নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৮ পিএম, ১১ জানুয়ারী, ২০২১
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্যবিষয়ক উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেছেন, ওয়ানইলেভেন এদেশে বিরাজনীতিকরণের একটি নতুন ধরনের ষড়যন্ত্র ছিলো। আগে অসাংবিধানিক পথে ক্ষমতা গ্রহণের জন্য সাধারণত সিভিল আমলা এবং সামরিক আমলারা মিলে এই ধরনের ঘটনা ঘটাতো। কিন্তু ১/১১ তে তথাকথিত কতিপয় সুশীল এবং বাংলাদেশে কিছু দেশের রাষ্ট্রদূতরা মিলে এই ষড়যন্ত্র করেছিলো।
ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, যদিও মাইনাস-টু ফর্মুলার কথা বলা হয় কিন্তু তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিলো মাইনাস-ওয়ান। শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে পুরোপুরি নির্বাসনে পাঠানোর ষড়যন্ত্র ছিলো। এই ধরনের পরিস্থিতিতে সাধারণত যারা ক্ষমতায় থাকে তাদের ওপরে খড়গ নেমে আসে কিন্তু এক্ষেত্রে ঘটেছিলো ঠিক তার উল্টোটা। বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা যেহেতু অনেক আগে থেকেই বলা শুরু করেছিলেন যে এরা অসাংবিধানিক সরকার এবং আন্দোলনের মাধ্যমে এদেরকে নামাতে হবে। এটাই শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড় অপরাধ ছিলো। পরবর্তীতে বিএনপির বুদ্ধিদাতাদের পরামর্শে খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের যুক্তি ছিলো খালেদা জিয়াকে যদি গ্রেফতার না করা হয় তাহলে শেখ হাসিনা অপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে যাবেন এবং বাংলাদেশে খালেদা জিয়ার কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। ফলে লোক দেখানোর জন্য খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো।
তিনি বলেন, ১/১১ বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটা কালো অধ্যায়। গণতান্ত্রিক দেশে মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে একটি সরকার গঠন করবে কিন্তু সেসময় কিছু বিদেশি দেশের কূটনীতিক এবং বাংলাদেশের কিছু সুবিধাবাদি সুশীল সমাজ মিলে এই ১/১১ সৃষ্টি করেছিলো। ১/১১ এর কুশীলবদের অন্যতম ড. মোহাম্মদ ইউনূসের বিতর্কিত ভূমিকা নিয়ে কেউ সেভাবে কথা বলে না। কিন্তু ১/১১ কুশীলবদের ভূমিকা নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন করা উচিত যাতে করে মানুষ এদেরকে ভালোভাবে চিনতে পারে এবং এদের ষড়যন্ত্র থেকে দূরে থাকে।
ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, ড. ইউনূসকে বাংলাদেশের জাতীয় কোনো ইস্যুতে ভূমিকা রাখতে দেখা না গেলেও দেশের বিরুদ্ধে সব বড় বড় ষড়যন্ত্রের সাথে তার নাম আসে। ১/১১ এর মত একটি রাজনৈতিক বিরাজনীতিকরণের ষড়যন্ত্রের মূল হোতা তিনি। এছাড়া বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা প্রকল্প পদ্মাসেতুর অর্থায়ন বন্ধে সর্বোচ্চ ভূমিকা ছিলো ড. ইউনূসের। তবে ড. ইউনূসের এসব এহেন কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত আছে কিছু গণমাধ্যম। যারা তার কর্মকাণ্ডে সমর্থন করে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, এপ্রিল মাসে তীব্র তাপদাহ যাচ্ছে। এটা একটু কষ্টদায়ক বটে। তবে মে মাসেও তো আবহাওয়া এমন থাকবে এবং সে সময় প্রচন্ড গরম থাকবে। কিন্তু তাই বলে তো আর স্কুল, কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এত লম্বা সময় ধরে বন্ধ রাখা যায় না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।