ইনসাইড বাংলাদেশ

শেখ হাসিনাকে হত্যার ২১ ষড়যন্ত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:০৭ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭


Thumbnail

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কাল রাত্রিতে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানসহ সপরিবার হত্যা করা হয়। তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিতে থাকায় বেঁচে যান শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। দীর্ঘ ছয় বছর পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা।

দেশে ফেরার পর থেকেই পঁচাত্তরের ঘাতকরা আবার সক্রিয় হয়ে ওঠে । এক বার, দু‘বার নয় ২১ বার হত্যার চেষ্টা করা হয় শেখ হাসিনাকে ।

১৯৮১ সাল
দেশের ফিরে আসার বছরেই শেখ হাসিনাকে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেস্টা করে ফ্রিডম পার্টির সন্ত্রাসীরা। ওই সময় এক কর্মী নিজের জীবন দিয়ে শেখ হাসিনাকে রক্ষা করেন।

১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি
এরশাদ সরকারের আমলে ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামের লালদিঘি ময়দানে আট দলীয় জোটের জনসভা ছিল। চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে মিছিল করে জনসভাস্থলে যাওয়ার পথে শেখ হাসিনার ট্রাক মিছিলে সশস্ত্র হামলা হয়। সেদিন নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনাকে বাঁচাতে মানববর্ম তৈরি করেন।প্রাণে বেঁচে যান শেখ হাসিনা।

১৯৮৯ সালের ১০ আগস্ট
১৯৮৯ সালের ১০ আগস্ট মধ্যরাতে ফ্রিডম পার্টির অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী কাজল ও কবিরের নেতৃত্বে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে গুলি ও গ্রেনেড ছুঁড়ে বলে অভিযোগ আছে। ওই ঘটনায় বাসার দারোয়ান একটি মামলা দায়ের করেন।

১৯৯১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর
১৯৯১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর চতুর্থ জাতীয় সংসদের উপনির্বাচনের সময় ধানমণ্ডির গ্রিন রোডে ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলিছোড়া হয়। তার গাড়িতে গুলি লাগলেও অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তিনি।

১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর
১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ট্রেনমার্চ করার সময় পাবনার ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনের বগি লক্ষ্য করে বেশ কিছু গুলি করা হয়। অসংখ্য গুলি লাগে তার বগিতে। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে অক্ষত থাকেন শেখ হাসিনা।

১৯৯৫ সালের ৭ মার্চ
১৯৯৫ সালের ৭ মার্চ শেখ রাসেল স্কয়ারে সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় শেখ হাসিনার ওপর হামলা চালানো হয়। সশস্ত্র ওই হামলা থেকে বাঁচাতে নেতাকর্মীরা তাঁকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়।

১৯৯৬ সালের ৭ মার্চ
১৯৯৬ সালের ৭ মার্চ সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের স্মরণে বক্তৃতা করছিলেন। এ সময় হঠাৎ করে একটি মাইক্রোবাস থেকে শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা ছোড়া হয়। এতে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়।

১৯৯৯ সাল
১৯৯৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর ছেলে মেয়ে সহ ৩১ জনকে হত্যার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করে ই-মেইল চালাচালির খবর আসে। এতে জানানো হয়, ওই ই- মেইলটি পাঠিয়েছিলেন ইন্টার এশিয়া টিভির মালিক শোয়েব চৌধুরী।

২০০০ সালের ২২ জুলাই
২০০০ সালের ২২ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজ মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশ করার কথা ছিল। ওই সমাবেশের প্যান্ডেল তৈরির সময়ে সন্ত্রাসীরা প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করার জন্য দুটি শক্তিশালী বোমা পুঁতে রাখে। সেনাবাহিনীর বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞরা ২০০০ সালের ২০ জুলাই ওই কলেজের পাশ থেকে ৭৬ কেজি ও একই সালের ২৩ জুলাই হেলিপ্যাডের কাছ থেকে ৪০ কেজি ওজনের দুটি শক্তিশালী বোমাউদ্ধার করে।

২০০১ সালের ৩০ মে
২০০১ সালের ৩০ মে খুলনায় রূপসা সেতুর কাজ উদ্বোধন করতে যাওয়ার কথা ছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। ঘাতক চক্র সেখানে শক্তিশালী বোমা পুঁতে রাখে। বিস্ফোরণের আগেই বোমাটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয় গোয়েন্দা পুলিশ।

২০০১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর
২০০১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে শেখ হাসিনা নির্বাচনি জনসভা করতে সিলেটে গেলে সেখানে বোমা পুঁতে রেখে হত্যারপরিকল্পনা করেছিল হুজি। কিন্তু হামলার আগেই জনসভাস্থলের অদূরে বোমা বিস্ফোরণে জঙ্গিদের দুই সদস্য নিহত হলে ওই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়।

২০০২ সালের ৪ মার্চ
২০০২ সালের ৪ মার্চ নওগাঁয় বিএমসি সরকারি মহিলা কলেজের সামনে তৎকালীন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখহাসিনার গাড়ি বহরে হামলা হয়।

২০০২ সালের ২৬ আগস্ট
২০০২ সালের ২৬ আগস্ট কলারোয়ার হিজলদীতে মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার রহমানের স্ত্রী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক নেত্রী ধর্ষণের শিকার হয়ে সাতক্ষীরাহাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ৩০ আগস্ট বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা খুলনা সফরের সময় এ খবর পেয়ে তাকে দেখতে সাতক্ষীরা যান। পথেকলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরের ওপর গুলি ও বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।

২০০২ সালের ২ এপ্রিল
২০০২ সালের ২ এপ্রিল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলেই বরিশালের গৌরনদীতে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। গৌরনদীবাসস্ট্যান্ডে ওই হামলা, গাড়ি ভাঙচুর, লুটতরাজের ঘটনায় প্রকৃত হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা না করে উল্টো আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদেরআসামি করে মামলা করে পুলিশ। পরে ওই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়। কিন্তু প্রকৃত হামলাকারীরা পার পেয়ে যায়।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। সেই ঘটনায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হয়। গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের আঘাতে আহত হন কয়েক শতাধিক। শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান।

২০০৭ সাল
২০০৭ সালে ১/১১ পরবর্তী সময় কারাবন্দি থাকা অবস্থায় খাবারে বিষ প্রয়োগ করে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ওই খাবার খেয়ে তার চোখ-মুখফুলে গিয়েছিল এবং তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বলে আওয়ামী লীগ নেতারা বিভিন্ন সময় অভিযোগ করেন। সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী আওয়ামী লীগের উল্লেখযোগ্য কয়েকজন নেতা ওই অভিযোগ তোলেন। 

২০১১ সাল
২০১১ সালে শ্রীলংকার একটি সন্ত্রাসবাদী দলের সাথে বাংলাদেশের শত্রু রাষ্ট্র পাকিস্তান এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী চক্র সুইসাইড স্কোয়াড গঠন করে শেখহাসিনাকে হত্যার জন্য চুক্তি করে। এজন্য অগ্রিম টাকাও দেয়া হয়। শ্রীলংকার সেই সন্ত্রাসবাদী দলের আততায়ীদের টিম গাড়ি করে কলকাতা বিমানবন্দরেযাবার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হলে ভেস্তে যায় শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনাটি।

২০১৪ সাল
২০১৪ সালের শেষদিকে প্রশিক্ষিত নারী জঙ্গিদের মাধ্যমে মানববোমায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ১৫০জন নারী ও ১৫০ জন যুবককে বিশেষ প্রশিক্ষণও দেয়া হয়। এদের নেতৃত্বে রয়েছে ১৩ জঙ্গি দম্পতি। তবে প্রশিক্ষণরত অবস্থায়ই পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানেবিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলে ওই ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে যায়।

২০১৫ এর ৭ মার্চ
২০১৫ এর ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাওয়ার সময়ে কাওরানবাজারে তার গাড়িবহরে বোমা হামলা চালানোর চেষ্টা চালায় জেএমবি।

২০১৬ সালের ২৮ নভেম্বর
২০১৬ সালের ২৮ নভেম্বর বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবহেলা ও ম্যানেজমেন্টের অদক্ষতার কারণে প্রধানমন্ত্রীর বিমানে একটি ত্রুটি দেখা দেয়। করাচির আকাশসীমা পার হওয়ার পর যান্ত্রিক ত্রুুটি ধরা পড়ে। ত্রুটিটি ছিল বিমানের ইঞ্জিনে অয়েল (লুব্রিকেন্ট) সিস্টেমের একটি নাট-বোল্ট অর্ধেক খোলাছিল। ওই ঢিলা অংশ দিয়ে ইঞ্জিন থেকে লুব্রিকেন্ট বেরিয়ে যায়। এতে ওই ইঞ্জিনে জিরো হয়ে যায় অয়েল। যেখানে প্রধানমন্ত্রী বড় ধরণের দূর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল।

২০১৭ সালের ১৫ ই আগস্ট
সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে ধানমণ্ডি ৩২ কে কেন্দ্র করে আগস্টের মিছিলে জঙ্গি গোষ্ঠী আত্মঘাতী বোমা হামলার চেষ্টা চালায়। এই হামলার প্রধান লক্ষ্য ছিল শেখ হাসিনা। পরে পুলিশি বাধায় সেটি নশ্চাৎ হয়।

বাংলা ইনসাইডার/এসএম/জেডএ




মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নয়: প্রশাসনের শীর্ষ দুই পদে কারা আসছে?

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

সরকার আর ঢালাওভাবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিবে না। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। আর এই তথ্যের বাস্তবতা পাওয়া গেছে সাম্প্রতিক সময়ে। দু’জন সচিবের চাকরীর মেয়াদ শেষ হয়েছে তারা চেষ্টা তদবির করেও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিতে পারেননি। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে থাকা বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ শেষ পর্যন্ত অবসরে গেছেন। তার জায়গায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ সেলিমকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

অন্যদিকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের জন্য চেষ্টা করেছিলেন। তার জন্য অনেকে তদবিরও করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাকেও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়নি। সেখানে নতুন সচিব নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, সরকার আপাতত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে। আর এই বাস্তবতার কারণে সামনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফিজুর রহমানেরও নতুন করে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নবায়ন হচ্ছে না বলে জানা গেছে। তার স্থলে নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাঙ্গীর আলম দায়িত্ব পেতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।

এছাড়াও আগামী মাসে বেশ কয়েকটি সচিবের পদ শূন্য হচ্ছে। ১২ জুন অবসরে যাচ্ছেন সত্যজিত কর্মকার। যিনি পরিকল্পনা বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও সরকারি কর্ম কমিশনের সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোলের চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে ১৫ জুন। তাকেও নতুন করে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হবে না বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসনের মধ্যে সবচেয়ে আলোচনা এবং জল্পনা-কল্পনার বিষয় হলো, প্রশাসনের শীর্ষ দুই পদে কারা আসছেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার চাকরীর মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে আগামী ৫ জুলাই। তিনি ইতোমধ্যে চুক্তিতে আছেন। নতুন করে তার চুক্তি যদি নবায়ন না হয় তাহলে এখানে নতুন মুখ দেখা যেতে পারে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, যদি জ্যেষ্ঠতার নীতি অনুসরণ করা হয়, তাহলে নৌ পরিবহন সচিব মোস্তফা কামাল প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেতে পারেন। আর অন্যদিকে দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠ হিসেবে রয়েছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা। তারও এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনের সম্ভাবনা রয়েছে।

আর যদি সরকার জ্যেষ্ঠতার নীতি অনুসরণ না করেন তাহলে ১৩ ব্যাচের কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীর সচিব সালাহ উদ্দিন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কে হবেন এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানামুখী আলাপ আলোচনা চলছে।

চলতি বছর ১০ অক্টোবর শেষ হয়ে হচ্ছে চুক্তিতে থাকা মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেনের চাকরির মেয়াদ। আগামী ১৪ অক্টোবর তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। নতুন করে তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়ার সম্ভাবনা খুব কম বলে মনে করছেন বিভিন্ন হল। এরকম বাস্তবতায় তার স্থলে কে মন্ত্রিপরিষদের মুখ্য সচিব হবেন তা নিয়েও আলাপ আলোচনা চলছে।

আর বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা সিনিয়র সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী পরবর্তী মন্ত্রিপরিষদ সচিব হতে পারেন। কারণ এক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতার নীতি অনুসরণ করা হয়। মেজবাহ উদ্দিন চৌধুররির চাকরির মেয়াদ আছে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সবকিছু ঠিকঠাক তাহলে তারই মন্ত্রিপরিষদ সচিব হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি বলে জানা গেছে।


প্রশাসন   সচিব   মন্ত্রণালয়   মন্ত্রিপরিষদ   বাংলাদেশ কর্ম কমিশন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সাংবাদিকরা বাংলাদেশ ব্যাংকে কেন ঢুকবেন, প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

পৃথিবীর কোন দেশের সেন্ট্রাল ব্যাংকে অবাধে সাংবাদিকরা ঢুকতে পারে-এমন প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সব ওয়েবসাইটে আছে। আপনার জানবার বিষয়, আপনি ভেতরে ডুকবেন কেন?

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজ এদেশের এত উন্নয়ন সমৃদ্ধির একটাই কারণ, তা হলো সরকারের ধারাবাহিকতা। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন, কিন্তু বিএনপি এবং মির্জা ফখরুল বাকশালকে গালিতে পরিণত করতে চায়।

তিনি বলেন, গণমাধ্যমও লিখছে যে, বিএনপি ভারতবিরোধিতার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখবে। বিএনপি এখন ভারত প্রশ্নে মধ্যপন্থা নিতে চায়। দেশে গণতন্ত্রের কোনো ঘাটতি নেই, সংসদের মতো সংসদের বাইরেও সরকারের বিরোধিতা জারি আছে, কোনো দল বা গোষ্ঠীর ওপর দমন-পীড়ন করছে না সরকার। গণতন্ত্রের বিচারে বিশ্বের বহু দেশের তুলনায় ভালো অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।

দেশের রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার থেকে এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসায় সরকার উদ্বিগ্ন কি না, জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, কে বললো আপনাকে ১৩ বিলিয়ন ডলার? ‘নিউজে বলছে’; সাংবাদিকদের এমন উত্তরে তিনি বলেন, কোন নিউজে বলছে আপনাকে? আমাদের কাছে হিসাব আছে। তখন সাংবাদিকরা বলেন যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরই বলেছেন ব্যবহার করার মতো ১৩ বিলিয়ন ডলার আছে। তখন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাহলে গভর্নর কে জিজ্ঞেস করুন যে কি কারণে এইটা এই পর্যায়ে এলো? আমরা তো এটা জানি না, আমরা জানি ১৯ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার, এর মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে।

সাংবাদিকদের তো বাংলাদেশ ব্যাংকে ঢুকতে দেয় না, তাহলে গভর্নরকে জিজ্ঞেস করবে কীভাবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, পৃথিবীর কোন দেশে সেন্ট্রাল ব্যাংকে ঢুকতে পারছে অবাধে? কোন দেশে? ভারতের ফেডারেল ব্যাংকে কি অবাধে ঢুকতে পারছে কেউ? কেন ঢুকবে? সব ওয়েবসাইটে আছে। আপনার জানবার বিষয়, আপনি ভেতরে ঢুকবেন কেন?

তিনি আরও বলেন, বলেন, বিশ্বের অনেক নামিদামি দেশ গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রবক্তা কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলন দমন করতে গিয়ে কিভাবে মেরে হাত-পা বেঁধে আটক করা হয়েছে। একজন প্রফেসরও এই নির্মমতার শিকার হয়েছেন। এক শিক্ষার্থী গণমাধ্যমে বলেছেন, তাদের উপর কেমিক্যাল স্প্রে করা হয়েছে। এ কারণে অনেক ছাত্রছাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল, তাদের হাসপাতালে নিতে হয়েছে। 

কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ তো বিএনপির সঙ্গে এমন আচরণ করেনি। বিএনপি যখন যেখানে সভা সমাবেশ করতে চেয়েছে করেছে। সরকার তো কোনো হস্তক্ষেপ করেনি। তাহলে গণতন্ত্রের ঘাটতিটা কোথায়? আমি যদি বলি আমরা অনেক দেশের তুলনায় গণতন্ত্রে সারপ্লাস আছি।

এ সময় র‍্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তিনি ডিনারের পর সাংবাদিকদের সামনে এ নিয়ে যে বক্তব্য রেখেছেন সে বক্তব্য যথাযথভাবে প্রকাশিত হয়েছে কি না তার সঙ্গে আলাপ করলে বুঝতে পারবো। তিনি হয়তো মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করতে পারেন এটা তুলে নিতে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নরসিংদী ও টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে ৫ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৩:০৩ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

বজ্রপাতে নরসিংদীর আলোকবালী ও হাজীপুরে মা ছেলেসহ তিনজন এবং টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে দুই কৃষকসহ মোট ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে ও দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, এদিন সকাল ৮টার দিকে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বীরবাসিন্দা ইউনিয়নের নোয়াবাড়ি গ্রামে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়। এসময় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন।

এছাড়া, একই দিনে দুপুর ১২টার দিকে নরসিংদীর আলোকবালী ও হাজীপুরে বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যু হয়। এসময় আহত হন আরও দুইজন।  

নরসিংদী সদর থানা পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, সকালে নিহত কামাল শরিফা ও ইয়াকুবসহ বেশ কয়েকজন খেতে ধান কাটছিল। সাড়ে ১২ টার দিকে হঠাৎ বজ্রপাতসহ বৃষ্টি শুরু হয়। ওই সময় নিহত শরিফা ইয়াকুব ও কামালসহ পাঁচ জন আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে ইয়াকুব, শরিফা ও কামাল মারা যায়। আহত দুইজনকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।  

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদ জানায়, বজ্রপাতে ৩ জন নিহত হয়েছে। এছাড়াও আহত দুইজনকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এদিকে টাঙ্গাইলে নিহত হন, আফজাল হোসেন এবং মো. আমির হোসেন। তাদের বাড়ি দিনাজপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা সদরে। তারা সম্পর্কে আপন খালাতো ভাই।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন বীরবাসিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন। তিনি জানান, শনিবার সকালে কয়েকজন শ্রমিক হযরত আলীর খেতে ধান কাটতে যান। এসময় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি সঙ্গে বজ্রপাত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই জনের মৃত্যু হয়। আহত হন আরও চারজন। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।


নরসিংদী   টাঙ্গাইল   বজ্রপাত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পরে দেশে বিভীষিকাময় পরিস্থিতি হয়েছিল’

প্রকাশ: ০২:৫১ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর পরে দেশে বিভীষিকাময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বলে বলে মন্তব্য করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রটোকল অফিসার ও ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে শুক্রবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম বলেন, ‘জাতির পিতার মৃত্যুর পরে দেশে বিভীষিকাময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তখন বঙ্গবন্ধু সহ আওয়ামী লীগের নাম নেয়া নিষিদ্ধ হয়েছিল। পাঠ্যপুস্তকে বাংলাদেশের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে দেয়া হয়েছিল। এমন সময়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর দলীয় ঐক্য বজায় রাখা চ্যালেঞ্জ ছিল।’

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার যুদ্ধ কাছ থেকে দেখেছি। তিনি ভোগবিলাস পায়ে ঠেলে মানুষের অধিকার আদায়ের লড়াই করেছেন। সাধারণ জীবনই উনার বড় বৈশিষ্ট্য। নেতাকর্মীরা সেখান থেকে অনেক দূরে সরে গিয়েছি। ৬ দফা সহ বঙ্গবন্ধুর সময়কালের অনেক আন্দোলন দেখেছি।

নাসিম বলেন, ‘বর্তমানে নেতৃত্বের গুনে সৎ হতে হবে রাজনীতিবিদদের। রাজনীতির ধরন পাল্টাতে হবে। কর্মীদের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের মেধাবীরা রাজনীতি থেকে পিছিয়ে পড়ছে।’

নাসিম চৌধুরী আরও বলেন, “আগামী সপ্তাহ থেকে ফুলগাজী-পরশুরামে প্রতিটা গ্রামে ঘুরবো। উঠান বৈঠক করবো। চা-বিস্কুট খাওয়াবো। গুণ্ডাপাণ্ডা, হোন্ডা লাগবে এটাতে বিশ্বাস করিনা। দরজা বন্ধ করে জনগণকে ভোট বঞ্চিত করে এমপি হবার ইচ্ছা নাই। জনগণের মন বুঝে আগামীতে নির্বাচন করবো। কারো উল্টাপাল্টা কাজের দায়িত্ব নিবোনা। দুষ্ট গরুর চেয়ে শুন্য গোয়াল ভালো।”

ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এ সভাপতি বলেন, “নিজেকে ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করো। কারো ভবিষ্যৎ কেউ গড়ে দেবেনা। মা-বাবার সেবা করো। প্রভাবশালী নেতা হওয়ার চেষ্টা করবেনা। জনপ্রিয় নেতা হতে হবে। প্রভাবশালী রাজনীতিক বলতে অভিধানে নেই। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। অতীতে কী হয়েছে সেটা জানিনা, সামনের দিকে চলতে চাই।”

সভায় পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি এম. মোস্তফার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি খায়রুল বাশার মজুমদার তপন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মিজানুর রহমান মজুমদার, ছাগলনাইয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বুলবুল, ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান হারুন মজুমদার, অ্যাডভোকেট এএসএম শহিদ উল্যাহ, উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক জাফর উল্যাহ মজুমদার, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার আহাম্মদ ভুঁইয়া, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ আহ্বায়ক ফরিদ উদ্দিন পাটোয়ারী ও উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মুন্সি মোর্শেদ আলম প্রমূখ।


ফেনী   সংসদ সদস্য   আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম   স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নরসিংদীতে বজ্রপাতে ৪ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০২:৪৬ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

নরসিংদীতে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় মা-ছেলেসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার আলোকবালী উত্তরপাড়া এবং শহরতলীর হাজীপুরে এই ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, আলোকবালী উত্তরপাড়ার কামাল মিয়ার স্ত্রী শরিফা বেগম (৫০), তার ছেলে ইকবাল হোসেন (১২) এবং করম আলীর ছেলে কাইয়ুম মিয়া (২২) ঘটনায় কামাল মিয়া নামের এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়। নিহত এবং আহত সকলেই আলোকবালী উত্তরপাড়ার বাসিন্দা। তারা মাঠে ধান কাটছিল।

এছাড়া সদর উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের চকপাড়ায় মোছলেহউদ্দিন (৫০) নামে আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে।

নরসিংদী সদর মডেল থানার ওসি তানভীর আহমেদ জানান, নিহতরা সকলেই ধান কাটার জন্য কৃষি জমিতে ছিলেন। সময় বজ্রপাতে শরিফা বেগম এবং তার ছেলে ইকবাল ঘটনাস্থলেই মারা যায়। গুরুতর আহত আবস্থায় সদর হাসপাতালে আনার পথে মারা যায় কাইয়ুম নামের অপরজন। এতে কামাল হোসেন নামে আহত আরেকজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া হাজীপুরে বজ্রপাতে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।


নরসিংদী   বজ্রপাত   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন