ইনসাইড বাংলাদেশ

আমাদের পররাষ্ট্রনীতির মূলমন্ত্র সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১:৪৫ পিএম, ২৮ জানুয়ারী, ২০২১


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্র নীতির মূলমন্ত্র হচ্ছে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়। এই নীতিমালা জাতির পিতা আমাদের দিয়ে গেছেন। আর এই নীতিমালা অনুসরণ করেই আমরা আন্তঃরাষ্ট্রীয় সুসম্পর্ক বজায় রেখে এগিয়ে যাচ্ছি। 

তিনি বলেন, আজ কেউই বলতে পারবে না যে, বাংলাদেশের সাথে কোনো দেশের বৈরী সম্পর্ক আছে। আমরা সবার সঙ্গেই মোটামুটি একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে চলছি।’

বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজের `ডিএসসিএসসি ২০২০-২০২১` কোর্সের স্নাতক সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক ঐক্য নিয়ে বাংলাদেশ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। অভ্যন্তরীণ সম্পদসহ নানা ধরনের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আমরা বিপন্ন মানবতার ডাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। মিয়ানমার থেকে আমাদের দেশে প্রায় ১০ লাখের মতো রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। আমরা তাদেরও আশ্রয় দিয়েছি। আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও উন্নয়নের স্বার্থে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের যে নাগরিকদের আশ্রয়দান এবং তাদের নিজ দেশে যাতে ফিরে যেতে পারে, তার ব্যবস্থার জন্য আমরা কিন্তু কারো সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্বে লিপ্ত হইনি।

তিনি আরো বলেন, আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। আলোচনার মাধ্যমে তারা তাদের নাগরিকদের যেন ফিরিয়ে নিয়ে যায়। একটা বন্ধুসুলভ মনোভাব নিয়েই আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। তবে যারা অন্যায় করছেন, নিশ্চই আমরা সেটা বলব, কিন্তু তারপরও তাদের নাগরিকদের তারা ফেরত নেবে, সেটা আমরা চাই। আমরা এতগুলো বাস্তুচূত মানুষ যারা নির্যাতিত হয়েছিল, তাদের আশ্রয় দিয়েছি, এ জন্য সারা বিশ্ব বাংলাদেশকে সাধুবাদ জানাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘নানা প্রতিকূলতা ও ঝুঁকিসহ কোভিড-১৯ মহামারির মধ্য দিয়ে আমরা নতুন বছর ২০২১ সালে পদার্পণ করেছি। ২০২০ সালে আমরা জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন করেছি, ২০২১ সাল হলো আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের বছর। করোনাভাইরাস সারা বিশ্বের সবকিছু স্তিমিত করে রেখেছে। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন থেকে শুরু করে সব কিছুতেই একটা স্থবিরতা নেমে এসেছে। 

তিনি বলেন, এর মধ্যেও দেশের মানুষের স্বাস্থ্যগত বিষয়ের পাশাপাশি আমরা দেশের অর্থনীতিসহ সব উন্নয়ন কার্যক্রম যেন অব্যাহত থাকে, তার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এবং আমরা অনেক ক্ষেত্রেই সফলতা অর্জন করেছি। এরই ধারাবাহিকতায়, সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজ নিজস্ব উদ্ভাবিত উপায়ে অত্যন্ত অল্প সময়ে এবং কম খরচে নিরাপদ ইলিয়নি সলিউশন স্থাপন করে নিজস্ব সার্ভার ও ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থীদের নিরাপদ অনলাইন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন। ফলে এক দিনের জন্যেও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ব্যাহত হয়নি। সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজের এই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয় ও অনুকরণীয়। তাই এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব সদস্যদের জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।’

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজ বাংলাদেশের প্রাচীনতম ট্রাই সার্ভিস প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রথম বছরে ছিল মাত্র ৩০ জন এবং আজ তা বেড়ে ২২৫ জনে উন্নীত হয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৪৩টি বন্ধুপ্রতীম দেশের এক হাজার ২০৮ জন অফিসার এই কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন লাভ করেছেন। তারা প্রত্যেকেই নিজ নিজ দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। এই কোর্সেও ১৬টি বন্ধুপ্রতীম দেশের ৪৩ জন বিদেশি কর্মকর্তাসহ আজ ২২৫ জন সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন।

অনুষ্ঠানে ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মোট ২২৫ জন প্রশিক্ষণার্থীকে শিক্ষা সনদ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদের মধ্যে ১৮২ জন বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য। আর ৪৩ জন ১৬টি দেশের সশস্ত্র বাহিনী থেকে প্রশিক্ষণে অংশ নেন।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তিন দিনের সফর শেষে ঢাকা ছাড়লেন ডোনাল্ড লু

প্রকাশ: ১০:২১ এএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

তিন দিনের সফর শেষে ঢাকা ছেড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে তিনি ঢাকা ছাড়েন।

ডোনাল্ড লু ঢাকা সফরকালে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের দেওয়া এক নৈশভোজে যোগ দেন।

তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী ও পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। ডোনাল্ড লু নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন।

বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্স ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ টি টোয়েন্টি জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের সঙ্গে ক্রিকেট প্রীতি ম্যাচে অংশ নেন ডোনাল্ড লু।

উল্লেখ্য, গত ১৪ মে তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসেন ডোনাল্ড লু।  


ডোনাল্ড লু   মার্কিন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সুনামগঞ্জে ডেটোনেটর সদৃশ বস্তু বিস্ফোরণে আহত ৩


Thumbnail

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ইলেকট্রনিক্স ডেটোনেটর সদৃশ বস্তু বিস্ফোরণে ৩ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার শ্রীপুর বাজারে মোবাইল সার্ভিসিং’র দোকানে বিকট শব্দে বিস্ফোরনের ঘটনাটি ঘটে।

 

এঘটনায় আহতরা হলেন, উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের তরং গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে মোবাইল মেকানিক আনোয়ার আলম এবং একই গ্রামের মৃত কফিল মিয়ার ছেলে নুরুল হুদা ও তার সহোদর আনিস মিয়া।

 

আহতদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় আনোয়ার আলম ও নুরুল হুদাকে বুধবার (১৫ মে) রাতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহত আনিসকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

 

আহত আনোয়ার আলমের ভাই মাহবুব আলম বাছির বলেন, ‘দোকানে শ্রীপুর গ্রামের মৃত ইসকন্দর আলীর ছেলে সাজু ছোট কলম আকৃতির দুটি বৈদ্যুতিক তার সংযুক্ত সিলভার রঙের একটি ইলেকট্রনিক্স সাদৃশ্য সামগ্রী নিয়ে আসে পাওয়ার চেক করার জন্য। প্রথমে আমার ভাই মাল্টিমিটারে বৈদুত্যিক তার দুটি পরীক্ষা করেন। এরপর এসি লোড টেষ্টারে ফের পাওয়ার চেক করার জন্য বৈদ্যুতিক তার দুটি সংযুক্ত করার সাথে সাথে বিকট শব্দে বিষ্ফোরন ঘটে আমার ভাই সহ সার্ভিসিং সেন্টার থাকা অপর দুই সহোদর গ্রাহক আহত হন।’

 

শ্রীপুর গ্রামের সাজুর নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি একটি দুর্ঘটনা। আমি মঙ্গলবার (১৪ মে) চারাগাঁও সীমান্তের চারাগাঁও শুল্ক ষ্টেশনের চুনাপাথরের ডিপোতে ছোট কলম আকৃতির দুটি বৈদ্যুতিক তার সংযুক্ত সিলভার রঙের একটি ইলেকট্রনিক্স সাদৃশ্য সামগ্রী পাই, এরপর এটি পরীক্ষা করার জন্য মোবাইল সার্ভিসিং’র দোকানে নিয়ে গেলে বিষ্ফোরণ ঘটে।’

চারাগাঁও শুল্ক ষ্টেশনের চুনাপাথর আমদানীকারকগণের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ভারতের চুনাপাথর খনিতে চুনাপাথর ভাঙ্গার জন্য সেখানকার রফতানীকারক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কোয়ারীতে এক ধরণের ইলেকট্রনিক্স ডেটোনেটর (উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিষ্ফোরক) ব্যবহার করে থাকে। যেটি বুধবার সন্ধায় শ্রীপুর বাজারে বিস্ফোরিত হয়েছে সেটি ইলেকট্রনিক্স ডেটোনেটর হতে পারে।

তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের নিকট বিষ্ফোরকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্যান্সিল ব্যাটারী জাতীয় কোন সামগ্রী যা পাওয়ার চেক করতে গিয়ে বিষ্ফোরণ ঘটে, এতে তিন জন আহত হয়েছেন।’


ডেটোনেটর   বিস্ফোরণ   আহত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যেভাবে কেটেছে ‘এমভি আবদুল্লাহ’র ২৩ নাবিকের বন্দিজীবন

প্রকাশ: ০৯:৩৫ এএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ‘এমভি আবদুল্লাহ’ জাহাজটি নাবিকেরাসহ গত মঙ্গলবার (১৪ মে) দেশে ফিরেছেন। পরে বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা সেরে জিম্মি হওয়া জাহাজটির মাস্টার ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ জিম্মি দশার শেষ দিকের ঘটনা ও বন্দিজীবনের কিছু তথ্য তুলে ধরেন।

ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ বলেন, ‘আমি আমার এ পেশাকে অত্যন্ত ভালোবাসি। পছন্দ করি। যদি সুস্থ থাকি, আবার যাব সমুদ্রে। জাহাজে ঈদের নামাজের ধারণ করা ছবি বাইরে চলে যাওয়ায় দস্যুরা খেপে যায়। জাহাজের চিফ অফিসারের (আতিক উল্লাহ খান) ক্যামেরায় ঈদের নামাজের ছবি ধারণ করা হয়েছিল। এ জন্য দস্যুরা অ্যাকশন নিতে চেয়েছিল। বিষয়টি জানার পর দস্যুদের যে কমান্ডার ছিল, তাকে জড়িয়ে ধরে শান্ত করেছি। না হলে ওদের কড়া নির্দেশ ছিল, চিফ অফিসারকে মারার জন্য। যে ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলা হয়েছে, সেটি দস্যুরা নিয়ে গেছে। ক্যামেরা আর ফেরত দেয়নি।’

জাহাজটি মুক্ত হওয়ার পর সোমালিয়া থেকে আরব আমিরাতের বন্দরে পণ্য খালাস ও নতুন পণ্য বোঝাই করে সোমবার জাহাজটি বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়ায় নোঙর করে। সেখান থেকে আরেকটি ছোট জাহাজে করে মঙ্গলবার বিকেলে নাবিকেরা বন্দরে ফেরেন।

গত রোববার (১২ মার্চ) সোমালিয়ার দস্যুরা ভারত মহাসাগর থেকে কেএসআরএম গ্রুপের জাহাজটি জিম্মি করে। প্রায় এক মাস পর মুক্তিপণের বিনিময়ে জাহাজটি ছেড়ে দেয় দস্যুরা। জাহাজটি মুক্ত হওয়ার পর সোমালিয়া থেকে আরব আমিরাতের বন্দরে পণ্য খালাস ও নতুন পণ্য বোঝাই করে সোমবার জাহাজটি বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়ায় নোঙর করে। সেখান থেকে আরেকটি ছোট জাহাজে করে মঙ্গলবার বিকেলে নাবিকেরা বন্দরে ফেরেন।
জিম্মি দশার শুরুর দিনগুলোর কথা তুলে ধরে ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ বলেন, ‘জিম্মি দশার প্রথম দিন সবাই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। ভীতসন্ত্রস্ত ছিলেন। যেহেতু আমরা কেউ আগে এ ধরনের পরিস্থিতির শিকার হইনি। এ ধরনের অস্ত্রও দেখিনি। দস্যুদের হাতে ভারী অস্ত্রশস্ত্র ছিল। স্বাভাবিকভাবেই সব নাবিক ভীত ছিল। এমন পরিস্থিতিতে দেখলাম, আমি যদি দুর্বল হয়ে যাই তাহলে সব নাবিক মানসিকভাবে ভেঙে পড়বে। বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হবে। এটা হতে দিইনি। এর ফলে আমরা অক্ষত অবস্থায় ফিরতে পেরেছি। এমন পরিস্থিতিতে দেখলাম, আমি যদি দুর্বল হয়ে যাই তাহলে সব নাবিক মানসিকভাবে ভেঙে পড়বে। বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হবে। এটা হতে দিইনি। এর ফলে আমরা অক্ষত অবস্থায় ফিরতে পেরেছি।

ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ

বন্দিজীবনের দিনগুলোর কথা তুলে ধরে ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে জাহাজে খাবারের সংকট বেশি ছিল না। পানির মজুত ছিল। তবু আমরা পানির সংকটের কথা বেশি করে বলেছি। দস্যুদের মানসিকভাবে দুর্বল করার জন্য এটা কৌশল ছিল। আপনারাও প্রচার করেছেন। এটা আমাদের সাহায্য করেছে।’

দস্যুদের হাতে বন্দী থাকার দিনগুলোয় কীভাবে নাবিকেরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন—জানতে চাইলে ক্যাপ্টেন বলেন, ‘আমাদের ইন্টারনেট চালু ছিল। স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম অন ছিল। ডিসপ্লে বন্ধ করে সব চালু রেখেছিলাম। এটা দস্যুদের আমরা বুঝতে দিইনি। এভাবে আমরাও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম।’

সত্যিকার অর্থে জাহাজে খাবারের সংকট বেশি ছিল না। পানির মজুত ছিল। তবু আমরা পানির সংকটের কথা বেশি করে বলেছি। দস্যুদের মানসিকভাবে দুর্বল করার জন্য এটা কৌশল ছিল। আপনারাও প্রচার করেছেন। এটা আমাদের সাহায্য করেছে।

খুব দ্রুত জিম্মি দশার অবসান হওয়ায় কেএসআরএম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ শাহজাহান, তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি নাবিকদের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানান ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ। তিনি বলেন, বন্দিদশার সময় নানা পর্যায়ে সরকার যেভাবে সহযোগিতা করেছে, তা ভোলার নয়।

এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে নতুন করে নাবিকদের ২৩ জনের দল যোগদান (সাইন ইন) করেছে। জাহাজের কর্ম থেকে অব্যাহতি (সাইন অফ) নিয়েছেন দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে দেশে ফেরা ২৩ নাবিক। আবার সাগরে যাবেন কি না কিংবা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী—জানতে চাইলে ক্যাপ্টেন বলেন, ‘আমি আমার এ পেশাকে অত্যন্ত ভালোবাসি। পছন্দ করি। যদি সুস্থ থাকি, আবার যাব সমুদ্রে।’


এমভি আবদুল্লাহ   সোমালিয়ান জলদস্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: নির্বাচনী অফিসকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ৬


Thumbnail

যশোরের শার্শায় উপজেলা নির্বাচনে নির্বাচনি অফিস করাকে কেন্দ্র করে বর্তমান চেয়ারম্যান সমর্থকদের হামলায় সাবেক চেয়ারম্যানসহ অন্তত ৬জন গুরুতর আহত হয়েছে।

 

বুধবার (১৫ মে) রাত ৯ টার দিকে উপজেলার গোগা ইউনিয়নের গোগা বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।

 

এ ঘটনায় আহতরা হলেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ (৬০), ইউনিয়ন যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দীন (৪৪), গোগা এলাকার জয়নালের ছেলে জুলফিকার আলী ভুট্রো (৪০), একই এলাকার নুর ইসলামের ছেলে আব্দুল ওহাব (৪৫) ও ইদ্রিস (৪৫) ।

 

তাদেরকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। উল্লেখ্য আগামী ২১ মে যশোরের শার্শা উপজেলায় নির্বাচন হতে যাচ্ছে। 

 

স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে,প্রায় ৩/৪ মাস আগে গোগা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান তবিবর রহমান সহ তার লোকজন সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদের গোগা বাজারে অবস্থিত একটি ভাড়াটিয়া মুদি দোকান জোরপূর্বক  দখল করে নেয় এবং দোকানে তালা দিয়ে দোকানের চাবি বাজার কমিটির সেক্রেটারি ইউনিয়ন যুব লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর নিকট রক্ষিত রাখে। বুধবার (১৫ মে) ঘটনার সময়ে রশিদ চেয়ারম্যান উক্ত দোকান ঘরটি উপজেলা চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী সোহারাব হোসেনের পক্ষে নির্বাচনী অফিস করার লক্ষ্যে মোহাম্মদ আলীর নিকট দোকানের চাবি চাইলে দিবেনা বলে জানিয়ে দেয়।

 

এসময় তিনি উক্ত দোকানের তালা ভেঙে দোকানে প্রবেশ করে এবং চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী সোহরাব হোসেনের নির্বাচনী অফিস হিসাবে ঘোষনা করেন।

 

এসময় বর্তমান চেয়ারম্যান তবিবরকে দোকানের তালা ভাঙ্গার বিষয় টি অবগত করে তরিকুল মেম্বার, বাবুল, শাহ আলম মেম্বার, সাহেব আলী সহ আরো ১০/১২ জনের একটি বাহিনী লাঠি ও দেশিয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর আতর্কিত হামলা চালায়।

 

সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ জানান, ‘আমরা উপজেলা নির্বাচনে দোয়াত-কলম মার্কার প্রার্থী সোহারাব হোসেনের জন্য ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ভোট প্রার্থনা করে গোগা বাজারে এসে জসিম এর দোকানে বসে ছিলাম। আমাদের পক্ষে দিন দিন জনসমর্থন দেখে তবি ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী সয্য করতে না পেরে তারা আমাদের উপর আতর্কিত হামলা চলিয়ে আমি সহ আমার ৫/৬ জন নেতাকর্মীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।’

নাভারন সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান জানান, ‘এ ঘটনায় রাতে থানায় একটি মামলা হয়েছে এবং ঘটনার সাথে জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে। গোগা ও ভুলোট এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’ 


উপজেলা নির্বাচন   নির্বাচনী অফিস   সংঘর্ষ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘পিডাইয়া লম্বা করে দেওয়ার নির্দেশ’

প্রকাশ: ০৯:০৭ এএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে সহযোগিতাকারীদেরপিটিয়ে লম্বা করে দেওয়ার নির্দেশ আছেবলে হুমকি দিয়েছেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার।

মঙ্গলবার (১৪ মে) রাতে একটি নির্বাচনি সভায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন- “যারা তাদের সহযোগিতা করে আগে তাদের পিটাইয়া লম্বা করেন। একদম সোজা করে পিডান। এটা আমাদের বহু উপরের নির্দেশ, এটা অনেক উপরে আলোচনা হইছে।

গোলাম সারওয়ার কুমিল্লা-১০ (কুমিল্লা সদর দক্ষিণ, লালমাই নাঙ্গলকোট) আসনের সংসদ সদস্য সাবেক অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামালের ছোট ভাই। তিনবারের উপজেলা চেয়ারম্যান সারওয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির পদে রয়েছেন।

মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে সদর দক্ষিণ উপজেলার বিজয়পুর বাজারে নিজের কাপ-পিরিচ প্রতীকের পথসভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন তিনি। তার এই বক্তব্যের ভিডিও সোশাল মিডিয়াতেও ছড়িয়েছে। সেখানে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তাকে বলতে শোনা যায়, “যার যা আছে তা নিয়ে আপনারা প্রস্তুত হন। সাড়ে তিন হাইত্যা লাডি, আড়াই হাইত্যা লাডির চেয়ে বড় কোনো অস্ত্র অইতে পারে না। এডা আরম্ভ করেন, দেখবেন সব দালালের দালালি বন্ধ হয়ে যাবে। সব সোজা হয়ে যাবে।

এসব বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গোলাম সারওয়ার রাতে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “হ্যাঁ আমি এসব বলেছি। সমস্যা কী? এতে কি আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে? আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। প্রতিনিয়ত আমার নেতাদের হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে। আত্মরক্ষার্থে আমি এসব কথা বলেছি।

২১ মে দ্বিতীয় ধাপে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে। উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন তিনজন।

হেলিকপ্টার প্রতীকের আবদুল হাই বাবলু কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের টানা তিনবারের ভাইস চেয়ারম্যান কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। বাবলু কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বাহাউদ্দিন বাহারের অনুসারী। অপর চেয়াম্যান প্রার্থী হলেন- ব্যবসায়ী আনারস প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান রিপন।

প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, “একটি অবাধ সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছে। আশা করছি প্রার্থীরা এমন কোনো বক্তব্য দেবেন না- যাতে করে সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ নষ্ট হয়।


উপজেলা   পরিষদ   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন