ইনসাইড থট

`বিশ্ব নেত্রী হিসেবে প্রতিটি দেশ এখন শেখ হাসিনাকে স্বীকার করে`

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ১৬ জুলাই, ২০২১


Thumbnail

রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার আসল ক্ষমতার উৎস হচ্ছে প্রন্তিক বঙ্গবন্ধু আদর্শের সৈনিকেরা। এদেশের ইতিহাসে বার বার প্রমানিত হয়েছে যে, আমরা যারা শিক্ষিত, যারা বিভিন্ন উচ্চ পদে থাকি তারা যতটা না শেখ হাসিনাকে সম্মান করি ততটা ভালোবাসি কিনা এ বিষয়ে আমার নিজেরই মনে অনেক সময় সন্দেহ জাগে। কেননা একজনকে শ্রদ্ধা করা আর শ্রদ্ধার সাথে ভালোবাসা যদি মিশ্রিত না হয় তাহলে সেই নেতার জন্য কখনোই কোনো মানুষ তার জীবনের ঝুঁকি নিতে পারে না। বাংলার গ্রামে গ্রামে অজো পাড়া গাঁয়ে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অনেক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক যারা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এখন শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে নয় তাদের হৃদয়ের মানুষ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। আজ ১৬ জুলাই যখন বেআইনিভাবে জননেত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে দিতে অসাংবিধানিক পথে যারা ক্ষমতা দখল করেছিলেন তাদেরকে বার বার কঠিন ভাষায় পলাষন করেন। তখনই তারা নেত্রীর মুখ বন্ধ করা জন্যে তাকে খুব অন্যায়ভাবে এবং অসম্মানজনকভাবে তারা জেলে ঢুকিয়ে দেন। আমি চিকিৎসক হিসেবেও যখন গিয়েছি তখন দেখেছি তাকে যেখানে সাব জেল হিসেবে রাখা হয়েছিল যেটা হুইপদের বাসা সেখানকার ওয়ালে শ্যাওলা পড়া এবং সেটা বলা পড়েও তারা কোনো বন্দোবস্ত করেনি।

এই কারণের জন্যে যতবারই ১৬ জুলাই আসবে বাংলার জনগণের কাছে এটি একটি কালো দিবস হিসেবেও বলা চলে আবার অন্য দিকে বলা চলে যে রাষ্ট্রনায়ক হওয়ার প্রথম পদক্ষেপ সেদিন থেকেই শুরু হয়। কেননা জননেত্রী শেখ হাসিনা তাকে জেলে নেওয়ার পরেও যখন প্রহসনমূলক বিচার শুরু করে তখন তিনি তার বিচারের সময় খুবই স্পষ্ট করে যে বক্তব্য দিতেন তাতে দেশে জনগণ আরও উদ্বৃত্ত হতো গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য। বঙ্গবন্ধুর পরে একমাত্র বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া এই রকম উদাহরণ আর বাংলাদেশে নেই। যখন আগড়তলা ষড়যন্ত্র মামলা হয় তখন সেই মামলার সময় বঙ্গবন্ধুর পক্ষে বঙ্গবন্ধুর আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী তার আইনজ্ঞ যে বক্তব্য দিতেন সেটি বঙ্গবন্ধুর বক্তব্য ধরে আমরা সেই ৬০ দশকে রাস্তায় নেমেছি এবং রাস্তায় নেমে মূলত যুবক সমাজই ছাত্ররা আন্দোলন করে এবং পরবর্তীতে প্রন্তিক জনগোষ্ঠীরা এবং যারা সাধারণভাবে এমনকি রাজনৈতিক কোনো পরিচয় বহন করে না তাদের আন্দোলনের পরে বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসির কাষ্ঠে না ঝুলিয়ে বরং সম্মানের সাথে এক জেনারেলকে দিয়ে আগড়তলা মামলা তুলে নিয়ে বাড়ি পৌঁছে দিতে হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ১৬ জুলাই যখন জেলে নিয়ে যায় তখন অনেক বড় বড় নেতারাই শেখ হাসিনাকে তখন অন্য কথায় বলতে হয় নেত্রীকে ছেড়ে যার যার নিজের হিসাব নিকাশে ব্যস্ত হয়ে উঠেছিল।

অবশ্য সকলে নয়। তার মধ্যে যেমন মতিয়া আপা, সাহারা আপা, সৈয়দ আশরাফ, হাছান মাহমুদ, ডা. দীপু মনি, এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, খুব নবীন ব্যারিস্টার ব্যারিস্টার তাপস থেকে শুরু করে অনেকেই ওই সময় বঙ্গবন্ধু কন্যার পক্ষে, জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন। অবশ্য বলাই বাহুল্য যে, আওয়ামী লীগকে এক করে রাখার জন্যে মরহুম রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান সাহেবের অবদান চিরকালই মানুষ মনে রাখবে। তিনি সেই বয়সেও শুধুমাত্র আওয়ামী লীগকে এক করে রাখেন নি এমনকি অনেক দিন পরে কালো কোট পড়ে নেত্রীকে আমার বিশ্বাস মূলত চোখে দেখার জন্য কোর্টে গিয়ে হাজির হয়েছিলেন। সে এক অদ্ভুত সময় গিয়েছে। যখন বোঝা গিয়েছিল অনেক নেতারা তারা ভেবেছিল যে, নেত্রী আর কোনো দিন ক্ষমতায় আসতে পারবেন না। জেলের বাইরে হয়তো কোনো একটা সময় আসতে পারেন কিন্তু তিনি ক্ষমতাহীনই থাকবেন। কিন্তু নেত্রী দেখিয়ে দিলেন তার মনোবল, তার প্রজ্ঞা দ্বারা যে, যদি দেশ পরিচালনায় তার যে মূল বক্তব্য দিয়ে তিনি ১৯৮১ সালের মে মাসে দেশে এসেছিলেন এবং দেশের মাটি স্পর্শ করে বলেছিলেন যে, আমি সব হারিয়ে দেশে এসেছি মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার জন্যে, গণতন্ত্র কায়েম করা জন্যে, সোনার বাংলা গড়ার জন্যে। তিনি এও বলেছিলেন যে, তার পিতা বাংলাদেশ স্বাধীন করে আমাদের একটি ঠিকানা দিয়েছেন। এই ঠিকানাকে স্বার্ণক্ষরে লেখার জন্যে অর্থাৎ সোনার বাংলা গড়ার জন্যে তার সংগ্রাম এবং ১৬ জুলাই তাকে কারার অন্তরালে নিয়েও তার মনোবল আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আমি চিকিৎসক হিসেবে বেশ কয়েকবার তাকে দেখার সুযোগ পেয়েছি। আমাদের অনেক সময় মুখ কালো দেখলে বরং আমাদের মনোবল বাড়িয়ে দিয়েছেন। আমরা তাকে কি বোঝাবো।

কিছুদিন পরে যখন তখনকার সেনাবাহিনীরা বুঝতে পারলো যে, এ ফলে তো জননেত্রী শেখ হাসিনাই একমাত্র অপ্রতিদ্বন্দ্বী নেত্রী হয়ে যাচ্ছেন দেশের এবং আর কোনো নেতা থাকবে না। এই কারণের জন্য তারাতারি করে তারা কয়েক মাস পরে বেগম খালেদা জিয়াকেও তারা কারার অন্তরালে নেন। এর মূল কারণ ছিল কিন্তু তাকে মাইনাস টু না। যেটা মাইনাস টু বলা হয় সেটা কখনোই সঠিক না। সেই ইতিহাস আরও পর্যালোচনা হবে। ভবিষ্যতের ইতিহাসে আরও লেখা থাকবে। তখন শুধুমাত্র জননেত্রী শেখ হাসিনা যাতে একচ্ছত্র নেত্রী না হোন ব্যলান্স করার জন্যই সেদিন বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে নেয়া হয়েছিল। সাধারণ মানুষ যারা খেটে খাওয়া মানুষ তারা ঠিকই বুঝেছিল। যার ফলে যখন ২০০৮ সালে নির্বাচন দিতে বাধ্য হয় তখন দেখা গেল নেত্রী যাকেই যেখানে নমিনেশন দিয়েছেন কাকে দিয়েছেন সেটা জনগণ দেখে নি তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রার্থী কিনা সেটা বিচার করেই তারা তাকে নির্বাচনে বিজয়ী করেছেন। এক মহা বিজয় এবং এই বিজয়ের মাধ্যমে নেত্রী বাংলাদেশের ইতিহাস পরিবর্তন করে দিলেন কেননা আবার পাকিস্তানমুখি হচ্ছিল। তিনি শুধু পাকিস্তানমুখি থেকে ফিরিয়েই আনলেন না তিনি সোনার বাংলা গড়ার দিকেও এগিয়ে গেলেন। 

এমন কোনো সেক্টর নেই, এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার জনগণের জন্য যে তার দরদ সেই দরদের ছাপ রেখে চলেছেন না। কারণ এই কিছু দিন আগেই তিনি ভাবলেন এই অতিমারীর সময় সাধারণ গরীবরা তো অর্থনৈতিক অনেক কষ্ট পাচ্ছে। সাথে সাথে তিনি তাদের দেওয়ার জন্যে ৫টি ভাগে জনগণ যাদের প্রয়োজন তাদের জন্য ক্যাশ টাকা দিলেন। এর মধ্যেও আবার ৩৩৩ এ ফোন করে যাদের সত্যি খাবার কষ্ট তাদের খাবার পৌঁছে দেওয়া হয় এবং সেখানে যারা মধ্যবিত্ত তারা অনেক সময় লজ্জায় বলতে পারে না তাদের পক্ষ থেকে যদি কেউ ফোন করে তার বাড়িতেও খাবার পৌঁছে যাচ্ছে। কত লোক হাসাহাসি করেছে যে কোথায় ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। কিন্তু নেত্রী দেখিয়ে দিলেন যে, আবার ‌ভ্যাকসিন রোলআউট শুরু হয়েছে এবং এই রোলআউট আল্লাহর রহমতে চলতেই থাকবে এবং এই অতিমারী থেকে অবশ্যই আমরা বেরিয়ে যাবো। বরং এই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সাথে আমরা যারা নিজেদেরকে শিক্ষিত দাবি করি তাদের নেত্রীকে সম্মানও করতে হবে তাকে ভালোও বাসতে হবে। এই জন্য আল্লাহ এর কাছে দোয়া করতে হবে যেনো আল্লাহ তাকে দীর্ঘজীবী করেন এবং কমপক্ষে আরও ১২ বছর যেনো রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে রাখেন। তারপরে তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি রাষ্ট্রীয় দায়িত্বেই থাকবেন নাকি আমাদের মতো সাধারণ মানুষের জীবনযাপন করবেন। সুতরাং আজকে এই ১৬ তারিখটাকে আমরা দুইভাবেই বিচার করতে পারি। একটি হচ্ছে নেত্রীর উত্থান দিবস হিসেবে কারণ যারা তাকে জেলে নিয়েছিল তারা চেয়েছিল প্রয়োজনে তাকে জীবনে শেষ করে দেবে। সেখান থেকে তিনি উত্থান হয়ে এখন কোথায় যে চলে গেছেন বিশ্ব নেত্রী হিসেবে, রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে সেটি এখন প্রতিটি দেশ স্বীকার করে। শুধুমাত্র আমাদের দেশে কিছু লোকের দৃষ্টিশক্তির ঘাটতি থাকার জন্য হয়তোবা তারা ঠিকমতো দেখতে পান না। তাদের অবশ্য অনেক হাই পাওয়ারের চশমা দিলে তারাও বোধহয় দেখতে পাবে যে নেত্রীর উন্নতির অপর নাম দেশকে সোনার বাংলা গড়া, উন্নতির অপর নাম হচ্ছে শেখ হাসিনা।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রত্যাশী জনগণের জন্য ‘আলোক বর্তিকা’


Thumbnail

সাম্প্রতি ‘‘১৭ মে ১৯৮১, তোমার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর সূচনা, ১৭ মে ২০২৩, কমিউনিটি ক্লিনিক: ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ দিলো নতুন মর্যাদা’’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর। বৈঠক ডা. কাইয়ুম তালুকদার যে আলোচনা করেছেন তাঁর চুম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো।

সবার জন্য স্বাস্থ্য নিশ্চিতে বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক অভাবনীয়, অনন্য এবং যুগান্তকারী একটি মডেল। শিশু স্বাস্থ্য, মাতৃ স্বাস্থ্য এবং কিশোরীদের স্বাস্থ্য পরিসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এটি একটি অসাধারণ উদ্যোগ। নবজাতকের মৃত্যু, মাতৃ মৃত্যু কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক মডেল আজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ অনুসরণ শুরু করেছে। গত বছর ১৭ মে কমিউনিটি ক্লিনিক ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিসিয়েটিভ’ হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতি পায়। ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ সারা বিশ্বের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রত্যাশী জনগণের জন্য ‘আলোক বর্তিকা’। দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ এর প্রবক্তা। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা উন্নয়ন কৌশল জাতির পিতার ভাবনা থেকেই উৎসারিত। অল্প সময়ের মধ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রান্তিক সুবিধা বঞ্চিত মানুষের আপন প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়। ২০০৯ সালে জনগণের বিপুল সমর্থনে আবার সরকার গঠন করেন দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। ভবিষ্যতে আর কোন অপশক্তি যেন কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম বন্ধ করতে না পারে সেজন্য দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা এই প্রতিষ্ঠানের সাথে জনগণকে সম্পৃক্ত করেন। বর্তমানে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে নির্মিত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবার ‘বাতিঘর’ এই প্রতিষ্ঠানটি। যেখানে জনগণ জমি দিচ্ছেন, সরকার ভবন করে দিচ্ছেন। কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রমের পুরোটাই পরিচালিত হচ্ছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ মানেই স্মার্ট উদ্যোগ। দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার উদ্ভাবন মানেই জনবান্ধব কর্মসূচি। কমিউনিটি ক্লিনিক পাল্টে দিচ্ছে গ্রামীণ জনপদ। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে কমিউনিটি ক্লিনিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

বিশ্ববাসী আজ শেখ হাসিনাকে গুরুত্ব না দিয়ে পারে না


Thumbnail

সাম্প্রতি ‘‘১৭ মে ১৯৮১, তোমার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর সূচনা, ১৭ মে ২০২৩, কমিউনিটি ক্লিনিক: ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ দিলো নতুন মর্যাদা’’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর। বৈঠক ফরিদা ইয়াসমিন, এমপি যে আলোচনা করেছেন তাঁর চুম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো।

আজকে আমরা ১৭ মে নিয়ে কথা বলছি। যেদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। আবার গত বছর এই দিনে তাঁর চিন্তা প্রসূত কমিউনিটি ক্লিনিককে জাতিসংঘ ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আজকে আমরা যে ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলছি, উন্নয়নশীল বাংলাদেশের কথা বলছি, যে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখছি, একদিন উন্নত বাংলাদেশ হব বলে স্বপ্ন দেখছি এই সবকিছু শেখ হাসিনার স্বপ্ন, শেখ হাসিনার ইনিশিয়েটিভ। বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা স্মরণ করতে চাই সে দিনটি যেদিন শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এলেন। সমগ্র বাঙালীর আনন্দিত উদ্বেলিত অপেক্ষার দিন। সমস্ত কিছু উপেক্ষা করে মানুষ বঙ্গবন্ধু কন্যাকে স্বাগত জানিয়েছে সেদিন। সেদিন তিনি দেশে আসার পর ৩২ নম্বরে ঢুকতে পারেননি। তিনি চেয়েছিলেন একটি মিলাদ করবেন, নিজের বাড়িতে ঢুকবেন কিন্তু সেটি তিনি পারেননি। তাকে রাস্তায় বসে মিলাদ পড়াতে হয়েছে। তার ওপর এত জুলুম বাধা বিপত্তি সব কিছু পেরিয়ে আজকে তিনি বাংলাদেশের শুধু রাষ্ট্রনায়ক না, তিনি সারা বিশ্বের একজন নেতা হিসেবে পরিণত হয়েছেন। বিশ্ববাসী আজ শেখ হাসিনাকে গুরুত্ব না দিয়ে পারে না। বাংলাদেশের একজন প্রধানমন্ত্রীকে সেরকম গুরুত্ব না দিলেও পারত কিন্তু তারা শেখ হাসিনাকে উপেক্ষা করতে পারেন না। কারণ তিনি শেখ হাসিনা। তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা। তাঁর যে স্বপ্ন, তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের যে উন্নয়ন সেটি সকলের কাছে একটি বিস্ময়। আজকে পাকিস্তানিরা বলে আমাদেরকে বাংলাদেশ বানিয়ে দাও। 

ছিয়ানব্বইয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেই শেখ হাসিনা জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেন। কমিউনিটি ক্লিনিক এর মত একটি উদ্যোগ এটি কেউ চিন্তাও করেননি। এটা একেবারে শেখ হাসিনার চিন্তাপ্রসূত। কিন্তু সরকারের পালা বদল হবার সাথে সাথে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসেছে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিলেন। কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ হওয়ার ফলে আবার জনগণের স্বাস্থ্যসেবা মুখ থুবড়ে পড়ে। বিভিন্ন জায়গায় কমিউনিটি ক্লিনিক গুলো একেবারে ভূতড়ে বাড়ির মত হয়ে গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী পরের বার ক্ষমতায় এসে সেই ক্লিনিকগুলো আবার চালু করেন। জাতিসংঘ এটিকে মডেল হিসেবে নিয়েছে এবং ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার সেটি বন্ধ করে দিয়েছিল। আজকের দিনে এসে বুঝা যায় যে এটি আসলে কতটা ইনোভেশন ছিল। শেখ হাসিনার এই উদ্যোগ আজ অন্যান্য দেশ অনুসরণ করতে চায়। 


মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

১৮ কোটি মানুষের ঠিকানা জননেত্রী শেখ হাসিনা


Thumbnail

সাম্প্রতি ‘‘১৭ মে ১৯৮১, তোমার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর সূচনা, ১৭ মে ২০২৩, কমিউনিটি ক্লিনিক: ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ দিলো নতুন মর্যাদা’’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর। বৈঠক অধ্যাপক ডা. নুরুল হুদা লেনিন যে আলোচনা করেছেন তাঁর চুম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো।

১৭৮১ সালে পলাশি যুদ্ধে ইতিহাসের ঘৃণিত সেনাপতি মির্জাফরের বিশ্বাসঘাতকতায় নবাব সিরাজ উদ্দৌলার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ২০০ বছরের গোলামী আমাদের ললাটে এসেছিল। ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ স্বাধীন হলেও বাঙালী এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতা পায়নি। যার পটভূমিতে বীরদর্পে আবির্ভূত হন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ থেকে ৭৫’ বাঙালি জাতির ভাগ্যাকাশে স্বাধীনতার লাল পতাকা উড়েছিল বাঙালী আশায় বুক বেধেছিল। কিন্তু বাংলার নব্য মির্জাফরেরা জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার চেতনাকে ভুলুন্ঠিত করেছিল। ভাগ্যক্রমে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা বিদেশে থাকার কারণে জীবনে বেচে যান। কোন অন্যায় না করেও পিতার অসাধারণ ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত স্বাধীন বাংলাদেশে আসতে তাকে বাধা দেওয়া হয়েছিল। সামরিক শাসক এবং শাসনের কারণে বরণ করতে হয়েছিল নির্বাসিত জীবন। দেশের আপামর জনগণ, আবাল-বৃদ্ধা-বণিতা শেখ হাসিনার এই অকৃত্রিম ভালোবাসাকে হৃদয়ের বেরোমিটার দিয়ে মাপতে পারে তাকে বাংলায় রুখবে কে। তাইতো ঐক্যের প্রতীক হয়ে বাঙালির ভাগ্যাকাশে জ্বলজ্বলে স্বধীনতার সূর্য হাতে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরেছিলেন শেখ হাসিনা নামের একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। যার আলোর বিচ্ছরণ ঘটাচ্ছে ১৮ কোটি মানুষের প্রতিটি হৃদয়ে। বাঙালির ভাগ্য উন্নয়নের চাকা এখন সঠিক পথে সঠিক গন্তব্যের দিকে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ধাবমান। 

১৯৮১ সালের ১৭ মে যেদিন তিনি বাংলার মাটিতে পা রাখেন সেদিন তার পথ ছিল অনেকটা কন্টকাকীর্ণ। নিজের বাড়ি, নিজের পিতার বাড়িতে একজন সাধারণ নাগরিকেরও প্রবেশের অধিকার থাকে। কিন্তু শেখ হাসিনার সেই অধিকার খর্ব করা হয়েছিল। ১৯৮১ সালের ১৭ মে, দেশের মাটিতে পা রাখার পর শেখ হাসিনার হৃদয়ের টেবিলে দু’টি ফাইল ছিল। দু’টি ফাইলের একটি ছিল ৭৫ এর ১৫ আগস্ট পিতা-মাতাসহ স্বজন হারানো মমগাথা ও তাঁর বিচার প্রসঙ্গ। অন্যটি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ তথা বাঙালী জাতির ভাগ্য উন্নয়ন। ১৯৮১ সালের ১৭ মে যদি জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে না ফিরতেন, তবে বাঙালি জাতির ভাগ্য কখনো আলোর মুখ দেখতো না। তলিয়ে থাকতো অটল অন্ধকারে। তাইতো বাংলার মানুষ সবাই ধারণ করে একটি শ্লোগান, ‘১৮ কোটি মানুষের ঠিকানা, জননেত্রী শেখ হাসিনা।’  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

বদলে যাওয়ার বাংলাদেশের কারিগরি শেখ হাসিনা


Thumbnail

সাম্প্রতি ‘‘১৭ মে ১৯৮১, তোমার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর সূচনা, ১৭ মে ২০২৩, কমিউনিটি ক্লিনিক: ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ দিলো নতুন মর্যাদা’’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর। বৈঠক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ যে আলোচনা করেছেন তাঁর চুম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো।

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বিয়োগান্তের ঘটনায় জাতি ছিল দিক নির্দেশনাহীন। নারকীয় এই ঘটনায় জনগণ হয়ে পড়েন দিশেহারা। প্রতিবাদ, প্রতিরোধ করার কোন শক্তি সাহস ছিল না। দলের অনেক বড় বড় নেতাও ছিলেন কিংকর্তব্যবিমূঢ়। ধানমন্ডির ৩২ বাড়ি ছিল কবরের নীরবতা। সমগ্র জাতি তখন অন্ধকারে। সামরিক বুটে পিষ্ঠ গণতন্ত্র। নির্বাসনে সংবিধান আর মানুষের মৌলিক অধিকার। বাক স্বাধীনতা বলতে কিছুই ছিল না। এমনকি বঙ্গবন্ধু নাম উচ্চারণ ছিল নিষিদ্ধ। 

তৎকালীন রেডিও, টেলিভিশন কোথাও বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করতে দেওয়া হত না। দেশকে টেলে দেওয়া হয়েছিল উল্টোপথে। ১৯৭১ সালে যে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল ১৯৭৫ এসে সেই বাংলাদেশ হারিয়ে গিয়েছিল। সারা দেশে শুধু তখন হতাশ আর নাভিশ্বাস অবস্থা। এর প্রায় ৬ বছর পর নির্বাসনে থাকার জননেত্রী শেখ হাসিনা জীবনের পরোয়া না করে ভয় ভীতি উপেক্ষা করে অনেক ঝুকি নিয়ে পরিবারের সদস্যদের বিদেশের মাটিতে রেখে সেই ১৯৮১ সালের ১৭ মে পদাপণ করেন বাংলার মাটিতে। তিনি যখন দেশে এসেছিলেন তখন অভূতপূর্ব দৃশ্যের অবতারণ হয়। 

আমার এখনো স্পষ্ট মনে আছে লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ তাকে পেয়ে আনন্দিত উদ্বেলিত ছিলেন। তিনি এসেছিলেন এক আলোক বতিতা, আলোর ফেরিয়াওলা হয়ে। তিনি হয়ে উঠেন সকলের আশা আকাঙ্ক্ষা প্রতীক। বিশ্বস্ততার ঠিকানা। শাসক গোষ্ঠীর ভিত তখন কেপে উঠেছিল। দেশে আসার পর জননেত্রী শেখ হাসিনার চলার পথ সহজ ছিল না। মসৃণ ছিলো না। কিন্তু তিনি সমস্ত বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে তার মেধা, দক্ষতা, সততা, নিষ্ঠা, যোগ্যতা, প্রজ্ঞা, সৃজনশীলতা উদার গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি আর দূরদর্শী নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল আর আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। জনগণ ফিরে পায় তার সব ধরনের অধিকার। আল্লাহ অশেষ রহমত শেখ হাসিনার মতা আমরা একজন নেত্রী পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু বানিয়েছেন বাংলাদেশ আর শেখ হাসিনা বানিয়েছেন বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। যত দিন থাকবে শেখ হাসিনার হাতে দেশ পথ হারাবে না বাংলাদেশ।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের বিস্ময়


Thumbnail

সাম্প্রতি ‘‘১৭ মে ১৯৮১, তোমার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর সূচনা, ১৭ মে ২০২৩, কমিউনিটি ক্লিনিক: ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ দিলো নতুন মর্যাদা’’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর। বৈঠক অধ্যাপক ডা. নাহিদ ফেরদৌসী যে আলোচনা করেছেন তাঁর চুম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশের মৌলিক চরিত্রকেই বদলে ফেলা হয়। বিশেষ করে পাকিস্তানি ধারায় সামরিক শাসনের সংস্কৃতির প্রবর্তন ঘটে দেশে। সাম্প্রদায়িকতা ফিরে আসে রাজনীতি, প্রশাসন, শিক্ষা, সংস্কৃতিসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরে। একের পর এক স্বপ্নভঙ্গের ঘটনা ঘটতে থাকে দেশে। বাঙালি জাতির জীবনে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে ঘোর অমানিশার অন্ধকার। ঠিক এমন প্রতিকূল সময় ১৯৮১ সালের ১৭ মে সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর রক্তস্নাত মাতৃভূমিতে ফিরে আসেন বাঙালির মুক্তির মহানায়কের যোগ্য উত্তরসূরি জননেত্রী শেখ হাসিনা। তার স্বদেশে ফেরার ওইদিন রাজধানী ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। তুমুল বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে একনজর দেখার জন্য বিমানবন্দর থেকে শেরেবাংলা নগর এলাকাজুড়ে ছিল মানুষের ঢল। শেখ হাসিনা - সেদিন বাংলার মাটিতে ফিরে এসেছেন কোটি বাঙালির আশার প্রদীপ হয়ে - বাঙালি জাতিকে আলোর ঠিকানায় পৌছে দিতে। সেদিন বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে সারা দেশ থেকে আসা লাখ মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হন বঙ্গবন্ধু কন্যা। জনসমুদ্রে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমে পিতৃহত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার শপথ নেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।

জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার সাহসী ভূমিকা রেখে চলেছেন। তিনি ফিরে আসার পর আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ফিরে পেয়েছি। দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ এর সূচনা হয়েছে। ছিয়ানব্বইয়ে সরকার গঠন করে তিনি ‘দায়মুক্তি অধ্যাদেশ বাতিল আইন, ১৯৯৬’ সংসদে পাশ করে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের ঘাতকদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করান এবং পরবর্তীতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসেন। তাঁর আন্তরিক উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় মহান ‘২১ ফেব্রুয়ারি’ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা পায়। ভারতের সঙ্গে গঙ্গার পানি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কারো মধ্যস্থতা ছাড়াই স্বাক্ষরিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি।

১৭ মে ২০২৩ দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য উদ্ভাবন “কমিউনিটি ক্লিনিক'-কে জাতিসংঘ “দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ' হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এটা বাংলাদেশের সবার জন্য গর্বের। জাতিসংঘ প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্ভাবনী চিন্তাকে জাতিসংঘের অন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোকেও অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছে। দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের বিস্ময়। তার গতিশীল নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে। 


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন