নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০১ পিএম, ২৫ জানুয়ারী, ২০২১
আগামী ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হচ্ছে চট্রগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচন । কাল বাদ পরশু এই চসিক নির্বাচন । নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার তারিখ কাছে আসার সাথে সাথে বাড়ছে টান টান উত্তেজনা । তবে আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দল , বিএনপির রাজনীতিতে ফিরে আসার পায়তারা , বিদ্রোহীদের নানান ষড়যন্ত্র ও সাথে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অগ্নি পরীক্ষা দিয়ে এ নির্বাচন এখন নানান প্রশ্নের ঊর্ধ্বে । কে জেতল কে হারল সেটা মুখ্য না এ নির্বাচনটা হয়ে গেছে এখন মর্যাদার লড়াই । গণতন্ত্র জয়ের লড়াই ।
নানানা কোন্দল ও অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে বিশেষ টিম দিয়ে নিজে নির্বাচনগুলো নজরদারি করছেন । ইতিমধ্যে নেতা এসএম কামাল হোসেন, ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া ,সেলিম হোসেন সহ কেন্দ্রীয় নেতারা সবাই চট্টগ্রামে অবস্থান করছেন । বিএনপির দিক থেকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, হাবিবুন নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ কেন্দ্রীয় নেতারা নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা ও নানান কাজে তারা চট্রগ্রামেই । সব মিলিয়ে নির্বাচন একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে গিয়েছে । আবার নির্বাচন কমিশনের জন্য এ নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ কারণ ইতিমধ্যে তারা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে কারণ সুশীল সমাজ ও বিএনপি বলছে যে, এই নির্বাচন কমিশন এর আওতায় কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় । সেখান থেকে একটি অবাধ, দৃশ্যমান, সুষ্ঠু , ভালো নির্বাচন করা নির্বাচন কমিশনের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে । ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনের প্রধান গতকাল চট্রগ্রামে ভিজিট করেছেন এবং বলেছেন ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ হবে । কাজেই চট্টগ্রামে নির্বাচনের যেটা মূল লক্ষ্য সেটা হল নির্বাচনের ফলাফল এবং তার চেয়েও যেটা বড় বিষয় সেটা হলো একটি দৃশ্যমান, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ।
কারণ এর আগে নির্বাচনগুলোতে দেখা গিয়েছে যে ,বিএনপি অভিযোগ তুলেছে তাদের পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হচ্ছে , নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে না , তাদের ভোটাররা ভোট দিতে পারছেন না এজন্য তারা একের পর এক নির্বাচন বয়কট করছে । এই নির্বাচনে দ্বিতীয় প্রবণতা দেখা যাচ্ছে নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি একেবারেই নগণ্য সংখ্যক । কয়েকটা পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের জটলার কারণে ভোটাররা ভোট দিয়েছে কিন্তু বাকি গুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি কম এবং এটা গণতন্ত্রের জন্য শুভ লক্ষণ নয় । নির্বাচন কমিশন একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচনের দিন ছুটি না রাখাটা । এ অবস্থায় ভোটাররা এখন কিভাবে ভোট দেবে সেটাও এখন একটি প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সমস্ত কিছুর পরেও কোনো নির্বাচন হলেও সেখানে কেউ জিতবে কেউ হারবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু ভোট টা যেন অবাধ সুষ্ঠু , নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য হয় এবং ভোট নিয়ে আম জনতার মধ্যে যে অনীহা অনাস্থা সেখান থেকে মানুষ যেন ফিরে আসে সে ক্ষেত্রে চসিক নির্বাচন একটি টেস্ট কেস হয়ে দাঁড়াতেই পারে ।
কারণ চট্টগ্রাম হলো ঢাকার পরে দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর । ঢাকার পর দেশে ব্যবসা বাণিজ্য তথা শিল্পে সবচেয়ে বেশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন হয় চট্টগ্রাম থেকে । সুতরাং চট্টগ্রামকে বলা যেতে পারে দেশের জন্য ওয়ান ওফ দ্যা টপ লাইফ লাইন । কাজেই চট্টগ্রামে যদি সুষ্ঠ ভোট হয়, মানুষ যদি ভোট দেয় একটা যদি দৃশ্যমান সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হয় তাহলে পরে এতদিনে যে অনাস্থা অনীহা জনসাধারণের মধ্যে ছিল তা অনেকটাই লাঘব হবে । এ ব্যাপারে রাজনীতি বিশ্লেষজ্ঞরা বলছে যে , সবাই আশা করছে আসন্ন চসিক নির্বাচন হবে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ । যেখানে সবচেয়ে বড় স্থান দেওয়া হবে জনগণকে, জনগণের অধিকারকে , নীতি নৈতিকতা ও ভোট গ্রহণের মৌলিকতাকে । তারা আরো বলছেন যে, কম সংখ্যক ভোটার দিয়ে ভোটগ্রহণ সংস্কৃতি বাংলাদেশের নয় বরং বাংলাদেশের মানুষ ভোটটাকে উৎসব মুখর হিসেবে দেখতে চায় ।
তবে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের কোন্দল জর্জরিত আসন্ন চসিক নির্বাচনে চট্টগ্রামে কে জিতল কে হারল সেটা বিষয় না নয় বরং আমজনতা , বিজ্ঞ জনমহল , রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং সবার প্রত্যাশা একটাই এই নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার আগের ভোটমূখর উৎসব রঙিন পরিচিতি ফিরে পাক এবং শান্তিপূর্ণ ও সহিংসতাহীন ভোটে লাল সবুজের বাংলাদেশ পাক আবারো গণতন্ত্রের জয় ।
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন।
শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপিকে উপহাস করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণঅভ্যুত্থান থেকে তারা লিটলেট বিতরণ কর্মসূচিতে নেমে এসেছে। এবার বুঝুন তাদের অবস্থা।
তিনি বলেন, সরকারের ধারাবাহিকতার কারণেই আজ দেশের এত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি হয়েছে। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন, কিন্তু বিএনপি এবং মির্জা ফখরুল বাকশালকে গালিতে পরিণত করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমও লিখছে ভারত বিরোধিতার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখবে বিএনপি। ভারত প্রশ্নে এখন মধ্যপন্থা নিতে চায় বিএনপি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশে গণতন্ত্রের কোনো ঘাটতি নেই, সংসদ এবং সংসদের বাইরেও সরকারের বিরোধিতা জারি আছে। সরকার কোনো দল বা গোষ্ঠীর ওপর দমনপীড়ন চালাচ্ছে না। গণতন্ত্রের বিচারে বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন। শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।