নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
আওয়ামী লীগ সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য নির্মিত হয়েছিল বিতর্কিত তথ্যচিত্র ‘অল দ্যা প্রাইম মিনিস্টারস ম্যান’। কিন্তু তথ্যচিত্র প্রচারের দুসপ্তাহ পর দেখা যাচ্ছে এই তথ্যচিত্র আওয়ামী লীগের ক্ষতি করতে পারেনি, বরং অনেক লাভ হয়েছে ক্ষমতাসীন দলটির। ডেভিড বার্গম্যান, তাসনিম খলিল এবং সামিরা যা চেয়েছিল তার উল্টো ফল হয়েছে। আসুন দেখে নেয়া যাক, এই তথ্যচিত্র থেকে আওয়ামী লীগ কিভাবে লাভবান হয়েছে।
১. সংবাদপত্রের স্বাধীনতার স্বীকৃতি: এই তথ্য চিত্র প্রচারে বাধা না দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার দৃশ্যত প্রমাণ করতে পেরেছে তারা সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। বিশেষ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সরকারের যে সমালোচনা ছিলো, তা এখন যৌক্তিক নয় বলে এই রিপোর্ট অবাধে চালাতে দিয়ে সরকার প্রমাণ করেছে।
২. ঘরের শত্রুদের চিহ্নিত করা: আল-জাজিরার রিপোর্ট দেখে একটি বিষয় বোঝা যায় এখানে যে সব ছবি এবং ক্লিপিং ব্যবহৃত হয়েছে তার বেশ কিছু বাংলাদেশ থেকে সরবরাহকৃত। এই রিপোর্ট প্রচারের ফলে, ঘরে শত্রু বিভীষণদের চিহ্নিত করা সহজ হবে।
৩. সরকার সচেতন: এই রিপোর্টের পর সরকারের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হচ্ছে। ব্লাকমেইল, গোপন ক্যামেরা নিয়ে তথ্য সংগ্রহ ইত্যাদি কসরত গুলো সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা বুঝতে পেরেছেন। ফলে এই কৌশলে ভবিষ্যতে কেউ তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করতে পারবে না।
৪. দলকে সতর্ক করেছে: এই প্রতিবেদন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে সতর্ক করেছে। শত্রু পক্ষ বিশেষ করে বিদেশে থাকা বিএনপি-জামাত গোষ্ঠী যে নানা অপতৎপরতা চালাবে, এব্যাপারে আওয়ামী লীগ সতর্ক হয়েছে। ফলে দলে অনৈক্য এবং বিভেদ কমবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
৫. দুর্নীতি কমবে: বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আল-জাজিরার রিপোর্ট কিছুটা হলেও দুর্নীতি কমাবে। কেউ কেউ দুর্নীতিতে জড়াতে ভয় পাবে। সরকারও দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতা’ নীতি কঠোর প্রয়োগ করতে উদ্বুদ্ধ হবে।
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত (তৃতীয় ধাপ) ২০৪ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এরমধ্যে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের ৫৫ নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। আর প্রথম ধাপে ভোটের জন্য ৮০ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৬৯ জনকে বহিষ্কার করে দলটি।
বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে উপজেলাসহ কোনো নির্বাচনে অংশ না নিচ্ছে না বিএনপি। গত ১৬ এপ্রিল দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেখ হাসিনার সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, বেসামরিক ও পুলিশ প্রশাসন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ নেই। তাই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না দল।
দেশে চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়। এই ধাপের নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত ৭ জন চেয়ারম্যান পদে, ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করে বলেও জানা যায়।
দ্বিতীয় ধাপের ১৬১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে ২১ মে। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন।
মন্তব্য করুন
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।