নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৭ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে ভিন্ন চিন্তা করছে। সরকার মনে করছে যে, ২০১৮ সালে তথ্য প্রযুক্তিতে নানারকম অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, অপপ্রচার, মিথ্যাচার বন্ধের জন্য এই আইনটি প্রবর্তিত হয়েছিল। সরকার এখন মনে করছে যে, এই আইনে কিছু শব্দ চয়ন এবং অস্পষ্টতা রয়েছে, যে কারণে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। এই আইন প্রবর্তিত হওয়ার পর থেকেই দেশের সাংবাদিক সমাজসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আপত্তি তুলছে। যদিও সরকার বলছে যে, সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধের জন্য এই আইনটি করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ডয়েচে ভেলের এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী স্বীকার করেছেন যে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কিছু অস্পষ্টতা রয়েছে এবং শব্দচয়নে কিছু বিভ্রান্তি রয়েছে। যে কারণে এটি নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে আপত্তি উঠছে। যোগাযোগ করা হলে ড. গওহর রিজভী স্বীকার করেন যে, তিনি ডয়েচে ভেলেতে এ কথা বলেছেন এবং এই আইনের কিছু কিছু বিষয় সংশোধিত হওয়া উচিত বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন। একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, গহর রিজভী এখন এই আইনের যে স্পর্শকাতর কিছু আপত্তির দিক তা পরিবর্তন করার জন্য সরকারের বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন মন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
গতকাল তিনি আইনমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়েছেন এবং সেখানে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি কথা বলেন। সরকার মনে করছে যে, বাংলাদেশের সাংবাদিক সমাজসহ বিভিন্ন মহল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আপত্তি করছে। সংবাদকর্মীরা মনে করছে যে, মুক্ত গণমাধ্যম এর পথে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন একটি বড় ধরনের বাধা। যদিও সরকার বিভিন্ন সময় বলে আসছে যে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য কোনো বাধা নয়। বরং যারা ডিজিটাল প্লাটফর্মে বিভিন্ন অন্যায়-অনিয়ম করছে তাদেরকে বন্ধ করার জন্যই এই আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মূল উৎসটি হলো বিএনপির আমলে। তখন ‘আইসিটি অ্যাক্ট’ নামে একটি অ্যাক্ট তৈরি করা হয়েছিল। যে আইনটি সংশোধন আকারে ২০১৮ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছিল। কিন্তু এই আইনটি ২০১৮ সালে প্রবর্তিত হওয়ার পর বেশকিছু অপপ্রয়োগ লক্ষ করা গেছে। বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মী এই আইনে হয়রানির স্বীকার হয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটেই ড. গওহর রিজভী চাইছেন যে, আইনের প্রয়োগের ক্ষেত্রে আরো সতর্কতা এবং যাচাই-বাছাই করার আগে যেনো কেউ হয়রানির শিকার না হয়, সেই ব্যাপারে একটি সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা। তবে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে তার কথার ফলাফল কি, সে সম্পর্কে কোনকিছু জানা যায়নি। তবে একাধিক সূত্র বলছে যে, এই আইনের বিষয়টি নিয়ে খুব শীঘ্রই আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং ড. গওহর রিজভী একটি বৈঠকে মিলিত হবেন। এ নিয়ে গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ব্যক্তিদের সঙ্গেও তারা মতবিনিময় করবেন বলে জানা গেছে। গণমাধ্যম, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহল যেন এই আইনটিকে ইস্যু করে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করতে না করতে পারে সে জন্যই আইনটিতে কিছু বিষয় পরিবর্তন আনার কথা ভাবছে সরকার। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সম্পর্কে সরকারের একটি অংশ মনে করছে যে, আইনটি মৌলিক ঠিকই আছে, কিন্তু কিছু কিছু শব্দ বাক্য প্রয়োগের ক্ষেত্রে দুর্বলতা রয়েছে। যে কারণে এ ধরনের বিভ্রান্তিগুলো হচ্ছে সেটি সংশোধনের মাধ্যমে দূর করা সম্ভব বলেও তারা মনে করছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
কমলা ভাসিন অ্যাওয়ার্ড খুশী কবির
মন্তব্য করুন
সুশীল ডোনাল্ড লু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বদিউল আলম মজুমদার আদিলুর রহমান খান
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজা উপত্যকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রও একমত বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বুধবার (১৫ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, “গাজায় শান্তি স্থাপন করার বিষয়টি আমরা আলোচনা করেছি। তিনি (ডোনাল্ড লু) বলেছেন, ইউএস অত্যন্ত টায়ারডলেসলি (অক্লান্তভাবে) কাজ করছে যাতে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তিনি আমাকে যেটুকু বলেছেন- ‘তারা আশাবাদী’।”
‘আমরা বলেছি, গাজায় মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে, নিরীহ নারী ও শিশুকে হত্যা করা হচ্ছে। ৩৫ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, তার মধ্যে ৭০ শতাংশ নারী ও শিশু’, যোগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘এটি আসলে মেনে নেয়া যায় না। আমি বলেছি, টেলিভিশনে যখন এগুলো দেখি, তখন টেলিভিশন দেখা কন্টিনিউ করতে পারি না। সেখানে শান্তি স্থাপন করা দরকার। তিনিও একমত যে, সেখানে শান্তি স্থাপন করা দরকার। তিনি জানিয়েছেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার জন্য টায়ারলেসলি কাজ করছেন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক খুবই চমৎকার। আমাদের বহুমাত্রিক সহযোগিতার ক্ষেত্র রয়েছে। একইসাথে গত ৫৩ বছরের আমাদের অভিযাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। যে কারণে ডোনাল্ড লুকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।’
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো সরকার গঠনের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। তিনি সম্পর্ককে ভিন্নমাত্রায় নিয়ে যাওয়ার অভিপ্রায় প্রকাশ করেছেন। সেই অভিপ্রায়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে এসেছেন।’
‘আমাদের আলোচনা সেই লক্ষ্যেই হয়েছে। একক দেশ হিসেবে আমাদের রফতানির সবচেয়ে বড় গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী দেশও যুক্তরাষ্ট্র। আমি ডোনাল্ড লু’কে অনুরোধ জানিয়েছি, বাংলাদেশে ৪০টি আইটি ভিলেজ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেখানে যাতে যুক্তরাষ্ট্র বিনিয়োগ বাড়ায়। যদিও কিছু বিনিয়োগ তারা এরইমধ্যে করেছে।’
হাসান মাহমুদ ডোনাল্ড লু ফিলিস্তিন গাজা
মন্তব্য করুন
রাজধানী ঢাকায় যেন ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে না পারে সে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বুধবার (১৫ মে) বনানীতে বিআরটিএর সদর কার্যালয়ে আয়োজিত সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ব্যাটারিচালিত কোনো গাড়ি (তিন চাকার) যেন ঢাকা সিটিতে না চলে। আমরা ২২টি মহাসড়কে নিষিদ্ধ করেছি। শুধু নিষেধাজ্ঞা নয়, চলতে যেন না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। এর আগে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ঢাকার মধ্যে অটোরিকশা বন্ধে সম্মতি জানান।
সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ভয়াবহ ব্যাপার যখন রিকশাচালকরা দুই পা ওপরে উঠিয়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালায়। অনেক প্রতিবন্ধী আছেন যারা চোখে কিছুটা কম দেখেন তারাও এই রিকশা নিয়ে নেমে পড়েন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, সিদ্ধান্তে আসা দরকার যে ঢাকায় ইজি বা অটোরিকশা চলবে না। এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
সভায় বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানী ওবায়দুল কাদের অটোরিকশা
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের চাকরির বাজারের প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা হওয়ার জনপ্রিয়তা সবচাইতে বেশি। চাকরিপ্রত্যাশীদের মতে সরকারি চাকরির মত পেশাগত নিরাপত্তা আর কোথাও নেই। আর সেজন্যই অনেক দেশে বেশি বয়সে সরকারি চাকরির আবেদনের সুযোগ থাকলেও বাংলাদেশে এর সীমাবদ্ধতা ৩০ বছরে রয়েছে। সরকারি চাকরির কোন কোন ক্ষেত্রে বিশেষ দক্ষতার দরকার হয়। সেই দক্ষতা অর্জনের জন্য বাড়তি সময়ের প্রয়োজন হয়। তাছাড়া চাকরির আবেদনের বয়স যতই থাকুক না কেন, পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ অনির্দিষ্ট হয় না। একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ ৫ বা ৭ বার সিভিল সার্ভিসের জন্য আবেদন করতে পারেন। আমাদের দেশেও যেকোন যুক্তিতে বয়স বাড়াতে গেলে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত।
জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করতে কমলা ভাসিন অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আজাদ ফাউন্ডেশন, ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইন্ডিয়া এবং আই পার্টনার-ইন্ডিয়া যৌথভাবে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করবে। জেন্ডার সমতা নিয়ে কর্মরত দক্ষিণ এশিয়ায় বসবাসকারী যে কেউ এই পুরস্কারের জন্য আবেদন করতে পারেন। আগামী ৭ জুনের মধ্যে এই আবেদন করতে হবে।
বাংলাদেশে সুশীল সমাজের কিছু প্রতিনিধি আছেন যাদেরকে মনে করা হয় তারা মার্কিনপন্থী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে তারা গর্ব অনুভব করেন। কথায় কথায় মার্কিন দূতাবাসে যান। সেখানে প্রাতঃরাশ, মধ্যাহ্নভোজ, নৈশভোজে মিলিত হন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যা বলে তারা তার চেয়ে তিন ধাপ গলা উঁচিয়ে কথা বলেন। বাংলাদেশ নিয়ে তাদের কোন ভালবাসা নেই, প্রেম নেই, আগ্রহ নাই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান এবং নীতি বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করাই যেন তাদের প্রধান লক্ষ্য। এই সমস্ত সুশীলদেরকে বলা হয় যুক্তরাষ্ট্রের মাইক্রোফোন।