নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০৪ পিএম, ১৯ জুন, ২০২১
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষকরা চাকরি হারিয়ে এখন রিকশা-ভ্যান চালাচ্ছেন। পত্রিকায় পড়েছি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কিন্ডার গার্টেনও বন্ধ। এর একজন প্রিন্সিপাল নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চেয়ার-টেবিল বিক্রি করে ভাড়া পরিশোধ করে গ্রামের বাজারে গিয়ে চা বিক্রি করছেন। শিক্ষার চূড়ান্ত অপমান এ রকম করেই হচ্ছে। লজ্জা করে না-এই শিক্ষামন্ত্রীর? লজ্জা করে না এই সরকারের?
শনিবার (১৯ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, শিক্ষকরা চাকরি হারিয়ে না খেয়ে মরেন, আর সরকার বসে বসে ডুগডুগি বাজায়! সরকারের মন্ত্রীরা বলে বেড়ায়-তারা নাকি উন্নয়নের মহাসড়কে উঠে গেছেন। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, উন্নয়ন মানেই কি শুধু মগবাজার ফ্লাইওভার?
ডাকসু’র এই সাবেক ভিপি বলেন, শিক্ষকরা এখন ভ্যান গাড়ি চালায়, রিকশা চালায়, চা বিক্রি করেন-এর চেয়ে অপমানজনক ঘটনা দেশে আর কি হতে পারে! শিক্ষিত মানুষ যারা চাকরি হারিয়েছেন, যাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ। গ্রাম-গ্রামান্তরে অনেক মানুষ রয়েছেন এমন। বাংলাদেশে শিক্ষার চূড়ান্ত অপমান এখন এ রকমভাবে হচ্ছে। পিতা-মাতা ও অভিভাবকরা অনেকেই ফেসবুকে লিখছেন-কচিকাঁচা, কিশোর-কিশোরিরা কেবল যৌবনে পা দিয়েছে, তারা অনলাইন ক্লাসের নামে, অনলাইন কাজের নামে ইন্টারনেটে ঢুকে আজ সমস্ত অশ্লীলতার মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে আমরা কি প্রজন্ম তৈরি করছি!
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, যারা এতদিন ধরে বললেন, বাংলাদেশ ডিজিটাল করেছি এগুলো সবই ফোর-টুয়েন্টি কথাবার্তা ছিল। তার প্রমাণ-অনলাইন পরীক্ষায় কোনো গার্ড নেই। কোনো পরিদর্শক নেই। যিনি পরীক্ষা দিচ্ছেন তিনি বই খুলে দেখে দেখে লিখছেন, তাকে চেক দেয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। আমরা বহুবার বলেছি-এই সরকার দেশের ভোট নষ্ট করেছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের একেক জনের নামে দেড়শ থেকে দুইশ পর্যন্ত মামলা দিয়েছে এই সরকার। এসব মামলা দিতে তাদের (সংশ্লিষ্ট পুলিশের) অনেক বুদ্ধি খাটাতে হয়। কারণ গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করে এ থেকে পাওয়া পয়েন্টের ভিত্তিতেই মামলা সাজাতে হয় পুলিশকে। আমি পুলিশের দোষ দেই না। কারণ পুলিশের সরদার তাকে যদি বলে মিথ্যা কথা না লিখলে চাকরি থাকবে না, তো সে কি করবে?
মানববন্ধনে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সুশাসনের জন্য নাগরিক’র (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেলসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সরকার মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতি পাত্তা দেয় না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কাউকে দাওয়াত করে আনে নি,তাদের এজেন্ডা আছে। তারা সেসব নিয়ে ঢাকায় এসেছে। ওপরে ওপরে বিএনপি তাদের পাত্তা দেয় না বললেও, তলে তলে বিএনপির সঙ্গে তাদের কি আছে, তারাই ভালো জানে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনাকালে এসব কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক বিএনপির আন্দোলনের ব্যর্থ চেষ্টা। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে খড়কুটো ধরে বাজতে চায় তারা। আসলে তাদের কোনো ইস্যু নাই। তারা ভারতীয় পণ্য বর্জনকে ইস্যু বানাতে চায়। আমার প্রশ্ন হলো-ভারতীয় মসলা ছাড়া কি আমাদের চলে?
তিনি বলেন, ভারতের মসলা ছাড়া আমাদের চলে না। শুধু মসলা কেন, ভারত থেকে শাড়ী-কাপড় আসবে, এছাড়া আরও কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যও আসবেই।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ঢাকায় বিএনপির দুইটা সমাবেশই ফ্লপ হয়েছে। বিএনপি ও তাদের সমমনাদের আন্দোলনের ডাকে জনগণের সাড়া নেই। দলটির কর্মীরা হতাশ, তাদের আর নেতাদের ওপর আস্থা নেই। সে কারণেই বিএনপির কর্মীরা তাদের সমাবেশে যোগ দেয় না।
মার্কিন স্যাংশন ভিসানীতি আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
চীন সফর বাম দল জাসদ ওর্য়ার্কাস পার্টি সাম্যবাদী দল
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সরকার মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতি পাত্তা দেয় না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কাউকে দাওয়াত করে আনে নি,তাদের এজেন্ডা আছে। তারা সেসব নিয়ে ঢাকায় এসেছে। ওপরে ওপরে বিএনপি তাদের পাত্তা দেয় না বললেও, তলে তলে বিএনপির সঙ্গে তাদের কি আছে, তারাই ভালো জানে। মঙ্গলবার (১৪ মে) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনাকালে এসব কথা বলেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকায় আসছেন। এ সফরে তিনি ব্যবসা-বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, নাগরিক অধিকারসহ দুই দেশের অগ্রাধিকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আলোচনা করবেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।