নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৪৩ পিএম, ১৮ জানুয়ারী, ২০২১
ঢাকাবাসীকে জলাবদ্ধতার কবল থেকে মুক্তি দেওয়ার প্রত্যয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ক্র্যাস প্রোগ্রামের আওতায় পরিচালিত তিনটি খাল ও দুটি বক্স কালভার্ট হতে বর্জ্য অপসারণ ও চ্যানেল পরিষ্কার কার্যক্রম পুরোদমে এগিয়ে চলছে। কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গত ১০ দিনে জিরানি খাল থেকে বিগত দশ দিনে ২০ হাজার টন বর্জ্য ও মাটি উত্তোলন করা হয়েছে। শুক্রবার বাদে ৭ জানুয়ারি হতে শুরু হওয়া এই কার্যক্রম প্রতিদিন চলমান রয়েছে।
এদিকে গত ৭ কর্মদিবসে সেগুনবাগিচা ও পান্থপথ বক্স কালভার্ট হতে ৬৪৯.৯৫ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। গত ১০ তারিখে সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট হতে ৯ ট্রিপে ৬৫.৫১ টন, ১১ তারিখে পান্থপথ ও সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট হতে ১৩ ট্রিপে ১১৬.৬৯ টন, ১২ তারিখে পান্থপথ ও সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট হতে ১৪ ট্রিপে ১০৭.৭৫ টন, ১৩ তারিখে পান্থপথ ও সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট হতে ১৪ ট্রিপে ১২০.১৩ টন, ১৫ তারিখে পান্থপথ বক্স কালভার্ট হতে ৩ ট্রিপে ২২.২৩ টন, ১৬ তারিখে পান্থপথ ও সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট হতে ১৩ ট্রিপে ৯৮.০৯ টন, ১৭ তারিখে (গতরাতে) ১৩ ট্রিপে পান্থপথ ও সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট হতে ১৩ ট্রিপে ১১৯.৫৫ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। গত ১৪ তারিখে সাকরাইন উৎসবের জন্য বক্স কালভার্ট দুটো হতে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম বন্ধ ছিল এবং গত ১৫ তারিখে সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট হতে বর্জ্য অপসারণ বন্ধ ছিল।
এছাড়াও আজ নগরীর মান্ডা খালের সীমানার মধ্যে থাকা এবং টিটি পাড়ায় ওয়াসা পাম্প হাউজের সীমানা ঘেঁষে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। ডিএসসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মুনিরুজ্জামান টিটি পাড়ায় ওয়াসা পাম্প হাউজের সীমানা ঘেঁষে গড়ে ওঠা পাঁচটি অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করেন। একইসাথে ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ ও তানজিলা কবির ত্রপার নেতৃত্বে মান্ডা খালের সীমানার মধ্যে থাকা চারটি ব্রিজ ও ২০টি ভবনের বর্ধিতাংশ উচ্ছেদ করেন।
চলমান বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম প্রসঙ্গে ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোঃ বদরুল আমিন বলেন, জিরানী, মান্ডা ও শ্যামপুর খাল হতে আমাদের বর্জ্য উত্তোলন ও চ্যানেল পরিষ্কার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। একই সাথে পান্থপথ ও সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট হতেও আমাদের বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম চলমান আছে। ইতোমধ্যে আমরা পান্থপথ বক্স কালভার্টের ২৯টি পিটের মধ্যে ২৮টি পিটের মুখ হতে বর্জ্য অপসারণ করেছি এবং সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্টের ১৩টি পিট হতে বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু দুই পিট এর মধ্যবর্তী অংশে আমরা ড্রেজারসহ নানা রকম যন্ত্র ব্যবহার করলেও কাজটি এখনো বেশ জটিল পর্যায়ে রয়ে গিয়েছে। তাই, মেয়র মহোদয়ের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী দুই পিটের মধ্যবর্তী অংশ হতে বর্জ্য অপসারণ করতে আমরা দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সহোযোগিতা নিয়ে কাজটি করে চলেছি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস।
মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন