ইনসাইড পলিটিক্স

জনপ্রিয় তবুও সাধারণ সম্পাদক হননি তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, শুধু এটাই আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদ নয় এই পদের সঙ্গে আবেগ জড়িয়ে আছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, তার হাত ধরেই আওয়ামী লীগ বিকশিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ১৯৫৩ সাল থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এ কারণেই অন্য দলের সাধারণ সম্পাদক বা মহাসচিবের পদের চেয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদটি অনেক আবেগঘন, স্পর্শকাতর এবং গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের অবদান অনস্বীকার্য আর আওয়ামী লীগের অবদানের কথা আলোচনা করলেই এই দলের সাধারণ সম্পাদক পদটি বিশেষভাবে গুরুত্ব পায়। আওয়ামী লীগের অনেক সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশের রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে হেঁটেছেন, আবার অনেকেই বিচ্যুত হয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর পর আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন তাজউদ্দীন আহমেদ, তিনি বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মুজিবনগর সরকার যার নেতৃত্বে পরিচালিত হয়েছিল। আবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আব্দুর রাজ্জাক দল ভেঙেছিলেন, আব্দুল জলিল ওয়ান ইলেভেনের সময় যথাযথ ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারেননি। আওয়ামী লীগের এই সাধারণ সম্পাদকের পদটি নিয়ে সেই কারণেই সব সময় সার্বক্ষণিক আলোচনা হয়। সাধারণত আওয়ামী লীগের ক্রিয়াশীল নেতৃবৃন্দের মধ্যে জনপ্রিয় নেতাকে সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়ন দেওয়া হয় আর এই মনোনয়ন প্রক্রিয়াটি করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি। 

পঁচাত্তরের পর আওয়ামী লীগের পুনর্গঠন প্রক্রিয়া অনেক জনপ্রিয় নেতা ছিলেন এবং অনেকেই সাধারণ সম্পাদকের পদের জন্য আগ্রহী ছিলেন, কিন্তু জনপ্রিয় হবার পরও তারা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হতে পারেননি। এটি আওয়ামী লীগের অনেকের কাছে এক রহস্যময় প্রশ্ন। তবে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই বলেন যে সভাপতি সাথে সমন্বয় করে সাধারণ সম্পাদককে কাজ করতে হয়, এ কারণে আওয়ামী লীগ সভাপতির পছন্দ সাধারণ সম্পাদক হওয়ার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাছাড়াও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য নানা সমীকরণ মিলাতে হয়। আর এই বাস্তবতায় আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন জনপ্রিয় নেতা আছে যারা সাধারণ সম্পাদক হতে পারেনি। এদের মধ্যে রয়েছেন:

১. আমির হোসেন আমু: পঁচাত্তর-পরবর্তী রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। একসময় সে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সবচেয়ে বিশ্বস্ত রাজনৈতিক নেতা ছিলেন আমির হোসেন আমু, দল পুনর্গঠনে তার ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের সহযোগী অঙ্গ সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ পুনর্গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। একসময় তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে খুবই জনপ্রিয়তম প্রার্থী ছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হতে পারেননি। 

২. তোফায়েল আহমেদ: তোফায়েল আহমেদকে আওয়ামী লীগের অন্যতম জনপ্রিয় নেতা মনে করা হয়। বিশেষ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সবচেয়ে স্নেহভাজন রাজনৈতিক কর্মী ছিলেন তোফায়েল আহমেদ, কিন্তু পঁচাত্তরের তার ভূমিকা নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে নানা প্রশ্ন ওঠে। ৭৫ পরবর্তী রাজনীতিতে তোফায়েল আহমেদ এবং আব্দুর রাজ্জাক এর মধ্যে বিরোধ ছিল প্রকাশ্য। সারাদেশেই দুই নেতার সমর্থকদের মধ্যে বিভক্ত ছিল। আর একারণে শেষ পর্যন্ত তোফায়েল আহমেদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হতে পারেননি কখনো। 

৩. মোহাম্মদ নাসিম: প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিম আওয়ামী লীগের জাতীয় চার নেতার অন্যতম ক্যাপ্টেন মনসুর আলীর পুত্র ছিলেন। রাজনীতিতে তার গৌরব উজ্জ্বল ঐতিহ্য ছিলো বিশেষ করে আওয়ামী লীগ পুনর্গঠনে তিনি শেখ হাসিনার একজন বিশ্বস্ত সিপাহসালার হিসেবেই পরিচিত ছিল। ৯১ এর নির্বাচনের বিপর্যয়ের পর ডঃ কামাল হোসেন যখন আওয়ামী লীগ সভাপতিকে চ্যালেঞ্জ করেন সেই সময়ে শেখ হাসিনার পক্ষে নির্ভীকভাবে যারা দাঁড়িয়ে ছিলেন তাদের মধ্যে মো. নাসিম ছিলেন অন্যতম। তিনি আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি বহুল উচ্চারিত নাম হলেও কখনো আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হতে পারেননি। 

৪. বেগম মতিয়া চৌধুরী: অগ্নিকন্যা হিসেবে পরিচিত বেগম মতিয়া চৌধুরী আওয়ামী লীগ এসেছিলেন কঠিন দুঃসময়ে, ৭৫ পরবর্তীতে যখন আওয়ামী লীগ বিধ্বস্ত। একজন অসামান্য সাংগঠনিক দক্ষতার অধিকারী এই নেতা আওয়ামী লীগের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন বটে, কিন্তু এখনো তাকে আওয়ামী লীগ হিসেবে মনে করেন না অনেকেই। আর এ কারণেই ছাত্র ইউনিয়ন থেকে আসা মতিয়া চৌধুরীকে কখনো আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বিবেচনায় নেয়া হয়নি।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ আজ

প্রকাশ: ০৮:২৩ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে আজ শনিবার। বিকেল সাড়ে ৩টায় মোহাম্মদপুর আড়ংয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের এক যৌথ সভার শুরুতে এ কথা জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকে বলে আমরা পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করছি, আসলে আমরা কোনো সমাবেশ করছি না। আজ আমরা এখানে যৌথসভা করছি। আগামীকাল শনিবার আমাদের মন্ত্রিসভার সদস্য, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের সংসদীয় এলাকায় আমরা একটি শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করব। সেখানে সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

এর আগে দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভা আজ শুক্রবার (১০ মে) অনুষ্ঠিত হয়।


আওয়ামী লীগ   শান্তি সমাবেশ   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কর্মীদের দাবি রিজভী, তারেকের পছন্দ খসরু

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপিতে নতুন মহাসচিব নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া বিভিন্ন জেলার স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে নৈশ বৈঠকের আয়োজন করছেন। এ পর্যন্ত নোয়াখালী, কুমিল্লা, সিলেট, বরিশালসহ অন্তত দশটি জেলায় এই ধরনের জুম বৈঠক আয়োজন করা হয়েছে। যে বৈঠকগুলোতে লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়া সরাসরি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন। তৃণমূলের নেতাকর্মী ছাড়াও ছাত্রদল, যুবদল, কৃষক দলের মতো বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ তারেক জিয়ার সঙ্গে কথা বলছেন। 

নোয়াখালীতে এ রকম বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে প্রজেক্টরের মাধ্যমে তারেক জিয়া সরাসরি কর্মীদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন এবং তাদের মতামত দিয়েছেন। এই সমস্ত মতামতে দল পুনর্গঠন, নতুন নেতৃত্ব ইত্যাদি বিষয় নিয়ে তারেক জিয়া দলের নেতৃবৃন্দের খোলাখুলি মতামত জানতে চান। আর এই খোলাখুলি মতামতে যদি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মহাসচিব না থাকেন তাহলে কাকে মহাসচিব করা যেতে পারে সেই প্রশ্নটি উত্থাপন করেন।

জানা গেছে, অধিকাংশ তৃণমূলের কর্মীরা তাদের পছন্দের কথা জানাতে প্রথমে অস্বস্তি প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে তারেক তাদেরকে আশ্বস্ত করেন যে, এই বৈঠকের খবর বাইরে প্রকাশিত হবে না এবং বৈঠকে উপস্থিত নেতৃবৃন্দকেও সতর্ক করা হয় তারা যেন এই বৈঠকের বিষয়টি দলের কেন্দ্রীয় নেতা বা সিনিয়রদের সঙ্গে আলোচনা না করে। এরপর এই বৈঠকে মতামত প্রকাশের জন্য সবাইকে স্বাগত জানানো হয়। এই সব বৈঠকে বিভিন্ন জেলার অধিকাংশ কর্মীরা দলের পরবর্তী মহাসচিব হিসেবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নাম উচ্চারণ করেছেন। তার পেছনে বিএনপির নেতাকর্মীরা যুক্তি দেখিয়েছেন, তিনি নিবেদিতপ্রাণ ত্যাগী। কর্মীদের কাছে তিনি শ্রদ্ধার আসনে আসীন। তাছাড়া সব সংকটেই তাকে সাহসী ভাবে দেখা যায়। এ কারণে রিজভীর মহাসচিব হওয়া উচিত বলে অনেকে মনে করছেন। 

তবে বেশ কিছু স্থানীয় পর্যায়ের নেতা মনে করেন যে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি। এখন পর্যন্ত তাঁর কোনো বিকল্প নেই। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের মহাসচিব থেকে সরে গেলে দলের জন্য সমস্যা হবে বলেও তারা অভিমত ব্যক্ত করেছেন। 

তারেক জিয়া উপযাচক হয়ে কয়েকটি বৈঠকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী যদি বিএনপির মহাসচিব হয় তাহলে সেটি কেমন হয়- এই প্রশ্নটা জিজ্ঞেস করছেন। এর উত্তরে স্থানীয় পর্যায়ের কিছু নেতা নীরবতা অবলম্বন করেছেন। অনেকে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। খুব অল্প সংখ্যক ব্যক্তি আমীর খসরু মাহমুদকে ইতিবাচকভাবে দেখেছেন। তবে বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতারাই মনে করছেন যে, তারেক জিয়া যদি নেতৃত্বে থাকেন তাহলে কে মহাসচিব হলেন সেটি বড় বিষয় নয়। তারা জিয়া পরিবারের বাইরে যেন নেতৃত্ব না যায় সে ব্যাপারেও তারেক জিয়ার কাছে অনুরোধ করেছেন।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, মির্জা ফখরুল মহাসচিব হিসেবে থাকতে চান না। তিনি কয়েক দফা এই বিষয়টি নিয়ে তারেক জিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখন এমন একটি অবস্থানে গেছেন শেষ পর্যন্ত যদি তাতে মহাসচিব পদে রাখার জন্য বাধ্য করা হয় তাহলে তিনি পদত্যাগ করতে পারেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে। তাছাড়া ইদানিং তিনি দলের কার্যক্রম থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। এ রকম অবস্থায় নতুন মহাসচিব অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তারেক জিয়া বিভিন্ন জেলায় বৈঠক করছেন বলে অনেকের ধারণা।

বিএনপি   আমির খসরু   মির্জা ফখরুল   রুহুল কবির রিজভী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ শনিবার

প্রকাশ: ০৮:৫২ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে শনিবার (১১ মে)। বিকেল সাড়ে ৩টায় মোহাম্মদপুর আড়ংয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

শুক্রবার (১০ মে) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের এক যৌথসভায় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ কথা জানান।

তিনি বলেন, অনেকে বলে আমরা পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করছি, আসলে আমরা কোনো সমাবেশ করছি না। আজকে আমরা এখানে যৌথসভা করছি। আগামীকাল শনিবার আমাদের মন্ত্রিসভার সদস্য আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের সংসদীয় এলাকায় আমরা একটি শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করব। সেখানে আজকের সকলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

এর আগে, দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভা আজ (১০ মে) অনুষ্ঠিত হয়।

আওয়ামী লীগ   শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সূচনা বক্তব্যেই শেষ হলো আওয়ামী লীগের যৌথ সভা!

প্রকাশ: ০৭:২৬ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, উত্তর, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনকে দলের কর্মসূচি অবহিত করতে যৌথ সভা ডেকেছিল ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। তবে সেই যৌথ সভা সূচনা বক্তব্যেই শেষ হয়ে যায়।

শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এ যৌথ সভা ডাকা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা।


জানা যায়, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ৪টা ১২ মিনিটে সূচনা বক্তব্য শুরু করে প্রায় ৩৬ মিনিট বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে সাধারণ সম্পাদক দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. রাজ্জাক ও জাহাঙ্গীর কবির নানককে উদ্দেশ্য করে বলেন, আর কেউ কিছু বলবেন? বলেন... এসময় আওয়ামী লীগের এই দুই সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ‘না’ বলেন। এর মধ্য দিয়ে শেষ হয়ে যায় যৌথ সভা। পরে কেন্দ্রীয় নেতারা কার্যালয় থেকে বের হয়ে যান। আর সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কার্যালয়ে নিজ অফিসে চলে যান।


যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাড. কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাশ, আইন বিষয় সম্পাদক নাজিবুল্লাহ হিরু প্রমুখ।

আওয়ামী লীগ   যৌথ সভা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ভারতের কাঁটাতারে ঝুলছে: গয়েশ্বর

প্রকাশ: ০৭:০২ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফেলানীর মতো বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ভারতের কাঁটাতারে ঝুলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন সারাবিশ্বের মানুষ ষড়যন্ত্র করছিল, তখন ভারত যদি আমাদের পাশে না থাকত এই নির্বাচন করতে পারতাম না। তার মানে আওয়ামী লীগের কাছে গণতন্ত্র হচ্ছে অব দ্য ভারত, বাই দ্য ভারত, ফর দ্য ভারত। এর বেশি কিছু বলে মনে হয় না।

বাংলাদেশ আজ কাঁটাতারে ঝুলছে দাবি করে তিনি বলেন, অনেক বছর আগে প্রতীক ছিল ফেলানী। ফেলানী যেমন কাঁটাতারে ঝুলছিল, আজ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব কাঁটাতারে ঝুলছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, অনেকে বলেন শেখ হাসিনার জনসমর্থন শূন্যের কোটায়। পায়ের নিচে মাটি নেই। আসলে তো মাটি নেই। উনি তো পাথরের ওপর হাঁটেন। সাধারণ মর্ম তিনি বোঝেন না।

এসময় প্রধানমন্ত্রীর জনসমর্থনের দরকার নেই বলে মন্তব্য করেন গয়েশ্বর। আওয়ামী লীগ জোড়াতালির সরকার মন্তব্য করে তিনি বলেন, এদের ক্ষমতায় বসিয়ে রাখলে বছরের পর বছর মিছিল করবেন, মিটিং করবেন, লাখ লাখ লোক হবে, কিন্তু তার (শেখ হাসিনা) জায়গায় সে থাকবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আরও উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, আব্দুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ।

সমাবেশে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় সামনে থেকে মিছিল বের করে নাইটেঙ্গেল মোড় ঘুরে ফকিরাপুল হয়ে আবার নয়াপল্টনে এসে শেষ হয়।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন