ইনসাইড বাংলাদেশ

শারুনকে স্বামী পরিচয় দিতেন মুনিয়া 

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১০ জুন, ২০২১


Thumbnail

মুনিয়ার আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলার নতুন মোড় নিয়েছে। তদন্ত করতে গিয়ে একের পর এক বেরিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য।  সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে যে, মুনিয়া শারুনকে স্বামীর পরিচয় দিয়েছিলেন। এরকম একাধিক সামাজিক অনুষ্ঠানে মুনিয়া গিয়েছিলেন শারুনকে নিয়ে যেখানে তিনি শারুনকে তার স্বামী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। এরকম অন্তত তিনজন ব্যক্তি জানিয়েছেন যে, শারুনকে মুনিয়ার স্বামী হিসেবে তারা জানতেন। শারুনের স্ত্রীর তার থেকে চলে যাওয়ার পর শারুন একাধিক নারীর প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন বলে জানা যায় এবং এই সমস্ত নারীদের প্রায় সবাইকেই বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কিন্তু পরবর্তীতে বিয়ে করেনি। 

এরকম একটি পরিস্থিতিতে মুনিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয় শারুনের। মুনিয়া ঢাকায় এসেছিলেন যুবলীগ নেতা, যিনি ক্যাসিনো সম্রাট হিসেবে পরিচিত ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের হাত ধরে এবং সম্রাটের রক্ষণাবেক্ষণে তিনি ঢাকায় থাকতেন।  যখন সম্রাট গ্রেফতার হয়ে যান তখন মুনিয়া আর্থিক এবং মানসিক দুটিভাবেই বিপন্ন হয়ে পড়েন। এ সময় শরণের সঙ্গে পরিচয় হয় মুনিয়ার। সে সময় শারুনও ছিলেন একাকী এবং কিছুটা বিপর্যস্ত। আর দুজনের মধ্যে সখ্যতা হতেও সময় লাগেনি। এর পরপরই মুনিয়ার দায়িত্ব তুলে নেন শারুন।  শারুনকে মুনিয়া নিয়মিত সঙ্গ দিতেন, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যেতেন। এরকম অন্তত তিনটি অনুষ্ঠান পাওয়া গেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে যে, মুনিয়া এবং শারুন একসঙ্গে গেছেন। 

মুনিয়ার মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হওয়ার পর যারা এই অনুষ্ঠানগুলোতে গেছেন তারা দেখেন যে, মুনিয়া মারা গেছেন। তখন প্রথম তারা জানেন যে মুনিয়া অবিবাহিত। এর আগে তারা জানতেন যে শারুনই মুনিয়ার স্ত্রী। একজন বলেছেন যে, শারুন নিজেও স্বীকার করেছিলেন যে মুনিয়া তার স্ত্রী। কিন্তু নানা রকম সামাজিক বাস্তবতার কারণে এখন তারা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করছেন না। ধারণা করা হচ্ছে যে, মুনিয়াকে মৌখিকভাবে বিয়ে করলেও এই বিয়ের স্বীকৃতি এবং আনুষ্ঠানিক ঘোষণার জন্য মুনিয়া শারুনকে চাপ দিচ্ছিলেন। এনিয়ে দুজনের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছিল। শারুনের যে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য তাতে মুনিয়াকে বিয়ে করে সংসার করার মত পরিস্থিতি তার ছিলো না। আর সে কারণেই মুনিয়ার সঙ্গে পরবর্তীতে একটা দূরত্ব তৈরি করেছিলেন শারুন।

কিন্তু এ সময় মুনিয়া বিভিন্ন মহলের কাছে শারুনের ব্যাপার নিয়ে মুখ খুলেন এবং শারুন তার খোঁজ খবর নিচ্ছে না, তার দেখভাল করছেন না এমন চাপ প্রয়োগ করেন। এই সময় মুনিয়া যেনো শারুনের কাছ থেকে দূরে থাকে এই জন্য মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত তানিয়ার দ্বারস্থ হন শারুন এবং নুসরাত তানিয়ার সঙ্গে তার একটি লেনদেনের সম্পর্ক তৈরি হয়। যেখানে মুনিয়াকে শারুন থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে তিনি বিপুল পরিমাণ অর্থ পাবেন বলে শারুন প্রতিশ্রুতি দেন। এই প্রতিশ্রুতি পরপরই মুনিয়ার মৃত্যু ঘটে। মুনিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি আসলে বিষদ তদন্ত করা দরকার। বিশেষ করে নুসরাত এবং শারুনের ভূমিকা এখানে কতটুকু সেটি বিচার বিশ্লেষণ করা দরকার। কারণ বিভিন্ন প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন যে, মুনিয়ার মৃত্যুর পর নুসরাত যে আচরণ করেছেন তা রহস্যময়। তার ভেতরে শোক বলে কোন কিছু ছিল না। বরং অন্য কারো কিছু বুঝার আগেই তিনি এই মামলার উদ্যোগ নেন। এখান থেকে সুস্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, এই ঘটনায় হয়তো নুসরাত এবং শারুনের একটা যোগসাজস ছিল।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিএনপি এখন অদৃশ্য শক্তির ওপর নির্ভর হয়ে পড়ছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৯:০৩ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচন মিস করে বিএনপি এখন অদৃশ্য শক্তির ওপর নির্ভর করা শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

রোববার (১২ মে) বিকেলে কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অত্যন্ত পরিচ্ছন্নভাবে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। দেশরত্ন শেখ হাসিনার জয়কে সাধুবাদ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ বন্ধুপ্রতীম সকল রাষ্ট্র। তারা সরকারের সঙ্গে চলমান সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে চায়।

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পরাজয় বলে দেয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার দেশে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনে বিশ্বাসী। যার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে। 

গত কয়েক দিনে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১৩৮ সদস্যকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ ক্ষেত্রে মিয়ানমারেরও তাঁদের ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ রয়েছে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে আমাদের সবদিকেই সমস্যা হচ্ছে। তবে, উখিয়া-টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয় ক্যাম্প সীমান্ত থেকে দূরে হওয়ায় রাখাইনের সংঘাতের প্রভাব এখানে পড়ছে না। সব ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কঠোর হাতে দমন করা হচ্ছে। এরপরও অন্য দেশের বোঝা আমরা দীর্ঘদিন মাথায় নিয়ে থাকতে পারি না। এদের নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় প্রত্যাবাসনে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির দ্বিতীয় সভা উপলক্ষে কক্সবাজারে অবস্থান করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সকল সদস্য। সভায় বসার আগে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করছেন স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. এ কে আব্দুল মোমেন, নাহিম রাজ্জাক, নুরুল ইসলাম নাহিদ, হাবিবুর রহমান ও জাতীয় সংসদের হুইপ সাইমুম সারওয়ার কমল এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বিএনপি   পররাষ্ট্রমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সোমবার রাতেই দেশে ফিরছে এমভি আব্দুল্লাহ

প্রকাশ: ০৭:৪৭ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

সোমালি জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ বঙ্গোপসাগরের জলসীমায় পৌঁছেছে। সোমবার এটি বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করবে।

রোববার (১২ মে) জাহাজটির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, রোববার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে জাহাজটি কুতুবদিয়া থেকে প্রায় ৩৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল। জাহাজটি যে গতিতে চলছে তাতে আগামীকাল সন্ধ্যা বা রাতের মধ্যে কুতুবদিয়ায় পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জাহাজের চতুর্থ প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ জানান, জাহাজটি এখন দেশের উপকূলের কাছাকাছি রয়েছে। সবাই বাড়িতে পৌঁছে আত্মীয়স্বজনদের সাথে দেখা করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।

কুতুবদিয়ায় আসার পর নাবিক ও ক্রু সদস্যদের একটি নতুন ব্যাচ জাহাজটিতে পাঠানো হবে। বর্তমানে জাহাজে যে ২৩ জন ক্রু আছেন তাদের মঙ্গলবার একটি লাইটার জাহাজে করে কেএসআরএম লাইটার জেটি সদরঘাটে আনা হবে এবং সেখান থেকে তারা নিজ নিজ বাড়িতে যাবেন।

সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এমভি আব্দুল্লাহ আমদানি করা ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর নিয়ে এসেছে। কার্গোর কিছু অংশ কুতুবদিয়ায় খালাস করা হবে এবং বাকি পণ্য খালাসের জন্য জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আসবে।

উল্লেখ্য, সোমালি জলদস্যুদের হাতে অপহরণের দীর্ঘ ১ মাস পর গত ১৩ এপ্রিল সোমালিয়ার সময় রাত ১২টা এবং বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায় মুক্তি পায় এমভি আবদুল্লাহ জাহাজসহ ২৩ নাবিক। এর আগে জলদস্যুদের মুক্তিপণের টাকা পৌঁছানো হয় একটি বিশেষ এয়ারক্রাফটের মাধ্যমে। এই এয়ারক্রাফট থেকে দস্যুদের নির্ধারিত স্থানে তিনটি ব্যাগভর্তি ডলার পৌঁছানো হয়।

মুক্তির পর জাহাজটি দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ২১ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৪টা নাগাদ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আল হারমিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে জাহাজটি।

এমভি আব্দুল্লাহ   বঙ্গোপসাগর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

৫শ’ টাকার লোভে শিশুকে ব্রহ্মপুত্রে ফেলে দিলো কিশোর


Thumbnail

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পাঁচ বছর বয়সী শিশু মুজাহিদ পাঁচশ’ টাকার একটি নোট নিয়ে বাড়ির পাশে এক দোকানে কিছু কিনতে যাচ্ছিল। এসময় তার কাছ থেকে টাকা কেড়ে নিতে কৌশলে এক কিশোর ব্রহ্মপুত্রের কাছে টাকা কেড়ে নিয়ে শিশুটিকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর থেকে নিখোঁজ শিশু মুজাহিদ। দুইদিনেও তার খোঁজ মেলেনি।

আজ রোববার (১২ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস।

এর আগে, শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে উপজেলার সানন্দবাড়ী এলাকার পাটাধোয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ওই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ শামিম হোসেনকে (১৫) আটক করে পুলিশ। ইতোমধ্যে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে ওই কিশোর।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে মুজাহিদ তার বাবা-মায়ের অগোচরে ঘর থেকে ৫০০ টাকার একটি নোট নিয়ে পাশের এক দোকানে যায়। এসময় শামীম টাকার লোভে শিশু মুজাহিদের পিছু নেয় এবং টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য বেড়ানোর কথা বলে তাকে বাড়ির নিকটবর্তী ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে মুজাহিদের কাছ থেকে কৌশলে টাকা নিতে না পেরে শামীম জোরপূর্বক ৫শ’ টাকা কেড়ে নিয়ে তাকে সানন্দবাড়ি ব্রহ্মপুত্র নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এ ঘটনার পর থেকে ভয়ে শামিম গা ঢাকা দেয়। পরে নিখোঁজ মুজাহিদের স্বজনরা শামিমকে সন্দেহ করে পুলিশকে জানালে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে তাকে আটক করা হয়।

দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, শামিমকে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে আটক করা হয়েছে। শনিবার ঘটনাস্থলে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে মুজাহিদকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করেছে। ছোট ছেলে মুজাহিদ, সাঁতার জানে না। ধারণা করা হচ্ছে, মুজাহিদের মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করা হলে আদালতে প্রেরণ করা হয় শামিমকে।


ব্রহ্মপুত্র নদ   ৫শ’টাকার লোভ   শিশু   কিশোর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভারতের হাইকমিশনারের সাথে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০৬:১০ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুর রহমান এর সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সৌজন্য সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

রোববার (১২ মে)  দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রীর দপ্তর কক্ষে এ সৌজন্য সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হয়।

সৌজন্য সাক্ষাতকালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সেক্টরে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অভিন্ন ইস্যু রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের এসকল ইস্যু খুঁজে বের করে একসাথে কাজ করতে হবে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে প্রযুক্তি হস্তান্তর, ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, প্রশিক্ষণ, গবেষণাসহ এ সংক্রান্ত অভিন্ন ইস্যুতে একসাথে কাজ করলে দু’দেশই লাভবান হবে বলে এসময় আলোচনা করা হয়। 

ভারতের হাইকমিশনার   মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

হাসপাতালের লিফটে আটকা ৪৫ মিনিট, রোগীর মৃত্যু

প্রকাশ: ০৬:১৪ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লিফটে আটকে পড়ে এক নারী রোগীর মৃত্যু হয়েছে। 

রোববার (১২ মে) সকালে হাসপাতালের ৩ নম্বর লিফটে এ ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে নিহতের স্বজনরা সাংবাদিকদের কাছে লিফট অপারেটরদের দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ করেছেন। 

মৃত মমতাজ বেগম (৫০) গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের বাড়িগাঁও গ্রামের শারফুদ্দিন বিএসসি'র স্ত্রী। 

মৃতের ভাগ্নে খন্দকার শাহদত হোসেন সেলিম বলেন, আমার মামি মমতাজ বেগম শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগ নিয়ে রোববার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ওই হাসপাতালের ১১ তলার মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হন। চিকিৎসকরা তাকে একই ভবনের ৪র্থ তলায় থাকা কার্ডিওলজি বিভাগে ট্রান্সফার করেন। মামি হাঁটাচলা করতে পারলেও দ্রুত হৃদরোগ বিভাগে নেওয়ার জন্য ট্রলিতে ওঠানো হয়। পরে মামি, তার ছেলে আব্দুল মান্নান, মেয়ে শারমিন ও আমি হাসপাতালের ৩নং লিফটে উঠি। ৯ম ও ১০ তলার মাঝমাঝি থাকা অবস্থায় লিফটি হঠাৎ ঝাঁকুনি দিয়ে থেমে যায়। তখন আমি লিফটে থাকা মোবাইল নম্বরে একাধিক ব্যক্তিকে বার বার ফোন করলেও তারা কোনো কর্ণপাত করেননি। উল্টো আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন।

এমতাবস্থায় রোগী ছটফট করতে থাকলে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করি। প্রায় ৪৫ মিনিট পর এক পর্যায়ে কয়েকজন অপারেটর দরজা কিছুটা ফাঁক করে আবার বন্ধ করে চলে যায়। এসময় অনেক কষ্টে আমরা তিনজন বেরিয়ে আসতে পারলেও মামীকে বের করা সম্ভব হয়নি। পরে ৯৯৯ নম্বরের কলের মাধ্যমে পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা  ঘটনাস্থল যান। কিন্তু ততক্ষণে লিফটের ভেতরেই আমার মামি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

পরে জয়দেবপুর ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা দরজা খুলে মমতাজ বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে। যদি সঠিক সময়ে তাকে উদ্ধার করা হতো তাহলে হয়তো বাঁচানো যেত।

এর আগে গত ৪ মে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলার কারণে ১২ তলার ভেতরের দেয়াল ও মেঝের মধ্যে থাকা ফাঁকা স্থান দিয়ে এক রোগী ১০ তলায় পড়ে গিয়ে মারা যান। এসব অবহেলায় জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন রোগীর স্বজনরা।

লিফটে আটকা পড়ে রোগীর মৃত্যুর খবরের সত্যতা স্বীকার করে হাসপাতালের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে হাসপাতালে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলে লিফটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এতে রোগী মমতাজ বেগম ও তার কয়েকজন স্বজনসহ লিফটে আটকা পড়েন। লিফটের অপারেটর ও জয়দেবপুর ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা ঘটনার ১৫/২০ মিনিটের মধ্যে মমতাজের লাশ ও তার স্বজনদের উদ্ধার করে।

বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। এ ঘটনায় কারো গাফিলতি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


হাসপাতাল   লিফট   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন