নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫৭ পিএম, ১১ মার্চ, ২০২১
এপ্রিলে সারাদেশে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়েছে এবং এখন এই মনোনয়ন ফরম উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। প্রথমে বলা হয়েছিল যে, তৃণমূলের কাছে একটি প্রাথমিক তালিকা চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই প্রাথমিক তালিকা প্রণয়ন করতে গিয়ে তৃণমূলের একাধিক এলাকায় ব্যাপক মনোনয়ন বাণিজ্য হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরকম কিছু গুরুতর অভিযোগ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এসেছে। এর প্রেক্ষিতে তিনি মনোনয়ন উন্মুক্ত করে দিয়েছেন বলে দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এতদিন নিয়ম ছিল যে তৃণমূল থেকে যাদের নাম সুপারিশ করা হবে তাদেরকেই শুধু মনোনয়ন ফরম দেয়া হবে। জানা গেছে যে, তৃণমূলের যাদেরকে এই মনোনয়নের প্রাথমিক বাছাইয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল তারা নিজেদের লোক, এমপির লোকদেরকেই শুধু বাছাই করেনি, অনেক ক্ষেত্রে বিপুল আর্থিক লেনদেনের ঘটনাও ঘটেছে। এই সমস্ত আর্থিক লেনদেনের তথ্য প্রমাণ আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছে এসে পৌঁছে গেছে। যদিও এই নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করছে না তারপরও এ ধরনের আর্থিক লেনদেনের ঘটনাটিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বলে জানা গেছে। ফলে তিনি মনোনয়ন উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। শুধু মনোনয়ন উন্মুক্ত নয়, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি একটি সুনির্দিষ্ট মাপকাঠি নির্ধারণ করে দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
আগামী ১৩ মার্চ আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে এবং সেই সভায় এই সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত জানাবেন। একাধিক সূত্র বলছে যে, এবার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে যারা শুধু ত্যাগী, পরীক্ষিত তাদেরকেই মনোনয়ন দেয়া হবে। ২০০৮ এর পরে যারা আওয়ামী লীগে যোগদান করেছে তাদেরকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না। পাশাপাশি যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি বা অন্য কোনো অপরাধের অভিযোগ আছে তাদেরকেও মনোনয়ন দেয়া হবে না। মাঠ পর্যায়ে জনপ্রিয়তা যাচাইও এবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে।
আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্রগুলো বলছে, যেহেতু বিএনপি এবার নির্বাচনে দলগতভাবে অংশগ্রহণে করবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। একারণে আওয়ামী লীগ এই নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিতে চেয়েছিল যে দলীয় প্রতীক ছাড়া নির্বাচন হবে। কিন্তু এতে সংগঠন দুর্বল হয়ে পড়বে। তাছাড়া বিএনপি আনুষ্ঠানিক ভাবে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিলেও ব্যক্তিগতভাবে বিএনপির প্রার্থীরা এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। যে কারণে শেষ পর্যন্ত যদি আওয়ামী লীগ তার দলীয় প্রতীক না দেয় তাহলে বিদ্রোহী প্রার্থীর ছড়াছড়ি হবে এবং সেই নির্বাচনের ফলাফল আওয়ামী লীগের জন্য নেতিবাচক হতে পারে। তবে এবার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য টার্নিং পয়েন্ট হবে বলে আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন। কারণ এতদিন ধরে যে অনুপ্রবেশকারী, মনোনয়ন বাণিজ্য এবং নিজেদের লোককে মনোনয়ন দেয়ার অভিযোগ আওয়ামী লীগের তৃণমূল থেকে উঠে আসছিলো সেটি এখন আওয়ামী লীগ সভাপতির নজরে এসেছে। এর ফলে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে যারা বিভিন্ন সময় দলের দীর্ঘদিন কাজ করেছিল তারাই প্রাধান্য পাবেন বলে আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান
বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি ভোটার ও প্রার্থীদের ধারণা পাল্টিয়েছে, বিশ্বাস জন্মেছে।
তার কারণেই প্রার্থীরা আবারও ভোটাদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে। প্রার্থীরা ভোটাদের দ্বারে
যাওয়ার যে সংস্কৃতি সেটা আবারও ফিরে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) যশোর শিল্পকলা
একাডেমির মিলনায়তনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে
অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যশোর, নড়াইল ও মাগুরার জেলার প্রার্থী নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে
মতবিনিময় শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা বলেন।
একদিন বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন বিশ্বের
রোল মডেল হবে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৩৬ শতাংশ
এ সময়ে অনেক। দেশের কয়েকটা রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নেয়াতে ভোটার উপস্থিতি কম।
আগামীতে দেশের যত ভোট আসছে, ততই আমাদের ভোটের পরিবেশ, ভোট গ্রহণ পরিবর্তন ঘটছে। বিগত
সময়ে নির্বাচন নিয়ে কি ঘটেছে সেটা ফিরে তাকানোর আর কোন সুযোগ নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন
কমিশন সকল বির্তক, সমালোচনা পিছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়িয়ে দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
ইসি আহসান হাবিব বলেন, নির্বাচনে ভোটারের
উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা কাজ করবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম
ধাপে মোট ভোট গ্রহণের শতাংশ প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা এবার থেকে ভোট গ্রহণে উপজেলা ভিত্তিক
তালিকা প্রকাশ করা হবে। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা আলাদাভাবে
প্রচারণা করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যারা ভোটাদের বাঁধা দিবে তাদের প্রতিহত করবে প্রশাসন।
আমরা প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছি আইনের হাত ও ক্ষমতা অনেক বেশি। নির্বাচন বানচাল করতে
সেই ক্ষমতা কঠোরভাবে প্রয়োগ করবে প্রশাসন।
ইসি আরও বলেন, বিগত সময়ের চেয়ে বর্তমান
কমিশন সততার সঙ্গে কাজ করছে। শুধু কমিশন নয়, নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টরা সততার
সঙ্গে কাজ করছে। নির্বাচনে সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন পাস করেছে এ কমিশন। কেউ সাংবাদিকদের
কাজে বাধাগ্রস্ত করলে জেল জরিমানার বিধান করা হয়েছে। মিডিয়াকে এ অবস্থানে নেয়ার ক্ষেত্রে
এ কমিশন ও সরকার ভূমিকা রাখছে।
যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল
হাছান মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় যশোর, নড়াইল ও মাগুরা জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপাররা
বক্তব্য রাখে। সভায় যশোর, মাগুরা ও নড়াইল জেলার সকল প্রার্থী, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট উপজেলাসমূহের
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাবৃন্দ, আচরণবিধি ও আইনশৃঙ্খলা
রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাবৃন্দ
এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ
নেয়।
অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে শার্শা উপজেলা
পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রশিক্ষণে অংশ নেন ইসি আহসান
হাবিব খান।
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।