নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:২৭ এএম, ০৩ এপ্রিল, ২০২১
আজ ৩ এপ্রিল জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস। ১৯৫৭ সালের আজকের এই দিনে প্রাদেশিক আইন পরিষদের শেষ দিন তৎকালীন শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান `পূর্ব পাকিস্তান চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা` বিল উত্থাপন করেন। বিল উত্থাপনের পর প্রাদেশিক আইন পরিষদ সদস্য আবদুল মতিন, ইমদাদ আলী ও মনীন্দ্র নাথ ভট্টাচার্য বিলে সামান্য সংশোধনী আনেন। সংশোধনীর পর বিলটি বিনা বাধায় আইন পরিষদে পাস হয়। এই বিলের সূত্র ধরেই জন্মলাভ করে চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা এফডিসি।
এই দিনকে স্মরণ করে ২০১২ সালে প্রথমবার জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস উদযাপন করা হয়। এর পর থেকে প্রতি বছর এই দিনটিকে জমকালো আয়োজনে পালন করা হয়ে থাকে। এই দিনে এফডিসিকে সাজানো হয় ব্যানার-ফেস্টুন দিয়ে। শোভাযাত্রা বের করা হয়। স্থিরচিত্র প্রদর্শনী থাকে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকে। চিত্রতারকারা আসেন। সরকারি কর্মকর্তারা আসেন। অংশ নেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। সে এক বিশাল মিলনমেলা বসে এফডিসিতে। কিন্তু করোনার কারণে গত বছর থেকে সব আয়োজন হারিয়ে গেছে, রংহীন হয়েছে এফডিসি প্রাঙ্গন। গত বছর বেশ কিছু কর্মসূচি হাতে নেওয়া হলেও ক্রান্তি লগ্নে এসে সব বন্ধ করতে বাধ্য হয়। তবে এবারে সীমিত আকারে দিবসটি উদযাপনে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে যা কিছুই হবে সব হবে দর্শকহীনভাবে।
এবছর এফডিসিতে ব্যানার ও পোস্টার সাজানো হবে তবে সীমিত পরিসরে। দুপুরের পর চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর একটা ব্যবস্থা থাকবে। তবে এটা বিএফডিসির কর্মকর্তা ও ভেতরকার মানুষরা দেখবেন। এর বাইরে কারও অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকবে না। এছাড়া, বিএফডিসির বাইরেও অনলাইনে থাকছে আরও একটি অনুষ্ঠান। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস উপলক্ষে ম্যুভিয়ানা ফিল্ম সোসাইটির `স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সংস্কৃতি` শিরোনামে বিশেষ বক্তৃতার আয়োজন করেছে। অদ্রি হৃদয়েশের সঞ্চালনায় এতে অংশ নেবেন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও সংগঠনের সভাপতি বেলায়াত হোসেন মামুন। অনলাইন এই আয়োজনটি দেখা যাবে এই ঠিকানায়- https://www.facebook.com/Moviyana
করোনার কারণে চলচ্চিত্র দিবসের বর্ণিল আয়োজন হয়েছে ফ্যাকাশে। এবছরের শুরু থেকে করোনার প্রভাব কিছুটা কমতে শুরু করায় নতুন করে এফডিসিতে প্রাণ ফিরতে শুরু করেছিলো। পরিচালক, প্রযোজক, অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অনেককেই এইবার এফডিসির প্রাঙ্গণে দেখা গিয়েছিল অনেক দিন পর। কিন্তু সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতি আবারও অস্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা রেকর্ড ভাঙতে শুরু করেছে। তাছাড়া এরই মধ্যে ঢাকায় সিনেমার বেশ কয়েজন পরিচিত মুখ করোনায় আক্রান্তও হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে চলচ্চিত্র দিবসের মিলনমেলা একেবারেই অসম্ভব। তাই গত বছরের ন্যায় এবারও এফডিসি থাকছে থমথমে।
মন্তব্য করুন
একমাত্র
সন্তান কুমার নিবিড়ের দুর্ঘটনায় কুমার বিশ্বজিতের কোনো কিছুই আর পরিকল্পনার মধ্যে নেই।
হাসপাতালে জীবন–মৃত্যুর সঙ্গে লড়তে থাকা একমাত্র সন্তানের পাশে থাকতে ১৪ মাস ধরে স্ত্রীসহ
কানাডায় এখন তাঁর ঘরবাড়ি। সেখানে সেন্ট মাইকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁর একমাত্র সন্তান
কুমার নিবিড়। গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হন নিবিড়। দীর্ঘ
১৪ মাস কুমার বিশ্বজিৎ ছিলেন সুরের বাইরে।
গত
১৮ এপ্রিল কয়েক সপ্তাহের জন্য ঢাকায় এসেছেন তিনি। এবার এসে তাঁর মঞ্চের বিরতি ভেঙেছে।
ঢাকার একটি মঞ্চে বৃহস্পতিবার (৯ মে) গাইলেন তিনি।
মঞ্চই
তাঁর ঘরবাড়ির মতো ছিল। স্টুডিও ছিল সবচেয়ে প্রশান্তির জায়গা। মঞ্চে গান গাইতে আজ ঢাকায়
তো কাল চট্টগ্রাম বা রাজশাহী। আবার কখনো আমেরিকা–ইউরোপের কোনো দেশ-এভাবেই চলছিল দেশের
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের জীবন। চার দশকের সংগীতজীবনে রুটিনটা ছিল এ রকমই।
হঠাৎ
একটি দুর্ঘটনা যেন মুহূর্তেই সব হিসাব–নিকাশ পাল্টে দেয়। কানাডায় ঘটে যাওয়া সেই দুর্ঘটনায়
ছেলে কুমার নিবিড় মারাত্মকভাবে আহত হন। এর পর থেকে বাবা ডাক শোনা থেকে বঞ্চিত হন কুমার
বিশ্বজিৎ। ১৪ মাস ধরে এমন অবস্থা চলছে। সন্তানের মুখে বাবা ডাক শোনার প্রহর গুনছেন
দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী বাবা কুমার বিশ্বজিৎ। আশায় বুক বেঁধেছেন বাবা। হাসপাতালের
বিছানায় শুয়ে থাকা নিবিড়কে এখন চেয়ারে বসানো যাচ্ছে। চোখ মেলে তাকিয়ে মা–বাবাকে দেখছেনও।
ছেলের অসুস্থতার খবর শুনে কানাডায় ছোটার আগে কুমার বিশ্বজিৎ স্টেজ শো নিয়ে খুব ব্যস্ত ছিলেন। সারা দেশের স্টেজ শোতে তাঁর চাহিদাও সমসাময়িক শিল্পীদের চেয়ে বেশি। এদিকে এপ্রিলের আগেও একবার যখন কানাডা থেকে কয়েক দিনের জন্য ঢাকায় এসেছিলেন কুমার বিশ্বজিৎ, তাঁকে মঞ্চে গান গাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়; কিন্তু মানসিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করতে না পারায় মঞ্চে ফেরেননি। এবারও আসার খবর শুনে একাধিক আয়োজক প্রতিষ্ঠান কুমার বিশ্বজিতের ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কয়েকটি অনুষ্ঠান না করতে পারলেও গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি বেসরকারি ব্যাংকের আয়োজন কোনোভাবেই না করতে পারেননি।
এদিকে
কুমার বিশ্বজিতের মঞ্চে ফেরার খবরে বিনোদন অঙ্গনের অনেকে বেশ খুশি। তাঁদের মতে, চিরচেনা
জগতে যদি তিনি ব্যস্ত থাকেন, তাহলে কিছুটা হলেও কষ্ট ভুলে থাকতে পারবেন। তবে বিশ্বজিৎ
মনে করছেন, এটা কোনোভাবেই ভুলে থাকা সম্ভব নয়। তাঁর কাছে সবকিছু বিবর্ণ মনে হয়; ভুলে
থাকার বৃথা চেষ্টা। পিতার অস্তিত্বটা এত বেশি যে তা সবকিছুকে ছাপিয়ে যায়।
ছেলের
সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কুমার বিশ্বজিৎ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শারীরিক
অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে। কিন্তু কবে যে পুরোপুরি সুস্থ হবে, তা বলা মুশকিল। এখনো
হাসপাতালে থাকতে হচ্ছে।'
সন্তান দুর্ঘটনা কুমার বিশ্বজিত
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের
সিনেমার গর্ব তিন বোন অভিনেত্রী সুচন্দা, ববিতা ও চম্পা। দাপটের সঙ্গে একসময় রুপালি
পর্দায় অভিনয় করেছেন তারা। এখন চম্পাকে মাঝেমধ্যে দেখা গেলেও সুচন্দা ও ববিতা আছেন
অভিনয় থেকে একেবারেই দূরে।
অভিনেত্রী
ববিতা বলেন, ‘আমি অনেক দিন ধরেই কাজের বাইরে আছি। দেশ ও দেশের বাইরে থাকা হয়। অভিনয়
আর করা হয় না। ভালো গল্প হলে কাজের ইচ্ছা আছে। এ ছাড়া আমাদের তিন বোনকে নিয়ে অনেকেই
সিনেমা করার ইচ্ছা প্রকাশ করছে এখন। এটা এখন আর সম্ভব নয়। সবাই যার যার স্থান থেকে
ব্যস্ত। তবে আমাদের ক্যারিয়ার নিয়ে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করার।’
এ
বিষয়ে চম্পা বলেন, ‘এখনই সময় এমন একটি তথ্যচিত্র নির্মাণের। আমার জন্য নয়, আমার দুই
বোনের বাংলাদেশের সিনেমায় ব্যাপক অবদান রয়েছে। তাদের জন্য হলেও এমন একটি তথ্যচিত্র
নির্মাণ করা দরকার বলে আমি মনে করি।’
মন্তব্য করুন
মুম্বাইয়ের অন্যতম দর্শনীয় স্থান বলিউড অভিনেতা শাহরুখ খানের শখের বাড়ি ‘মান্নাত’। শাহরুখ বাড়িটি কিনেছিলেন ২০০১ সালে। তখন তার নাম ছিল ‘ভিলা ভিয়েনা’। শাহরুখ ২০০৫ সালে বাড়ির নাম রাখেন ‘মান্নাত’ । তার আগে বাড়িটি কেনার প্রস্তাব পেয়েছিলেন সালমান খান। কিন্তু তিনি প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
এক
সাক্ষাৎকারে সালমান জানান, মান্নাত কেনার প্রস্তাব পাওয়ার কথা বাবা সেলিম
খানকে জানিয়ে তার পরামর্শ চেয়েছিলেন।
ছেলেকে সেলিম খান বলেন, ‘এত
বড় বাড়ি নিয়ে করবে
কী?’ বাবার
এই কথাতেই আর ‘ভিলা ভিয়েনা’
কেনার আগ্রহ দেখাননি বলিউড ভাইজান।
শাহরুখের সাধের ‘মান্নাত’র এখন বাজারমূল্য ২০০ কোটি টাকার বেশি। অবশ্য মান্নাত তার বিপুল সম্পত্তির একটি অংশ মাত্র। লন্ডনেও শাহরুখের একটি বিলাসবহুল বাড়ি রয়েছে। যার মূল্য ১৭২ কোটি টাকা। বলিউডের রোম্যান্স কিংয়ের দুবাইয়ের প্রাইভেট আইল্যান্ডে একটি বাড়ি রয়েছে। তার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা।
মন্তব্য করুন
সদ্যই
মুক্তি পেয়েছে সোনাক্ষী সিনহা অভিনীত সিরিজ ‘হীরামান্ডি।’ সঞ্জয় লীলা বানসালি পরিচালিত
সিরিজটিতে সোনাক্ষীর অভিনয় বেশ প্রশংসাও পাচ্ছে।
এরইমধ্যে শোনা যাচ্ছে, বিয়ের
পিঁড়িতে বসতে চান অভিনেত্রী।
সম্প্রতি
কপিল শর্মার শো’তে এসেছিলেন
সোনাক্ষী। সেখানে কপিল হঠাৎ সোনাক্ষীকে
বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করে
বসেন। সোনাক্ষী তখন উত্তর দেন,
‘কাটা গায়ে নুনের ছিঁটা!
আমি কিন্তু বিয়ে করতে একেবারে
তৈরি।’ তবে খুব চালাকি
করে জাহিরের প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছেন অভিনেত্রী।
বেশ
কয়েক বছর ধরেই প্রেম,
সম্পর্ক, বিয়ে নিয়ে খুব
একটা মুখ খুলতে দেখা
যায়নি সোনাক্ষী সিনহাকে। যখনই এসব প্রশ্ন
উঠেছে, তখনই পুরো বিষয়টা
এড়িয়ে গিয়েছেন। তবে বলিউডের বাতাসে
উড়ছিল সোনাক্ষী ও জাহির ইকবালের
প্রেমের খবর। গত বছর
সালমান খানের পার্টিতেও একসঙ্গে হাজির হয়েছিলেন সোনাক্ষী ও জাহির।
এরপর থেকেই আলোচনায় দু'জনের প্রেম। তবে দু'জন প্রেমের বিষয়ে সরাসরি কিছু না বললেও নিজেদের প্রেম চালিয়ে যাচ্ছেন তা বলাই বাহুল্য। তবে কি জাহিরকেই বিয়ে করতে যাচ্ছেন সোনাক্ষী?
মন্তব্য করুন
গায়ক,
সুরকার ও সংগীত পরিচালক
শায়ান চৌধুরি অর্ণব। বর্তমানে কোক স্টুডিও সিজন
৩ নিয়ে ব্যস্ত সময়
পার করছেন। ইতোমধ্যেই ‘তাঁতী’ শিরোনামে এই সিজনের প্রথম
গানে দেখা গেছে এই
তারকাকে। তার মধ্যেই ভক্তদের
সুখবর দিলেন এই শিল্পী , জানালেন
এ বছরেই আসছে তার নতুন
অ্যালবাম।
অর্ণব বিগত তিন বছর ধরে কোক স্টুডিও নিয়েই ব্যস্ত আছেন। এবার অ্যালবামে সময় দিচ্ছেন। জানা গেছে, এ বছরের শেষে আসবে তার এই নতুন অ্যালবাম। যেখানে থাকবে ১০টি গান। ইতোমধ্যেই ৮টি গান নতুন থাকবে।
এবারের গানগুলোতে ভিন্নতা আনতে চেয়েছেন অর্ণব। তাই তিনি দর্শকের জন্য বেশকিছু চমকও রাখবেন বলে জানা যায়, এই অ্যালবামে কাজ হয়েছে কবিদের নিয়ে।
দুই
বাংলার নানা কবির কবিতাকে
ভেঙে গান তৈরি হয়েছে।
জীবনানন্দ দাশ থেকে শ্রীজাত,
নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, অনেকের কবিতা নিয়ে কাজ করেছেন এই
শিল্পী। অর্ণবের লেখাও এক-দুটো গান
থাকবে।
নতুন
অ্যালবামের নাম এখনো ঠিক
হয়নি। এর আগে এই
শিল্পী ২০০৫ সালে তার
প্রথম অ্যালবাম ‘চাইনা ভাবিস’ প্রকাশ করে। তারপর ২০০৬
সালে ‘হোক কলরব’, ২০০৮
সালে ‘ডুব’, ২০১০ সালে ‘রোদ
বলেছে হবে’, ২০১২ ‘আধেক ঘুম’, ২০১৫
সালে ‘খুব ডুব’ এবং
সব শেষ ২০১৭ সালে
‘অন্ধ শহর’ প্রকাশ করে।
মন্তব্য করুন
একমাত্র সন্তান কুমার নিবিড়ের দুর্ঘটনায় কুমার বিশ্বজিতের কোনো কিছুই আর পরিকল্পনার মধ্যে নেই। হাসপাতালে জীবন–মৃত্যুর সঙ্গে লড়তে থাকা একমাত্র সন্তানের পাশে থাকতে ১৪ মাস ধরে স্ত্রীসহ কানাডায় এখন তাঁর ঘরবাড়ি। সেখানে সেন্ট মাইকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁর একমাত্র সন্তান কুমার নিবিড়। গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হন নিবিড়। দীর্ঘ ১৪ মাস কুমার বিশ্বজিৎ ছিলেন সুরের বাইরে।