নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৪৫ পিএম, ১৩ জানুয়ারী, ২০২১
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন (টিকা) উৎপাদন ও বাজারজাত করছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউট। সরকারের সঙ্গে মধ্যস্থতা করে সেখান থেকে বাংলাদেশে টিকা আনছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। যা সরকারি ব্যবস্থাপনায় জনগণকে প্রয়োগ করা হবে। তবে এর বাইরে বেসরকারিভাবেও একই প্রতিষ্ঠান থেকে টিকা এনে বিক্রি করবে কোম্পানিটি।
জানা গেছে, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে প্রায় ৩০ লাখ ডোজ করোনার ভ্যাকসিন কিনতে যাচ্ছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। যা সরকারি কর্মসূচির বাইরে বেসরকারিভাবে বাংলাদেশের বাজারে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এ জন্য প্রতি ডোজ বাবদ সেরামকে ৮ ডলার করে দিতে হবে তাদের।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স গতকাল মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গণমাধ্যমটিকে মোবাইল ফোনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে উল্লিখিত তথ্য নিশ্চিত করেন বেক্সিমকোর চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) রাব্বুর রেজার।
তিনি জানান, ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই বেসরকারিভাবে টিকা বিক্রির এ কার্যক্রম শুরু হতে পারে। এ ক্ষেত্রে টিকার প্রতি ডোজের দাম পড়বে ১৩ দশমিক ২৭ ডলার বা ১ হাজার ১২৫ টাকার মতো।
বেক্সিমকোর এ কর্মকর্তা বলেন, ইতোমধ্যে ১০ লাখ ডোজ টিকার জন্য চুক্তি হয়েছে। আরো ২০ লাখ ডোজ সংগ্রহের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
রাব্বুর রেজার আরও বলেন, বেক্সিমকো বছরের প্রথমার্ধে প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা সরকারি টিকাদান কর্মসূচির জন্য সরবরাহ করে যাবে। চলতি মাসের শেষের দিকেই সেরাম ইনস্টিটিউট সরকারের কাছে ও বাজারে বিক্রির জন্য টিকা সরবরাহ শুরু করবে। যারা টিকা গ্রহণে ইচ্ছুক, বিরতি দিয়ে তাদের মাঝে ভ্যাকসিনটির দুটি ডোজ বিতরণ করা হবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে জানা যায়, সেরাম প্রতিডোজ করোনা ভ্যাকসিনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে ৪ ডলার (৩৪০ টাকা) করে নিচ্ছে। বাংলাদেশকে দেয়া এই দাম ভারতে দেয়া ভ্যাকসিনটির দামের চেয়ে ৪৭ শতাংশ বেশি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অন্তত তিনটি সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে রয়টার্স। সেরাম ভারতে দুইশ রুপি বা ২.৭২ ডলারে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৪০ টাকা) প্রতিডোজ করোনা ভ্যাকসিন বিক্রি করবে। আর বাংলাদেশের কাছে প্রতিডোজ ভ্যাকসিন বিক্রি করবে ৪ ডলার বা ৩৪০টাকায়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস।
মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন