নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:১০ পিএম, ১৮ জুন, ২০২১
সৌদি আরবে ব্লগ লিখে ‘ইসলাম অবমাননা’র অভিযোগে ৯ বছর ধরে কারাগারে আছেন ব্লগার রাইফ বাদাউয়ি। ধর্মনিরপেক্ষতা সমর্থনের মাধ্যমে ‘ইসলাম অবমাননা’র অভিযোগে ২০১২ সালের জুন মাসে তাকে আটক করা হয়।
এরপর অভিযোগ প্রমাণিত হলে ২০১৪ সালে বাদাউয়িকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া দুই কোটি ২৮ লাখ টাকা জরিমানা ও তাকে এক হাজার বার দোররা মারার নির্দেশ দেওয়া হয়। খবর ডয়চে ভেলের।
আন্তর্জাতিক চাপে বাদাউয়ির কারাদণ্ডের মেয়াদ না কমলেও বেত্রাঘাতের সংখ্যা কমেছে। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে একটি মসজিদের সামনে প্রকাশ্যে তাকে ৫০ বার বেত্রাঘাত করা হয়। এরপর আর তাকে ওই শাস্তি পেতে হয়নি।
আদালতের রায় অনুযায়ী ১০ বছর কারাভোগের পর আগামী ফেব্রুয়ারিতে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে তার। নিজের তৈরি ওয়েবসাইট ‘ফ্রি সৌদি লিবারেলস` এ ব্লগ লিখতেন বাদাউয়ি।
মন্তব্য করুন
দিনকে দিন বিশ্বব্যাপী ছোট হয়ে আসছে মাছের আকার। এর ফলে বর্তমানে যেসব দীর্ঘাকৃতির মাছ সাগরে পাওয়া যাচ্ছে, অদূর ভবিষ্যতে হয়তো তেমনটি আর পাওয়া যাবে না। বিশ্বজুড়ে মাছের আবাসস্থল নিয়ে এক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এমন চমক জাগানিয়া তথ্য উঠে এসেছে।
মেরুদণ্ডী প্রাণীর মধ্যে মাছ সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় প্রজাতি। এদের মধ্যে রয়েছে ক্ষুদ্র গবি ও জেব্রাফিশ থেকে শুরু করে বিশালাকার টুনা, তিমি ও হাঙর। মাছের মাধ্যমে অত্যাবশ্যক খাদ্য সরবরাহ হয় বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষের। স্বাভাবিকভাবেই মাছ জলজ বাস্তুতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সেই গুরুত্বপূর্ণ অংশটিই বিশ্বজুড়ে এখন হুমকির মুখে।
বিশ্বজুড়ে মাছের আবাসস্থল নিয়ে পরিচালিত এক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের ওপর উল্লেখযোগ্যহারে প্রভাব ফেলছে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন। এর ফলে ধীরে ধীরে বিশ্বজুড়ে উষ্ণ হয়ে আসছে মাছের আবাসস্থল। আর এতে দিনকে দিন ছোট হয়ে আসছে মাছের আকার। বলা হচ্ছে, গত ৪০ বছরে উত্তর সাগরের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক মাছের প্রজাতি আকারে ১৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। কারণ এই সময়ে সেখানে পানির তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গবেষণায় দেখা গেছে, মাছের ওপর উষ্ণ জল অত্যন্ত খারাপ ধরনের প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে, বড় মাছের ক্ষেত্রে এই প্রভাব খুবই উল্লেখযোগ্য। বড় মাছ আকারে ছোট হয়ে গেলে দ্রুত পরিপক্ব হয় এবং অল্প বয়সে প্রজননে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এতে আকারে ছোট হতে থাকে মাছের পরবর্তী প্রজন্ম।
তাড়াতাড়ি পরিপক্ব হওয়ার এই বৈশিষ্ট্যটি মাছের বর্তমান থেকে নতুন প্রজন্মে স্থানান্তরিত হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, এটি ‘মৎস্য-প্ররোচিত বিবর্তন‘ নামে পরিচিত। এর ফলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মাছ আকারে হ্রাস পেতে থাকে।
বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ছোট মাছ আনুপাতিকভাবে কম সন্তান উৎপাদন করে। মাছের আকার ছোট হওয়ার অর্থ হলো প্রতিটি মাছের কম সন্তান হবে এবং বেশি বেশি মাছ ধরা পড়বে। পরিবেশগত এবং বাণিজ্যিকভাবে এই প্রক্রিয়ার যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে এবং তা সরাসরি আঘাত করবে মানবজাতিকে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি
মন্তব্য করুন
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত ইরানের প্রেসিডেন্ট
মন্তব্য করুন