নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৬ মার্চ, ২০২১
টানা ১২ বছরের বেশি সময় ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ কিন্তু এখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বললে দেখা যায় তারা নানা রকম অস্বস্তি ও অজানা আশঙ্কায় ভুগছেন। যদিও রাজনৈতিক অঙ্গনে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বড় রকমের চাপ নেই বা সরকার বিরোধী কোনো বড় রকমের আন্দোলনের সম্ভাবনাও নেই।
সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে রাজপথ গরম করার চেষ্টা করছে কিন্তু সেই কর্মসূচিতে জনগণের কোনো রকম সম্পৃক্ততা খুঁজে পাওয়া যায় না। বিএনপির নেতাকর্মীরা কিছু সভা-সমাবেশের মাধ্যমে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেয় মাত্র। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো সরকার বিরোধী বড় কোনো কার্যক্রম করার সম্ভাবনা নেই কিন্তু তার পরেও আওয়ামী লীগ কেন অজানা শঙ্কায় ভুগছে?। অনেকগুলো বিষয় নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
১. আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মনে করছেন যে সরকার পরিচালনায় দলের গুরুত্ব কমে গেছে সরকার চালাচ্ছে আমলারা এবং কিছু আমলাদের পরামর্শেই সবকিছু হচ্ছে। ফলে আওয়ামী লীগ সরকার রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতায় আছে কি না এটা নিয়ে অনেক নেতার মধ্যে সংশয় দেখা দিচ্ছে।
২. আওয়ামী লীগ প্রশাসনসহ বিভিন্ন স্থানে জামায়াত-শিবির এবং বিএনপির লোকজন মাথাচাড়া দিচ্ছে এবং তারা নব্য আওয়ামী লীগার সেজে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো দখল করছে। আওয়ামী লীগের নেতারা এদেরকে চেনেন কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছেন না।
৩. প্রতিটি জেলায় আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল তীব্র আকার ধারণ করছে এবং অনেক ক্ষেত্রে প্রকাশ্য রূপ নিচ্ছে। অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে দলের অনেক ক্ষতি হচ্ছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের অনেক নেতা।
৪. আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারীদের ক্ষমতার দাপট বেড়েছে। আর এই অনুপ্রবেশকারীরাই এখন আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা যেকোনো সময় দলের স্বার্থ হানিকর কার্যক্রম করতে পারে। যার ফলে সার্বিকভাবে দলের বদনাম হচ্ছে।
৫. আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্রমশ একা হয়ে যাচ্ছেন। তাকে পরামর্শ দেয়া, বিভিন্ন বিষয়ে সঠিক তথ্য দেয়ার লোকের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে বলে আওয়ামী লীগের অনেকে মনে করছে। আর এসব কারণে এক অজানা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে আওয়ামী লীগের মধ্যে।
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত (তৃতীয় ধাপ) ২০৪ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এরমধ্যে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের ৫৫ নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। আর প্রথম ধাপে ভোটের জন্য ৮০ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৬৯ জনকে বহিষ্কার করে দলটি।
বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে উপজেলাসহ কোনো নির্বাচনে অংশ না নিচ্ছে না বিএনপি। গত ১৬ এপ্রিল দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেখ হাসিনার সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, বেসামরিক ও পুলিশ প্রশাসন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ নেই। তাই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না দল।
দেশে চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়। এই ধাপের নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত ৭ জন চেয়ারম্যান পদে, ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করে বলেও জানা যায়।
দ্বিতীয় ধাপের ১৬১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে ২১ মে। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন।
মন্তব্য করুন
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।