নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৮ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১
দুর্নীতি একটি ব্যাধি। শিক্ষা ও প্রযুক্তির প্রসার ঘটিয়ে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার মাধ্যমে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সর্বস্তরের দুর্নীতিকে প্রতিকার করা জরুরি। কিন্তু বড় বড় প্রকল্পগুলো দুর্নীতি, লুটপাট ও অপচয়ের সুযোগ করে দিচ্ছে বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ. মান্নান।
শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজনে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। প্রতিযোগিতায় নর্দান ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশকে পরাজিত করে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির বিতার্কিকরা চ্যাম্পিয়ন হন।
প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলের মাঝে ট্রফি ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। সেখানে বিচারক ছিলেন- উন্নয়নকর্মী ড. এস এম মোর্শেদ, সাংবাদিক রুহুল আমিন, রিয়াদ হোসাইন, দৌলত আক্তার মালা ও আরিফুর রহমান।
পরিকল্পনা মন্ত্রী আরও বলেন, সমাজে দুর্নীতি আছে এবং আমরা এটি নিয়ে চিন্তিত। অসহিষ্ণুতা নয় আইনের প্রয়োগের মাধ্যমে দুর্নীতি হ্রাস করা হবে। দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদকসহ অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে।
হাইটেক পার্কে যেসব ব্যত্যয় ঘটেছে তা দূরীকরণে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উচ্চ শিক্ষার প্রসারে সরকার আন্তরিক এবং সে জন্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। যেখানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। অটোমেশন বা যান্ত্রিকীকরণ প্রক্রিয়ায় পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, বাংলাদেশও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে পথ চলা শুরু করেছে। কিন্তু দ্রুত গতির চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে বাংলাদেশ কতখানি যুক্ত হতে পারছে সেটি হচ্ছে আলোচনার বিষয়।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে দ্রুতগতির ইন্টারনেট, মেশিন টু মেশিন যোগাযোগ, বিগ ডাটা, রিয়েল টাইম ডাটা, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা, আধুনিক রোবটিক্স, ন্যানো টেকনোলজি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, থ্রিডি প্রিন্টিং, স্বয়ংক্রিয় গাড়ি ইত্যাদি বিষয় চলে আসে। কিন্তু এগুলির কোনটিতেই এখনো আমরা আশানুরুপ অবস্থান তৈরি করতে পারিনি। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে যুক্ত হওয়ার জন্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে ইন্টারনেট সুবিধা। অথচ ইন্টারনেট গতিতে বাংলাদেশ সুদান, লিবিয়া, সিরিয়া, সোমালিয়া, ইথিওপিয়া, উগান্ডার মতো দেশের চেয়েও পিছিয়ে আছে।
তিনি বলেন, মোবাইল ইন্টারনেট গতিতে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৭টি দেশের মধ্যে ১৩৫ তম। ইন্টারনেট গতিতে বাংলাদেশের পেছনে রয়েছে আফগানিস্তান ও ভেনেজুয়েলা। তবে বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানে অনলাইন সেবা চালু হয়েছে। চালু হয়েছে ৯৯৯ ও ৩৩৩ এর মতো জরুরী সেবা কার্যক্রম, মোবাইল ব্যাংকিং, ই-কমার্স, অনলাইন মার্কেটিং ইত্যাদি কার্যক্রম।
‘ছায়া সংসদ থেকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ১০টি সুপারিশ করা হয়। সুপারিশগুলো হলো- মোবাইল কোম্পানিগুলো প্রতি জিবিতে ৩০০ গুন মুনাফা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তাই সারাদেশে সাশ্রয়ী মূল্যে দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবস্থা করা। প্রথাগত শিক্ষার বাইরে বৃত্তিমূলক ও প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়ে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে।’
‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কারণে বিভিন্ন সেক্টরের ওপর যে প্রভাব পড়বে তা নিরূপণ করে নিরসনের জন্য জাতীয় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা। শুধুমাত্র পোশাক খাতের ওপর নির্ভর না করে রপ্তানিমুখী শিল্পসহ অন্যান্য সেক্টরে উৎপাদন বৈচিত্রতা নিশ্চিত করা। সৃজনশীল ও বুদ্ধিভিত্তিক চর্চার সুযোগ বাড়িয়ে প্রয়োজনীয় অর্থায়নের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অধিক হারে গবেষণার সুযোগ প্রদান। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্যানিটেশনসহ বিভিন্ন সমস্যাকে প্রযুক্তি ও বুদ্ধিভিত্তিক উপায়ে সমাধানের গুরুত্ব দিতে হবে’।
‘প্রযুক্তিকে ইতিবাচকভাবে ব্যবহারের জন্য শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। হাইটেক পার্কসমূহে যুবক ও যুব মহিলাদের কর্মসংস্থানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা। প্রযুক্তিতে দক্ষ ও অদক্ষ মানুষের মধ্যে সমাজে যেন বৈষম্য তৈরি করতে না পারে তা বিবেচনায় অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কারণে কর্মসংকোচনের যে ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে তা নিরসনে ক্রান্তিকালীন কর্মসূচি গ্রহণ করা।’
মন্তব্য করুন
টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে
শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (১০ মে) সকাল ১০টা ৫ মিনিটে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে
শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণের পর তার সম্মানে কিছুক্ষণ
নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর চৌকস সদস্যরা গার্ড অব অনার প্রদান
করে।
এরপর বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্ট নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা
পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে স্বাধীনতার জন্য আত্মদানকারী শহীদদের আত্মার
মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।
মোনাজাতে প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানাসহ পরিবারের সদস্যরা
উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে সড়কপথে গোপালগঞ্জ আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দাড়িয়াকুল
গ্রাম উন্নয়ন সমিতির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং সুবিধা বঞ্চিতদের মাঝে কৃষি ও শিক্ষা
উপকরণ বিতরণ করবেন।
পরে তিনি টুঙ্গিপাড়া উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র
পরিদর্শন করবেন। বিকেলে সড়ক পথে ঢাকায় ফিরে আসবেন তিনি।
টুঙ্গিপাড়া. বঙ্গবন্ধু. প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা
মন্তব্য করুন
মালয়েশিয়ার প্রবাসীদের সুখবর দিল হাইকমিশন। দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশিদের জন্য পেনাং ও জোহরবারু প্রদেশে পোস্ট অফিসের পাশাপাশি ৪ দিন হাতে হাতে পাসপোর্ট ডেলিভারি দেবে হাইকমিশন। সম্প্রতি পাসপোর্ট ও ভিসা কাউন্সেলর মিয়া মোহাম্মদ কিয়ামউদ্দিন সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ হাইকমিশন।
বিজ্ঞপ্তিতে
বলা হয়েছে, আগামী ১৮ ও ১৯
মে সকাল ৯টা থেকে
বিকেল ৪টা পর্যন্ত পেনাং
জর্জ টাউনের বাংলাদেশ অনারারি কনস্যুলেট অফিস থেকে সরাসরি
পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন বাংলাদেশিরা।
এই জন্য আগামী ১৫
মে’র মধ্যে অনলাইনে
আবেদন করতে হবে।
সেই
সঙ্গে আগামী ২৫ ও ২৬
মে সকাল ৯টা থেকে
বিকেল ৪টা পর্যন্ত জহুর
বারুর অগ্রণী রেমিট্যান্স হাউস থেকে সরাসরি
পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন বাংলাদেশিরা।
এই জন্য আগামী ২২
মে’র মধ্যে অনলাইনে
আবেদন করতে হবে।
যেসব পাসপোর্ট আবেদনকারীর তথ্য অনলাইনে থাকবে শুধু তারাই সরাসরি উপস্থিত হয়ে হাতে হাতে পাসপোর্ট গ্রহণ করতে পারবেন। এ ছাড়াও পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পাসপোর্ট বিতরণের সার্ভিসটিও যথারীতি চালু থাকবে। নির্ধারিত স্থান থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য https://appointment.bdhckl.gov.bd/other ঠিকানায় গিয়ে অনলাইনে অ্যাপয়েনমেন্ট গ্রহণ করতে হবে। একইসঙ্গে পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য ডাকযোগ সেবাটি চালু থাকবে।
প্রবাসী সুখবর মালয়েশিয়া হাইকমিশন
মন্তব্য করুন
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হোসেন্দী বহুমুখী
উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালটপেপার ছিনতাইয়ের চেষ্টা, অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা
ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় হোসেন্দি ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠুকে প্রধান আসামি করে
অজ্ঞাত আরও দুইশো ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
গজারিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক এসআই জাহিদ বাদী হয়ে ১৭ জনের
নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও দেড়শো থেকে দুইশো জনকে আসামি করে গজারিয়া থানায় এ মামলা
দায়ের করেন। গতকাল বিকেলে মামলাটি দায়ের করা হয়। এ মামলায় একজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার গজারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে
ভোটগ্রহণের সময় দুপুর দেড়টার দিকে কেন্দ্র দখলে নিয়ে একাধিক ব্যালটপেপারে সিল মারেন
আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলামের সমর্থকরা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী
বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে ব্যালটে মারার সিল লুট করে নিয়ে যান তারা।
পরে ওই কেন্দ্রে দুপুর ১টা ৫৫ মিনিট থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টা ভোটগ্রহণ
বন্ধ রাখেন কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং অফিসার। বিকাল ৩টা ২৫ মিনিটের দিকে
আবার ভোটগ্রহণ শুরু করা হলে কেন্দ্রের বাইরে থাকা দেড়শো থেকে দুইশো কর্মী সমর্থক জেলার
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যন্ড অপারেশন) মোহাম্মদ বদিউজ্জামানের ওপর হামলা করেন।
ভাঙচুর করা হয় তার ব্যবহৃত সরকারি গাড়ি। হামলা ঠেকাতে গিয়ে ইট-পাটকেলের আঘাতে আহত হন
পুলিশের দুই সদস্য সাদ্দাম (২৪) ও সোহাগ (২৫)।
ঘটনা শুনে কেন্দ্রের ভেতরে থাকা পুলিশ সদস্যরা বাইরে বেরিয়ে এলে
তাদের ওপর ইট-পাটকেল, লাঠি-সোটা, হাতবোমা নিক্ষেপ করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে আবার
কেন্দ্রের দখল নেয়ার চেষ্টা করেন ওই কর্মী-সমর্থকরা। এসব ঘটনার উসকানি ও নেতৃত্ব দেন
হোসেন্দি ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু।
পুলিশ বারবার তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৭৪ রাউন্ড রাবার বুলেট ও বেশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে
পুলিশ।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব খান মামলা দায়েরের
বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলার এজাহারে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও দেড়শো
থেকে দুইশো জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মাসুম (২৫) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
চট্টগ্রামে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পাইলট অসীম জাওয়াদকে মানিকগঞ্জে দাফন করা হবে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাতে নিহতের পারিবারিক সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।
নিহত বৈমানিক অসীম মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দরগ্রাম ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের ডা. মোহাম্মদ আমানউল্লার ছেলে। তার মায়ের নাম নিলুফা খানম। নিহত পাইলট মৃত্যুকালে স্ত্রী, ছয় বছর বয়সী কন্যা আইজা ও এক পুত্র সন্তানের জনক ছিলেন। একমাত্র ছেলের মৃত্যুর খবর শোনে কান্না থামছে না মা নিলুফা খানমের। ছেলে হারিয়ে বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন। ছেলের এমন মৃত্যু কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি।
জানা
গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার
দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা জহুরুল হক বিমান ঘাঁটির
থেকে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান
উড্ডয়ন করে। এর কিছুক্ষণ
পরই বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয় এবং
বিমানটিতে আগুন ধরে যায়।
কর্ণফুলী নদীতে ভূপাতিত হওয়ার আগেই বিমানে থাকা
বৈমানিক উইং কমান্ডার সোহান
ও বৈমানিক স্কোয়াড্রন লিডার অসীম জাওয়াদ প্যারাসুট
দিয়ে নদীতে নামলেও দুজন আহত হন।
পরে
তাদের উদ্ধার করে পতেঙ্গা বিএনএস
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিমানের
উইং কমান্ডার সোহান জহুরুল হক ঘাঁটির মেডিকেল
স্কোয়াড্রনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে বিমান বিধ্বস্তর
ঘটনায় বৈমানিক অসীম জাওয়াদ বিএনএস
পতেঙ্গা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
১৯৯২ সালের ২০ মার্চ আসীম জাওয়াদ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ থেকে এসএসসি এবং এইচএসসি পাস করেন। ২০১০ সালের ১০ জানুয়ারি তিনি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে যোগদান করেন এবং ১ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে ক্যাডেটদের জন্য সর্বোচ্চ সম্মান সোর্ড অব অনার প্রাপ্তিসহ জিডি (পি) শাখায় কমিশন লাভ করেন।
চাকরিকালীন
তিনি দেশ-বিদেশে পেশাগত
বিভিন্ন কোর্সে অংশগ্রহণ করে সফলতার সঙ্গে
তা সম্পন্ন করেন। তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি
অব প্রফেশনালস থেকে এভিয়েশন ইন্সট্রাক্টর্স
পোস্টগ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন। এছাড়া তিনি চীন থেকে
ফাইটার পাইলটস ফাউন্ডেশন ট্রেনিং কোর্স, ভারত থেকে অপারেশনাল
ট্রেনিং ইন এভিয়েশন মেডিসিন
ফর ফাইটার পাইলটস কোর্স, বেসিক এয়ার স্টাফ কোর্স
ও কোয়ালিফায়েড ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টর্স কোর্স সম্পন্ন করেন।
তিনি
পেশাদারি দক্ষতা ও সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ
‘মফিজ ট্রফি’, ‘বিমানবাহিনী প্রধান ট্রফি’ ও বিমানবাহিনী প্রধানের
প্রশংসাপত্র লাভ করেন। এ
ছাড়া ভারতীয় বিমানবাহিনীতে কোর্সে অংশগ্রহণ করে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ
ইন্ডিয়ান এয়ার অর্জন করেন।
মন্তব্য করুন
ঢাকায়
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে
ডেভিড স্লেটন মেলকে মনোনীত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
ওয়াশিংটনের
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৯
মে) প্রেসিডেন্ট বাইডেন এক বিবৃতিতে বাংলাদেশে পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ডেভিড স্লেটন মিলির নাম ঘোষণা করেন।
বিবৃতিতে
উল্লেখ করা হয়, ডেভিড
স্লেটন মেল বর্তমানে চীনের
বেইজিংয়ে মার্কিন দূতাবাসে ডেপুটি চিফ অব মিশন
হিসেবে রয়েছেন। সেখানে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন চার্জ
দ্য অ্যাফেয়ার্স হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
ডেভিড
স্লেটন মেল স্টেট ডিপার্টমেন্টের
ব্যুরো অব ইকোনমিক অ্যান্ড
বিজনেস অ্যাফেয়ার্সের ট্রেড পলিসি অ্যান্ড নেগোসিয়েশনের উপ-সহকারী সচিব
ছিলেন। তিনি ঢাকাস্থ মার্কিন
দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন,
ইউক্রেনের কিয়েভে মার্কিন দূতাবাসে অর্থনৈতিক বিষয়ক পরামর্শদাতা ছাড়াও চীন, হংকং, তাইওয়ান,
গিনি ও ওয়াশিংটনে নানা
দায়িত্ব পালন করছেন।
মিলির
মনোনয়ন এরই মধ্যে সিনেটে পাঠানো
হয়েছে। সিনেটে
শুনানির পর মিলিকে যোগ্য
মনে হলে
তবেই মনোনয়ন
চূড়ান্ত করে রাষ্ট্রদূত
করে তাকে
ঢাকায় পাঠানো হবে। মিলি ঢাকায়
রাষ্ট্রদূত হলে বর্তমান
রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
মন্তব্য করুন