নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:১৪ পিএম, ২১ জানুয়ারী, ২০২১
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) সকল ওয়ার্ডে একটি করে সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটরিয়ামে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম জোরদারকরণ কার্যক্রমের দ্বিমাসিক পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ তথ্য জানান।
ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আমাদের নতুন ১৮টি ওয়ার্ডসহ যেসকল ওয়ার্ডে সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র নেই (কমিউনিটি সেন্টার) সে সকল ওয়ার্ডে সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র নির্মাণের জন্য আমরা প্রকল্প প্রস্তাবনা প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেছি। সে অনুযায়ী আমরা সে সকল ওয়ার্ডে নতুন করে পাঁচতলা করে ভবন করে সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র নির্মাণ করব। সেসব ভবনে একটি ফ্লোরে আমাদের কাউন্সিলর কার্যালয় থাকবে এবং আরেকটি ফ্লোরে "নগদ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র" করে দেব। যাতে করে সকল কার্যক্রমগুলো এক জায়গা থেকে হয় এবং যাতে মানুষ জানে, এই ওয়ার্ডের এই কার্যালয় ও সে কার্যালয়ে গেলেই কর্পোরেশনের সেবা নিশ্চিত হবে।
পরিবার পরিকল্পনা একটি অবহেলিত খাত ছিল কিন্তু আমরা সেটাকে গুরুত্ব দিয়েছি উল্লেখ করে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস আরও বলেন, আমি মনে করি যে, এটি একটি মৌলিক সেবার জায়গা। এটা একটা প্রাথমিক সেবার জায়গা। এই জায়গাটা আগে নিশ্চিত হলে, পরবর্তীতে সেবার জায়গাগুলো আমরা নির্ধারণ করতে পারব, তার উৎকর্ষতা বাড়াতে পারব, মান বাড়াতে পারব।
সভায় কয়েকটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা যে সকল সংস্থার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম প্রদান করা হচ্ছে, সে সব সংস্থা তাদের সাথে সমন্বয় করে স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম প্রদান করছেন না বলে জানান। এ প্রেক্ষিতে বিদ্যমান সমন্বয়হীনতা দূর করার জন্য ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, আমি আশাবাদী যে, আগের তুলনায় সম্পৃক্ততা বেড়েছে, সমন্বয় বেড়েছে। বাকি যতটুকু সমন্বয়হীনতা রয়েছে তা দূর করার জন্য আপনি (প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা) উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। আমার সভাপতিত্বে যে দ্বিমাসিক সভা হচ্ছে তার আগেই প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সভাপতিত্বে প্রতি মাসে একটি সভা হওয়া প্রয়োজন। এর মাধ্যমে মাসিক কতটুকু অগ্রগতি অর্জিত হল সেটা যেমনি জানা যাবে তেমনি দ্বিমাসিক এই পর্যালোচনা সভা আরো বেশি ফলপ্রসূ হবে।
ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনসংখ্যা বিস্ফোরণকে এক নম্বর সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। সেই আলোকে সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে, সোনার মানুষ গড়ার লক্ষ্যে পরিকল্পিত পরিবার একটি আবশ্যকীয়ভাবে বিষয়। সে প্রেক্ষিতে এই কার্যক্রমকে বেগবান করার জন্য এরই মাঝে আমরা মনোযোগ দিয়েছি। এরই ধারাবাহিকতায় আজকের এই দ্বিমাসিক পর্যালোচনা সভা। সেখানে আমাদের মুল কাজই হলো সমন্বয় করে দেওয়া। তাই, এই কার্যক্রম সমন্বয়ের মাধ্যমে গতিশীল করায় আমাদের লক্ষ।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (ডা.) শরীফ আহমেদের সঞ্চালনায় সভায় দক্ষিণ সিটির সচিব আকরামুজ্জামান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, কাউন্সিলরবৃন্দ এবং যে সকল এনজিওর মাধ্যমে এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয় সেসব এনজিও প্রতিনিধিবৃন্দ অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে, নতুন ১৮টি ওয়ার্ডসহ দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মোট ৩৭টি ওয়ার্ডের নতুন করে সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র নির্মাণ এবং বিদ্যমান সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্রগুলোর মধ্যে ৬টি সংস্কার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পাঁচ বছর বয়সী শিশু মুজাহিদ পাঁচশ’ টাকার একটি নোট নিয়ে বাড়ির পাশে এক দোকানে কিছু কিনতে যাচ্ছিল। এসময় তার কাছ থেকে টাকা কেড়ে নিতে কৌশলে এক কিশোর ব্রহ্মপুত্রের কাছে টাকা কেড়ে নিয়ে শিশুটিকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর থেকে নিখোঁজ শিশু মুজাহিদ। দুইদিনেও তার খোঁজ মেলেনি।
আজ রোববার (১২ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস।
এর আগে, শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে উপজেলার সানন্দবাড়ী এলাকার পাটাধোয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ওই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ শামিম হোসেনকে (১৫) আটক করে পুলিশ। ইতোমধ্যে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে ওই কিশোর।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে মুজাহিদ তার বাবা-মায়ের অগোচরে ঘর থেকে ৫০০ টাকার একটি নোট নিয়ে পাশের এক দোকানে যায়। এসময় শামীম টাকার লোভে শিশু মুজাহিদের পিছু নেয় এবং টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য বেড়ানোর কথা বলে তাকে বাড়ির নিকটবর্তী ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে মুজাহিদের কাছ থেকে কৌশলে টাকা নিতে না পেরে শামীম জোরপূর্বক ৫শ’ টাকা কেড়ে নিয়ে তাকে সানন্দবাড়ি ব্রহ্মপুত্র নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এ ঘটনার পর থেকে ভয়ে শামিম গা ঢাকা দেয়। পরে নিখোঁজ মুজাহিদের স্বজনরা শামিমকে সন্দেহ করে পুলিশকে জানালে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে তাকে আটক করা হয়।
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, শামিমকে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে আটক করা হয়েছে। শনিবার ঘটনাস্থলে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে মুজাহিদকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করেছে। ছোট ছেলে মুজাহিদ, সাঁতার জানে না। ধারণা করা হচ্ছে, মুজাহিদের মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করা হলে আদালতে প্রেরণ করা হয় শামিমকে।
ব্রহ্মপুত্র নদ ৫শ’টাকার লোভ শিশু কিশোর
মন্তব্য করুন
ভারতের হাইকমিশনার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পাঁচ বছর বয়সী শিশু মুজাহিদ পাঁচশ’ টাকার একটি নোট নিয়ে বাড়ির পাশে এক দোকানে কিছু কিনতে যাচ্ছিল। এসময় তার কাছ থেকে টাকা কেড়ে নিতে কৌশলে এক কিশোর ব্রহ্মপুত্রের কাছে টাকা কেড়ে নিয়ে শিশুটিকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর থেকে নিখোঁজ শিশু মুজাহিদ। দুইদিনেও তার খোঁজ মেলেনি।