ইনসাইড ইকোনমি

৬৭ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি গ্রামীন ব্যাংকের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১


Thumbnail

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতর গ্রামীণ ব্যাংকের বিরুদ্ধে ৬৭ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি উদঘাটন করেছে। এজন্য ইতোমধ্যে মামলা দায়ের করা হয়েছে ব্যাংকিং ও নন-ব্যাংকিং সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। এছাড়া ভ্যাটযোগ্য হওয়ার পরও প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট নিবন্ধন না করায় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা করেছে রাজস্ব বিভাগের ভ্যাট গোয়েন্দারা।

প্রতিষ্ঠানটির ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যবসায়িক কার্যক্রমের ওপর তদন্ত পরিচালনা করে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতরের উপ-পরিচালক নাজমুন নাহার কায়সারের নেতৃত্বে একটি দল।এ তদন্তের মাধ্যমেই গ্রামীন ব্যাংকের এ অনিয়ম ধরা পড়ে। তাদের তদন্তে দেখা যায়, গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এস ০৫৬ কোডের আওতায় ব্যাংকিং ও নন-ব্যাংকিং সেবা দিয়ে আসছে। কিন্তু ভ্যাট আইন অনুযায়ী নিবন্ধন নেয়নি।

মূল্য সংযোজন কর আইন-১৯৯১ অনুযায়ী, করযোগ্য পণ্যের সরবরাহকারী বা করযোগ্য সেবা প্রদানকারীকে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিবন্ধন গ্রহণ করা বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু গ্রামীন ব্যাংক তা ভঙ্গ করেছেন। 

এনবিআরের এসআরও অনুযায়ী, টার্নওভার নির্বিশেষে নিবন্ধন গ্রহণ করতে হবে ব্যাংক ও নন ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলোকে। এছাড়া ১৯৯১ সালের ভ্যাট বিধিমালা অনুযায়ী, বিভিন্ন খরচের বিপরীতে উৎস করও দেয়ার কথা গ্রামীণ ব্যাংকের।

এনবিআরের এসআরও নম্বর ১৬৮/২০১৩ অনুযায়ী, রাষ্ট্রয়ত্ব, দেশীয় বা বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন দ্বারা সংজ্ঞায়িত যে কোনো ধরণের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা, যারা কমিশন, ফি বা চার্জের বিনিময়ে যে কোনো মাধ্যমে ব্যাংকিং ও নন-ব্যাংকিং সেবা দেয়, তাদের ক্ষেত্রে এ নিয়ম প্রযোজ্য হবে। 

আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন-১৯৯৩ অনুযায়ী, শিল্প, বাণিজ্য, কৃষি বা গৃহায়নের জন্য ঋণ প্রদানকারীকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংক মূলতঃক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কিস্তি সুবিধায় ঋণ দিয়ে থাকে।

এনবিআর সূত্রে জানা যায়, গ্রামীণ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম, উক্ত আইনের অন্তর্ভুক্ত। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের প্রদত্ত এসব ঋণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন খরচের বিপরীতে চার্জ, ফি ও কমিশনের বিনিময় বিভিন্ন সেবা দিয়ে থাকে যার ওপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট প্রযোজ্য এবং করযোগ্য সেবা দেয়ায় তাদের নিবন্ধন গ্রহণ বাধ্যতামূলক। এছাড়া ভ্যাট বিধিমালা ১৯৯১ এর বিধি ১৮(ক) অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি উৎসে কর কর্তনকারী স্বত্বা এবং সে অনুযায়ী বিভিন্ন খরচের বিপরীতে উৎসে ভ্যাট কর্তনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

ভ্যাট গোয়েন্দাদের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে বিভিন্ন সেবার মাধ্যমে হওয়া আয়ের বিপরীতে ৩৪ হাজার ৯১০ টাকা ভ্যাট পরিশোধ করেছে গ্রামীণ ব্যাংক । কিন্তু হিসাব মতে ওই সময়ে ৩০ কোটি ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার ৬০০ টাকা তাদের ভ্যাট দেয়ার কথা ছিল। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটির অপরিশোধিত ভ্যাট বাবদ ৩০ কোটি ৩৬ লাখ ৪৮ হাজার ৬৯০ টাকা উদঘাটন করা হয়। ভ্যাটযোগ্য প্রদত্ত সেবা থেকে প্রাপ্ত আয়ের বিপরীতে এই অপরিশোধিত ভ্যাটের ওপর ভ্যাট আইন অনুসারে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ২ শতাংশ হারে ১৩ কোটি ৯৯ লাখ ৯৫ হাজার ৭০৬ টাকা সুদ প্রযোজ্য হবে।

এছাড়া, প্রতিষ্ঠানটি তদন্ত মেয়াদে বিভিন্ন খরচের বিপরীতে উৎসে ভ্যাট বাবদ ৮ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার ৮১৯ টাকা ভ্যাট পরিশোধ করেছে। কিন্তু তদন্ত মেয়াদে প্রতিষ্ঠানটির উৎসে কর্তন বাবদ প্রদেয় ভ্যাটের পরিমাণ ছিল ২৩ কোটি ৯৩ লাখ ১০ হাজার ৭৪ টাকা। এতে অপরিশোধিত ভ্যাট বাবদ ১৫ কোটি ৩৮ লাখ ৮৯ হাজার ২৫৬ টাকা উদঘাটন করা হয়। এই অপরিশোধিত ভ্যাটের ওপর ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মাসিক ২ শতাংশ হারে ৭ কোটি ২৩ লাখ ২৬ হাজার ৯৭৭ টাকা সুদ প্রযোজ্য হবে।

বর্ণিত মেয়াদে প্রতিষ্ঠানটির সর্বমোট অপরিশোধিত ভ্যাটের পরিমাণ ৪৫ কোটি ৭৫ লাখ ৩৭ হাজার ৯৪৬ টাকা এবং সুদ বাবদ ২১ কোটি ২৩ লাখ ২২ হাজার ৬৮৩ টাকাসহ সর্বমোট ৬৬ কোটি ৯৮ লাখ ৬০ হাজার ৬২৯ টাকা ভ্যাট পরিহারের তথ্য উদঘাটিত হয়। সরকারি কোষাগারে এই টাকা রাজস্ব হিসেবে আদায়যোগ্য।

ভ্যাট গোয়েন্দা সূত্রে আরো জানা যায়, উদঘাটিত পরিহারকৃত রাজস্ব আদায়ের আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে তদন্ত প্রতিবেদন ও অনিয়ম মামলা সংশ্লিষ্ট ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কমিশনারেট পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ যাতে প্রতি মাসের সব আয় ও ক্রয়ের তথ্য অনুযায়ী প্রযোজ্য ভ্যাট পরিশোধ করে তা মনিটরিং করার জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারকে। অন্যদিকে, গ্রামীণ ব্যাংককে অতিসত্ত্বর ভ্যাট নিবন্ধন দেয়ার জন্য এবং তাদের মাসিক রিটার্ন দাখিল নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

মূল্যস্ফীতি ফের ১০ শতাংশ ছাড়াল

প্রকাশ: ০৭:১৬ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

এপ্রিলে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০ শতাংশের ঘরে উঠেছে। মূল্যস্ফীতি বেড়ে এখন ১০ দশমিক ২২ শতাংশে। অর্থাৎ ৪ মাস পর খাদ্য মূল্যস্ফীতি আবার দশ শতাংশ ছাড়াল। আগের মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

সোমবার (১৩ মে) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। যা এপ্রিলে ১০ দশমিক ২২ শতাংশে দাঁড়ায়। এর আগে গত বছরের নভেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ। অন্যদিকে, খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি গত মার্চের তুলনায় এপ্রিলে সাত বেসিস পয়েন্ট কমে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, গত এপ্রিলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ হয়েছে। মার্চে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ।

অন্যদিকে, গ্রামে শহরের চেয়ে মূল্যস্ফীতির হার বেশি। গত এপ্রিলে গ্রামে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। শহরে এই হার ৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ। পাশাপাশি গ্রামে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির হার ১০ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং খাদ্য বহির্ভূত খাতে এই হার ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ।

মূল্যস্ফীতি   বিবিএস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

মে মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে

প্রকাশ: ০৬:২২ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি মাসের প্রথম ১০ দিনে দেশে এসেছে ৮১ কোটি ৩৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৮ কোটি ১৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স; যা আগের মাসের তুলনায় বেশি।

সোমবার (১২ মে) এ তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তথ্য অনুযায়ী, ঈদের মাস এপ্রিলে প্রতিদিনে এসেছিল ৬ কোটি ৮১ লাখ ২ লাখ ডলার। আর আগের বছরের মে মাসে প্রতিদিন প্রবাসী আয় এসেছিল ৫ কোটি ৬৩ লাখ ৮৮ হাজার ৬৬৬ ডলার।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের মে মাসের প্রথম ১০ দিনে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছে ৭১ কোটি ৫১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। এ ছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৯ কোটি ৩৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ২৮ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার।

দেশে কার্যরত ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রথম ১০দিনে একক ব্যাংক হিসাবে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। আর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক। এ সময় ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ২৭ কোটি ২৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার। ন্যাশনাল ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে আট কোটি ২৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার। জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ছয় কোটি ৫২ লাখ ৩০ হাজার ডলার। এ ছাড়া প্রবাসী আয় সিটি ব্যাংকের মাধ্যমে তিন কোটি ৮৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের তিন কোটি ২৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার এসেছে।

এদিকে গত এপ্রিল মাসে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ২০৪ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। গত মার্চে দেশে এসেছিল ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার। এ ছাড়া ফেব্রুয়ারিতে চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ ২১৬ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। আর গত জানুয়ারি মাসে দেশে প্রবাসী আয় এসেছিল ২১০ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

রেমিট্যান্স   প্রবাসী আয়   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

রিজার্ভ কমে আবার ১৮ বিলিয়ন ডলারে

প্রকাশ: ১০:৪৫ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও কমে এক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামছে। এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১৬৩ কোটি ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ নামছে ১৮ বিলিয়ন ডলারের ঘরে।

আগামীকাল সোমবার রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৮ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। ২০১৪ সালের শুরুর দিকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়ানোর পর আর কখনও নিচে নামেনি। আগামীকাল নিট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৩ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

আকু একটি আন্তঃদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে প্রতি দুই মাস অন্তর বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল ও পাকিস্তানের মধ্যকার লেনদেনের দায় পরিশোধ করা হয়।

একসময় শ্রীলঙ্কা আকুতে থাকলেও অর্থনৈতিক সংকটের কারণে গত বছর তারা নিজ থেকেই বেরিয়ে যায়।

আইএমএফ থেকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। এ ঋণের জন্য বিভিন্ন শর্ত মানতে হচ্ছে। আইএমএফ আগামী জুনে রিজার্ভ সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ১৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে।

ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের সময় অবশ্য শর্ত ছিল আগামী জুনে ২০ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ রাখতে হবে। গত মার্চে নিট রিজার্ভ রাখার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয় ১৯ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার।


রিজার্ভ   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হল বিডিবিএল

প্রকাশ: ০৪:১৬ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

পদ্মা-এক্সিম ব্যাংকের পর একীভূত হতে এবার কার্যক্রম শুরু করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক পিএলসি (বিডিবিএল)।

রোববার (১২ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকে সোনালী ও বিডিবিএলের মধ্যে এ সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। চুক্তিতে সই করেন সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আফজাল করিম ও বিডিবিএলের এমডি হাবিবুর রহমান গাজী। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, উপদেষ্টা আবু ফরাহ মো. নাছের, সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী, বিডিবিএলের চেয়ারম্যান শামীমা নার্গিসসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
 
সমঝোতা স্মারক সই শেষে বিডিবিএলের চেয়ারম্যান শামীমা নার্গিস সাংবাদিকদের বলেন, বিডিবিএল ব্যাংকের চার সূচকের মধ্যে শুধু খেলাপি ঋণ আদায়ে দুর্বলতা রয়েছে। সময় পাওয়া গেলে এই সমস্যাও কাটিয়ে ওঠা যেত। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শে একীভূত হতে হচ্ছে।
   
সোনালী ব্যাংকের এমডি আফজাল করিম সাংবাদিকদের বলেন, একীভূতকরণের কারণে বিডিবিএল ব্যাংকের কর্মীদের শঙ্কার কোনো কারণ নেই। বরং ব্যাংকটি আরও সবল হবে। এমওইউ সইয়ের ফলে অডিট ফার্ম নিয়োগ নিয়ে পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
 
এসময় সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী বলেন, আমরা অনেক চিন্তাভাবনা করেই মার্জারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা কোনো চাপের মুখে নয়, নিজেরাই আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের দুই ব্যাংকের দুই ধরনের অভিজ্ঞতা আছে। সেগুলা কাজে লাগিয়ে আমরা এগিয়ে যাবো। আজকে বিডিবিএলের চেয়ারম্যানও ছিলেন এখানে। তার কিছু প্রশ্ন ছিল। গভর্নর সেগুলোর সন্তোষজনক জবাব দিয়েছেন।
 
এর আগে গত ১৮ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ব্যাংক একীভূতকরণে সমঝোতা স্মারক সই করে পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংক। এর মাধ্যমে সবল এক্সিম ব্যাংক দ্বায়িত্ব নিয়েছে দুর্বল পদ্মা ব্যাংকের। ফলে পদ্মা ব্যাংক নামে থাকবে না আর কিছু, কার্যক্রম পরিচালিত হবে এক্সিম ব্যাংকের নামে।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক ও বাংলাদেশ শিল্প ঋণ সংস্থা একীভূত হয়ে গঠিত হয়েছিল বিডিবিএল।

সোনালী ব্যাংক   বিডিবিএল   একীভূত   বাংলাদেশ ব্যাংক   আব্দুর রউফ তালুকদার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

পুঁজিবাজারে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা

প্রকাশ: ০১:০৫ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

রবিবার (১২ মে) লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৬৯৬ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ৬ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১১ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১২৪৮ ও ২০২৬ পয়েন্টে রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ১৫৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।

রবিবার (১২ মে) এ সময়ে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২২১টির, কমেছে ৭০টির এবং অপরির্বতিত রয়েছে ৪৫টি কোম্পানির শেয়ার।

এরআগে, আজ লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ২০ পয়েন্ট। সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে আরও ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর অর্থাৎ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৬৮৯ পয়েন্টে অবস্থান করে।

অপরদিকে, লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ১৫ পয়েন্ট বেড়ে ১৬ হাজার ২৪৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়।

এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ সময়ে ২৭টি কোম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ১৪টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১০টি কোম্পানি শেয়ারের দর।



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন