নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:২৪ পিএম, ০৮ মে, ২০২১
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দেশের রপ্তানি পণ্য সংখ্যা ও বাজার সম্প্রসারণের বিকল্প নেই। শুধু তৈরি পোশাকের উপর নির্ভর করে থাকলে চলবে না। তাই দেশের সম্ভাবনাময় ১৯টি রপ্তানি পণ্যকে টার্গেট করে সরকার কাজ করছে।
শনিবার (০৮ মে) দুপুরে আইসিএবি আয়োজিত ‘ডাইভারসিফিকেশন অব বাংলাদেশ এক্সপোর্ট বাসকেট: অপারচ্যুনিটিস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিল, কোভিড-১৯ এর কারণে কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এর মাঝেও রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো চলছে, আমাদের রপ্তানি থেমে নেই। কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ আবার রপ্তানি বৃদ্ধির ধারায় ফিরে আসবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রপ্তানি পণ্যকে অধিক গুরুত্ব দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী প্রতি বছর একটি সম্ভাবনাময় রপ্তানি পণ্যকে ‘প্রোডাক্ট অব দি ইয়ার’ ঘোষণা করেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ইসিফোরজে নামে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে লেদার গুডস, প্লাস্টিক, ইনফরমেশন টেকনোলজি এবং লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং এ চারটি রপ্তানি পণ্যের সেক্টরকে যোগ্য করে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করছে।
‘প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব বাণিজ্যে এগিয়ে যাওয়ার জন্য দক্ষতা অর্জন করতে হবে। একটি পণ্যের কাঁচামাল থেকে শুরু করে প্যাকেটিং পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মানের করার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রয়োজন। ’
আইসিএবির সাবেক প্রেসিডেন্ট আজিজ এইচ খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিষয়ের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইসিএবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব শুভাশীষ বসু।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, বিসিক এর চেয়ারম্যান মোস্তাক হোসেন, বিজিএমই এর প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুট ওয়্যার ম্যান্যুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোটটার্স অ্যাসোসিয়েশন এর প্রেসিডেন্ট এবং শিপ বিল্ডার্স অ্যাসোসিয়েশন এর ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ হ্যান্ডিক্রাপ্ট ম্যান্যুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টটার্স অ্যাসোসিয়েশন এর প্রেসিডেন্ট গোলাম আহসান, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফ্টওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিস(বেসিস) এর প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আলমাস কবীর, বাংলাদেশ জুট গুডস এক্সপোর্টটার্স অ্যাসোসিয়েশন এর পরিচালক মারুফ হোসেন, বাংলাদেশ এগ্রো-প্রোসেসরস অ্যাসোসিয়েশন এর ভাইস প্রেসিডেন্ট সঈদ মো. সোহরাব হাসান এবং আইসিএবির ভাইস প্রেসিডেন্ট মারিয়া হাওলাদার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইসিএবির প্রেসিডেন্ট মাহমুদুল হাসান খসরু।
মন্তব্য করুন
চলতি অর্থবছর
প্রায় শেষের দিকে। এর আগেই চলতি ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে সাময়িক হিসাব অনুযায়ী ধারণা করা
হচ্ছে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃত্তি আগের অর্থবছরের তুলনায় কিছুটা বেড়ে ৫ দশমিক
৮২ শতাংশ হবে। আর দেশের মানুষের মাথাপিছু মাসিক আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৮৪ মার্কিন
ডলার।
সোমবার (২০ মে)
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) জিডিপির সাময়িক হিসাব প্রকাশ করে এসব তথ্য জানিয়েছে ।
বিবিএস আরও জানায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে ২ হাজার ৫৯১ ও ২০২১-২২ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ৭৯৩ ডলার।
প্রসঙ্গত, গত অর্থবছরে মাথাপিছু মাসিক আয় ছিল ২ হাজার ৭৪৯ মার্কিন ডলার। যা
এ বছর ৩৫ মার্কিন ডলার বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৭৮৪ ডলার। বর্তমান টাকার হিসেবে মাথাপিছু
মাসিক আয় ৩ লাখ ৬ হাজার ১৪৪ টাকা।
মাথাপিছু আয় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো জিডিপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন বাজুস
মন্তব্য করুন
আগামী ৬ জুন জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ করা হবে। টানা চতুর্থ মেয়াদের মত দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে আওয়ামী লীগ সরকারের এটিই হবে প্রথম বাজেট। আর এমন এক সময়ে এবার বাজেট দেওয়া হচ্ছে যখন অর্থনৈতিক সংকট ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। কিছু কিছু দৃশ্যমান সংকট সকলের জন্য উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
এবার আসছে বাজেটে মোবাইল ব্যবহারে খরচের বোঝা চাপছে গ্রাহকের কাঁধে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ বাজেটে হ্যান্ডসেট উৎপাদনে ৫ শতাংশ ভ্যাট বাড়াতে চায়। এতে প্রতিটি হ্যান্ডসেটে দাম বাড়তে পারে প্রায় এক হাজার টাকা। সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ করার প্রস্তাবে টকটাইম ও ইন্টারনেট ব্যবহারে ১০০ টাকায় অতিরিক্ত গুনতে হবে প্রায় ৬ টাকা।
ফেসবুক ব্রাউজিং থেকে শুরু করে পড়াশোনা, কেনাকাটা, দাপ্তরিক কাজ- সব ক্ষেত্রেই ইন্টারনেট ব্যবহার বেড়েছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) বলছে, ১৯ কোটি ২২ লাখ সিমকার্ডধারীর মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন ১২ কোটির বেশি গ্রাহক। বর্তমানে মোবাইলে কথা বলায় ১০০ টাকা রিচার্জে গ্রাহকরা ৩৩ টাকার বেশি কর দেন। একই পরিমাণ কর দিতে হয় ইন্টারনেট কিনতেও।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, আসছে বাজেটে উভয় ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এতে অতিরিক্ত ৫ দশমিক ৭৫ টাকা কর বাড়বে। ফলে ১০০ টাকার মোবাইল সেবায় সর্বমোট ৩৯ টাকা কর দিতে হবে, যা হবে দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ।
গ্রাহকরা বলছেন, এভাবে ভ্যাট বাড়ানো সাধারণ মানুষকে শোষণ করার একটা প্রক্রিয়া। ভ্যাট বাড়ালে মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহার করা অনেক কষ্ট হয়ে যাবে। তাই সরকারের কাছে আবেদন, ভ্যাট যেন বাড়ানো না হয়।
মোবাইল অপারেটররা বলছে, সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা রাজস্ব মিলবে। করের পরিবর্তে ডাটা ব্যবহার বাড়িয়েও এ রাজস্ব আদায় সম্ভব। দেশে একজন গ্রাহক মাসে গড়ে সাড়ে ৬ জিবি ডাটা ব্যবহার করেন; ভারতে যার পরিমাণ সাড়ে ১৭ জিবি।
মোবাইল ফোনেও স্বস্তির খবর নেই। বর্তমানে হ্যান্ডসেট উৎপাদনে ৩ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশ পর্যন্ত ভ্যাট দিতে হয় ১৭টি প্রতিষ্ঠানকে। বিক্রয় পর্যায়ে রয়েছে ৫ শতাংশ ভ্যাট। আসছে বাজেটে এ খাতে ভ্যাট বাড়তে পারে আরও ৫ শতাংশ। এতে সরকার ৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব পাবে। তবে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা ফোন বিক্রি বন্ধ হলে এখাত থেকে বছরে রাজস্ব মিলবে প্রায় এক হাজার ২০০ কোটি টাকা।
মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সহসভাপতি রেজোয়ানুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘৫০০ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছি।’
যদিও ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলছেন, মোবাইল সেবায় এবং হ্যান্ডসেট সংযোজনে কর ভার কমাতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ইন্টারনেটের দাম এবং ভ্যাট কমানোর ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং এনবিআরের চেয়ারম্যানের কাছে জমা দিয়েছি।’ বর্তমানে ব্রডব্যান্ড সেবায় ৫ শতাংশ করে তিন স্তরে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিচ্ছেন এক কোটি ৩৪ লাখ গ্রাহক।
মোবাইল বিল ইন্টারনেট ভ্যাট অর্থনীতি
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন অধ্যাপক ড. মো আইনুল ইসলাম।
কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ ও অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলামের প্যানেল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২৯টি পদের মধ্যে ২৭টি পদে নিরঙ্কুশ জয়লাভ করেছে। নতুন কমিটি আগামী দুই বছর (২০২৪-২০২৬) দায়িত্ব পালন করবে।
শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দুই দিনব্যাপী দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের শেষদিন শনিবার (১৮ মে) বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সভা ও কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সারাদেশের সাড়ে চার হাজার অর্থনীতিবিদ অংশ নেন।
অন্যান্য পদে নির্বাচিতরা হলেন-সহসভাপতি যথাক্রমে ড. জামালউদ্দিন আহমেদ এফসিএ, এ জেড এম সালেহ্, ড. মো. লিয়াকত হোসেন মোড়ল, সৈয়দা নাজমা পারভীন পাপড়ি (স্বতন্ত্র) ও মো. মোস্তাফিজুর রহমান সরদার। কোষাধ্যক্ষ বদরুল মুনির। যুগ্ম সম্পাদক শেখ আলী আহমেদ টুটুল, মোহাম্মদ আকবর কবীর। সহসম্পাদক নেছার আহমেদ, মনছুর এম ওয়াই চৌধুরী, মো. জাহাঙ্গীর আলম, পার্থ সারথী ঘোষ ও সৈয়দ এসরারুল হক সোপেন।
কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত (গঠনতন্ত্রবলে), অধ্যাপক হান্নানা বেগম, অধ্যাপক ড. মো মোয়াজ্জেম হোসেন খান, অধ্যাপক ড. মো. জহিরুল ইসলাম সিকদার, অধ্যাপক শাহানারা বেগম, ড. নাজমুল ইসলাম, ড. শাহেদ আহমেদ, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাদেকুন্নবী চৌধুরী, অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, মো. মোজাম্মেল হক, অধ্যাপক ড. মো. মোরশেদ হোসেন, অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান খান ও খোরশেদুল আলম কাদেরী।
মন্তব্য করুন