ইনসাইড বাংলাদেশ

হুইপ সামশুলের বাড়ির পাশে অবৈধ টিকাদান কেন্দ্র

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:৪৪ পিএম, ০১ অগাস্ট, ২০২১


Thumbnail

দেশের গ্রাম পর্যায়ে আগামী ৭ আগস্ট থেকে গণহারে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরুর ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে প্রস্তুতি কার্যক্রম চলছে। কিন্তু রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য ও হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর গ্রামের বাড়ির পাশে অবৈধভাবে সিনোফার্মের টিকা দেওয়া শুরু হয়ে গেছে। বিভাগ, জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমতি ছাড়াই দুই দিন ধরে এই টিকাদান কার্যক্রম চলছে। আর এই টিকাদান কার্যক্রম হুইপ সামশুল সশরীরে পরিদর্শনও করেছেন।

অবৈধভাবে টিকাদান কার্যক্রম শুরুর এই ঘটনায় চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিষয়টি তদন্তে শনিবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের (স্বাস্থ্য) কার্যালয় থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের অর্থোপেডিক সার্জারির সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. অজয় দাশ। অন্য দুই সদস্য হলেন সদস্যসচিব চট্টগ্রাম জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আসিফ খান এবং একই কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. মো. নুরুল হায়দার।

চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর গতকাল বিকেলে বলেন, ‘৭ আগস্টের আগে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা কার্যক্রম কেউ শুরু করতে পারে না। অভিযোগ পাওয়ার পর সিভিল সার্জনকে নির্দেশনা দিয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে সুনির্দিষ্ট মতামত দিতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছি। কমিটিকে দুই কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, কাউকে না জানিয়ে কেউ টিকা দিতে পারে না। সরকারি সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কেউ করোনার টিকা দিয়ে থাকলে তা ঠিক হয়নি। তদন্তে আসল বিষয় উঠে আসবে।

গতকাল বিভাগীয় পরিচালকের কার্যালয় থেকে তদন্ত কমিটি গঠন সম্পর্কিত এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক কভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচি উদ্বোধনের পর ৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে একযোগে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম শুরু হয়ে এখনো চলমান। কভিড-১৯ ভ্যাকসিন উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় পৌঁছানোর জন্য সরকারিভাবে ইউনিয়ন পর্যায়ে কভিড-১৯ (সিনোফার্ম) টিকা প্রদানের পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা প্রক্রিয়াধীন। রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত ব্যতিরেকে উপজেলা, জেলা কিংবা বিভাগীয় পর্যায় থেকে কোনো প্রকার   অনুমতি না নিয়ে চট্টগ্রাম জেলাধীন পটিয়া উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ওই স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) মো. রবিউল হোসেন কর্তৃক গত ৩০ ও ৩১ জুলাই কভিড-১৯ সিনোফার্ম ভ্যাকসিন অন্যত্র নিয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে রেজিস্ট্রেশনবিহীন লোকদের প্রদান করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সরেজমিন তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর অনুগত মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) মো. রবিউল হোসেনসহ কয়েকজন স্বাস্থ্য সহকারী প্রশাসনের কারো অনুমতি না নিয়ে রাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে এই টিকাদান কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছেন। সরকারিভাবে শুক্রবার সাপ্তাহিক বন্ধের দিন টিকা দেওয়া হয় না। তবে গত শুক্রবার সামশুল হক চৌধুরীর বাড়ি থেকে কয়েক শ গজ দূরে শোভনদণ্ডী ইউনিয়নের রশিদাবাদ গ্রামে করোনা টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু করেন তাঁরা। শুক্রবার রশিদাবাদ কমিউনিটি সেন্টারে এবং গতকাল শোভনদণ্ডী উচ্চ বিদ্যালয় ও শোভনদণ্ডী ডিগ্রি কলেজে সিনোফার্মের টিকা দেওয়া হয়। হুইপ সামশুল এদিন ওই কেন্দ্রে টিকাদান কার্যক্রম সশরীরে পরিদর্শন করেন। এভাবে গত দুই দিনে এখানে আড়াই থেকে তিন হাজার লোককে করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে।

আরো গুরুতর অভিযোগ হলো, পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে এসব টিকা নিয়ে গেলেও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সব্যসাচী নাথসহ চিকিৎসকরা বিষয়টি জানেন না। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মজুদ থেকে এসব টিকা নিয়ে গিয়ে এমপির এলাকায় গণহারে টিকা দেওয়া হচ্ছে।

পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সব্যসাচী নাথ এ ব্যাপারে বলেন, ‘হুইপ মহোদয় কিংবা সিভিল সার্জন মহোদয়ের লিখিত কোনো অনুমতি ছিল না এই টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে। সেহেতু আমি জানি না। আমাকে কেউ এ বিষয়ে বলেনি। টিকাগুলো আমাকে না জানিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে কে বা কারা নিয়ে গেছে। শনিবার সিভিল সার্জন মহোদয়ের নির্দেশনা পেয়ে আমি শোভনদণ্ডীতে গিয়ে দেখেছি যে সেখানে টিকা দেওয়া হচ্ছে।’

‘ঝুঁকি’ নিয়ে টিকা : সরকারিভাবে দেশে করোনা টিকা কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর বাধ্যতামূলক রেজিস্ট্রেশন, টিকা গ্রহণের কেন্দ্র, মেডিক্যাল টিম, চিকিৎসক-কর্মকর্তাদের বিশেষ টিম, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে প্রয়োজনীয় ওষুধ, অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুতসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা রাখা হয়। কিন্তু শোভনদণ্ডী ইউনিয়নে টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি এসব নির্দেশনার কোনোটাই মানা হয়নি। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, ঝুঁকি নিয়ে এসব টিকা দেওয়া হচ্ছে। টিকা প্রদানে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে এর দায়ভার কে নেবে?

অভিযোগ উঠেছে, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) মো. রবিউল হোসেন এই পদে চলতি দায়িত্বে আছেন। তাঁর মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টের তিন বছরের ডিপ্লোমা কোর্স নেই। তাঁর নিয়মিত পদ স্বাস্থ্য সহকারী। হুইপের অনুগত হওয়ার সুযোগে চলতি দায়িত্ব নিয়ে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টের কাজ করছেন। আর তাঁর নেতৃত্বেই চলছে ওই টিকাদান কার্যক্রম। এ ছাড়া হুইপের অনুসারী আরও কয়েকজন সরকারি কর্মচারী (পটিয়া স্বাস্থ্য বিভাগে) রয়েছেন। তাঁদের দাপটে স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এখানে অসহায়। রেজিস্ট্রেশনবিহীন এবং বিধিবহির্ভূতভাবে অর্থের বিনিময়ে ৭০০ টিকা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে রবিউলের বিরুদ্ধে। খোদ হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর নিজের ইউনিয়ন শোভনদন্ডীতে ঘটেছে এই ঘটনা। 

টিকা নিয়ে রবিউল নিজেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর সাথে ঘনিষ্ঠতার ছবি প্রকাশ করেছেন। নিজেকে এলাকায় বিভিন্ন সময়ে হুইপপন্থী ছাত্রলীগের `সভাপতি` দাবি করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার থেকেই এই মেডিকেল টেকনোলজিস্টের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠলেও শনিবার পর্যন্ত তার তত্ত্বাবধানে টিকা দেয়া হয় হুইপ সামশুলের নিজের ইউনিয়ন শোভনদন্ডীতে।

এদিকে পটিয়া স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সব্যসাচী নাথ এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) রবিউল হোসেনের বিরুদ্ধে অনুমোদন ছাড়া টিকা প্রদান, অর্থ আদায়সহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ‌

জানা গেছে, পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিনোফার্মের প্রথম ডোজ টিকা প্রদান শুরু হয়েছে গত ২০ জুন। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সাত হাজার ৭৬৯ জন প্রথম ডোজ নিয়েছেন বলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়। গতকাল টিকা নিয়েছেন তিন হাজার ২৬০ জন। এ নিয়ে গতকাল পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রথম ডোজের টিকা মজুদ রয়েছে চার হাজার ৭৫০টি। কর্মকর্তাদের আশঙ্কা, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের না জানিয়ে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে এমপির বাড়ির পাশে কমিউনিটি সেন্টার ও স্কুল-কলেজে বুথ বানিয়ে কোনো হিসাব-নিকাশ না করে যথেচ্ছ টিকা দেওয়ায় উপজেলায় টিকার মজুদ ক্রমেই ফুরিয়ে আসছে। এতে উপজেলায় টিকার জন্য যাঁরা রেজিস্ট্রেশন করেছেন তাঁদের ওই টিকা পাওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পরিবেশ রক্ষায় জবি শিক্ষার্থী শাকিবের পদযাত্রা

প্রকাশ: ১০:২০ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

পরিবেশ রক্ষায় টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত হাইকিং পদযাত্রা শুরু করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছামিউজ্জোহা শাকিব। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী।

 

শনিবার (১৮মে) সকালে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে অভিযান শুরু করে শাকিব। শাকিব জানান, পরিবেশ রক্ষায় বাংলাদেশের দীর্ঘতম রুট টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া হাইকিং পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার হাইকিং করবেন। তার এবারের স্লোগান " হাইকিং ফর সেভিং বাংলাদেশ। যার শিরোনাম নির্ধারণ করা হয়েছে "Come Forward to Protecting Nature".

 

শাকিবের এবারের লক্ষ্য দেশের জলবায়ু পরিবর্তনে বৃক্ষ নিধনের নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে সকল মানুষের মধ্যে তুলে ধরা। হাইকিং সময়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গ্রামে গ্রামে গিয়ে তরুণ শিক্ষার্থী যুবসমাজের মাঝে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ তুলে ধরা। সেই সাথে গাছ লাগানোর উপকারিতা ও গাছ কাটার কুফল সম্পর্কে অবগত করবেন তিনি। 

 

হাইকিং শুরুর পূর্বে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন শকিব। এসময় তিনি হাইকিং চলাকালীন সময়ে নিরাপত্তা সহযোগিতা বিষয়ে আলোচনা করেন।

 

শাকিবের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বলেন, পরিবেশ রক্ষায় গাছ লাগানো ও মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির এই কাজ খুবই প্রশংসনীয়। প্রত্যেকের নিজ নিজ জায়গা থেকে এধরনের কাজে এগিয়ে আসা উচিত। 

প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২২ সালে পরিবেশ রক্ষায় হাইকিং ফোর্স বাংলাদেশের আয়োজনে মুজিবনগরের ভারত সংলগ্ন সীমান্ত থেকে ১১ দিনের একটি অভিযান করেন। মুজিবনগর থেকে আখাউড়া পর্যন্ত ছিলো অভিযানটি। 


পরিবেশ রক্ষা   হাইকিং   পদযাত্রা   জবি শিক্ষার্থী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শেরপুরে গরু চোরচক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১০:০৯ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে আন্তঃজেলা গরু চোর চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় দুইটি গাভী ও একটি বাঁছুর গরু উদ্ধার করা হয়েছে।

 

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিং-এ শেরপুরের পুলিশ সুপার মোঃ আকরামুল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

গ্রেপ্তাররা হলেন, কসবা কাঠগড়ের ট্রাক ড্রাইভার মোঃ আঃ জলিল ওরফে ফকির হোসেন (৩৪), টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুরের মো: মহির উদ্দিন (৫০), মোঃ আজিজুল ইসলাম (২৩), মোঃ সাহিজুল ইসলাম (৩০), মোঃ মিনহাজ (৩৫) ।

 

এবিষয়ে পুলিশ সুপার মোঃ আকরামুল হোসেন জানান, ১২মে রাত আড়াইটার দিকে ঝিনাইগাতীর জড়াকুরার মোঃ শাহজাহান মিয়ার গোয়াল ঘর থেকে পাঁচটি গরু চোরেরা চুরি করে নিয়ে যায়। গরু গুলোর আনুমানিক দাম ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা। পরে শাহজাহান গত ১৪ মে এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর থেকে পুলিশ এ বিষয়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এবং সোর্সের মাধ্যমে চোর সনাক্তের চেষ্টা করে পুলিশ।

 

এক পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে মামলার ঘটনার সাথে জড়িত আসামি ট্রাক ড্রাইভার মোঃ আঃ জলিল ওরফে ফকির হোসেনকে শুক্রবার (১৭ মে) শেরপুর শহরের কসবা কাঠগড় থেকে গ্রেপ্তার করে। আসামী আঃ জলিলকে জিজ্ঞাসাবাদের পর এ ঘটনার বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে এবং ঘটনার সাথে জড়িত চোরদের নাম প্রকাশ করে।

তার দেয়া তথ্যমতে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে অভিযান পরিচালনা করে বাকি পাচঁ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের কাছ থেকে দুইটি গাভী ও একটি বাঁছুর গরু উদ্ধার করে। ঘটনার সাথে জড়িত আরও আসামি পলাতক আছে। তাদেরকে গ্রেপ্তাতারে জেলা পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।


গরু চোর চক্র   গ্রেপ্তার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয়ী বাবর আলী

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন বাবর আলী। তিনি পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয় করলেন।  

রোববার (১৯ মে) বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন তিনি। বেসক্যাম্প টিমের বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অভিযানের প্রধান সমন্বয়ক ফরহান জামান।

হিমালয়ের শীতিধার চূড়া জয়ের জন্য বাবর আলী রওনা দিয়েছিলেন ১ এপ্রিল। চূড়াটি পর্বতের ১৫ হাজার ৫০০ ফুট ওপরে। সকাল সাড়ে ৮টায় সেখানে তিনি বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান।

তবে অভিযান কিন্তু এখনো শেষ নয়, বাবরের আসল লক্ষ্য শুধু এভারেস্ট নয়, সঙ্গে লাগোয়া পৃথিবীর চতুর্থ শীর্ষ পর্বত লোৎসেও। রোববার ক্যাম্প-৪ এ নেমে মাঝরাতে আবারো শুরু করবেন দ্বিতীয় লক্ষ্যের পথে যাত্রা। সব অনুকূলে থাকলে ভোরে পৌঁছে যাবেন এর চূড়ায়। 

প্রসঙ্গত, এ লোৎসেতে ইতোপূর্বে কোনো বাংলাদেশি সামিট করেননি এবং কোনো বাংলাদেশি একই অভিযানে দুইটি আট হাজারী শৃঙ্গ চড়েননি। তাই লক্ষ্য পূরণে হলে বাবার আলী করবেন এ বিপজ্জনক খেলায় বাংলাদেশের ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা।

চলতি বছরের ১ এপ্রিল নেপালের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন বাবর আলী। পর্বতারোহণের প্রয়োজনীয় অনুমতি ও নানা সরঞ্জাম কেনার কাজ শেষ করে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে লুকলার উদ্দেশ্যে রওনা তিনি। সপ্তাহ খানেকের ট্রেকিং শেষ পৌঁছান এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে। মূল অভিযান শুরু হয় এখান থেকেই। পর্বতের চূড়ায় উঠতে সময় লাগে দুই মাসের মতো।

যাত্রা শুরু আগে বাবর আলী জানান, বিশ্বের উচ্চতম শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টে জয় করা অনেকের স্বপ্ন। প্রতিবছর হাজারো পর্বতারোহী এভারেস্টের পথে হাঁটেন। কিন্তু এভারেস্টের চূড়ায় ওঠার পর একই সঙ্গে আরেক পর্বতশৃঙ্গ লোৎসে ওঠার চেষ্টা বাংলাদেশ থেকে আগে হয়নি। আমি সেই চ্যালেঞ্জটাই নিলাম। অর্থাৎ একই অভিযানে মাউন্ট এভারেস্ট ও চতুর্থ উচ্চতম পর্বত মাউন্ট লোৎসের চূড়ায় উঠব।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেছেন ৩৩ বছর বয়সী বাবর আলী। এরপর শুরু করেছিলেন চিকিৎসা পেশা। তবে থিতু হননি। চাকরি ছেড়ে দেশ-বিদেশ ঘোরার কর্মযজ্ঞ শুরু করেন। সাইকেলিংয়ের পাশাপাশি এখন পর্যন্ত সারগো রি (৪ হাজার ৯৮৪ মিটার), সুরিয়া পিক (৫ হাজার ১৪৫ মি.), মাউন্ট ইয়ানাম (৬ হাজার ১১৬ মি.), মাউন্ট ফাবরাং (৬ হাজার ১৭২ মি.), মাউন্ট চাউ চাউ কাং নিলডা (৬ হাজার ৩০৩ মি.), মাউন্ট শিবা (৬ হাজার ১৪২ মি.), মাউন্ট রামজাক (৬ হাজার ৩১৮ মি.), মাউন্ট আমা দাবলাম (৬ হাজার ৮১২ মি.) ও চুলু ইস্ট (৬ হাজার ০৫৯ মি.) পর্বতের চূড়ায় উঠেছেন এই তরুণ।


বাংলাদেশ   এভারেস্ট জয়ী   বাবর আলী   মাউন্ট এভারেস্ট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

স্কুল ছুটি দিয়ে দাওয়াতে গেলেন প্রধান শিক্ষক!

প্রকাশ: ০৯:৪৭ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail চাটমোহর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। শনিবার দুপুরে তোলা ছবি

সরকারি বিধি নিষেধ অমান্য করে স্কুল ছুটি দিয়ে কর্মচারীর বাড়িতে দাওয়াত খেতে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে পাবনার চাটমোহর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কেএম আব্দুর রবের বিরুদ্ধে।

 

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ওই স্কুলে কর্মরত (নৈশ প্রহরী) উপজেলার গুনাইগাছা গ্রামের বাসিন্দা আতাউর রহমানের বাড়িতে স্কুলের শিক্ষক থেকে শুরু করে সকল কর্মচারীদের নিয়ে তিনি দাওয়াত খেতে যান প্রধান শিক্ষক।

 

এভাবে স্কুল ছুটি দিয়ে দাওয়াত খেতে যাওয়ার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন শিক্ষার্থী, অভিভাবক থেকে শুরু করে এলাকার সচেতন মানুষ।

 

দুপুর ২টার দিকে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, স্কুলের প্রধান গেট বন্ধ। ভেতরে নতুন ভবন নির্মাণ কাজের জন্য কয়েকজন নির্মাণ শ্রমিক অবস্থান করছেন। যে সময় শিক্ষার্থীদের ক্লাস হওয়ার কথা সেই সময় স্কুলে নেই কোনো শিক্ষার্থী। প্রধান শিক্ষকের কক্ষ থেকে শুরু করে প্রতিটি শ্রেণিকক্ষ ছিল তালাবদ্ধ। চলতি পথে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সকালের কয়েকটা ক্লাস হওয়ার পরেই দুপুর ১টার আগে স্কুল ছুটি ঘোষণা করা হয়।

 

জানা গেছে, চাটমোহর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী আতাউর রহমান এবার স্ব-স্ত্রীক হজে যাবেন। এ জন্য শনিবার নিজ বাড়িতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন তিনি। ওই অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য সকালে কয়েকটা ক্লাস নেওয়ার পরেই তড়িঘড়ি করে দাওয়াতের অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষক কে এম আব্দুর রবের নির্দেশে স্কুল ছুটি দেওয়া হয়। সেই অনুষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক নিজেই সকল শিক্ষক ও কর্মচারীদের নিয়ে দাওয়াত খেতে যান। ক্লাস বাদ দিয়ে প্রধান শিক্ষকের এমন স্বেচ্ছাচারিতা এবং ছুটি দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা।

 

কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, এমনিতেই নানা কারণে বছরের বেশিরভাগ সময় স্কুল ছুটি থাকে। বাচ্চাদের পড়াশোনা ঠিক মতো হয় না। তারপর এভাবে ছুটি দিয়ে দাওয়াত খেতে যাওয়ায় বেশ কয়েকটা ক্লাস করতে পারলো না শিক্ষার্থীরা। আর হুট করে ছুটি দেওয়ায় অনেক অভিভাবকই তাদের সন্তানদের নিতে আসতে পারেননি। এতে বিপাকে পড়ে বেশ কিছু শিক্ষার্থী। এটা কোনো প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাজ হতে পারে না বলে মন্তব্য করেন তারা।

 

জানতে চাইলে চাটমোহর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কে এম আব্দুর রব বলেন, 'আমার এক স্টাফ হজে যাবে, সে জন্য দাওয়াত খেতে এসেছি। আসলে প্রতিষ্ঠানের কোনো স্টাফের দাওয়াত খেতে এভাবেই যাওয়া হয়। বরাবরই তাই হয়ে আসছে।'

 

স্কুল বন্ধ করে এভাবে যাওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আসলে মেয়েরা তো দুষ্টু। স্কুল চালু রাখা ঠিক হবে না। তাই ছুটি দিয়ে দাওয়াত খেতে আসা হয়েছে।'

 

এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মগরেব আলী বলেন, 'স্কুল ছুটি দিয়ে দাওয়াত খেতে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমি প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলছি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেদুয়ানুল হালীম বলেন, 'বিষয়টি আমি জানি না। এখানে আমার কিছু বলার নেই। প্রতিষ্ঠান প্রধানের সাথে আপনি কথা বলেন।'


স্কুল বন্ধ   দাওয়াত   প্রধান শিক্ষক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পাবনায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

প্রকাশ: ০৯:২৬ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ৮ম শ্রেনীর এক ছাত্রী (১৩) কে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) রাতে পাবনার সুজানগর উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামে ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর পাবনা জেনারেল হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী। সে রাইপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অভিযোগে জানা গেছে, শুক্রবার (১৭ মে) রাত পৌনে নয়টার দিকে পড়াশোনা শেষ করে বাথরুমে যাচ্ছিল ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী সময় পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা একই এলাকার উমেদ আলী মৃধার ছেলে বখাটে বারেক মৃধা, তার বন্ধু ইমন সাজিদ তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় পাশের নির্মাণাধীন একটি ভবনে

সেখানে আগে থেকে অবস্থান করছিল সাব্বির তুহিন নামের আরো দুইজন বখাটে। তাদের মধ্যে প্রথমে বারেক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে অন্য একজন ধর্ষণ করার চেষ্টা করলে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে সেখান থেকে পালিয়ে যায় বখাটেরা। পরে তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালেরে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করেন স্বজনরা।

সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় রাতেই ভুক্তভোগীর নানী থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনার সাথে যারা জড়িত আছে, তাদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।'


ধর্ষণ   স্কুল ছাত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন