ইনসাইড বাংলাদেশ

সিনহাকে নিয়ে শঙ্কা কাটছে না আ. লীগের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০২ এএম, ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭


Thumbnail

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলে রায়ের পর্যবেক্ষণ নিয়ে সৃষ্ট সংকট সমাধানে নির্বাহী ও বিচার বিভাগের মধ্যে সমঝোতার পথ প্রশস্ত হলেও প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাকে নিয়ে সংকট কাটছে না আওয়ামী লীগে। এসকে সিনহা প্রধান বিচারপতি থাকাকালে আওয়ামী লীগ রায়ের রিভিউ করতে চায় না বলে দলের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছে, এসকে সিনহাকে কোনোভাবেই বিশ্বাস করতে পারছে না আওয়ামী লীগ; উল্টো তার হাত দিয়ে কোনো দুর্ঘটনা ঘটারও শঙ্কা দলের সিনিয়র নেতাদের। আগামী জানুয়ারি মাস পর্যন্ত দুশ্চিন্তামুক্ত হতে পারছেন না আওয়ামী লীগ। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে আগামী ৩১ জানুয়ারি। 

সূত্র জানায়, গত ২৩ আগস্ট প্রধান বিচারপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা গহওর রিজভীর মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর আইনগতভাবে সমঝোতার পথ প্রশস্ত হয়েছে। ঈদের দিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান বিচারপতির সাক্ষাতও সংকট কাটাতে কাজ করেনি। 

ওই বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা শেষে চলমান জটিলতা নিরসনে নির্বাহী ও বিচার বিভাগ উভয়ে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। এ কারণে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার পদত্যাগের দাবিতে দেওয়া আল্টিমেটামের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও নতুন কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করেননি আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীদের একমাত্র সংগঠন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতারা। তবে এসকে সিনহা ইতিবাচক মনোভাব দেখালেও যেকোনো সময় তিনি বিগড়ে যেতে পারেন বলেন আশঙ্কা আওয়ামী লীগের। এমনকি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালও করতে পারেন এসকে সিনহা-এমন আশঙ্কাও করছেন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী মহল। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কবর হয়েছে। এটা পুনর্বহালে কেউ হাত দিতে চাইলে তার হাত পুড়ে যাবে।’ 

আওয়ামী লীগ নেতাদের মতে, সরকারের বিরুদ্ধে নতুন নতুন চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা এখনো শেষ হয়ে যায়নি। তবে সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রস্তুতিও সরকারের রয়েছে। সূত্র জানায়, ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের পর্যবেক্ষণ ইস্যুটি নিয়ে বিএনপি ষড়যন্ত্র করছে, এমন ইঙ্গিত পেয়েছে ক্ষমতাসীনরা। ধীরে ধীরে অন্য মহলও ইস্যুটি পুঁজি করে নানান খেলায় মেতে উঠতে পারে। তাই এটি জিইয়ে রেখে ষড়যন্ত্রেও খেলা বাড়তে দিতে চায় না ক্ষমতাসীন দল। প্রধানমন্ত্রী প্রধান বিচারপতির বিষয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত ও অবস্থান নিয়ে রাখলেও বাস্তবায়নে যেতে পারছে না। কারণ সামনে জাতীয় নির্বাচন। আর নর্বাচনের আগে ষড়যন্ত্র শুরু হয় নানামুখী। তাই এখন আওয়ামী লীগের কৌশল হলো- কিছুটা কঠোর ও কিছুটা আপস করা। 

জানা গেছে, সরকারের নীতি নির্ধারকদের কেউ কেউ মনে করেন, ষোড়শ সংশোধনীর রায় সরকারকে বিব্রত করলেও প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ আত্মঘাতী হয়ে যেতে পারে। সরকারের পক্ষ থেকে নানা হিসেব মিলিয়ে এখনো সমঝোতা করে চলার ব্যাপারেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচলে থাকলেও প্রধান বিচারপতিকে এখনই সরাতে চায় না সরকার। তবে প্রধান বিচারপতি বিব্রত হয়ে নিজে থেকে সরে দাঁড়ালে আওয়ামী লীগ মহাখুশি। আপাতত এই কৌশল গ্রহণ করে জানুয়ারিতে প্রধান বিচারপতির মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত সময় পার করতে চায় সরকার। আর রিভিউটা এসকে সিনহার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেই করতে চায় আওয়ামী লীগ। সূত্র জানায়, সংবিধান ও রাষ্ট্রপতির হাতে থাকা ক্ষমতা প্রয়োগ করে প্রধান বিচারপতিকে সরিয়ে দেওয়া অনেকখানি ‘রিস্ক’ মনে করায় এখনি এ সিদ্ধান্ত নিতে চায় না তারা। এক্ষেত্রে আরও ধৈর্য ধারণ করতে চায় সরকার। তবে ধৈর্যচ্যুতি ঘটলে সংবিধানে থাকা এখতিয়ার অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের দিকে যাবে ক্ষমতাসীনরা। জানা গেছে, আরও একটি বিকল্প চিন্তা ভর করেছে সরকারের ভেতরে। তা হলো ৯৭ অনুচ্ছেদ অনুসরণ করে প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে পরবর্তী প্রধান বিচারপতি যিনি হবেন, তিনি কতখানি আস্থাশীল হবেন, তা নিয়েও চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের কয়েক জন নেতা জানান, প্রধান বিচারপতির প্রতি তাদের আস্থা-বিশ্বাস একেবারেই তলানিতে, এটা ঠিক। কিন্তু পরে যিনি প্রধান বিচারপতি হয়ে আসবেন, তিনি যে আরও জটিলতা সৃষ্টি করবেন না, তার নিশ্চয়তা কতটুকু? ফলে সিদ্ধান্ত যেটাই হোক না কেন, এক্ষেত্রে সময় নিতে চায় সরকার। আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য জানান, ‘সরকারের হাতে সংবিধানের ৯৭ অনুচ্ছেদ রয়েছে, যা বিকল্প অপসন হিসেবে রেখে দেওয়া হয়েছে। ৯৭ অনুচ্ছেদকে সরকার মনে করছে তাদের হাতে সর্বশেষ অস্ত্র। 

আওয়ামী লীগের একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা’ ও ‘একক নেতৃত্ব’-এই দু’টি ইস্যু আওয়ামী লীগ কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না। তবে প্রধান বিচারপতি আরও অপ্রত্যাশিত কোনো কাজ করে বা বক্তব্য দিয়ে সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলেন কিনা এসব ইস্যুও আওয়ামী লীগকে ভাবাচ্ছে। ফলে বিষয়গুলো মাথায় রেখেই জানুয়ারি পর্যন্ত সতর্ক থাকবে দলটি। সর্বশেষ গণভবনে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর যৌথসভায়ও দলীয় নেতাকর্মীদের জানুয়ারি পর্যন্ত সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সূত্র জানায়, জানুয়ারির মধ্যে যেন কারও বক্তব্য বা কাজের জন্য দলকে বেকায়দায় পড়তে না হয়, সেদিকে সবাইকে বিশেষ নজর রাখা এবং সহনশীল থাকতে বলা হয়েছে। 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এব্ং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, রায়ের পর্যবেক্ষণকে কেন্দ্র রাজনৈতিক অঙ্গনে যে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে তা আইনগতভাবে সমাধানের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে সমঝোতার প্রক্রিয়া থেমে নেই। ইতিমধ্যে ইতিবাচক অগ্রগতিও হয়েছে। তিনি বলেন, একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে। বিষয়টি সমঝোতার পর্যায়ে আছে। সাংবিধানিকভাবে আইনগত প্রক্রিয়ায় এর সমাধান হতে পারে। 

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

৫২৩ হজযাত্রীর টাকা নিয়ে লাপাত্তা ২ এজেন্সি মালিক

প্রকাশ: ১১:০৮ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছে গত মে। ইতোমধ্যে প্রায় ২৪ হাজার হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। কিন্তু ৫২৩ জন যাত্রীর টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে আল রিসান ট্রাভেলস দিয়া ইন্টারন্যাশনাল নামের দুই এজেন্সি। এরমধ্যে আল রিসান ট্রাভেলসের ৪৪৮ জন এবং দিয়া ইন্টারন্যাশনালের ৭৫ জনের টাকা নিয়ে পালিয়েছে। ফলে দুই এজেন্সির মাধ্যমে নিবন্ধন করা হজযাত্রীদের হজ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

এর প্রেক্ষিতে ওই হজ এজেন্সির চেয়ারম্যান ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। ওই চিঠি পেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দেশের সকল ইমিগ্রেশনকে চিঠি দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আবু তাহেরের সই করা পৃথক দুটি চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের হজ মৌসুমে আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সি লি: (হজ লাইসেন্স নম্বর ০৬৭২) এর অধীনে ৪৪৮ জন হজযাত্রীর নিবন্ধন হয়েছে। এজেন্সিটিতে নিবন্ধিত হজযাত্রীদের মধ্যে অদ্যাবধি কোনও ভিসা করা হয়নি। অবস্থায় এজেন্সিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সাথে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। এতে এজেন্সিটিতে নিবন্ধিত হজযাত্রীদের প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে এবং তাদের বছর হজে যাওয়া অনিশ্চিত হতে পারে।  অবস্থায় আল রিসান ট্রাভেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সালাম মিয়া যাতে দেশ ত্যাগ করতে না পারে এবং একইসাথে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, ভিসা কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে এজেন্সির মালিক গা ঢাকা দেয়। অফিসে যোগাযোগ করলে তাদের ভিসা আবেদন করা হয়েছে এমন তথ্য জানানো হয় হাজীদের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত একজনেরও ভিসা হয়নি এমন তথ্য জানার পর হাজীরা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে এজেন্সির মালিককে গ্রেফতার তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

এদিকে রংপুরে দিয়া ইন্টারন্যাশনাল নামে আরেকটি হজ এজেন্সির ৭৫ জন যাত্রীর হজযাত্রা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এজেন্সির মালিকলিডএজেন্সির সঙ্গে সমন্বয় না করে ৭৫ জন যাত্রীর তিন কোটি টাকা নিজেদের নামে করা এজেন্সির ব্যাংক হিসাবে নিয়েছেন। ফলে হজযাত্রীদেরও হজযাত্রা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।

এর প্রেক্ষিতে ওই হজ এজেন্সির চেয়ারম্যান ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।


হজযাত্রী   লাপাত্তা   মালিক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

টঙ্গীতে প্লাস্টিক কারখানায় আগুন

প্রকাশ: ১০:৪৫ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি প্লাস্টিক কারখানায় আগুন লেগেছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাত পৌঁনে ১১টার দিকে টঙ্গীর সিলমুন মোল্লার গ্যারেজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আবু মোহাম্মদ সাজেদুল কবির জোয়ার্দার বলেন, কারখানাটিতে প্লাস্টিকের দানা তৈরি করা হতো। আগুনের খবর পেয়ে প্রায় এক ঘণ্টা যাবত আমাদের তিনটি ইউনিটের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করে।

প্রায় এক ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এখন ডাম্পিংয়ের কাজ চলছে। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। 


আগুন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কাঁচা মরিচের কেজি দেড়শ টাকা ছাড়িয়েছে

প্রকাশ: ১০:০৬ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

কোরবানির ঈদের মাসখানেক বাকি। ইতিমধ্যে বাজারে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে গেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম প্রতি কেজি ৮০-১০০ থেকে বেড়ে ১৫০-১৬০ টাকা হয়েছে। গত কোরবানির সময়ে ঢাকায় কাঁচা মরিচের কেজি ৭০০ টাকায় উঠেছিল।

বছরের এই সময়ে দেশে কাঁচা মরিচের কিছুটা সংকট থাকে। তাতে আমদানি করে প্রয়োজন মেটাতে হয়। এবার দাম বাড়তে থাকলেও সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। বাজারে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম উচ্চ মূল্যে স্থিতিশীল।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃষ্টির কারণে মরিচের সরবরাহ কমেছে। এতে বাড়ছে দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা বেড়েছে। এদিকে বাজারে গ্রীষ্মকালীন মরিচের গাছ এখন শুকিয়ে এসেছে। ফলনও আগের তুলনায় কমে এসেছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সঙ্গনিরোধ শাখা সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত দেশের বাইরে থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি (আইপি) দেওয়া হয়নি। তবে বাজার পর্যালোচনা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।


কাঁচা মরিচ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দেশে দরিদ্র মানুষের খাবারের ব্যয় বেড়েছে ৫৮ শতাংশ

প্রকাশ: ০৯:৪৯ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েই চলছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) চলতি মাসে বাংলাদেশের খাদ্যমূল্য পরিস্থিতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, খানা জরিপ অনুযায়ী, ২০২২ সালে দেশের দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা মানুষের খাবার কেনার খরচ ছিল প্রতি মাসে মাথাপিছু হাজার ৮৫১ টাকা। গত দুই বছরে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে মাথাপিছু খাবার কেনার খরচ বেড়ে হয়েছে দুই হাজার ৯২৩ টাকা; যা দুই বছর আগের তুলনায় ৫৮ শতাংশ বেশি।

সরকারি বেসরকারি সব হিসাব বলছে, গত দুই বছরে দেশের মানুষের আয় বাড়লেও এই সময়ে ধারাবাহিকভাবে মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের আশপাশে থেকেছে। সামগ্রিকভাবে দেশের প্রধান খাদ্যগুলোর দাম বেড়েছে। বিশেষ করে চাল, আটা আমিষের প্রধান উৎস মুরগির মাংস, ডিম, মাছ সবজির দাম বাড়তির দিকে। বেড়েছে আলু, পেঁয়াজ, আদা, কাঁচা মরিচ ফলের দামও।

ডব্লিউএফপি গত মাসে (এপ্রিল) বাংলাদেশের খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রভাব নিয়ে আরেকটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যায়, গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের ১৭ শতাংশ মানুষ খাদ্যঝুঁকিতে ছিল; যা এর আগের মাসের তুলনায় শতাংশ বেড়েছে। দেশের ৬৮ শতাংশ মানুষ জীবনযাত্রার ব্যয় কমিয়ে টিকে থাকার চেষ্টা করছে। আর ৪৩ শতাংশ মানুষ বাকিতে খাবার কিনছে। ২২ শতাংশ মানুষ স্বাস্থ্য চিকিৎসা বাবদ খরচ কমিয়েছে। আর ১৩ শতাংশ মানুষ সঞ্চয় ভাঙছে। খাদ্যঝুঁকিতে থাকা মাত্র ২১ শতাংশ মানুষ বাইরে থেকে সহায়তা পাচ্ছে।

ডব্লিউএফপির চলতি মাসের বাজার তদারকি প্রতিবেদন বলছে, মাথাপিছু খাদ্যের দাম দেশের একেক বিভাগে একেকভাবে বেড়েছে। চট্টগ্রাম, ঢাকা সিলেটে জাতীয় গড়ের চেয়ে বেশি বেড়েছে। রংপুর, রাজশাহী ময়মনসিংহে তুলনামূলকভাবে কম বেড়েছে। বাকি এলাকাগুলোতে দাম অপরিবর্তিত আছে।

আন্তর্জাতিক বাজারে ছয় মাস ধরে গমের দাম ধারাবাহিকভাবে কমছে। ফলে বাংলাদেশেও গমের আমদানি বেড়েছে। তবে আমদানির তুলনায় গমের দাম কমেনি। মার্চে আটার খুচরা মূল্য প্রতি কেজি প্রায় ৫৭ টাকায় পৌঁছেছে; যা এর আগের মাসের তুলনায় সামান্য বেশি। দেশে গমের চাহিদার ৮৫ শতাংশ আমদানি করা হয়।

টানা চতুর্থ মাসের মতো ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে দেশে চালের দাম বেড়েছে। আমনে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে শতাংশ বেশি উৎপাদন হওয়া সত্ত্বেও দাম বেড়েছে। উৎপাদন বেশি হওয়া সত্ত্বেও চালের দাম বেশি হওয়ার কারণ হিসেবে চালকল মালিকেরা উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়াকে দায়ী করেছেন।

ডব্লিউএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের শুরু থেকে দেশে সরকারি খাদ্য মজুত কমতির দিকে ছিল। সাধারণত বছরের এই সময়ে খাদ্যের মজুত কম থাকে। কিন্তু এবার মজুতের পরিমাণ আগের থেকে কম। ফেব্রুয়ারিতে সরকারি খাদ্য মজুত ছিল ১৫ লাখ ৬০ হাজার টন। এর মধ্যে চাল ১৩ লাখ ৩০ হাজার টন, যা আগের এক বছরের তুলনায় ১৭ শতাংশ কম।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে সরকারি মজুত গত দুই মাসে আরও কমেছে। গত ১৫ মে গুদামে চাল, গম ধান মিলিয়ে মোট মজুত ছিল ১১ লাখ ১২ হাজার ৪২০ টন। এর মধ্যে চাল লাখ ৫১ হাজার ৩২৫ টন আর গম লাখ ৫১ হাজার টন। সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে চাল গমের সরবরাহ বাড়িয়ে দেওয়ায় মজুত কমছে। তবে আগামী জুন থেকে বোরো সংগ্রহ শুরু হলে মজুত বাড়তে শুরু করবে বলে মনে করছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

ডব্লিউএফপি চলতি মাসে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে ২০১৯ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত খাদ্য পরিস্থিতির পরিবর্তনের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, সংকটের সময় বাংলাদেশে খাদ্য ব্যবস্থাপনা বহুমুখী সমস্যার মধ্য দিয়ে গেছে। কোভিড-১৯ সংকটের পর ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশে খাদ্য আমদানি কমে আসে। এর আগে ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে খাদ্যপণ্যের উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। ছাড়া ২০১০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত গবাদিপশুর উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার গণমাধ্যকে বলেন, ‘আমাদের খাদ্য উৎপাদন যথেষ্ট ভালো। আর সার, জ্বালানি তেলসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় চালের উৎপাদন খরচও বেড়েছে। ফলে চালের দাম আরও কমাতে গেলে কৃষক উৎপাদন কমিয়ে দেবেন। তখন চালের জন্য আমাদের আবারও আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর নির্ভর করতে হবে।

ডব্লিউএফপির হিসাব অনুযায়ী, ২০১৩-১৪ সালে খাদ্য মূল্যস্ফীতি প্রায় শতাংশে পৌঁছায়। এর আগে ছিল দশমিক শতাংশ। ২০২৩ সাল থেকে খাদ্য মূল্যস্ফীতি দ্রুত বাড়তে থাকে। ওই বছরের অক্টোবরে তা ১৩ শতাংশে পৌঁছায়।

সংকট শুরু হওয়ার পর অর্থাৎ ২০১৭ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে খাদ্যের দাম ৭৫ শতাংশ বেড়ে যায়। এর মধ্যে শক্তি জোগায় এমন খাদ্যগুলোর দাম ২৫ শতাংশ বেড়ে যায়। চাল গমের মতো দানাদার খাদ্য, চিনি, ভোজ্যতেল, মাছ, মাংস মুরগির মতো প্রাণিজ আমিষ সবজি, দুধ ডিমের মতো পুষ্টিকর খাবারের দামও বেড়ে যায়।


দরিদ্র   মানুষ   খাবার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দুবাইয়ে গোপন সম্পদ ৫৩২ বাংলাদেশির, শীর্ষে ভারত ও পাকিস্তান

প্রকাশ: ০৯:৩১ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরের আবাসনবাজার বেশ রমরমা। বিভিন্ন দেশের সেলিব্রিটি থেকে শুরু করে সন্দেহভাজন অপরাধীরাও এখানে বিনিয়োগ করছে। কিনছে বাড়ি ও ফ্ল্যাট। এই তালিকায় পিছিয়ে নেই বাংলাদেশিরাও।

ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরির বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে ৫৩২ জন বাংলাদেশি সেখানে বাড়ি ও ফ্ল্যাট কিনেছেন। যার মূল্য ৩৭ কোটি ৭৪ লাখ ডলার।

ফাঁস হওয়া সম্পদ কেনার ঘটনার সঙ্গে ট্যাক্স অবজারভেটরি নিজেদের আনুমানিক হিসাবও দিয়েছে। যেখানে ফাঁস হওয়া ঘটনার সঙ্গে ফাঁস না হওয়া ঘটনাও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। তবে কারা এসব সম্পদ কিনেছেন, সেই তথ্য প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।

তবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে দুবাইয়ের শতভাগ রেডিমেড (প্রস্তুত) আবাসন সম্পদ কিনেছেন বা অপ্রস্তুত আবাসন সম্পদ কেনার জন্য প্রক্রিয়া অনুসরণ করছেন এমন কিছু ব্যক্তির তালিকা ফাঁস হয়েছে।

তালিকায় ৩৯৪ জন বাংলাদেশির নাম এসেছে। ওই বছর তারা মোট ২২ কোটি ৫৩ লাখ ডলারের সম্পদ কিনেছেন। সেবার বাংলাদেশিরা মোট ৬৪১টি সম্পদ কিনেছিলেন। তবে অবজারভেটরির মতে, ওই বছর সর্বমোট ৫৩২ জন বাংলাদেশি সেখানে বাড়ি-ফ্ল্যাট কিনেছেন।

ব্যাংক লুট করে বিসমিল্লাহ গ্রুপের খাজা সোলায়মান আনোয়ার চৌধুরীসহ অন্তত ২০ জন ঋণখেলাপির সম্পদ এখন দুবাইয়ে। তালিকায় আরও রয়েছে সাবেক মন্ত্রী, রাজনীতিক, অপরাধী, অর্থ পাচারকারীদের নাম।

ওয়ান-ইলেভেনের প্রভাবশালী সাবেক সেনা কর্মকর্তারা সেখানেই অবস্থান করছেন। তাদের রয়েছে বাড়ি, দোকানসহ নানা ধরনের ব্যবসা। আমলাদের অনেকেই তাঁদের বিত্তের ঘাঁটি গড়েছেন দুবাইয়ে। তাঁদের একাধিক বাড়ি আর বিশাল সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। সদ্যবিদায়ী মন্ত্রিসভার একজন মন্ত্রী এবং তাঁর মেয়ের নাম উঠে এসেছে গোপন সম্পদের পাহাড় গড়ার তালিকায়।

গত মঙ্গলবার একটি বৈশ্বিক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা প্রকল্প ‘দুবাই আনলকড’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদনে বিশ্বের সম্পদশালীদের গোপন সম্পদের তথ্য ফাঁস করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, দুবাইয়ের আবাসন খাতে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধনাঢ্য ব্যক্তিরা। তাদের তালিকায় রয়েছেন বাংলাদেশি নাগরিকও। ৩৯৪ বাংলাদেশির ২ হাজার ৬৩৬ কোটি টাকা মূল্যের ৬৪১টি সম্পত্তি রয়েছে দুবাইয়ে। সম্পত্তির মালিকের এ তালিকায় আরও রয়েছেন বিভিন্ন দেশের বড় ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। এমনকি বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞায় থাকা ব্যক্তি, অর্থ পাচারকারী ও অপরাধীরাও সেখানে বিপুল সম্পদের মালিক।

প্রতিবেদনে ভারতের ধনকুবের মুকেশ আম্বানির পাশাপাশি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির পরিবারের সদস্যদের নাম রয়েছে। তালিকায় দেখা গেছে, দুবাইয়ে সবচেয়ে বেশি সম্পদ রয়েছে ভারতীয়দের। সেখানে ৩৫ হাজার প্রপার্টির মালিক ২৯ হাজার ৭০০ ভারতীয়। এ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন পাকিস্তানিরা। দেশটির ১৭ হাজার নাগরিকের দুবাইয়ে ২৩ হাজার প্রপার্টি রয়েছে। এর মূল্য ১ হাজার ২৫০ কোটি ডলার।



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন