ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

তালেবানের পক্ষে পুরো ক্ষমতা করায়ত্ত্ব করা সম্ভব?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:৪৭ এএম, ২৫ জুলাই, ২০২১


Thumbnail

আফগানিস্তান এমন একটি ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ দেশ, যা নিয়ে আসলে বিশ্লেষণ করা চাট্টিখানি কথা নয়। এখানে আন্তধর্মীয় নানা গোষ্ঠী রয়েছে, এবং এদের মধ্যে মতাদর্শগত নানা পার্থক্য ও বিরোধ স্পষ্ট।

আফগানিস্তানের প্রধান শহর হলো কাবুল, হেরাত, জালালাবাদ, মাজার-ই-শরিফ, কান্দাহার ও কুন্দুজ। আফগানিস্তানের জাতিগত গোষ্ঠীগুলো হলো পশতুন, তাজিক, হাজারা, উজবেক, আইমাক, তুর্কমেন, বালুচ, পাশাই, নুরস্তিনি, গুজ্জর, আরব, ব্রাহুই, কিজিলবাশ, পামিরি, কিরগিজ, সাদাত প্রভৃতি। এর মধ্যে পশতুন মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫০ শতাংশ। বেশির ভাগ তালেবান হয় আফগান এবং পাকিস্তানের পশতুন অথবা বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ভাড়াটে সৈন্য।

সত্যি কথা বলতে গেলে, তালেবান কোনো ধর্মীয় মন্ত্রে দীক্ষিত হয়নি, কিংবা জাতীয়তাবাদীর অদম্য নেশাও তাদের পেয়ে বসেনি। এদের মধ্যে অনেকেই নিয়মিত বেতনে কাজ করে এবং মাদক সেবন করে। তাদের ব্যয়ের প্রধান উৎসগুলো হলো তাদের দখল করা অঞ্চলে উৎপাদিত পপি, আফিম ও অন্যান্য ড্রাগ বিক্রি করে আয়, যা তাদের নিয়ন্ত্রিত।

আমেরিকানরা এসব অঞ্চল পপি ও আফিমের পরিবর্তে বিকল্প ফসলের জন্য কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছিল। তবে অঞ্চলগুলোর মানুষের নোংরা মানসিকতার কারণে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের নেতাদের অনেক সন্তানের সঙ্গে অনেক স্ত্রী রয়েছেন এবং তাঁরা তাঁদের পরিবার ও বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ নিয়েও সংকটে রয়েছেন। তাঁদের বাচ্চারাও বর্তমানে স্কুলে পড়াশোনা করছে এবং মুঠোফোন, টেলিভিশন ও আধুনিক পোশাকে অভ্যস্ত হয়ে সাধারণ জীবন যাপন করছে।

তালেবানদের বেশির ভাগই পশতুন, আফগানিস্তান বা পাকিস্তানের। তাজিক, হাজারা বা উজবেক জনবহুল অঞ্চল তালেবানদের অধিকার নেই এবং তারা যদি কাউকে খুঁজে পায়, তবে সাধারণ জনগণ তাদের হত্যা করবে। তালেবানরাও তাদের সঙ্গে একই কাজ করে। অন্যদিকে পশতুন পরোক্ষভাবে তালেবানদের সমর্থন করে। এটি মারাত্মক বিদ্বেষের এক রাজনীতি।

ধারণা করা হচ্ছে, তালেবান আফগানিস্তানের কোনো বড় শহর, এমনকি কাবুল, হেরাত, জালালাবাদ, মাজার-ই-শরিফ, কান্দাহার এবং কুন্দুজও দখল করতে সক্ষম হবে না। তালেবানরা দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধেও অনেক ক্লান্ত। তারাও শিগগিরই ফলাফল পেতে চায়। অন্যথায় যদি খুব শিগগির কিছু না ঘটে, তবে তাদের অনেকেই যুদ্ধের মাঠ ছেড়ে চলে যাবে। তারা সবাই জানে যে তারা ইরান ও পাকিস্তান বাদে এখন মধ্যপ্রাচ্যের সমর্থন পাবে না।

বর্তমানে আফগানিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৭৫ হাজার এবং তাদের রয়েছে পর্যাপ্তসংখ্যক আধুনিক অস্ত্র, গোলাবারুদসহ বিমানবাহিনী। এ ছাড়া রয়েছে প্রায় ১৫ হাজার সদস্যের স্পেশাল অপারেশন ফোর্স। আমেরিকানরা অত্যাধুনিক রসদ, সরঞ্জাম ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই বাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছে। তালেবান সেনার সংখ্যা নিয়ে প্রচুর বিভ্রান্তি রয়েছে। অনেকের মতে, এই সংখ্যা ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার হতে পারে। একটি বিশেষ শহর দখল করতে এসব বাহিনীকে এক করা তাদের জন্য কঠিন হবে। এটি একটি সত্য যে আমেরিকানরা আফগানিস্তান ছাড়ার পরও তারা তালেবানকে যুদ্ধের মাধ্যমে পুরো দেশ দখল করতে দেবে না।

এটা হতে পারে ৬০/৪০-এর মতো ক্ষমতার ভাগাভাগি, যেখানে বর্তমান সরকারের ৬০ শতাংশ এবং তালেবানদের ৪০ শতাংশ থাকবে। ক্ষমতা ভাগ করে নেওয়ার মধ্যে কিছু মন্ত্রণালয়, প্রাদেশিক গভর্নরের পদ এবং কিছু সংস্থার পরিচালনা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

অন্যদিকে আফগানিস্তানে তালেবানের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া, রাশিয়ানদের জন্য তাজিকিস্তান, চীনের জন্য উইঘুর, ভারতের পক্ষে কাশ্মীর এবং অন্য অনেক দেশের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। এ পরিস্থিতিতে সম্পূর্ণ যুদ্ধ পরিচালনা তালেবানদের পক্ষে সম্ভব হবে না এ কারণে যে আফগানিস্তান পুরোপুরি পশ্চিমা অর্থের ওপর নির্ভরশীল, যেখানে সমস্ত উন্নয়ন সংস্থা তাৎক্ষণিকভাবে তহবিল বন্ধ করে দেবে।

প্রচারযন্ত্র ব্যবহারে আফগান সরকার অত্যন্ত দুর্বল। তবে তালেবান একেবারে বিপরীত। যেখানে তালেবানরা শূন্য থেকে ১০০ দেখায়, সেখানে সরকার প্রায় নীরব। তালেবানদের সঙ্গে তাদের লড়াইয়ের ফলাফল প্রতিদিন সংবাদমাধ্যমে আসছে না। জনগণের জন্য তারা যে যথাসম্ভব সবকিছুই করছে, সেটা সরকারকে জানাতে হবে। সেনাবাহিনীর প্রধান প্রধান যানবাহন এবং কাফেলা আজকাল আর কাবুলে চলাচল করছে না। ফলে সাধারণ জনগণ বুঝতে পারছে না, যেকোনো আক্রমণ সম্পর্কে সরকার সজাগ রয়েছে। কৌশলগত সম্পদের ১০ শতাংশ সংস্থানও যে তালেবানদের হাতে নেই এবং সরকারের কাছে যে সমস্ত আধুনিক অস্ত্র, সরঞ্জাম এবং উচ্চ প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনী রয়েছে, সেটা তারা জনগণকে বোঝাতে পারছে না। তবে সময় এখনো শেষ হয়ে যায়নি। এখনো সব দল একসঙ্গে বসে সম্মিলিত হওয়ার বিষয়ে একমত হলে আফগানিস্তানের আশার আলো রয়েছে।

 



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

'ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে হিজবুল্লাহ'

প্রকাশ: ০৩:৩২ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘাতের জেরে ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্ট। তবে এই ক্ষয়ক্ষতি পুরোপুরি 'বৃথা যায়নি' বলেও দাবি করেছেন তিনি।

শুক্রবার রাজধানী জেরুজালেমে এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে গ্যালান্ট বলেন, “হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘাতের জেরে যে আমাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা অস্বীকারের কোনও উপায় নেই এবং আমরা এটা বুঝতে পারি কিন্তু গত কয়েক মাসে যত সন্ত্রাসীকে (হিজবুল্লাহ) আমরা হত্যা করতে পেরেছি, সেই সাফল্যও তুচ্ছ নয়।

শুক্রবারের বক্তব্যে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “আমি বরাবরই বলে আসছি আমাদের সব সময় যেকোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। এতদিন পর্যন্ত কেউ একে তেমন গুরুত্ব দেয়নি। ৭ অক্টোবরের পর সবাই বুঝতে পেরেছে যে আমরা কতখানি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি। তবে আমরা কখনও পিছু হটব না। সন্ত্রাসীদের প্রতিটি হামলার জবাব আমরা দিব।”

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামলা চালায় গাজার সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডএফ)। আইডিএফ অভিযান শুরুর পর হামাসের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্ত থেকে উত্তর ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে রকেট হামলা শুরু করে হিজবুল্লাহ।

হিজবুল্লাহর এসব হামলার জবাবে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে ও লেবাননের অভ্যন্তরে বেশ কয়েকবার বিমান ও গোলা হামলা চালিয়েছে আইডিএফ। এসব হামলায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহত হয়েছেন দুই শতাধিক হিজবুল্লাহ যোদ্ধা।


ইসরায়েল   হিজবুল্লাহ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিশ্বে ২০২৩ সালে সৌর ও বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড

প্রকাশ: ০২:২০ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

২০২৩ সালে বিশ্বের মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ৩০ দশমিক শতাংশ সৌর বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো থেকে এসেছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক থিঙ্কট্যাংক সংস্থা অ্যাম্বার এক প্রতিবেদনে তথ্য জানিয়েছে। এই পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদনকেরেকর্ডবলেও উল্লেখ করেছে সংস্থাটি। 

প্রসঙ্গত, কয়লা, জ্বালানি তেলের মতো জীবাশ্ব জ্বালানি পোড়ানোর ফলে বাতাসে প্রতিনিয়ত নিঃসৃত হচ্ছে কার্বন ডাই অক্সাইডসহ বিভিন্ন গ্রিনহাউস গ্যাস, যা জলবায়ু পরিবর্তন উষ্ণতাবৃদ্ধির জন্য দায়ী। কারণে বর্তমানে বিশ্বজুড়ে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার রোধ করাকে ব্যাপক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে অ্যাম্বার জানিয়েছে, আগের বছর ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে নবায়নযোগ্য উৎসগুলো থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের হার বেড়েছে। ২০২২ সালে বিশ্বে মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ২৯ দশমিক শতাংশ সরবরাহ এসেছিল বিভিন্ন নবায়নযোগ্য উৎস থেকে।

সৌর বায়ুবিদ্যুতের মতো নবায়নযোগ্য উৎসগুলো থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সবচেয়ে এগিয়ে আছে চীন। ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে সৌর প্রকল্পগুলো থেকে উৎপন্ন মোট বিদ্যুতের ২৩ দশমিক শতাংশ এবং বায়ু প্রকল্প থেকে উৎপন্ন মোট বিদ্যুতের দশমিক শতাংশ উৎপাদন করেছে চীন।

বর্তমানে যে গতিতে বিভিন্ন দেশে নবায়নযোগ্য উৎসের প্রকল্পগুলোর বিস্তার ঘটছে, তা অব্যাহত থাকলে চলতি ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ বিশ্বজুড়ে জীবাশ্ব জ্বালানির ওপর নির্ভরতা অন্তত শতাংশ কমবে বলে আশা করছে অ্যাম্বার।


বিশ্ব   সৌর   বায়ুবিদ্যুৎ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

প্রধানমন্ত্রী ফিৎসোকে গুলি করার রহস্য উন্মোচন হচ্ছে না

প্রকাশ: ১২:৫৯ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিৎসোকে হত্যাচেষ্টার ঘটনা মধ্য ইউরোপের দেশটিতে আলোড়ন তৈরি করেছে। চলছে ঘটনার চুলচেরা বিশ্লেষণ।

প্রধানমন্ত্রী ফিৎসোকে গুলি করার ঘটনায় যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তার নাম এখনো প্রকাশ করেনি স্লোভাকিয়া সরকার। তবে দেশটির গণমাধ্যমে তার পরিচয় দেওয়া হয়েছে ৭১ বছর বয়সী জুরাজ সিন্টুলা হিসেবে।

স্লোভাকিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় শহর লেভিসের উপকণ্ঠে একটি অ্যাপার্টমেন্টে ব্লকে থাকতেন জুরাজ সিন্টুলা। ওই ব্লকের অন্যান্য বাসিন্দার মতো মাইল লুডোভিটও সিন্টুলাকে একজন আস্থাভাজন প্রতিবেশী বন্ধু হিসেবে দেখতেন। ৪০ বছরের বেশি সময় তাঁরা পাশাপাশি বসবাস করছেন। লুডোভিট কখনো কল্পনাও করতে পারেননি যে ৭১ বছর বয়সী সাবেক নিরাপত্তারক্ষী কবি সিন্টুলা আধুনিক স্লোভাকিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ রাজনৈতিক হামলার জন্য সন্দেহভাজন ব্যক্তি হবেন।

লুডোভিট একা নন; বরং স্লোভাকিয়ার বড় অংশের মতো পুরো লেভিসবাসী বৃহস্পতিবার এই হামলার কারণ বোঝার চেষ্টা করে কোনো কূলকিনারা পাচ্ছিলেন না।

হামলাকারী কেন হামলা করলেন, সেই রহস্য স্পষ্ট না হলেও এমন সময়ে হামলাটি হয়েছে, যখন স্লোভাকিয়ার সমাজে বিভক্তি বাড়ছে।

লুডোভিট জানান, মাঝেমধ্যে সিন্টুলার সঙ্গে রাজনীতি নিয়ে কথা বলতেন তিনি। তবে কখনো তাঁর শক্ত রাজনৈতিক মত রয়েছে বলে তাঁর মনে হয়নি। তবে ফিৎসো সরকারের আমলে বাক্স্বাধীনতার ওপর ক্রমেই আক্রমণ বাড়তে থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি।

স্লোভাকিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, একটিনিঃসঙ্গ নেকড়ে, যে সম্প্রতি কট্টরপন্থী হয়েছেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর’, তাঁর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। 

প্রাথমিকভাবে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে তাতে দেখা যায়, সিন্টুলা স্থির নন, তাঁর মধ্যে পরস্পরবিরোধী অবস্থান কাজ করে। ফিৎসোর সমালোচক সহিংসতার বিরুদ্ধে সরব ছিলেন। আবার মাঝেমধ্যেঅতি জাতীয়তাবাদী বয়ানেরসঙ্গেও তাঁকে একাত্ম হতে দেখা গেছে।

এক বছর পর ২০১৬ সালে সিন্টুলাকেস্লোভাক কন্সক্রিপ্টনামের রুশপন্থী একটি আধা সামরিক সংস্থার সভায় দেখা যায়। সে সময় এক ফেসবুক পোস্টে তিনিদেশের ঐতিহ্য সংস্কৃতি রক্ষার জন্যগোষ্ঠীটির প্রশংসা করেন।

ফৌজদারি অপরাধবিষয়ক আইনের সংশোধনে ফিৎসো সরকারের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে গত ফেব্রুয়ারিতে স্লোভাকিয়ার রাজধানী ব্রাতিস্লাভায় এক বিক্ষোভে সিন্টুলাকে অংশ নিতে দেখা গেছে। সংশোধনীতে দুর্নীতি অর্থনৈতিক অপরাধের শাস্তি কমানোর প্রস্তাব করা হয়। কয়েক মাস ধরে জনপ্রিয় ফিৎসো সরকারের বিরুদ্ধে স্লোভাকিয়ায় হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। তাঁদের আশঙ্কা এই সরকার দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করবে।

গত কয়েক বছরে স্লোভাকিয়ার রাজনৈতিক পরিমণ্ডল ইউরোপীয় ইউনিয়নপন্থী এবং ফিৎসো নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। সাম্প্রতিক নির্বাচনের পর বিভক্তি আরও তীব্র হয়েছে। সমালোচকেরা বলেছেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ফিৎসো তাঁর সমর্থকেরা ভুয়া তথ্য এবং প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করে দেওয়া বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে দিয়েছেন।


প্রধানমন্ত্রী   ফিৎসো   উন্মোচন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতে চলন্ত বাসে আগুন, নিহত ৮

প্রকাশ: ১২:২৮ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে যাত্রীবাহী এক বাসে আগুন লেগে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৮ জনের। আহত হয়েছেন অন্তত ২৪ জন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে কীভাবে বাসটিতে আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।  

জানা গেছে, শুক্রবার রাত দেড়টা দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। সেই সময় বাসে ছিলেন ৬০ জন। তাদের বেশিরভাগই তীর্থযাত্রী। মৃতদের মধ্যে ৬ জন নারী রয়েছেন। এরই মধ্যে এই ঘটনার একাধিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেগুলোতে দেখা গেছে, একটি ফ্লাইওভারের ওপর দাউদাউ করে জ্বলছে বাসটি।

একজন জানিয়েছেন, বাসটির পিছনে একটি বাইক আ আসেন। পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। পুলিশে খবর দেওয়া হলে দমকলের ৪টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়। আগুন নিভলে দেখা যায় বাসটির আর কোনো কিছু অবশিষ্ট নেই। তবে এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি কীভাবে বাসটিতে আগুন লেগেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।


ভারত   বাস   আগুন   নিহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পুতিন-সির ছবি নিয়ে হোয়াইট হাউসের কৌতুক

প্রকাশ: ১১:০২ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি চীন সফরে যান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বেইজিং সফরে থাকার সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং একে অপরকে আলিঙ্গন করেছেন। এটুকু ছাড়া চীন ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্কে বিস্ময়কর কোনো অগ্রগতি দেখেনি বলেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সদর দফতর হোয়াইট হাউস।

হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, 'একে অন্যকে আলিঙ্গন? ভালো, এটা তাদের জন্য চমৎকার।' যুক্তরাষ্ট্রের দুই প্রতিপক্ষের আলিঙ্গনাবদ্ধ অবস্থায় একটি ছবি দেখিয়ে এর তাৎপর্য নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে কিরবি এ কথা বলেন।

কিরবি কৌতুক করে আরও বলেন, শারীরিক ভালোবাসা প্রকাশ নিয়ে কথা বলতে তিনি স্বচ্ছন্দ নন। তারা কেন একে অন্যকে জড়িয়ে ধরা ভালো মনে করেছেন, সেটা নিয়ে তাদের কথা বলাই ভালো হবে।

যুক্তরাষ্ট্র বারবারই চীন ও রাশিয়ার সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে। চীনা প্রতিষ্ঠান রাশিয়াকে ইউক্রেনে হামলার জন্য অস্ত্র সরবরাহ করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে দেশটির।

কিরবি বলেন, পুতিনের সফরে এ ধরনের সম্পর্কে কোনও অগ্রগতি হয়েছে বলে মনে করছে না যুক্তরাষ্ট্র। মস্কোর সশস্ত্র বাহিনীকে শিগগিরই শি জিনপিং সহায়তা করতে চান বলেও মনে করে না ওয়াশিংটন।

কিরবি আরও বলেন, এই বৈঠকে আমাদের বিস্মিত হওয়ার মতো খুব বেশি কিছু ঘটেছে বলে আমরা মনে করছি না।


ভ্লাদিমির পুতিন   সি চিন পিং  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন