নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১৫ পিএম, ২১ জুন, ২০২১
ঝড়ো আবহাওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা অঙ্গরাজ্যের বাটলার কাউন্টিতে আঠারোটি গাড়ি একসঙ্গে দুর্ঘটনার কবলে ৯ শিশুসহ ১০ জন নিহত হয়েছে।
গত শনিবার (১৯ জুন) এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে বিবিসির বরাতে জানা যায়।
বাটলার কাউন্টির করোনার ওয়েন গারলকের বরাতে জানা যায়, দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে নয় মাস থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশু রয়েছে। ভেজা রাস্তার কারণে গাড়িগুলো সড়কে আটকে যাওয়ার ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে।
ক্রান্তীয় ঝড় ক্লদেতে আলাবামার বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে আচমকা বন্যার সঙ্গে টর্নেডোর আঘাতে ডজন ডজন বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। বাটলার কাউন্টি করোনার গারলক বলছেন, দুর্ঘটনায় নিজের গাড়িতে এক ব্যক্তি ও তার নয় মাসের কন্যাশিশু নিহত হয়েছে।
নিহতদের বাকি আট জন শিশু। তারা তাল্লাপুসা কাউন্টি গার্লস র্যাঞ্চের একটি গাড়িতে ছিল। প্রতিষ্ঠানটি অনাথ, অবহেলিত ও নির্যাতিত কন্যাশিশুদের লালন-পালন করে থাকে। নিহত এই আট শিশুর মধ্যে সবচেয়ে ছোটটির বয়স চার বছর।
বাটলার কাউন্টি শেরিফ ড্যানি বন্ডের বরাতে জানা যায়, দুর্ঘটনায় আরও অনেকে আহত হয়েছে, তবে মোট সংখ্যাটি এখনও জানা যায়নি।
মন্তব্য করুন
দিনকে দিন বিশ্বব্যাপী ছোট হয়ে আসছে মাছের আকার। এর ফলে বর্তমানে যেসব দীর্ঘাকৃতির মাছ সাগরে পাওয়া যাচ্ছে, অদূর ভবিষ্যতে হয়তো তেমনটি আর পাওয়া যাবে না। বিশ্বজুড়ে মাছের আবাসস্থল নিয়ে এক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এমন চমক জাগানিয়া তথ্য উঠে এসেছে।
মেরুদণ্ডী প্রাণীর মধ্যে মাছ সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় প্রজাতি। এদের মধ্যে রয়েছে ক্ষুদ্র গবি ও জেব্রাফিশ থেকে শুরু করে বিশালাকার টুনা, তিমি ও হাঙর। মাছের মাধ্যমে অত্যাবশ্যক খাদ্য সরবরাহ হয় বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষের। স্বাভাবিকভাবেই মাছ জলজ বাস্তুতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সেই গুরুত্বপূর্ণ অংশটিই বিশ্বজুড়ে এখন হুমকির মুখে।
বিশ্বজুড়ে মাছের আবাসস্থল নিয়ে পরিচালিত এক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের ওপর উল্লেখযোগ্যহারে প্রভাব ফেলছে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন। এর ফলে ধীরে ধীরে বিশ্বজুড়ে উষ্ণ হয়ে আসছে মাছের আবাসস্থল। আর এতে দিনকে দিন ছোট হয়ে আসছে মাছের আকার। বলা হচ্ছে, গত ৪০ বছরে উত্তর সাগরের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক মাছের প্রজাতি আকারে ১৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। কারণ এই সময়ে সেখানে পানির তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গবেষণায় দেখা গেছে, মাছের ওপর উষ্ণ জল অত্যন্ত খারাপ ধরনের প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে, বড় মাছের ক্ষেত্রে এই প্রভাব খুবই উল্লেখযোগ্য। বড় মাছ আকারে ছোট হয়ে গেলে দ্রুত পরিপক্ব হয় এবং অল্প বয়সে প্রজননে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এতে আকারে ছোট হতে থাকে মাছের পরবর্তী প্রজন্ম।
তাড়াতাড়ি পরিপক্ব হওয়ার এই বৈশিষ্ট্যটি মাছের বর্তমান থেকে নতুন প্রজন্মে স্থানান্তরিত হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, এটি ‘মৎস্য-প্ররোচিত বিবর্তন‘ নামে পরিচিত। এর ফলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মাছ আকারে হ্রাস পেতে থাকে।
বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ছোট মাছ আনুপাতিকভাবে কম সন্তান উৎপাদন করে। মাছের আকার ছোট হওয়ার অর্থ হলো প্রতিটি মাছের কম সন্তান হবে এবং বেশি বেশি মাছ ধরা পড়বে। পরিবেশগত এবং বাণিজ্যিকভাবে এই প্রক্রিয়ার যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে এবং তা সরাসরি আঘাত করবে মানবজাতিকে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি
মন্তব্য করুন
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত ইরানের প্রেসিডেন্ট
মন্তব্য করুন