নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫৮ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যেন উত্তপ্ত না হয়, বিএনপি এবং বাম সংগঠনগুলো যেন রাজপথে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে, সেজন্য বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ এবং করোনা মোকাবেলায় সরকারের সাফল্য নিয়ে বিজয় র্যালী, মিছিল ও সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগই শুধু নয়, আওয়ামী লীগের সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনকে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেছেন ‘কোনো পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নয়। স্বাধীনতার মাসকে ঘিরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সব সময় বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পালন করে। আর এবার একই সাথে মুজিব বর্ষ, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করছে বাংলাদেশ। তাই আমাদের কর্মসূচি থাকবেই।’
ছাত্রলীগও ৭ মার্চ, ১৭ মার্চ এবং ২৬ মার্চকে ঘিরে মাসজুড়ে কর্মসূচি ঘোষণা করতে যাচ্ছে। তবে, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে কোনো কোনো মহল ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্র আন্দোলনের পায়তারা করছে। এরকম সরকারবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যেন গড়ে উঠতে না পারে সে জন্যই, ছাত্রলীগকে সব ক্যাম্পাসে অবস্থান নিতে বলা হয়েছে। ছাত্রলীগ প্রতিদিন ক্যাম্পাসে নানা কর্মসূচি পালন করবে। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগও স্বাধীনতার মাসে সভা-সমাবেশ সহ নানা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকবে।
আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, দলের নীতি নির্ধারকরা মনে করছেন, নানা ইস্যুতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো সরকারবিরোধী কর্মসূচি গ্রহণের চেষ্টা করছে। আজ রোববার প্রেসক্লাবে ছাত্রদলের কর্মসূচি সহিংস হয়ে উঠেছিল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে কোনো কোনো মহল ছাত্র আন্দোলনের উস্কানী দেয়ার চেষ্টা করছে। মুশতাকের মৃত্যু নিয়েও কোনো কোনো রাজনৈতিক দল রাজনীতির মাঠ গরমের চেষ্টা করছে। এই প্রেক্ষিতে, রাজপথের কর্তৃত্ব যেন বিরোধী দলগুলো নিতে না পারে, সেজন্য রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকতে চাইছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেছেন, ‘বিরোধি দলের, রাজনৈতিক আন্দোলন রাজনৈতিক ভাবেই মোকাবেলা করতে চায় আওয়ামী লীগ।’ আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেছেন ‘বিরোধি দলগুলো নানা ইস্যুতে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছে। বিএনপি সহ বিরোধী দলগুলো যেন জনগণকে বিভ্রান্ত করতে না পারে সে জন্যই আওয়ামী লীগ রাজপথে থাকবে।’ তিনি বলেন ‘আওয়ামী লীগ রাজপথের দল, জনগণের দল।
রাজনৈতিক আন্দোলন করে কেউ কখনো আওয়ামী লীগকে পরাজিত করতে পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না।’ তার মতে ‘আওয়ামী লীগকে পরাজিত করা যায় কেবল ষড়যন্ত্র করে। আর এই ষড়যন্ত্র যেন কেউ করতে না পারে সে জন্যই কাজ করতে হবে আওয়ামী লীগকে।
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
আজিজ আহমেদ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের একটি বক্তব্যকে নিয়ে বিএনপির উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে সাম্প্রতিক সময়ে আম আদমি পার্টির জামিনে মুক্তি পাওয়া এই নেতার একটি বক্তব্য বিএনপি তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে শেয়ার করেছে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বক্তার বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ তুলেছেন। তিনি রাশিয়ার উদাহরণ দিয়েছেন। রাশিয়া নির্বাচনে পুতিন একচ্ছত্রভাবে বিরোধী দল দমন করে বিজয়ী হয়েছেন বলে অরবিন্দ কেজরিওয়াল উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশের নির্বাচনে শেখ হাসিনা সকল বিরোধী দলের নেতাদেরকে গ্রেপ্তার করে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বলেও অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাবি করেছেন। তিনি পাকিস্তানে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে তার দলের প্রতীক কেড়ে নিয়ে নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা বিজয়ী হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল আসলে সমালোচনার তীর ছুড়েছেন নরেন্দ্র মোদীর দিকে। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশকে অনুসরণ করে নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চান বলেও আম আদমি পার্টির এই নেতা তার বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন। আর এই বক্তব্য নিয়েই বিএনপির মধ্যে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে। বিএনপির নেতারা শুধু ইউটিউবেই এটি রিপোস্ট করেনি, তারা তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক এবং টুইটারেও এই বক্তব্যের ভিডিও ছড়িয়ে দিয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষ করে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বিএনপির মধ্যে এক ধরনের ভারত বিরোধী প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। ভারতের সমালোচনা করা এবং ভারত এই সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে এমন বক্তব্য বিএনপি নেতাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছিল। যদিও ইন্ডিয়া জোটের প্রধান শরিক কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইস্তাহারে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন এবং সম্পর্ক আরও গভীর করার বার্তা দিয়েছেন। ভারতের অন্য একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল তৃণমূল কংগ্রেসও আওয়ামী লীগ এবং বর্তমান সরকারের সমর্থক। বিজেপি গত এক দশকে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। এরকম অবস্থায় ভারতের নির্বাচনে যে ফলাফলই হোক না কেন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে তেমন কোন ব্যত্যয় হবে না বলেই কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।
এর মধ্যে আম আদমি পার্টির বক্তব্য নিয়ে বিএনপির উচ্ছ্বাস নিয়ে অনেকেই নানারকম টীকা-টিপ্পনি কেটেছেন। কেউ কেউ মনে করেন যে, এর আগে যখন কংগ্রেসকে হারিয়ে নরেন্দ্র মোদী প্রথমবার ক্ষমতায় এসেছিলেন তখনও বিএনপির মধ্যে উৎসব উৎসব ভাব সৃষ্টি হয়েছিল। বিএনপি নেতারা মিষ্টিমুখ করিয়েছিলেন। তাদের ধারণা ছিল যে, কংগ্রেস চলে গেলেই আওয়ামী লীগের উপর চাপ সৃষ্টি হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, বিজেপির সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করার পর দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। এখন কেজরিওয়ালের নির্বাচনের মাঠের বক্তব্যকে নিয়ে বিএনপি আশায় বুক বেঁধে আছে। মুখে মুখে ভারত বিরোধীতা করলেও ভারতের অনুগত এবং ভারতের আস্থাভাজন হওয়ার জন্য বিএনপি কম চেষ্টা করেনি।
আর এখনও বিএনপি যে ভারতের সাথে ঘনিষ্ঠ হতে চায় তার প্রমাণ পাওয়া গেল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বক্তব্যকে নিজেদের দলের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করে। কিন্তু বিএনপি নেতারা ভুলে গেলেন যে, একজন রাজনৈতিক নেতার রাজনৈতিক বক্তব্য, আর ক্ষমতায় এসে তার প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড- দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। দেউলিয়া রাজনীতির কারণে বিএনপি সবসময় অন্যের দিকে তাকিয়ে থাকে আওয়ামী লীগকে কোণঠাসা করার জন্য। সাম্প্রতিক সময়ে কেজরিওয়ালের বক্তব্য বিএনপির ইউটিউবে ছাড়ার মধ্য দিয়ে সেই দেউলিয়াত্ব আরেকবার প্রকাশিত হল বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অরবিন্দ কেজরিওয়াল রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
কিছুদিন আগেও বিএনপি যুক্তরাষ্ট্র বলতে অন্ধ থাকত। যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে ফোন আসলে বিএনপির নেতারা নাওয়া খাওয়া ভুলে ছুটে যেতেন। এমনকি কোনদিন সকালে মার্কিন দূতাবাসে প্রাতরাশ, রাতে নৈশভোজেও দেখা গেছে বিএনপির বিভিন্ন নেতাদের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তারা অবতার হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রই বাংলাদেশে গণতন্ত্র এনে দেবে, যুক্তরাষ্ট্রই এই সরকারের পতন ঘটাবে এমন একটা স্থির বিশ্বাস ছিল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে। কিন্তু বিএনপির মধ্যে সেই মোহভঙ্গ ঘটেছে। এখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অনাগ্রহী বিএনপি। এটা যেন অনেকটা আঙুল ফল টকের মতো ঘটনা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ইতোমধ্যে তিনি একটি হ্যাটট্রিক করেছেন। টানা তিন তিনবার আওয়ামী লীগের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই একমাত্র যিনি আওয়ামী লীগের তিনবার বা তার বেশি সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। এখন ওবায়দুল কাদেরও আওয়ামী লীগের টানা তিনবারের সাধারণ সম্পাদক। এবার তিনি আরেক রকম হ্যাটট্রিক করলেন।
আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের একটি বক্তব্যকে নিয়ে বিএনপির উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে সাম্প্রতিক সময়ে আম আদমি পার্টির জামিনে মুক্তি পাওয়া এই নেতার একটি বক্তব্য বিএনপি তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে শেয়ার করেছে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বক্তার বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ তুলেছেন। তিনি রাশিয়ার উদাহরণ দিয়েছেন। রাশিয়া নির্বাচনে পুতিন একচ্ছত্রভাবে বিরোধী দল দমন করে বিজয়ী হয়েছেন বলে অরবিন্দ কেজরিওয়াল উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশের নির্বাচনে শেখ হাসিনা সকল বিরোধী দলের নেতাদেরকে গ্রেপ্তার করে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বলেও অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাবি করেছেন। তিনি পাকিস্তানে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে তার দলের প্রতীক কেড়ে নিয়ে নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা বিজয়ী হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন।