নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
১৫ জুলাই বাইরে কোনো কর্মসূচী ছিল না আওয়ামী লীগ সভাপতির। সারাদিন সুধাসদনেই ছিলেন। স্বামী ওয়াজেদ মিয়া কদিন ধরেই অসুস্থ। দুপুর নাগাদ শেখ হাসিনার কাছে বার্তা আসে, তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। এসময় তার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী, বিচিত্রা সম্পাদক প্রয়াত বেবী মওদুদ তখন তার সঙ্গে ছিলেন। শেখ হাসিনা গ্রেপ্তারের তথ্য পাওয়ার পর হাসলেন। বিকেলে ড: হাছান মাহমুদ সহ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বললেন। সবাইকে সংগঠন পরিচালনার নানা নির্দেশনা দিলেন। রাতে মুশুলধারে বৃষ্টি শুরু হলো। বাংলাদেশে এই সময় ঝড় বৃষ্টি স্বাভাবিক ব্যাপার। রাত আটটা থেকেই গোটা ধানমন্ডী এলাকায় অবস্থান নেয় যৌথবাহিনী। ধানমন্ডী প্রবেশের সব সড়ক বন্ধ করে দেয়া হয়। মধ্যরাতের পর ৫০টি গাড়ীর বহর নিয়ে সুধাসদন অভিযানে আসেন যৌথ বাহিনী। এই বাহিনীতে র্যাব এবং পুলিশের সদস্যরা ছিলো। শেখ হাসিনাকে জানানো হয় যে যৌথ বাহিনী এসেছে। তিনি ছিলেন নামাজরত। তসবিহ হাতে নিয়েই তিনি তার বেড রুম থেকে বের হন। কর্তব্যরত প্রধান অফিসারকে ডাকেন। ঐ র্যাব কর্মকর্তা জানান, তার (শেখ হাসিনার) বাসা তল্লাশি করা হবে এবং তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হবে। শেখ হাসিনা বলেন ‘ঠিক আছে। আমি তো পালিয়ে যাচ্ছি না, তোমরা বসো চা পান করো। বাসায় মানুষকে সবাইকে চা-বিস্কিট দিতে বললেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। এরপর শান্ত সৌম্য শেখ হাসিনা বললেন আমাকে কয়েকটা ফোন করতে হবে। প্রথম ফোন করলেন আওয়ামী লীগ নেত্রী সাহারা খাতুনকে। শেখ হাসিনা বললেন ‘সাহারা আপা, আমাকে গ্রেপ্তার করেছে। আপনি কোর্টে আসবেন, মামলাগুলো দেখবেন, আর দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখবেন।’ সাহারা খাতুন উত্তরে বললেন ‘নেত্রী আপনি কোনো অন্যায় করেননি। আপনি বিজয়ী হয়েই বেরিয়ে আসবেন। জয় বাংলা।’ ফোন রেখেই সাহারা খাতুন তার উত্তরার বাসা থেকে সুধাসদনের উদ্দেশ্যে রওনা হন। শেখ হাসিনা দ্বিতীয় ফোন করেন তত্বাবধায়ক সরকারের প্রভাবশালী উপদেষ্টা ব্যরিস্টার মঈনুল হোসেনকে। শেখ হাসিনা বলেন ‘কাজটা ঠিক করলেন না। আপনাকে আমার কাছে একদিন আসতে হবে। সেদিন আমি মনে রাখবো।’ ধীর স্থির শেখ হাসিনা এরপর কথা বলেন বেগম মতিয়া চৌধুরীর সাথে। তারপর নিজের রিডিং টেবিলে বসে একটা ছোট চিঠি লেখেন। ঐ চিঠিতে তিনি তাকে রাজনীতি থেকে সরানোর জন্য মিথ্যা মামলা সাজানো হয়েছে বলে মন্তব্য করে, আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেন জিল্লুর রহমানকে। আর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে।
আগামীকাল, পর্ব-২৬ : ফাইল ফিরিয়ে দিলো শেখ হাসিনার আইনজীবীরা
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান
বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি ভোটার ও প্রার্থীদের ধারণা পাল্টিয়েছে, বিশ্বাস জন্মেছে।
তার কারণেই প্রার্থীরা আবারও ভোটাদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে। প্রার্থীরা ভোটাদের দ্বারে
যাওয়ার যে সংস্কৃতি সেটা আবারও ফিরে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) যশোর শিল্পকলা
একাডেমির মিলনায়তনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে
অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যশোর, নড়াইল ও মাগুরার জেলার প্রার্থী নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে
মতবিনিময় শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা বলেন।
একদিন বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন বিশ্বের
রোল মডেল হবে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৩৬ শতাংশ
এ সময়ে অনেক। দেশের কয়েকটা রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নেয়াতে ভোটার উপস্থিতি কম।
আগামীতে দেশের যত ভোট আসছে, ততই আমাদের ভোটের পরিবেশ, ভোট গ্রহণ পরিবর্তন ঘটছে। বিগত
সময়ে নির্বাচন নিয়ে কি ঘটেছে সেটা ফিরে তাকানোর আর কোন সুযোগ নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন
কমিশন সকল বির্তক, সমালোচনা পিছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়িয়ে দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
ইসি আহসান হাবিব বলেন, নির্বাচনে ভোটারের
উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা কাজ করবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম
ধাপে মোট ভোট গ্রহণের শতাংশ প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা এবার থেকে ভোট গ্রহণে উপজেলা ভিত্তিক
তালিকা প্রকাশ করা হবে। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা আলাদাভাবে
প্রচারণা করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যারা ভোটাদের বাঁধা দিবে তাদের প্রতিহত করবে প্রশাসন।
আমরা প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছি আইনের হাত ও ক্ষমতা অনেক বেশি। নির্বাচন বানচাল করতে
সেই ক্ষমতা কঠোরভাবে প্রয়োগ করবে প্রশাসন।
ইসি আরও বলেন, বিগত সময়ের চেয়ে বর্তমান
কমিশন সততার সঙ্গে কাজ করছে। শুধু কমিশন নয়, নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টরা সততার
সঙ্গে কাজ করছে। নির্বাচনে সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন পাস করেছে এ কমিশন। কেউ সাংবাদিকদের
কাজে বাধাগ্রস্ত করলে জেল জরিমানার বিধান করা হয়েছে। মিডিয়াকে এ অবস্থানে নেয়ার ক্ষেত্রে
এ কমিশন ও সরকার ভূমিকা রাখছে।
যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল
হাছান মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় যশোর, নড়াইল ও মাগুরা জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপাররা
বক্তব্য রাখে। সভায় যশোর, মাগুরা ও নড়াইল জেলার সকল প্রার্থী, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট উপজেলাসমূহের
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাবৃন্দ, আচরণবিধি ও আইনশৃঙ্খলা
রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাবৃন্দ
এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ
নেয়।
অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে শার্শা উপজেলা
পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রশিক্ষণে অংশ নেন ইসি আহসান
হাবিব খান।
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।