নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫৯ পিএম, ১৫ মার্চ, ২০২১
বাংলাদেশে গত কয়েকদিন ধরে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। আজ গত সাড়ে তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। শুধু শনাক্তের সংখ্যাই বাড়ছে না সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। হাসপাতালগুলো বলছে গত কয়েকদিনে হাসপাতালে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আইসিইউ গুলো আবার পূর্ণ হতে শুরু করেছে। গত এক বছর আগে বাংলাদেশে যখন করোনা সংক্রমণ শুরু হয়েছিল তখন যে রকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল এখন যেনো ঠিক সেই পরিস্থিতি আবার ফিরে আসছে। এই পরিস্থিতিতে সরকার কি করবে এই নিয়ে জনমনে যেমন প্রশ্ন উঠছে তেমনি বিশেষজ্ঞদের মধ্যেও আলাপ আলোচনা চলছে।
সরকার কি আবার লকডাউনে যাবে ? করোনা সংক্রমণ ঠেকানো জন্য আবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করবে ? এরকম প্রশ্নের উত্তরে সরকারের একাধিক নীতিনির্ধারক বলছে যে, এখনই এ ধরনের লকডাউন বা সাধারণ ছুটির কথা ভাবছে না সরকার। বরং লকডাউন বা সাধারণ ছুটির চেয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানা, মাস্ক পরিধান এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার বিষয়টিকেই সরকার বেশি গুরুত্ব দিতে চাইছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, গত এক বছরে করোনার যে অভিজ্ঞতা, সেই অভিজ্ঞতা থেকে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া গেছে যে, একটি মানুষ যদি স্বাস্থ্যবিধি ঠিকমতো মেনে চলে, সাবান দিয়ে বার বার হাত পরিচ্ছন্ন রাখে, মাস্ক পরিধান করে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায়ে রাখে তাহলে তার করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি কম। সরকার মনে করছে এখন দেশে গণটিকা কর্মসূচি চলছে কাজেই সাধারণ ছুটির পথে এখন যাওয়ার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। তবে এ নিয়ে ভিন্ন মতও আছে। সরকার আসলে চলতি মাস সময়টুকু দেখতে চায় যে করোনা সংক্রমণ কিভাবে বাড়ে। একই সাথে সরকার এটিও বুঝতে চাচ্ছে যে এই সংক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে যুক্তরাজ্যের যে ভেরিয়েন্ট সেটির কোনো সম্পর্ক আছে কিনা। যদি সেই সম্পর্ক থাকে তাহলে সরকার পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানা গেছে।
আজ স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে বৈঠক করেছেন এবং সেই বৈঠকে স্কুল খোলার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার কথা বলেছেন। একই সাথে বিভিন্ন সামাজিক বিধিনিষেধ আরোপ করার বিষয়টিও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে আলােচনা করা হয়েছে। বাজার হাটে অবাধে ঘোরাফেরা করা, বিয়ের অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতে মানুষজনের উপচে পড়া ভীড়, পর্যটনগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে মানুষের ঘুরে বেড়ানো ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই সমস্ত বিষয়গুলোতে কিছু বিধিনিষেধ আরোপের কথা ভাবা হচ্ছে। তবে সরকার পুরো বিষয়টিকে আরো কয়েকদিন পর্যবেক্ষণ করতে চাইছে।
সরকারের একাধিক সূত্র বলছে যে, বাংলাদেশে করােনা সংক্রমণ বাড়লেও অন্যান্য দেশগুলো যেভাবে বেড়েছে সেরকম বৃদ্ধি বাংলাদেশে নেই। তাছাড়া এখন পর্যন্ত উদ্বিগ্ন বা আতঙ্কিত হবার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। বরং সরকার মনে করছে যে আমরা যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি এবং মানুষ যদি একটু সচেতন হয় পাশাপাশি টিকাদান কর্মসূচিকে জোরদার করা যায় তাহলে এই পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। এছাড়াও বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশের করোনা সংক্রমণে গরমকাল কতটুকু প্রভাব বিস্তার করে সেটি নিয়েও গবেষণার ওপরে জোর দিয়েছেন। কারণ গতবছর বাংলাদেশে সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি হয়েছিলো জুন-জুলাই মাসে। এখন এই ধারায় যদি বেড়ে জুন-জুলাই এ করোনা পরিস্থিতির যদি অবনতি হয় সেটা নিয়েও সরকার চিন্তা করছে। সরকার এখনি লকডাউন বা সাধারণ ছুটির পথে যেতে আগ্রহী নয়। তবে পরিস্থিতি যে আস্তে আস্তে খারাপের দিকে যাচ্ছে এটিও সরকার অস্বীকার করছে না।
মন্তব্য করুন
দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগে বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ ও তার পরিবারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশ সময় সোমবার মধ্যরাতের পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে আজিজ আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অযোগ্য বলে ঘোষণা করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, আজিজের কর্মকান্ড বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়ার প্রতি জনগণের বিশ্বাসকে ক্ষুণ্ন করতে ভূমিকা রেখেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আজিজ আহমেদ তার ভাইকে বাংলাদেশে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহি এড়াতে সহযোগিতা করেন। এটা করতে গিয়ে তিনি নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন। এছাড়া অন্যায্যভাবে সামরিক খাতে কন্ট্রাক্ট পাওয়া নিশ্চিত করার জন্য তিনি তার ভাইয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন। তিনি নিজের স্বার্থের জন্য সরকারি নিয়োগের বিনিময়ে ঘুষ নিয়েছেন।
এছাড়াও উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার কারণে সাবেক জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদকে, পূর্বে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান, ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট, ফরেন অপারেশন অ্যান্ড রিলেটেড প্রোগ্রামস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস অ্যাক্টের ৭০৩১ (সি) ধারার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে পররাষ্ট্র দপ্তর। এর ফলে আজিজ আহমেদ এবং তার পরিবারের সদস্যরা সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য হবেন।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও আইনের শাসন শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার পুনরায় নিশ্চিত করা হলো। সরকারি সেবা আরও স্বচ্ছ ও নাগরিকদের সেবা লাভের সুযোগ তৈরি, ব্যবসা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং মুদ্রা পাচার ও অন্যান্য অর্থনৈতিক অপরাধের অনুসন্ধান ও বিচার নিশ্চিতে সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশে দুর্নীতি বিরোধী প্রচেষ্টায় সহায়তা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা
মন্তব্য করুন
চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে সকাল শুরু করতে না পারলে দিনটা মাটি হয়ে যায় অনেকেরই। আবার নাস্তার পর কিংবা কাজের ফাঁকে নিজেকে চাঙ্গা রাখতে এক কাপ চায়ের জুড়ি মেলা ভার।
আজ ২১ মে বিশ্ব চা দিবস। তাই বলা যায়, আজকের দিনটি চা প্রেমীদের দিন। তারা চাইলে আজকের দিনটি উদযাপনে একত্রিত হতে পারেন, কিংবা মেতে উঠতে পারেন চা আড্ডায়।
চা প্রেমী মানুষদের কাছে এটি একটি আবেগের নাম। কারণ চা ছাড়া তাদের চলেই না। মন ভালো থাকলে তারা চা খায়, মন খারাপ থাকলে চা খায়, ঠাণ্ডা লাগলেও চা খায় আবার গরম লাগলেও চা খায়।
জেনে অবাক হবেন যে, চা বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ মানুষের সবচেয়ে প্রিয় পানীয়। ন্যাশনাল টুডে'র তথ্য অনুযায়ী, প্রতি সেকেন্ডে মানুষ ২৫ হাজার কাপ চা পান করেন। অর্থাৎ প্রতিদিন দুই বিলিয়ন কাপেরও বেশি চা পান করা হয়।
২০০৫ সালে চা উৎপাদনকারী দেশগুলো এক হয়ে আন্তর্জাতিক চা দিবস পালন করে। এই দেশগুলো হলো- শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, মালয়েশিয়া ও উগান্ডা। পরে ২০১৯ সালে ২১ মে বিশ্ব চা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০১৯ সালের ২১ ডিসেম্বর জাতিসংঘ চা দিবসকে হ্যাঁ বলে। ২০২০ সালের ২১ মে জাতিসংঘ প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব চা দিবস পালন করে।
ধারণা করা হয়, বিশ্বের জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চা পানকারীদের সংখ্যাও বাড়বে। ভারত ও চীনে চায়ের ব্যাপক জনপ্রিয়তা আছে। চা পানে এই দুটি দেশ বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৩৭ শতাংশ অবদান রাখে।
চা মূলত চীন থেকে এসেছে। আর গরম চায়ের আছে একটি দীর্ঘ ইতিহাস। যা প্রায় ৫ হাজার বছর আগের। চা নিয়ে একটি গল্প প্রচলিত আছে- একজন চীনা সম্রাট গরম পানির কাপ নিয়ে একটি গাছের নীচে বসেছিলেন। তখন কিছু কিছু শুকনো পাতা ওই কাপে এসে পড়ে। পরে সম্রাট সেই পানীয় পান করে মুগ্ধ হন। এভাবে গরম চায়ের সঙ্গে মানুষের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। যদিও এই গল্প কতটা সত্যি তা বলা মুশকিল। কিন্তু, এটাতো সত্যি কথা যে- শত শত বছর ধরে মানুষ গরম চা পান করে আসছেন।
বছরের পর বছর ধরে চা নিয়ে নানান গবেষণা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে গরম পানির সঙ্গে গুল্ম ও পাতা মিশিয়ে পান করা হয়েছে। কিন্তু চায়ের সবচেয়ে আধুনিক সংস্করণ গরম পানির সঙ্গে কয়েক টুকরো চা পাতার মিশিয়ে পান করা। এই পাতা ক্যামেলিয়া সাইনেনসিস উদ্ভিদ থেকে পাওয়া যায়। এশিয়ায় গরম চা পান শুরু হয় খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে। আর ষোড়শ শতাব্দীর আগে ইউরোপে চা প্রবেশ করতে পারেনি।
১৬০০-এর দশকে ইংল্যান্ডের মানুষ এই সুস্বাদু পানীয়টির প্রেমে পড়তে শুরু করেন এবং এটি আধুনিক শ্রেণির জনপ্রিয় পানীয় হয়ে উঠতে শুরু করে। ব্রিটিশ ভারতে চায়ের উৎপাদন প্রবর্তিত হয়। শুধু তাই নয় তখন বিশ্বব্যাপী এটি একটি শিল্প হয়ে ওঠে।
মন্তব্য করুন
দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে। প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনের মতো দ্বিতীয় ধাপেও আলোচনায় আছেন মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের মনোনয়ন। এ ধাপের লড়াইয়ে চেয়ারম্যান পদে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজন রয়েছেন ১৭ জন। ব্যবসায়ী প্রার্থীদের দাপট অক্ষুণ্ণ রয়েছে। তাই এ নির্বাচন নিয়ে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটের দিন আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি নিয়েও চ্যালেঞ্জে রয়েছে কমিশন।
নির্বাচন কমিশন বলছে, চলমান উপজেলা নির্বাচনে ভোট কম পড়ার বড় কারণ হলো বিএনপির ভোট বর্জন। তাদের কর্মী-সমর্থকরা ভোট দিতে কেন্দ্রে আসছেন না। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির কম হওয়ার কারণ শুধু বিএনপির ভোট বর্জনই নয়। মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাবও এই নির্বাচনকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩ জন সংসদ সদস্যদের আত্মীয়স্বজন অংশ নিয়েছিলেন। এবার দ্বিতীয় ধাপে সেটি বেড়ে ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে। তাই ভোটাররা ভোট দিতে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছে বলে মনে করছেন নির্বাচন বিশ্লেষকরা। তবে প্রথম ধাপের নির্বাচনে সর্বনিম্ন ভোটার উপস্থিতির রেকর্ড হওয়ায় এবার উপস্থিতি বাড়াতে দৌড়ঝাঁপ করছে নির্বাচন কমিশন। প্রার্থীরাও ভোটারদের মন জয় করতে নানামুখী কৌশল গ্রহণ করছে।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) হিসাবে, প্রথম ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ভোট পড়েছে ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ। এর মধ্যে ইভিএমে ভোটের হার ৩১ দশমিক ৩১ শতাংশ আর ব্যালটে ৩৭ দশমিক ২২ শতাংশ। এছাড়া ১৩৯টি উপজেলার মধ্যে ৮১টিতেই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন নির্বাচনী এলাকার মোট ভোটারের ২০ শতাংশের কম ভোট পেয়ে।
এদিকে দলের নির্দেশ উপেক্ষা করে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপি থেকে ৭১ জনকে বহিষ্কার করা হয়। তাদের বহিষ্কারের পরও স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা নিজ নিজ পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। প্রথম ধাপের নির্বাচনেও বিএনপির ৮০ জন প্রার্থী ছিলেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৮ জন প্রার্থীর মধ্যে ৭ জন বিজয়ী হয়েছেন। এবারও বিভিন্ন উপজেলায় বহিষ্কৃত বিএনপি নেতাদের মধ্যে কেউ কেউ বিজয়ী হবেন বলে স্থানীয় নেতাকর্মীরা প্রত্যাশা করছেন।
এদিকে ভোট গ্রহণকালে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে কঠোর অবস্থানে নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই ইসির পক্ষ থেকে মন্ত্রী-এমপিদের সতর্ক করা হয়েছে। নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে মন্ত্রী-এমপিরা কারও পক্ষে কাজ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও ইসি জানিয়েছে। এ ছাড়াও কোনো প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষের লোকেরা বিশৃঙ্খলা করলে কঠোর হাতে দমনের কথা বলা হয়েছে। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও রয়েছে সতর্ক অবস্থানে।
নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্যমতে, দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় বিভিন্ন পদে মোট এক হাজার ৮২৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬০৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯৩ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৯৮ জন প্রার্থী রয়েছেন।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভোটের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে মাঠে অবস্থান নিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। কেন্দ্রে কেন্দ্রে অবস্থায় নিয়েছেন পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশ সদস্যরা।
নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালনের জন্য মাঠে রয়েছে প্রতি ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া নির্বাচনী অপরাধ আমলে নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিচারকাজ সম্পন্ন করতে নিয়োজিত রয়েছেন ১৫৭ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট।
ভোটার নির্বাচন কমিশন ইসি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
কাউন্সিলর রোকসানা ইসলাম চামেলী
মন্তব্য করুন
মঙ্গলবার (২১ মে) দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং। গত তিন দশকের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ান কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর এটি।
সোমবার (২০ মে) অস্ট্রেলিয়ান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পেনি ওং-এর বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর সফর নিয়ে একটি প্রেস রিলিজ প্রকাশ করেছে।
পেনি ওং বলেন, একটি শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের লক্ষ্যকে এগিয়ে নিতে আমি এই সপ্তাহে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর সফর করতে যাচ্ছি। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ার সম্পৃক্ততা বাড়ানোর প্রচেষ্টায় এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে যেতে পারব।
অস্ট্রেলিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ জলবায়ু পরিবর্তন, অঞ্চল-ভিত্তিক সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং মানবপাচারের মতো পারস্পরিক বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলোর বাস্তবমুখী সমাধানের লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে ঢাকায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ ও বাংলাদেশ সরকারের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে আলোচনা করব বলে আশা রাখছি।
তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যকার সম্পর্ক উল্লেখযোগ্য পর্যায়ে রয়েছে। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় ৫০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জনগণ বসবাস করেন। এর পাশাপাশি, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীদের কল্যাণ ও বাস্তবমুখী সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে প্রদেয় অস্ট্রেলিয়ান সরকারের মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিদর্শন করতে আমি কক্সবাজার যাচ্ছি।
পেনি ওং বলেন, একটি বৃহত্তর বৈশ্বিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে অস্ট্রেলিয়া মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে, যার মধ্য দিয়ে আমরা বাস্তুচ্যুতিকে মোকাবিলা ও এর দীর্ঘমেয়াদি সমাধান করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী একদিন তাদের স্বদেশে ফিরে যেতে পারবে বলেও আশা রাখছি।
পেনি আরও বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সিঙ্গাপুরে এটি হবে আমার দ্বিতীয় সফর। এই সফরে বাণিজ্য-বিনিয়োগ, সবুজ অর্থনীতির সম্ভাবনা, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তাসহ পারস্পরিক বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করার লক্ষ্যে আমাদের দুই দেশের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা আরও এগিয়ে নিয়ে যাবার আশা ব্যক্ত করছি।
তিনি বলেন, আমি সিঙ্গাপুরের জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী লি সিয়েন লুং এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণানের সঙ্গে আলোচনা করতে যাচ্ছি। পারস্পরিক আস্থা, মর্যাদা ও কৌশলগত লক্ষ্যের ভিত্তিতে সিঙ্গাপুর আমাদের অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও বন্ধু রাষ্ট্র।
অস্ট্রেলিয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা
মন্তব্য করুন
দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগে বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ ও তার পরিবারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ সময় সোমবার মধ্যরাতের পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে আজিজ আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অযোগ্য বলে ঘোষণা করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, আজিজের কর্মকান্ড বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়ার প্রতি জনগণের বিশ্বাসকে ক্ষুণ্ন করতে ভূমিকা রেখেছে।
চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে সকাল শুরু করতে না পারলে দিনটা মাটি হয়ে যায় অনেকেরই। আবার নাস্তার পর কিংবা কাজের ফাঁকে নিজেকে চাঙ্গা রাখতে এক কাপ চায়ের জুড়ি মেলা ভার। আজ ২১ মে বিশ্ব চা দিবস। তাই বলা যায়, আজকের দিনটি চা প্রেমীদের দিন। তারা চাইলে আজকের দিনটি উদযাপনে একত্রিত হতে পারেন, কিংবা মেতে উঠতে পারেন চা আড্ডায়।
দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে। প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনের মতো দ্বিতীয় ধাপেও আলোচনায় আছেন মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের মনোনয়ন। এ ধাপের লড়াইয়ে চেয়ারম্যান পদে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজন রয়েছেন ১৭ জন। ব্যবসায়ী প্রার্থীদের দাপট অক্ষুণ্ণ রয়েছে। তাই এ নির্বাচন নিয়ে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটের দিন আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি নিয়েও চ্যালেঞ্জে রয়েছে কমিশন।
মঙ্গলবার (২১ মে) দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং। গত তিন দশকের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ান কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর এটি। সোমবার (২০ মে) অস্ট্রেলিয়ান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পেনি ওং-এর বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর সফর নিয়ে একটি প্রেস রিলিজ প্রকাশ করেছে। পেনি ওং বলেন, একটি শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের লক্ষ্যকে এগিয়ে নিতে আমি এই সপ্তাহে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর সফর করতে যাচ্ছি। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ার সম্পৃক্ততা বাড়ানোর প্রচেষ্টায় এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে যেতে পারব।