ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যেসব দেশ আশ্রয় দিয়েছে আফগান শরণার্থীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:০২ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১


Thumbnail

আফগানিস্তানে তালেবানের উত্থানের ফলে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে ​সাধারণ মানুষ। দেশটিতে চলমান সংঘাত এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে ইতোমধ্যে ২২ লাখ শরণার্থী সীমান্ত দিয়ে বিভিন্ন দেশে চলে গেছেন। আর দেশটির অভ্যন্তরে গৃহহীন অবস্থায় ‍দিন কাটাচ্ছেন ৩৫ লাখেরও বেশি আফগান। এদের প্রায় প্রত্যেকেরই আপন মাতৃভূমি থেকে পালানো ছাড়া বিকল্প কিছু নেই।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এর একজন মুখপাত্র বলেন, আফগানদের অধিকাংশই বৈধ উপায়ে দেশ ছাড়তে পারছে না। যারা বিপদে পড়তে পারে তাদের দেশ ত্যাগের স্পষ্ট  কোনো উপায় নেই। তালেবানের উত্থানের আগেই নিরাপত্তার অভাবে ৫ লাখ ৫০ আফগান দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।

তবে শত বাধা পেরিয়ে কিছু শরণার্থী দেশটি থেকে বেরিয়ে আসার পথ খুঁজে পেয়েছেন। তালেবানদের কাবুল নিয়ন্ত্রণের পরপরই পাকিস্তানে কয়েক হাজার আফগান আশ্রয় নিয়েছেন। আরেক সীমান্তবর্তী দেশ উজবেকিস্তানের তাঁবুতে বসবাস করছেন আরও প্রায় দেড় হাজার সাধারণ মানুষ। পালানোর চেষ্টায় মরিয়া হাজার হাজার মানুষ ছুটেছেন কাবুল বিমানবন্দরের দিকে।

ন্যাটোর এক কর্মকর্তা জানান, ১৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ১৮ হাজার সাধারণ মানুষ বিমানযোগে ভিনদেশে পালিয়েছে। কিন্তু তাদের মধ্যে কতজন আফগান নাগরিক তা স্পষ্ট নয়। সব মিলিয়ে বিদেশে আশ্রয় নিতে যাচ্ছেন ৩৫ লাখ আফগান নাগরিক।

আফগান শরণার্থীরা যাচ্ছে কোথায়?

গত বছর সবচেয়ে বেশি শরণার্থী আশ্রয় দিয়েছে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান এবং ইরান। ইউএনএইচসিআর জানায়, প্রায় ১৫ লাখ আফগান শরণার্থী  ২০২০ সালে পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়া ইরানে আশ্রয় নিয়েছেন ৭ লাখ ৮০ হাজার শরণার্থী।

শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে জার্মানি। দেশটিতে অবস্থান করছেন ১ লাখ ৮১ হাজার শরণার্থী। ১ লাখ ২৯ হাজার শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছেন তুরস্কে। এছাড়া এছাড়া অস্ট্রিয়ায় ৪৬ হাজার ৬০০, ফ্রান্সে ৪৫ হাজার ১০০, গ্রিসে ৪১ হাজার ২০০, সুইডেনে ৩১ হাজার ৩০০, সুইজারল্যান্ডে ১৫ হাজার ৪০০, ভারতে ১৫ হাজার ১০০, ইতালিতে ১৩ হাজার ৪০০, যুক্তরাজ্যে ১২ হাজার ৬০০, অস্ট্রেলিয়ায় ১২ হাজার ৪০০, বেলজিয়ামে ৮ হাজার ৯০০, ইন্দোনেশিয়ায় ৭ হাজার ৬০০ আফগান শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছেন।

যেসব দেশ আফগান শরণার্থীদের শীর্ষ গন্তব্য হতে যাচ্ছে

ইরান

আফগানিস্তান থেকে আসা শরণার্থীদের জন্য ইতিমধ্যে শিবির নির্মাণ করেছে ইরান কর্তৃপক্ষ। তালেবানের কাবুল দখলের পর থেকেই শরণার্থীদের ঢল নেমেছে ইরানে। এসব শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী তিনটি প্রদেশে শিবির নির্মাণ করা হয়েছে। অবশ্য তেহরান জানিয়েছে, অবস্থার উন্নতি হলে তাদের আবার নিজ দেশে ফিরতে হবে।

পাকিস্তান

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গত জুনে জানিয়েছিলেন, তালেবান আফগান দখল করে নিলে সীমান্ত বন্ধ করে দেবে পাকিস্তান। তবে পাকিস্তানের একটি সীমান্ত প্রবেশ পথ এখনও খোলা রয়েছে। যদিও ওই প্রবেশ পথে কড়া টহল বসিয়েছে তালেবান।

তাজিকিস্তান

আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী দেশটিতে এ পর্যন্ত কতজন আফগান প্রবেশ করেছেন তার কোনো সঠিক হিসেব নেই। তবে ধারণা করা হচ্ছে ইতোমধ্যে কয়েক হাজার শরণার্থী তাজাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছেন। দেশটির সরকার জানায়, তাজাকিস্তান ১ লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দিতে প্রস্তুত আছে।

উজবেকিস্তান

সম্প্রতি উজবেকিস্তানে প্রায় ১৫০০ শরণার্থী  আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানে তারা শিবির বানিয়ে থাকছেন। তবে এখন উজবেকিস্তানে প্রবেশ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ভিসা ছাড়া কাউকেই উজবেকিস্তানে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না তারা।

যুক্তরাজ্য

ধীরে ধীরে ২০ হাজার আফগান শরণার্থীকে আশ্রয় দেবে যুক্তরাজ্য। দেশটির লক্ষ্য হচ্ছে প্রথম বছরে ৫ হাজার আফগানকে বসতি স্থাপনের অনুমতি দেওয়া। এ প্রকল্পের মাধ্যমে আফগানিস্তানের সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা নারী ও শিশুদের পাশাপাশি ধর্মীয় এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।

যুক্তরাষ্ট্র

অভিবাসন ভিসার জন্য আবেদনকারী আফগান শরণার্থীদের সহায়তা করতে ৫০০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দের ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে ঠিক কতজন আফগান শরণার্থী আশ্রয় দেবে তা এখনও স্পষ্ট করেনি যুক্তরাষ্ট্র।

কানাডা

তালেবানদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্তদের উপর বিশেষ নজর দেওয়া হবে জানিয়েছে কানাডা । আফগানিস্তানের প্রায় ২০ হাজার নাগরিককে পুনর্বাসন করবে জাস্টিন ট্রুডোর দেশটি।

অস্ট্রেলিয়া

ইতিমধ্যে আফগানিস্তান থেকে পলায়নরত ৩ হাজার নাগরিককে অভিবাসন ভিসা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তবে স্কট মরিসন সরকার  এ সংখ্যা আর বাড়ানো হবে না বলেও ইঙ্গিত দিয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন

ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি দেশের কর্মকর্তারা বলছেন, তারা ২০১৫ সালের পুনরাবৃত্তি দেখতে চান না। সেসময় বিপুল সংখ্যক শরণার্থীকে ইইউভুক্ত দেশসমূহে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

জার্মানি

ইতিমধ্যে কিছু আফগান শরণার্থীকে গ্রহণ করবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে জার্মানি। তবে সংখ্যার পরিমাণ উল্লেখ করেনি দেশটি। এর আগে ২০১৫ সালে মধ্যপ্রাচ্যের বহুসংখ্যক শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে নিজ দেশে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিলেন  চ্যান্সেলর আঞ্জেলা মার্কেল। তবে মার্কেল জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশগুলোতে শরণার্থীদের নিরাপদ আশ্রয় নিশ্চিত করার চেষ্টা করাই এখন জার্মানির মূল লক্ষ্য।

ফ্রান্স

প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের অবৈধ অভিবাসীদের থেকে ইউরোপকে রক্ষা করতে হবে। তবে আফগানিস্তানে যারা সবচেয়ে বিপদে আছে তাদের আশ্রয় দেবে দেশটি। বর্তমানের এ পরিস্থিতি ইউরোপ একা মোকাবিলা করতে পারবে না বলেও জানান তিনি।

অস্ট্রিয়া

কোনো আফগান শরণার্থীকে আশ্রয় দিতে চাচ্ছে না অস্ট্রিয়া।  তবে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের পার্শ্ববর্তী দেশগুলিতে শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য তদবির করেছে তার দেশ।

তুরস্ক

প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান বলেছেন, আফগানিস্তানকে স্থিতিশীল করতে পাকিস্তানের সঙ্গে কাজ করবে তার সরকার। এর পাশাপাশি শরণার্থীদের ঢল ঠেকাতে ইরানের সঙ্গে মিলে দেওয়াল নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

উত্তর মেসিডোনিয়া, আলবেনিয়া, কসোভো

ইতিমধ্যে অস্থায়ীভাবে ৪৫০ আফগান শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়া হবে জানিয়েছে উত্তর মেসিডোনিয়া। এছাড়া আলবেনিয়া জানিয়েছে, তারা ৩০০ শরণার্থীকে আশ্রয় দেবে। আফগান শরণার্থীদের আশ্রয়ের পরিকল্পনা করছে কসোভোও। তবে দেশটি এখনও কোনো সংখ্যা উল্লেখ করেনি।

উগান্ডা

যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে ২ হাজার আফগান শরণার্থীকে আশ্রয় দিতে  রাজি উগান্ডার সরকার। দেশটি বর্তমানে আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক শরণার্থীর আশ্রয়স্থল, বিশ্বে তৃতীয়।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলে অস্ত্রের চালান স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ১০:৩৮ এএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের রাফায় বড় ধরনের স্থল অভিযান শুরুর মুখে ইসরায়েলে প্রাণঘাতী অস্ত্রের চালান স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার (৮ মে) এ কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলার কারণে গাজার উত্তর ও মধ্যাঞ্চল থেকে পালিয়ে ১০ লাখের মতো ফিলিস্তিনি রাফায় আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানে তাবু টানিয়ে গাদাগাদি করে অবস্থান করছেন তারা।

গাজার সর্বদক্ষিণের শহর রাফায় ইসরায়েল বড় ধরনের স্থল অভিযান শুরু করতে চলেছে-এমন উদ্বেগের জের ধরে গত সপ্তাহে দেশটিতে অস্ত্রের একটি চালান স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্র।  আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, জাহাজে করে পাঠানোর জন্য প্রস্তুত করা ওই চালানে ১ কোটি ৮০ লাখ ২ হাজার পাউন্ড ও ১৭ লাখ ৫০০ পাউন্ড ওজনের বোমা ছিল।

এ বিষয়ে গতকাল লয়েড অস্টিন মার্কিন আইনপ্রণেতাদের বলেন, ‘আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। বেসামরিক মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে রাফায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান চালানো ঠিক হবে না।’ লয়েড অস্টিন আরও বলেন, কীভাবে স্থগিত হওয়া অস্ত্রের ওই চালানটি এগিয়ে নেওয়া হবে, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।


ইসরায়েল   অস্ত্র   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রে এইডস ছড়িয়ে দিতে যৌনকর্ম, যুবক আটক

প্রকাশ: ১০:১২ এএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

মানুষের মধ্যে এইডস ছড়িয়ে দিতে বহুজনের সঙ্গে যৌনকর্মে মিলিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই যুকবকে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (০৭ মে) সিবিএস নিউজ এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই ব্যক্তি এইডস আক্রান্ত হয়েও বহুজনের সঙ্গে সমকামী সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন। তবে বিষয়টি সঙ্গীদের কাউকে জানাননি তিনি। বিকৃত এ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়া ব্যক্তির নাম আলেক্সান্ডার লু। তিনি ৩০ থেকে ৫০ জন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ এবং কিশোরের সঙ্গে সমকামিকায় লিপ্ত হয়েছেন। এরমধ্যে ১৬ বছরের এক কিশোরও রয়েছে বলে জানিয়েছে এডা কাউন্টি প্রসিকিউটর অফিস।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লুর বিরুদ্ধে গোয়েন্দারা ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে তদন্ত শুরু করেন। ওই সময়ে গোয়েন্দারা তার সঙ্গে অনলাইনে যোগাযোগ করেন। ওই সময়ে লু ভাবেন তিনি ১৫ বছর বয়সী কোনো কিশোরের সঙ্গে কথা বলছেন। লু গোয়েন্দাদের খোলামেলো ছবি পাঠান এবং তার সঙ্গে দেখা করার আগ্রহ দেখান। তাকে তিনি জানান, তাদের মধ্যে যৌনকর্ম হলে সেটি তিনি ভিডিও করে রাখবেন। এরপর দেখা করার জন্য নির্দিষ্ট জায়গার কথাও জানান তিনি। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, লু যখন নির্ধারিত জায়গায় যান তখন গোয়েন্দারা তাকে গ্রেপ্তার করেন। তার বিরুদ্ধে শিশুকে প্রলোভন দেখানোর অভিযোগ অনাা হয়।


যুক্তরাষ্ট্র   এইডস   যৌনকর্ম   আটক  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভিয়েতনামে যুদ্ধ বন্ধের অগ্রভাগে ছিল কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশ: ০৯:৪০ এএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভিয়েতনামের সামরিক বাহিনী ও মিত্রবাহিনী ভিয়েত কংয়ের কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছিল মার্কিন বাহিনী। এ পরাজয়ের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ছাত্রসমাজের ছিল অভূতপূর্ব অবদান। তারা যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধনীতির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল এবং ভিয়েতনামে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের দাবি জানিয়ে আন্দোলনে নেমেছিল। ওই আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিল কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৬৮ সালে ভিয়েতনামের ওপর এক দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিল সাম্রাজ্যবাদী শক্তি যুক্তরাষ্ট্র।

১৯৬৮ সালে ছাত্রবিক্ষোভের সূত্রপাত হয়েছিল একটি জিমনেশিয়াম নির্মাণকে কেন্দ্র করে। ওই সময়ে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্নিংসাইড পার্কে একটি জিমনেশিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পার্কটি ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ কৃষ্ণাঙ্গের এলাকা হারলেমের একটি পাবলিক পার্ক।

শিক্ষার্থীদের প্রথম দাবি ছিল, জনগণের জন্য উন্মুক্ত এমন একটি জায়গায় জিমনেশিয়াম তৈরি করা যাবে না।

দ্বিতীয় দাবি হচ্ছে, মার্কিন প্রতিরক্ষা থিঙ্ক ট্যাঙ্ক হিসেবে পরিচিত আমেরিকার ইনস্টিটিউট ফর ডিফেন্স অ্যানালাইসিসের (আইডিএ) সঙ্গে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। কারণ এ প্রতিষ্ঠানই পেছন থেকে ভিয়েতনাম যুদ্ধ চালাচ্ছিল। বিক্ষোভ ছোট আকারে শুরু হলেও তা দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে।


কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়   ভিয়েতনামে যুদ্ধ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গ্রিসে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ

প্রকাশ: ১০:১২ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পথ ধরে এবার ইউরোপেও ছড়িয়ে পড়েছে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ। ফিলিস্তিনের গাজায় উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে ইউরোপে অন্যান্য দেশের মতো গ্রিসেও বিক্ষোভ করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা।

গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে ফিলিস্তিনপন্থি সমাবেশ চলাকালে পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার পূর্বাঞ্চলীয় রাফায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর স্থল ও আকাশপথে হামলা শুরুর পরদিন এথেন্সে এই সংঘর্ষ হয়েছে। 

ফিলিস্তিনি পতাকা ও ব্যানার বহনকারী ৩০০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারী ওই সমাবেশে অংশ নেন। এ সময় তাদের হাতে ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে লেখা বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। গ্রিসের রাজধানীতে অবস্থিত সংসদ ভবনের বাইরে সমাবেশ করেছেন তারা।

দেশটির ৬০ বছর বয়সী পেনশনভোগী আন্তোনিস দাভানেলোস বলেন, ‌‌‘আমরা এখানে সংহতি জানাতে এসেছি এবং ফিলিস্তিনিরা যখনই (সংহতির জন্য) ডাকবে, আমরা তখনই সাড়া দেব।’

এথেন্সে সংসদ ভবনের বিপরীত পাশে অবস্থিত মিসরীয় দূতাবাসের ফটকে উঠে একদল বিক্ষোভকারী বিক্ষোভ করেন। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ওই দলকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। পরে বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

গ্রিস   ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইমরান খানের স্ত্রীকে কারাগারে স্থানান্তরের নির্দেশ

প্রকাশ: ০৪:২৫ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবিকে গৃহবন্দী অবস্থা থেকে কারাগারে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির আদালত। বুশরা বিবির পক্ষ থেকে করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রীয় উপহারসামগ্রী অবৈধভাবে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগে গত জানুয়ারিতে ইমরান-বুশরা দম্পতির ১৪ বছর করে কারাদণ্ড হয়। ইমরান কারাগারে থাকলেও বুশরাকে ইসলামাবাদের বাড়িতে গৃহবন্দী রাখা হয়েছিল। নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কথা বলে তাকে বাড়িতেই বন্দী রাখার আদেশ দিয়েছিল দেশটির সরকার।

গৃহবন্দী রাখার এ আদেশকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন বুশরা বিবি। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তার আইনজীবী নাঈম পানজুথা এ কথা বলেছেন।

বুশরা বিবির আইনজীবীরা তাকে কারাগারে স্থানান্তরের জন্য ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। আজ আদালত সে আবেদন মঞ্জুর করেন।

ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) এক বিবৃতিতে বলা হয়, বুশরা বিবিকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে স্থানান্তর করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ওই কারাগারেই আছেন ৭০ বছর বয়সী ইমরান খান।

ইমরানের ইসলামাবাদের বাড়িটিকে সাব কারাগার ঘোষণা করা হয়েছিল। ইমরানের দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, গৃহবন্দী অবস্থায় কর্তৃপক্ষ তাকে বিষ মেশানো খাবার দিচ্ছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন বুশরা। তবে কর্তৃপক্ষ সে অভিযোগ অস্বীকার করেছে।


ইমরান খান   কারাগার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন