নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৯ পিএম, ২০ জুন, ২০২১
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, মাস্ক পরিধান করতে হবে, হাত ধোয়া চালু রাখতে হবে, শারীরিক দূরুত্ব বজায়ে রাখতে হবে আর চতুর্থ বিষয় হলো টিকার ব্যবস্থা জোড়েশোরে করতে হবে। গণটিকাটা করতে হবে। সবাইকে গণহারে টিকা দিতে না পারলে কিন্তু সমস্যা। টিকা ছাড়া বাঁচার কোনো রাস্তা নেই।
সম্প্রতি সীমান্তবর্তী এলাকায় করোনার প্রকোপ ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে, সংক্রমণের হার বেড়েছে, স্থানীয় প্রশাসন লকডাউন, গণটিকার ব্যবস্থা ইত্যাদি নানা বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ। পাঠকদের জন্য ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ`র সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রধান বার্তা সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাসান।
ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, সীমান্ত এলাকায় করোনা বাড়ছে। যাতায়াত তো বন্ধ হচ্ছে না। বাস, কারসহ অন্যান্য যানবাহনে মানুষ যাচ্ছে, আসছে। কত লোকজন সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে যাচ্ছে আবার কত লোকজন সেসব জেলাগুলো থেকে অন্য জায়গায় যাচ্ছে। ফলে এভাবেই ছড়াচ্ছে আরকি। যদিও সরকার অনেকগুলো সীমান্ত এলাকায় লাকডাউন দিয়েছে। তারপরও তো মেইনটেইন করতে পারছে না। সবচেয়ে বড় কথা হলো জনগণতো স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। মাস্ক পড়ে না, শারীরিক দূরুত্ব মানার বালাই নেই ইত্যাদি। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে আগে তো হতো না, ভালো ছিল। কিন্তু এখন গ্রামেও ভয়ানক আকারে ছড়াচ্ছে। সেসব এলাকায় অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানে না। অনেকে বিশ্বাসও করে না। করোনা যে আছে এটাও অনেকে স্বীকার করে না। এরকম ঘটনা তো ঘটছে।
তিনি বলেন, মানুষ মাস্ক পড়ে না, হাত ধোয়ার চর্চা নেই, শারীরিক দূরুত্ব বলতে গেলে নেইই এখন আর। কেউ তো মেইনটেইন করছেন না। মেইনটেইন না করলে এটা তো হবেই। আর এ কারণেই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। যেহেতু এটার থেকে বাঁচার তো আর কোনো রাস্তা নেই, সেহেতু টিকাই প্রতিরোধ। বিশেষ করে সীমান্তে যে হারে বাড়ছে। সেখানে তো হাসপাতাল, সুযোগ সুবিধা এগুলো তো কম। সেসব জায়গায় অক্সিজেন ক্রাইসিস, আইসিইউ কম, বেড কম, ফ্লোরে জায়গা দিয়ে কুলাতে পারছে না, অথচ রোগী বাড়ছে। ফলে এটার থেকে বাঁচার একমাত্র রাস্তা, আমাদের প্রতিকার এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। অর্থাৎ স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। মাস্ক পরিধান করতে হবে, হাত ধোয়া চালু রাখতে হবে, শারীরিক দূরুত্ব বজায়ে রাখতে হবে আর চতুর্থ বিষয় হলো টিকার ব্যবস্থা জোড়েশোরে করতে হবে। গণটিকাটা করতে হবে। সবাইকে গণহারে টিকা দিতে না পারলে কিন্তু সমস্যা। টিকা ছাড়া বাঁচার কোনো রাস্তা নেই।
তিনি বলেন, এখন যেগুলাে ছড়াচ্ছে সেগুলো ক্ষেত্রে সন্দেহ হচ্ছে যে, এগুলো ডেল্টা ভেরিয়েন্ট। অনেক জায়গায় তো ডেল্টা ভেরিয়েন্টই বেশি পাচ্ছে। এই ভেরিয়েন্ট দ্রুত ছড়ায়। যেকোনো বয়সের মানুষকে আক্রান্ত করে। সেসব রোগীর হঠাৎ করেই সিরিয়াস হয়ে যায়, কিন্তু তার কোনো লক্ষণ নেই। অনেকের শ্বাসকষ্ট, কাশী এবং অক্সিজেন ফল করে এবং এটিই ছড়াচ্ছে বেশি। সেজন্য প্রতিকার এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হলো সব থেকে জরুরী। এছাড়া তো আর কোনো উপায় নেই।
তিনি বলেন, এখন বর্ষার সময়ে ডেঙ্গু কিছু কিছু জায়গায় শুরু হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় জমা পানিতে ডেঙ্গু মশা ডিম পারে। এই বর্ষার সময় এটি দ্রুত ছড়াবে এটির ভয় তো আছেই। এই করোনার মধ্যে এটি ঝুকিপূর্ণ তো বটেই। ডেঙ্গু আমরা জানি এটি মশার কামড়ে হয়। সুতরাং মশা নিধনের ব্যবস্থা যদি নেওয়া যায় তাহলেই ভালো হয়। করোনা তো অদৃশ্য শক্তি, যেটা বোঝা যায় না। সুতরাং ডেঙ্গুর বিষয়ে জনগণকে সচেতন থাকতে হবে। নিজের ঘরবাড়ি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ফুলের টবে বা বাথরুমে জমানো পানি না থাকে সেই দিকে নজর দিতে হবে। নিজের ঘরের আশেপাশের আঙ্গিনা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। মশা যাতে কোনোভাবে ডিম পারতে না পারে সেদিকে নজর রাখতে হবে। তাহলেই এটি থেকে আমরা সকলকে রক্ষা করতে পারবো।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, এপ্রিল মাসে তীব্র তাপদাহ যাচ্ছে। এটা একটু কষ্টদায়ক বটে। তবে মে মাসেও তো আবহাওয়া এমন থাকবে এবং সে সময় প্রচন্ড গরম থাকবে। কিন্তু তাই বলে তো আর স্কুল, কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এত লম্বা সময় ধরে বন্ধ রাখা যায় না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।