নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৮ পিএম, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
সরকার নানামুখী ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করছে। বিশেষ করে ১ ফেব্রুয়ারি আল জাজিরায় প্রকাশিত হয় বিতর্কিত প্রতিবেদন ‘অল দ্যা প্রাইম মিনিস্টারস ম্যান’। এই প্রতিবেদনটিকে ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সরকারের বিরুদ্ধে উস্কানির চেষ্টা করছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সরকারের সমর্থন এবং গ্রহণযোগ্যতা যেন নষ্ট হয়, সেটিই ছিল এই প্রতিবেদনের মূল লক্ষ্য। শুধু আল জাজিরার প্রতিবেদন নয়, একই সময়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে সরকার বিরোধী প্রচারণা এখন তুঙ্গে। এই সমস্ত প্রচারণার মূল লক্ষ্য হলো দেশ, আন্তর্জাতিক মহল এবং বাংলাদেশের নিচু দেশগুলোর মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তি এবং সরকারের উপর তাদের অনাস্থা তৈরি করা। কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক মহলের আস্থা এখনো পর্যন্ত আওয়ামী লীগের উপর রয়েছে। এ প্রতিবেদনগুলো তাদের মধ্যে তেমন কোনো রেখাপাত করতে পারেনি এবং এই প্রতিবেদনের ফলে তারা সরকারের উপর অসন্তুষ্ট হয়েছে, এমন কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বরং গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলো আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় এবং বাংলাদেশের যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে সে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের অংশীদার হতে চায়।
বাংলাদেশের প্রধান মিত্র দেশ হলো ভারত। বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারতের প্রভাব অনস্বীকার্য। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউরোপের দেশগুলোও বাংলাদেশের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ভারতের উপর নির্ভরশীল।ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক সাম্প্রতিক সময়ে যে টানাপোড়ন এবং অস্বস্তি গুলো ছিল, তা মোটামুটি কেটে গেছে। আগামী ২৬শে মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ সফরে আসছেন। এতে দেখা যায়, বাংলাদেশে ভারত আওয়ামী লীগের কোনো বিকল্প ভাবছে না। বিশেষ করে বিচ্ছিন্নতাবাদী দমন, জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদী দমন, জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক এবং তারেক জিয়ার ইমেজ ইত্যাদি কারণে ভারতের সামনে কোনো বিকল্প নেই। ভারত মনে করছে যে, বাংলাদেশে তাদের একমাত্র বন্ধু হলো আওয়ামী লীগ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার পরিবর্তনের ফলে অনেকে মনে করেছিল যে, বাংলাদেশের ব্যাপারে তারা আবার নতুন করে সামগ্রিক সম্পর্কের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবে। কিন্তু বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে তারা বাংলাদেশের ব্যাপারে ভারত নীতি অনুসরণ করতে চায় এবং ভারতকে পাশে রেখে বাংলাদেশের ব্যাপারে সক্রিয় কর্মকাণ্ড করতে চায়। আর এ কারণেই এধরণের প্রতিবেদনগুলো নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
কূটনৈতিক মহল মনে করছেন যে, একটি প্রতিবেদন এবং কিছু অপপ্রচার দিয়ে কূটনৈতিক সম্পর্কে চিড় ধরানো যায় না। একটি রাষ্ট্রের সঙ্গে আরেকটি রাষ্ট্রের সম্পর্কে যে ভিত্তিমূল, সেখানে আঘাত করা যায় না। বরং একটি সম্পর্ক তৈরি হয় দুই দেশের নীতি, কৌশল, বাণিজ্য, অর্থনীতি ইত্যাদির উপর। সেদিক থেকে এখনও কূটনৈতিকরা মনে করেন যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো বিকল্প নেই। ত্রুটি-বিচ্যুতি স্বত্বেও আওয়ামী লীগ সরকার যেভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে করোনা পরিস্থিতি যেভাবে মোকাবেলা করা হয়েছে, তাতে আন্তর্জাতিক মহল এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের উপর আস্থা রাখতে চায়।
মন্তব্য করুন
পাবনার সুজানগরে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
রোববার (১৯ মে) বিকেলে সুজানগর উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মামলার বাদী ভুক্তভোগী কিশোরীর নানী জহুরা খাতুন।
আরও পড়ুন: পাবনায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, শুক্রবার রাতে প্রকৃতি ডাকে সাড়া দিতে বাইরে বের হলে কিশোরীকে ধর্ষণ করে বারেক মৃধা৷ এ সময় তার সাথে থাকা আরো চারজন কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে সে চিৎকার শুরু করে। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
তিনি অভিযোগ করেন, অথচ এই ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারা ধর্ষণের ঘটনাকে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা হিসেবে একজন প্রার্থীর লোকজন ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। যা আদৌ সত্য নয়। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে একটি পক্ষ ধর্ষণের ঘটনাকে ভিন্নখাতে নিতে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। ধর্ষণের ঘটনার সাথে নির্বাচনের কোন সম্পৃক্ততা নেই।
জহুরা খাতুন বলেন, আমি নিজেই চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল ওহাবকে ভোট দিয়েছি। এখানে তার লোকজন এ ঘটনার সাথে জড়িত নয়। ভুক্তভোগী পরিবার ধর্ষণের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, এই ধর্ষণের ঘটনাকে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা হিসেবে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তার লোকজনকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে কয়েকটি গণমাধ্যম। যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে এলাকাবাসীর মাঝে।
ধর্ষণ ভিন্নখাতে প্রবাহ সংবাদ সম্মেলন
মন্তব্য করুন
নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার ভেড়ম সোনাদিঘী আদিবাসী পাড়া এলাকায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১৯ মে) দুপুরে নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত লুবিন বাস্কে (৭৫) ধামইরহাট উপজেলার ভেড়ম সোনদিঘী আদিবাসী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভেড়ম সোনাদিঘী আদিবাসী পাড়া গ্রামের লুবিন বাস্কের সঙ্গে তার স্ত্রী মালতী রানীর (৫৫) প্রায় পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো। ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর বিকেল ৫ টার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে লুবিন বাস্কে তার স্ত্রী মালতী রানীকে বাঁশের লাঠি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই মালতী রানীর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় পরদিন লুবিন বাস্কের বড় ভাইয়ের স্ত্রী শ্যামলী মর্মু বাদী হয়ে ধামইরহাট থানায় মামলা করেন। ২০২২ সালের ২৪ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ৩০২ ধারায় অভিযোগ গঠন করে লুবিন বাস্কের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
অভিযোগপত্রে রাষ্ট্রপক্ষের ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জন সাক্ষী আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেন। রাষ্ট্রপক্ষের উপস্থাপিত সাক্ষ্য-প্রমানে আসামী লুবিন বাস্কের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হওয়ায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দন্ডিত করেন নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ। একই সঙ্গে এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ২ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন নওগাঁ জজ কোর্টের সরকারি কৌসুলি (পি.পি) আব্দুল খালেক। আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী এস এম মর্তুজা মহাতাব উদ্দিন।
স্ত্রী হত্যা যাবজ্জীবন কারাদন্ড স্বামী
মন্তব্য করুন
জয়পুরহাটের কালাইয়ে হিমাগারে সংরক্ষিত আলুর বস্তার ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় কৃষকরা।
রোববার (১৯ মে) সকাল ১২টায় কালাই পৌর শহরের সরাইল এলাকার আর.বি কোল্ড স্টোরেজের সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
এসময় কৃষকরা জানায়, কালাই উপজেলার ১১টি হিমাগারে ৬৫ কেজি আলুর প্রতি বস্তা ভাড়া ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে হিমাগারের মালিকরা। যা গত বছরে ছিল ২৭০ টাকা থেকে ২৯০ টাকা। এভাবে এত টাকা বৃদ্ধি করায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষক। অন্যদিকে, এতে বাজারে আলুর দামও বেড়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন কৃষকরা।
এ ব্যাপারে হিমাগারের মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও ভাড়া না কমিয়ে উল্টো জোর করে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। একারণে আন্দোলন করতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানান তারা।
মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুকূলে একটি স্মারকলিপি পেশ প্রদান করেন।
আলু হিমাগার মানববন্ধন দাম বৃদ্ধি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
এনবিআর চেয়ারম্যান ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
দেড় মাসেরও বেশি সময় পর আবার মেট্রোরেলের ওপর ভ্যাট বসানোর বিষয়টি সামনে এসেছে। এ নিয়ে সরকারের দুটি সংস্থা রীতিমতো মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। আগামী ১লা জুলাই থেকে এনবিআর বা জাতীয় রাজস্ব উন্নয়ন বোর্ড মেট্রোরেলের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসাতে চায়। অন্যদিকে এতে সায় নেই মেট্রোরেল কৃর্তপক্ষের। আরও স্পষ্ট করে বললে বলা যায় যে, এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মুখোমুখি অবস্থান গ্রহণ করেছেন।