বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে পরিষ্কার বলেছেন, অতীতের মতপার্থক্যকে সরিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। আর এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে আগের অবস্থানে নেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় ২০১৯ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেলের উপজেলা চেয়ারম্যান পদ অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে ২০১৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে যত বেতন-ভাতা ও সুবিধাদি গ্রহণ করেছেন তা ৩০ দিনের মধ্যে ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এই সময়ের মধ্যে ফেরত না দিলে ফেনীর জেলা প্রশাসককে তার থেকে আদায় করতে বলা হয়েছে।