নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০১ পিএম, ১৮ জানুয়ারী, ২০২১
বর্তমানে দেশের রাজনীতিতে বেশকিছু তরুণ মুখ রয়েছে। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির তরুণ নেতৃত্ব উঠে আসে ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ এবং ছাত্রদল থেকে। একটা সময় বিএনপিতে তরুণদের জয়জয়কার ছিল। শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল সহ আরো অনেক তরুণ নেতৃত্ব ছিল বিএনপিতে। আমানউল্লাহ আমান ডাকসুর ভিপি থেকে এমপি হয়েছে। এসকল তরুণ নেতৃত্ব ছাত্রদল করে পরবর্তীতে বিএনপির বড় পর্যায়ের নেতৃত্ব দিয়েছে। কিন্তু সেই চিত্র এখন বদলে গেছে। বর্তমানে দেখা যায় যে বিএনপির চেয়ে আওয়ামী লীগে তরুণদের সংখ্যা বেশী। বর্তমানে অনেক দক্ষ এবং মেধাবী তরুণরা ছাত্রলীগ করে এখন নেতৃত্ব দিচ্ছে আওয়ামী লীগে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এবার দলটিকে সাজিয়েছেন প্রবীণ এবং নবীনের মেলবন্ধনে। দলে যেমন প্রবীণ নেতা ওবায়দুল কাদের, মতিয়া চৌধুরী, সাজেদা চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম এর মত নেতারা আছেন তেমনি আছে বিপ্লব বড়ুয়া, সেলিম মাহমুদ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আরমান আহমদ শিপলুর মত তরুণ নেতারা। আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের পর গত এক বছরের কার্যক্রম বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, অনেক দায়িত্বশীল পদে তরুণরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এর ফলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তারুণ্যের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে।
প্রায়ই বলা হয় যে তরুণরা রাজনীতিতে আগ্রহী নয়, উৎসাহী নয়, তরুণরা বিদেশে চলে যেতে চায়। বর্তমান প্রেক্ষাপটে সেটি বিএনপি, জাতীয় পার্টির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলেও আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। বর্তমানে তরুণরা বিএনপির রাজনীতিতে আসতে চায় না এবং জাতীয় পার্টিতে তরুণ নেতৃত্ব নেই বললেই চলে। কিন্তু আওয়ামী লীগে প্রচুর তারুণ্যের স্পন্দন, দীপ্ত পদচারণা দেখা যাচ্ছে।
বর্তমানে আওয়ামী লীগে তরুণ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদের মত তরুণ নেতারা নেতৃত্ব দিচ্ছে। নেতৃত্ব যদি তরুণদের আকৃষ্ট করতে পারে, নেতৃত্ব যদি তরুণদের জন্য জায়গা করে দিতে পারে, তাহলে তরুণরা রাজনীতি বিমুখ নয় বরং তরুণরা সুন্দর রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট হবে সেটি আওয়ামীলীগ প্রমাণ করেছে।
বাংলাদেশের তরুণ নেতৃত্বের রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা থেকে শুরু করে দেশের প্রতিটি আন্দোলন, প্রতিটি অর্জনের পিছনে রয়েছে তরুণ নেতৃত্বের অবদান, তরুণদের আত্মত্যাগের ইতিহাস। এই তরুণদের নেতৃত্ব এবং সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে আমাদের বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতি।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে আজ শনিবার। বিকেল সাড়ে ৩টায় মোহাম্মদপুর আড়ংয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের এক যৌথ সভার শুরুতে এ কথা জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকে বলে আমরা পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করছি, আসলে আমরা কোনো সমাবেশ করছি না। আজ আমরা এখানে যৌথসভা করছি। আগামীকাল শনিবার আমাদের মন্ত্রিসভার সদস্য, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের সংসদীয় এলাকায় আমরা একটি শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করব। সেখানে সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
এর আগে দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভা আজ শুক্রবার (১০ মে) অনুষ্ঠিত হয়।
আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
বিএনপি আমির খসরু মির্জা ফখরুল রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএনপিতে নতুন মহাসচিব নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া বিভিন্ন জেলার স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে নৈশ বৈঠকের আয়োজন করছেন। এ পর্যন্ত নোয়াখালী, কুমিল্লা, সিলেট, বরিশালসহ অন্তত দশটি জেলায় এই ধরনের জুম বৈঠক আয়োজন করা হয়েছে। যে বৈঠকগুলোতে লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়া সরাসরি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন। তৃণমূলের নেতাকর্মী ছাড়াও ছাত্রদল, যুবদল, কৃষক দলের মতো বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ তারেক জিয়ার সঙ্গে কথা বলছেন।