ইনসাইড থট

পরানে বাজে বাঁশি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:০১ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১


Thumbnail

জীবন-স্মৃতির ধূসর পান্ডুলিপির গায়ে ধীরে ধীরে অলক্ষে জমে উঠবে ধূলোর আস্তরণ। ক্রমেই অস্পষ্ট ঝাপসা হয়ে আসবে চোখের সামনে ঘটে যাওয়া অগনিত দৃশ্যপট। অস্তিত্বহীন হয়ে যাবে সমস্ত পদচিহ্নের রেখা। প্রকৃতির এমন নিষ্ঠুর ও নৈর্ব্যাক্তিক শাসনের বাইরে গিয়ে জগতের একটি সৃষ্টিরও অবাধে বিচরণের কোন অবকাশ নেই। এ রীতি স্বাভাবিক, সতত-সত্য এবং চিরন্তন। কাজেই কিছু লিখে রাখা মানে কেবল ঘটনার নিরেট কোন বর্ণনা নয় বরং `সময়`কে ইতিহাসের ক্ষুদ্র অনুসঙ্গ রূপে আবদ্ধ করে রাখা। কারণ শেষ পর্যন্ত সময়ই হয়ে থাকে মুখ্য বিচারক।

১. মানুষটি মেজাজী ছিলেন। অনেকটা মরুভূমির বালির মতন। অল্পরোদে উত্তপ্ত এবং দ্রুত শীতল। ছিলেন একজন আগাগোড়া খাঁটি বাঙালি। তাঁর সাদাসিধে জীবনাচার, অপরিপাটি নিঃসংকোচ, নিঃসংশয় গতিবিধি সাধারণ মানুষের কাছেও প্রিয় এবং গ্রহনযোগ্য ছিল। সততা, আন্তরিকতা, দেশপ্রেমবোধ ও কঠোর পরিশ্রমের শেষ ফলাফলের বিচারে যে কোন ব্যক্তিই যে তাঁর নিজের কাঙ্ক্ষিত স্থানে বা আসনে উপবিষ্ট হতে সক্ষম হতে পারেন একজন প্রয়াত জননেতা এড.ছায়েদুল হক তার প্রকৃষ্ঠ প্রমান। বঙ্গবন্ধুর ৬ দফার দাবী, আন্দোলন-সংগ্রাম ও ছাত্র রাজনীতির মধ্য দিয়েই উঠে আসা মানুষ তিনি। ষাটের দশকের শুরুর দিকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি ও পরে  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে সুনাম অর্জন করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর এলাকা থেকে পাঁচবার জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। শেষ জীবনে এসে সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য হয়ে  মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুর পর বেশ ক`বার ভেবেছি মানুষটির সান্নিধ্যে থেকে সরকারি দায়িত্ব পালন করার সময় তাঁর মনোজগতের ভেতরে প্রবেশ করার যে যৎকিঞ্চিত সুযোগ আমার হয়েছিল তার খানিকটা বলে রাখলে মন্দ কী!

২. নির্বাচনী এলাকায় বিশেষ কোন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন বা জনসম্পৃক্ত কাজের কর্মসূচি বাস্তবায়নে সবসময়  তিনি জেলাপ্রশাসক হিসেবে আমাকে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করতেন। এখন সময় হবে না, ঢাকা বা চট্টগ্রামে আমার মিটিং আছে ইত্যাদি বলে চেষ্টা করলেও তাঁকে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হত না। তিনি বলতেন, আপনি যেদিন সময় দিবেন সেদিনই অনুষ্ঠান হবে। অর্থাৎ এর দায় আমার কাঁধে এসে গেল। অনুষ্ঠানে যথারীতি উপস্থিত হওয়া চাই। তিনি ঢাকা থেকে সময়কে নিয়ন্ত্রণ করে হাজির হন। আমিও যথাসময়ে থাকার চেষ্টা করি। একদিন দুপুরে আমি নাসিরনগর জেলাপরিষদ বাংলোয় পৌঁছে দেখি তিনি আমার অপেক্ষায় লোকজন নিয়ে অপেক্ষমান। দোতলায় গিয়ে সালাম দিতেই বললেন চলুন, মানুষগুলো হয়তো রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে। আমি বলি ঠিকই, আজকে অনেক গরম পড়েছে। তাঁর পরনে কোট প্যান্ট। স্যুটের মতন বেশ মানানসই। দ্রুত নিচে নেমে তিনি তাঁর গাড়িতে আমি আমার। গ্রামের আঁকাবাকা পথে প্রায় আধাঘন্টা পরে অনুষ্ঠান স্থলে পৌঁছি। গাড়ি থেকে নেমে সোজা ওনার অনুগমন করছি। হঠাৎ চোখে পড়ে, তাঁর পায়ে ডাকবাংলোর বাথরুমের স্পঞ্জের পুরনো সেন্ডেল জোড়া । আমি এগিয়ে গিয়ে কানের কাছে বলি আপনার জুতাে কোথায়? তিনি অবলীলায় বলে উঠলেন, "তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে বাংলোয় ফেলে চলে আসছি। অসুবিধা নেই ডিসি সাহেব। এটা আমার গ্রাম, আমার মানুষজন, খালি পা থাকলেই বা কী"? সেদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত নানা কর্মসূচিতে অংশ নিলেন এ সেন্ডেলজোড়া পরেই। 

৩. আমাকে একবার প্রসঙ্গক্রমে বললেন, আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রপতি জিল্লুভাই আপনাকে খুব স্নেহ করেন। জানেন, ছাত্র জীবন থেকে তিনি আমারও নেতা। আমার বিয়েরও সবকিছু তাঁর হাত দিয়ে। জানেন তো, তিনি কিন্তু জন্মগ্রহন করেছেন আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। কাজেই স্কুল,কলেজ থেকেই আমাকে চিনতেন, আদর করতেন। তবে রাজনীতি জিনিসটা অনেক জটিল এবং কারও কারও ক্ষেত্রে দুর্ভাগ্যেরও কারণ। শুধু নির্বাচনের কারণে ওনার সাথে আমার জীবনে দুয়েক বার মনোমালিন্য হয়েছে। তবে তিনি সবকিছু জাতীয় নেতার দৃষ্টিতে বিবেচনা করেছেন। আমার কোন ক্লেদ বা অনুযোগ নেই। তিনি আমার আশৈশব নমস্য ব্যক্তিত্ব। 

৪. দুর্যোগ ব্যবস্হাপনা অধিদপ্তরের আওতায় নির্মিত কোন একটা স্হাপনা উদ্বোধনের নিমিত্ত তিনি তাঁর নির্বাচনী এলাকার দূরবর্তী প্রান্তের ইউনিয়ন ধরমন্ডলে যাবেন। বর্ষাকাল। বাহন নৌকা। সফরসঙ্গীরা তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক কর্মী। এড. ইকবাল আহমেদসহ আরও দু`জন। আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে সোজাসুজি নাসিরনগর সদর ছাড়িয়ে ফান্দাক পৌঁছে যাই। সেদিনও এম.পি মহোদয় প্রস্তুত ছিলেন। স্হলভাগ থেকে ধরমন্ডল ৮/৯ কিঃ মিঃ হবে। নৌকায় আমরা চারজন। যাত্রালগ্নেই তিনি বললেন, ডিসি সাহেবকে হাওরের বোয়াল মাছ খাওয়াতে হবে। একটু এগিয়েই বিস্তীর্ণ হাওরের দিগন্ত উন্মোচিত গাঢ় সবুজের হাতছানি। নানা গল্পকথার ঝাঁপি খোলে দেয়া হল। অতীত স্মৃতি রোমন্থন এ অঞ্চলের মানুষের জীবন সংগ্রাম, বর্ষা,বন্যা, খরা, দুর্যোগ দুঃসময়ের ইতিকথার যেন শেষ নেই। নৌকা চলছে হেলেদুলে। বর্ষার রাড়ন্ত জলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে ওঠা আমন ধানের সবুজ ডগায় মাঝে মধ্যে হাত বুলিয়ে আমি হারিয়ে যাচ্ছিলাম আমার শৈশবের সোনালি দিনে।  ভাবছিলাম, আমি আমাদের ধান ক্ষেতে বাবা- চাচাদের সাথে সেই নৌকায় যেন আছি। একই দৃশ্য একই চোখে ছেলেবেলায় আমি দেখেছিলাম আমার গ্রামের সামনের হাওরে। এখন এ ধান কেউ বুনে না পরিমাণে কম ফলন বলে এর কোন কদর নেই মূল্য নেই। বলা যায় স্রেফ মানুষের হাত দিয়েই এমন প্রকৃতির দান ফসল অস্তিত্ব সংকটে পড়ে যায়। আমরা যথাসময়ে পৌঁছে যাই।  অনুষ্ঠানস্হলও পূর্ণতা পেয়েছিল স্হানীয় একদল সরল জনতার উপস্থিতিতে। ফিতা-কাটা, আলোচনা, বক্তব্য পর্বের সমাপ্তিতে খোলা হাওয়ায় বেশ স্বস্তিবোধ হচ্ছিল। মধ্যান্হভোজের সাজানো টেবিল। আয়োজনও নজরকাড়া। বোয়াল মাছের বাঁকা লেজ দেখে আমি বললাম একি, এম.পি মহোদয় নৌকায় বসে কেবল একবার বললেন, তাতেই হয়ে গেল। তিনি মুচকি হাসলেন, তাঁর দু`চোখের আলোয় তৃপ্তির রেখা। 

৫. তিনি তখন পূর্ণমন্ত্রী। আমি বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব। পদোন্নতি পরবর্তী সৌজন্য সাক্ষাৎ বৈ অন্য কিছু কারণ নয়। তিনি সভায় আছেন জেনে বেলা দুটোর পরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে গিয়ে হাজির হলাম। মিডিয়া তথা সাংবাদিকসহ বেশ ক`জন অতিথি নিয়ে কথা বলছেন। আমার দিকে তাকিয়েই- আজ আলোচনা এখানেই শেষ। আমাদের ডিসি সাহেব আসছেন। ওনার সাথে জরুরি আলাপ আছে। উপস্হিত দুয়েক জন বোধকরি ভাবছিলেন, এ লোকটা এতোদিনে ডিসি হলেন মাত্র ? যাক্ বলতে বলতে খাবার টেবিলে বসেই আমাকে কাছে ডাকলেন। আমি বললাম, স্যার আমি লাঞ্চ করেই এসেছি। তিনি খাচ্ছেন আর কথা বলছেন। আমি চা পান করছি। সেদিন এমনকি আমার পারিবারিক খোঁজ-খবরও নিলেন। লক্ষ্য করছিলাম তিনি আগের মতনই কাঁচা লবন বেশি করে খাচ্ছেন। আমি বললাম, এতে ক্ষতি আছে স্যার। তিনি নিরুদ্বেগে বললেন, দীর্ঘদিনের অভ্যেস তো, আর কত ক্ষতিকর হবে? যেমন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাত্মা গান্ধীকে বলেছিলেন, "তেলেভাজা লুচিতে বিষ আছে বটে তবে এর অ্যাকশন খুব স্লো কারণ গত পঞ্চাশ বছর ধরে আমি তা খাচ্ছি"।   

বছর চার আগে বিজয় দিবসের আনন্দঘন ১৬ ডিসেম্বর তারিখেই চলে গেলেন তিনি। আর কখনো ফিরে না আসার অচেনা ভুবনের বাসিন্দা এখন তিনি।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রত্যাশী জনগণের জন্য ‘আলোক বর্তিকা’


Thumbnail

সাম্প্রতি ‘‘১৭ মে ১৯৮১, তোমার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর সূচনা, ১৭ মে ২০২৩, কমিউনিটি ক্লিনিক: ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ দিলো নতুন মর্যাদা’’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর। বৈঠক ডা. কাইয়ুম তালুকদার যে আলোচনা করেছেন তাঁর চুম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো।

সবার জন্য স্বাস্থ্য নিশ্চিতে বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক অভাবনীয়, অনন্য এবং যুগান্তকারী একটি মডেল। শিশু স্বাস্থ্য, মাতৃ স্বাস্থ্য এবং কিশোরীদের স্বাস্থ্য পরিসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এটি একটি অসাধারণ উদ্যোগ। নবজাতকের মৃত্যু, মাতৃ মৃত্যু কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক মডেল আজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ অনুসরণ শুরু করেছে। গত বছর ১৭ মে কমিউনিটি ক্লিনিক ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিসিয়েটিভ’ হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতি পায়। ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ সারা বিশ্বের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রত্যাশী জনগণের জন্য ‘আলোক বর্তিকা’। দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ এর প্রবক্তা। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা উন্নয়ন কৌশল জাতির পিতার ভাবনা থেকেই উৎসারিত। অল্প সময়ের মধ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রান্তিক সুবিধা বঞ্চিত মানুষের আপন প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়। ২০০৯ সালে জনগণের বিপুল সমর্থনে আবার সরকার গঠন করেন দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। ভবিষ্যতে আর কোন অপশক্তি যেন কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম বন্ধ করতে না পারে সেজন্য দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা এই প্রতিষ্ঠানের সাথে জনগণকে সম্পৃক্ত করেন। বর্তমানে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে নির্মিত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবার ‘বাতিঘর’ এই প্রতিষ্ঠানটি। যেখানে জনগণ জমি দিচ্ছেন, সরকার ভবন করে দিচ্ছেন। কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রমের পুরোটাই পরিচালিত হচ্ছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ মানেই স্মার্ট উদ্যোগ। দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার উদ্ভাবন মানেই জনবান্ধব কর্মসূচি। কমিউনিটি ক্লিনিক পাল্টে দিচ্ছে গ্রামীণ জনপদ। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে কমিউনিটি ক্লিনিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

বিশ্ববাসী আজ শেখ হাসিনাকে গুরুত্ব না দিয়ে পারে না


Thumbnail

সাম্প্রতি ‘‘১৭ মে ১৯৮১, তোমার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর সূচনা, ১৭ মে ২০২৩, কমিউনিটি ক্লিনিক: ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ দিলো নতুন মর্যাদা’’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর। বৈঠক ফরিদা ইয়াসমিন, এমপি যে আলোচনা করেছেন তাঁর চুম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো।

আজকে আমরা ১৭ মে নিয়ে কথা বলছি। যেদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। আবার গত বছর এই দিনে তাঁর চিন্তা প্রসূত কমিউনিটি ক্লিনিককে জাতিসংঘ ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আজকে আমরা যে ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলছি, উন্নয়নশীল বাংলাদেশের কথা বলছি, যে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখছি, একদিন উন্নত বাংলাদেশ হব বলে স্বপ্ন দেখছি এই সবকিছু শেখ হাসিনার স্বপ্ন, শেখ হাসিনার ইনিশিয়েটিভ। বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা স্মরণ করতে চাই সে দিনটি যেদিন শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এলেন। সমগ্র বাঙালীর আনন্দিত উদ্বেলিত অপেক্ষার দিন। সমস্ত কিছু উপেক্ষা করে মানুষ বঙ্গবন্ধু কন্যাকে স্বাগত জানিয়েছে সেদিন। সেদিন তিনি দেশে আসার পর ৩২ নম্বরে ঢুকতে পারেননি। তিনি চেয়েছিলেন একটি মিলাদ করবেন, নিজের বাড়িতে ঢুকবেন কিন্তু সেটি তিনি পারেননি। তাকে রাস্তায় বসে মিলাদ পড়াতে হয়েছে। তার ওপর এত জুলুম বাধা বিপত্তি সব কিছু পেরিয়ে আজকে তিনি বাংলাদেশের শুধু রাষ্ট্রনায়ক না, তিনি সারা বিশ্বের একজন নেতা হিসেবে পরিণত হয়েছেন। বিশ্ববাসী আজ শেখ হাসিনাকে গুরুত্ব না দিয়ে পারে না। বাংলাদেশের একজন প্রধানমন্ত্রীকে সেরকম গুরুত্ব না দিলেও পারত কিন্তু তারা শেখ হাসিনাকে উপেক্ষা করতে পারেন না। কারণ তিনি শেখ হাসিনা। তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা। তাঁর যে স্বপ্ন, তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের যে উন্নয়ন সেটি সকলের কাছে একটি বিস্ময়। আজকে পাকিস্তানিরা বলে আমাদেরকে বাংলাদেশ বানিয়ে দাও। 

ছিয়ানব্বইয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেই শেখ হাসিনা জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেন। কমিউনিটি ক্লিনিক এর মত একটি উদ্যোগ এটি কেউ চিন্তাও করেননি। এটা একেবারে শেখ হাসিনার চিন্তাপ্রসূত। কিন্তু সরকারের পালা বদল হবার সাথে সাথে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসেছে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিলেন। কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ হওয়ার ফলে আবার জনগণের স্বাস্থ্যসেবা মুখ থুবড়ে পড়ে। বিভিন্ন জায়গায় কমিউনিটি ক্লিনিক গুলো একেবারে ভূতড়ে বাড়ির মত হয়ে গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী পরের বার ক্ষমতায় এসে সেই ক্লিনিকগুলো আবার চালু করেন। জাতিসংঘ এটিকে মডেল হিসেবে নিয়েছে এবং ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার সেটি বন্ধ করে দিয়েছিল। আজকের দিনে এসে বুঝা যায় যে এটি আসলে কতটা ইনোভেশন ছিল। শেখ হাসিনার এই উদ্যোগ আজ অন্যান্য দেশ অনুসরণ করতে চায়। 


মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

১৮ কোটি মানুষের ঠিকানা জননেত্রী শেখ হাসিনা


Thumbnail

সাম্প্রতি ‘‘১৭ মে ১৯৮১, তোমার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর সূচনা, ১৭ মে ২০২৩, কমিউনিটি ক্লিনিক: ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ দিলো নতুন মর্যাদা’’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর। বৈঠক অধ্যাপক ডা. নুরুল হুদা লেনিন যে আলোচনা করেছেন তাঁর চুম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো।

১৭৮১ সালে পলাশি যুদ্ধে ইতিহাসের ঘৃণিত সেনাপতি মির্জাফরের বিশ্বাসঘাতকতায় নবাব সিরাজ উদ্দৌলার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ২০০ বছরের গোলামী আমাদের ললাটে এসেছিল। ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ স্বাধীন হলেও বাঙালী এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতা পায়নি। যার পটভূমিতে বীরদর্পে আবির্ভূত হন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ থেকে ৭৫’ বাঙালি জাতির ভাগ্যাকাশে স্বাধীনতার লাল পতাকা উড়েছিল বাঙালী আশায় বুক বেধেছিল। কিন্তু বাংলার নব্য মির্জাফরেরা জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার চেতনাকে ভুলুন্ঠিত করেছিল। ভাগ্যক্রমে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা বিদেশে থাকার কারণে জীবনে বেচে যান। কোন অন্যায় না করেও পিতার অসাধারণ ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত স্বাধীন বাংলাদেশে আসতে তাকে বাধা দেওয়া হয়েছিল। সামরিক শাসক এবং শাসনের কারণে বরণ করতে হয়েছিল নির্বাসিত জীবন। দেশের আপামর জনগণ, আবাল-বৃদ্ধা-বণিতা শেখ হাসিনার এই অকৃত্রিম ভালোবাসাকে হৃদয়ের বেরোমিটার দিয়ে মাপতে পারে তাকে বাংলায় রুখবে কে। তাইতো ঐক্যের প্রতীক হয়ে বাঙালির ভাগ্যাকাশে জ্বলজ্বলে স্বধীনতার সূর্য হাতে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরেছিলেন শেখ হাসিনা নামের একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। যার আলোর বিচ্ছরণ ঘটাচ্ছে ১৮ কোটি মানুষের প্রতিটি হৃদয়ে। বাঙালির ভাগ্য উন্নয়নের চাকা এখন সঠিক পথে সঠিক গন্তব্যের দিকে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ধাবমান। 

১৯৮১ সালের ১৭ মে যেদিন তিনি বাংলার মাটিতে পা রাখেন সেদিন তার পথ ছিল অনেকটা কন্টকাকীর্ণ। নিজের বাড়ি, নিজের পিতার বাড়িতে একজন সাধারণ নাগরিকেরও প্রবেশের অধিকার থাকে। কিন্তু শেখ হাসিনার সেই অধিকার খর্ব করা হয়েছিল। ১৯৮১ সালের ১৭ মে, দেশের মাটিতে পা রাখার পর শেখ হাসিনার হৃদয়ের টেবিলে দু’টি ফাইল ছিল। দু’টি ফাইলের একটি ছিল ৭৫ এর ১৫ আগস্ট পিতা-মাতাসহ স্বজন হারানো মমগাথা ও তাঁর বিচার প্রসঙ্গ। অন্যটি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ তথা বাঙালী জাতির ভাগ্য উন্নয়ন। ১৯৮১ সালের ১৭ মে যদি জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে না ফিরতেন, তবে বাঙালি জাতির ভাগ্য কখনো আলোর মুখ দেখতো না। তলিয়ে থাকতো অটল অন্ধকারে। তাইতো বাংলার মানুষ সবাই ধারণ করে একটি শ্লোগান, ‘১৮ কোটি মানুষের ঠিকানা, জননেত্রী শেখ হাসিনা।’  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

বদলে যাওয়ার বাংলাদেশের কারিগরি শেখ হাসিনা


Thumbnail

সাম্প্রতি ‘‘১৭ মে ১৯৮১, তোমার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর সূচনা, ১৭ মে ২০২৩, কমিউনিটি ক্লিনিক: ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ দিলো নতুন মর্যাদা’’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর। বৈঠক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ যে আলোচনা করেছেন তাঁর চুম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো।

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বিয়োগান্তের ঘটনায় জাতি ছিল দিক নির্দেশনাহীন। নারকীয় এই ঘটনায় জনগণ হয়ে পড়েন দিশেহারা। প্রতিবাদ, প্রতিরোধ করার কোন শক্তি সাহস ছিল না। দলের অনেক বড় বড় নেতাও ছিলেন কিংকর্তব্যবিমূঢ়। ধানমন্ডির ৩২ বাড়ি ছিল কবরের নীরবতা। সমগ্র জাতি তখন অন্ধকারে। সামরিক বুটে পিষ্ঠ গণতন্ত্র। নির্বাসনে সংবিধান আর মানুষের মৌলিক অধিকার। বাক স্বাধীনতা বলতে কিছুই ছিল না। এমনকি বঙ্গবন্ধু নাম উচ্চারণ ছিল নিষিদ্ধ। 

তৎকালীন রেডিও, টেলিভিশন কোথাও বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করতে দেওয়া হত না। দেশকে টেলে দেওয়া হয়েছিল উল্টোপথে। ১৯৭১ সালে যে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল ১৯৭৫ এসে সেই বাংলাদেশ হারিয়ে গিয়েছিল। সারা দেশে শুধু তখন হতাশ আর নাভিশ্বাস অবস্থা। এর প্রায় ৬ বছর পর নির্বাসনে থাকার জননেত্রী শেখ হাসিনা জীবনের পরোয়া না করে ভয় ভীতি উপেক্ষা করে অনেক ঝুকি নিয়ে পরিবারের সদস্যদের বিদেশের মাটিতে রেখে সেই ১৯৮১ সালের ১৭ মে পদাপণ করেন বাংলার মাটিতে। তিনি যখন দেশে এসেছিলেন তখন অভূতপূর্ব দৃশ্যের অবতারণ হয়। 

আমার এখনো স্পষ্ট মনে আছে লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ তাকে পেয়ে আনন্দিত উদ্বেলিত ছিলেন। তিনি এসেছিলেন এক আলোক বতিতা, আলোর ফেরিয়াওলা হয়ে। তিনি হয়ে উঠেন সকলের আশা আকাঙ্ক্ষা প্রতীক। বিশ্বস্ততার ঠিকানা। শাসক গোষ্ঠীর ভিত তখন কেপে উঠেছিল। দেশে আসার পর জননেত্রী শেখ হাসিনার চলার পথ সহজ ছিল না। মসৃণ ছিলো না। কিন্তু তিনি সমস্ত বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে তার মেধা, দক্ষতা, সততা, নিষ্ঠা, যোগ্যতা, প্রজ্ঞা, সৃজনশীলতা উদার গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি আর দূরদর্শী নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল আর আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। জনগণ ফিরে পায় তার সব ধরনের অধিকার। আল্লাহ অশেষ রহমত শেখ হাসিনার মতা আমরা একজন নেত্রী পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু বানিয়েছেন বাংলাদেশ আর শেখ হাসিনা বানিয়েছেন বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। যত দিন থাকবে শেখ হাসিনার হাতে দেশ পথ হারাবে না বাংলাদেশ।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের বিস্ময়


Thumbnail

সাম্প্রতি ‘‘১৭ মে ১৯৮১, তোমার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর সূচনা, ১৭ মে ২০২৩, কমিউনিটি ক্লিনিক: ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ দিলো নতুন মর্যাদা’’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর। বৈঠক অধ্যাপক ডা. নাহিদ ফেরদৌসী যে আলোচনা করেছেন তাঁর চুম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশের মৌলিক চরিত্রকেই বদলে ফেলা হয়। বিশেষ করে পাকিস্তানি ধারায় সামরিক শাসনের সংস্কৃতির প্রবর্তন ঘটে দেশে। সাম্প্রদায়িকতা ফিরে আসে রাজনীতি, প্রশাসন, শিক্ষা, সংস্কৃতিসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরে। একের পর এক স্বপ্নভঙ্গের ঘটনা ঘটতে থাকে দেশে। বাঙালি জাতির জীবনে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে ঘোর অমানিশার অন্ধকার। ঠিক এমন প্রতিকূল সময় ১৯৮১ সালের ১৭ মে সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর রক্তস্নাত মাতৃভূমিতে ফিরে আসেন বাঙালির মুক্তির মহানায়কের যোগ্য উত্তরসূরি জননেত্রী শেখ হাসিনা। তার স্বদেশে ফেরার ওইদিন রাজধানী ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। তুমুল বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে একনজর দেখার জন্য বিমানবন্দর থেকে শেরেবাংলা নগর এলাকাজুড়ে ছিল মানুষের ঢল। শেখ হাসিনা - সেদিন বাংলার মাটিতে ফিরে এসেছেন কোটি বাঙালির আশার প্রদীপ হয়ে - বাঙালি জাতিকে আলোর ঠিকানায় পৌছে দিতে। সেদিন বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে সারা দেশ থেকে আসা লাখ মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হন বঙ্গবন্ধু কন্যা। জনসমুদ্রে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমে পিতৃহত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার শপথ নেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।

জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার সাহসী ভূমিকা রেখে চলেছেন। তিনি ফিরে আসার পর আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ফিরে পেয়েছি। দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ এর সূচনা হয়েছে। ছিয়ানব্বইয়ে সরকার গঠন করে তিনি ‘দায়মুক্তি অধ্যাদেশ বাতিল আইন, ১৯৯৬’ সংসদে পাশ করে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের ঘাতকদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করান এবং পরবর্তীতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসেন। তাঁর আন্তরিক উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় মহান ‘২১ ফেব্রুয়ারি’ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা পায়। ভারতের সঙ্গে গঙ্গার পানি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কারো মধ্যস্থতা ছাড়াই স্বাক্ষরিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি।

১৭ মে ২০২৩ দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য উদ্ভাবন “কমিউনিটি ক্লিনিক'-কে জাতিসংঘ “দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ' হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এটা বাংলাদেশের সবার জন্য গর্বের। জাতিসংঘ প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্ভাবনী চিন্তাকে জাতিসংঘের অন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোকেও অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছে। দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের বিস্ময়। তার গতিশীল নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে। 


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন