ইনসাইড ওয়েদার

সাগরে লঘুচাপ, বন্দরগুলোতে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:৩৯ এএম, ১৩ জুন, ২০২১


Thumbnail

বর্ষাকাল শুরু হওয়ার আগেই দেশের বেশির ভাগ এলাকায় মেঘ আর জলীয় বাষ্প নিয়ে আসা মৌসুমি বায়ু পৌঁছে গেছে। যার ফলে কয়েকদিন মাঝে-মধ্যেই নামবে ঝুম বৃষ্টি। সেই সাথে মৃদু ও দমকা হাওয়াও বয়ে যাবে। তবে দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে বৃষ্টির পরিমাণ ও বাতাসের গতি বেশি থাকবে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। 

এদিকে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ায় সেখান থেকে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সাগরও কিছুটা উত্তাল হয়ে উঠেছে। এ পরিস্থিতিতে দেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, দেশের বেশির ভাগ এলাকায় মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করায় বর্ষা শুরু হয়েছে। এতে উপকূলসহ বেশির ভাগ এলাকায় মেঘ-বৃষ্টি বেড়ে গেছে। চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা বন্দর এবং কক্সবাজার উপকূলকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলার পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নৌযানগুলোকে উপকূলে নিরাপদ স্থানে থাকতে বলা হয়েছে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে দেশের সর্বত্র মৌসুমি বায়ু ছড়িয়ে বিস্তার লাভ করবে। ফলে এখন থেকে বর্ষা মৌসুম শুরু হয়ে গেছে। আগামী আগস্ট-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই বর্ষা চলবে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বর্ষা কিছুটা দুর্বল হতে পারে। ফলে বর্ষার শুরুতে বৃষ্টি কিছুটা বেশি থাকলেও মাঝে মাঝে দীর্ঘ বিরতি থাকতে পারে। তার পর আবার বৃষ্টি হতে পারে। এভাবে বর্ষার পুরো সময়টা পার হবে।

এদিকে, গতকাল শনিবার দেশের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ৭৪ মিলিমিটার। রাজধানীতে ৩০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সারা দেশেই কমবেশি বৃষ্টি হয়েছে। তবে বৃষ্টির পাশাপাশি তাপমাত্রাও কিছুটা বেশি ছিল। বেশির ভাগ এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২ থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল। তবে বিকেল থেকে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে শুরু করায় গরমের অনুভূতি কমে আসে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড ওয়েদার

সন্ধ্যার মধ্যে তীব্র ঝড়ের আশঙ্কা

প্রকাশ: ০৪:৩১ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের আট জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে এসব জেলায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকা, ময়মনসিংহ, মাদারীপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা, বরিশাল, চট্টগ্রাম সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।


সন্ধ্যা   ঝড়   আশঙ্কা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ওয়েদার

আগামীতে আরও তীব্র আকার ধারণ করবে তাপপ্রবাহ: জাতিসংঘ

প্রকাশ: ১২:৩৪ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত এপ্রিল থেকে তীব্র আকার ধারণ করেছে তাপপ্রবাহ । এশিয়ার ছয়টি দেশে যা এখনো অব্যাহত। আগামী বছরগুলোতে গ্রীষ্মকালে বাংলাদেশ সহ পুরো এশিয়া জুড়ে আঘান হানা তাপপ্রবাহ আরও প্রাণীঘাতি হয়ে উঠতে পারে। আবহাওয়া জলবায়ুবিষয়ক গবেষণা সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যাট্রিবিউশন রেডক্রস ক্লাইমেট সেন্টার থেকে যৌথভাবে প্রকাশ করা এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক সংস্থা (ইউএনওসিএইচএ) থেকে গতকাল এশিয়া অঞ্চলের চলমান তাপপ্রবাহ নিয়ে প্রকাশ করা প্রতিবেদনেও ওই গবেষণার ফলাফলকে উল্লেখ করা হয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান বলেন, ‘আমরা তাপপ্রবাহকে একটি দুর্যোগ হিসেবে মনে করছি। এতে ক্ষতিগ্রস্ত মৃত্যুর শিকার হওয়া মানুষদের সহায়তা দেওয়ার কাজ শুরু করছি। কৃষি, স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য খাতে যে ক্ষতি হচ্ছে, তা মোকাবিলায়ও সরকার কাজ করছে। 

ইউএনওসিএইচএর প্রতিবেদনে ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, তাপপ্রবাহের কারণে দেশের ১২ কোটি ৫০ লাখ মানুষের জীবন জীবিকাকে তা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এর মধ্যে অন্তত ১০ লাখ মানুষের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও এ তাপপ্রবাহের ফলে সরকারি বেসরকারি হিসাব মিলিয়ে ২০ জনের মৃত্যুর তথ্য তুলে ধরেছে সংস্থাটি।

ইউএনওসিএইচএর প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশে তাপপ্রবাহের কারণে অনেক মানুষ পানিশূন্যতা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, শরীরে ভারসাম্যহীনতা, বমি, জ্বর, ডায়রিয়া নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন।

গত ২৯ এপ্রিল ঢাকায় সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা ছিল। ওই দিন রাজধানীতে মোট জন মারা যান। তখন বাংলাদেশের স্বাভাবিক তাপমাত্রা থাকে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু বেশির ভাগ সময়জুড়ে তাপমাত্রা অনুভূত হয়েছে তার চেয়ে ডিগ্রি বেশি।

জাতিসংঘের হিসাবে, তাপপ্রবাহে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে মাগুরা জেলায়। এপ্রিলের শুরু থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হলেও তা মারাত্মক তীব্রতা পায় ২১ এপ্রিল। আর সবচেয়ে উত্তপ্ত দিন ছিল ২৪ এপ্রিল। ওই দিন রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়। চুয়াডাঙ্গা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, বগুড়া, রাজশাহী, পাবনা, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর পটুয়াখালীতে সবচেয়ে বেশি গরম ছিল। এর আগে ২০১৯ সালের এপ্রিলে টানা ২৩ দিন তাপপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়। গত এপ্রিলের তাপপ্রবাহ আগের রেকর্ড ভেঙে ফেলে। এসময় বাংলাদেশের ৭০ শতাংশ এলাকা তাপপ্রবাহের কারণে ঝুঁকিতে ছিল।


তাপপ্রবাহ   তীব্র   প্রাণঘাতী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ওয়েদার

ঢাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি

প্রকাশ: ১০:২৫ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

কয়েকদিনের তীব্র গরমে স্বস্তি ফিরে এসেছে রাজধানীবাসীদের মাঝে। শনিবার (১৮ মে) সকালে শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়। 

ঢাকার আকাশ ভোর থেকেই ছিল মেঘলা। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। রামপুরা বাড্ডা, নতুনবাজারসহ বেশ কিছু এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়।

এদিকে বৃষ্টি প্রশান্তি আনলেও অফিসগামী ও শিক্ষার্থীদের কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। অনেকে ছাতা নিয়ে বের না হওয়ায় বৃষ্টিতে ভিজছেন। তবে বৃষ্টি নামায় সবাই স্বস্তিবোধ করেছেন।

আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাস দিয়েছিল শুক্রবার ঢাকায় বৃষ্টি হতে পারে। 


ঢাকা   গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি   আবহাওয়া অধিদপ্তর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ওয়েদার

সকালে থেকে ৮০ কি.মি. বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা

প্রকাশ: ০৮:৫৮ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত কয়েকদিন থেকেই দেশব্যাপি ছিল তাপপ্রবাহ। এর মধ্যেই শুক্রবার (১৭ মে) সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির দেখা মেলে। এ অবস্থায় আবহাওয়া জানিয়েছে অন্য খবর।

শনিবার (১৮ মে) সকাল ৯টার মধ্যে বিভাগের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

নদীবন্দরের জন্য দেওয়া সতর্ক বার্তায় বলা হয়, সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চলে পশ্চিম উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।

শুক্রবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় আবহাওয়া বার্তায় জানানো হয়, সিলেটে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। ছাড়া রাজশাহীতে , নওগাঁর বদলগাছী পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া বগুড়ায় মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যার মধ্যে চট্টগ্রাম সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এরপরের ২৪ ঘণ্টা ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম সিলেট বিভাগ এবং রংপুর, ঢাকা বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় ঝড় শিলাবৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।


ঝড়   বৃষ্টি   শিলাবৃষ্টি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ওয়েদার

চার বিভাগে ৪৮ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি

প্রকাশ: ০৭:২৫ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের চার বিভাগে ৪৮ ঘণ্টার জন্য তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। 

শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও রংপুর বিভাগে চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।

এর আগে গত বুধবার (১৫ মে) রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ৫ বিভাগে ৪৮ ঘণ্টার জন্য তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করেছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। সে সময় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছিল, ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর ও বরিশাল বিভাগে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৪০ পর্যন্ত ওঠা-নামা করতে পারে।

এদিকে, শুক্রবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৭২ ঘণ্টার সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এই অবস্থায় শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

বর্তমানে রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তা আগামী ২৪ ঘণ্টায়ও অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে এই সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এ ছাড়া জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

হিট অ্যালার্ট   আবহাওয়া অধিদপ্তর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন