কালার ইনসাইড

আধখানা জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০১ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১


Thumbnail

“অর্ণব”!

যার বাংলা অর্থ সমুদ্র। সমুদ্র বলতে আমাদের চোখে ভেসে ওঠে সুবিশাল এক ক্যানভাস। যেখানে মানুষ চাইলেই তার মন খারাপের দিনে, তার অনুতাপের দিনে কিংবা নিজের সাথে নিজের হেরে যাবার শঙ্কা জাগলে বারবার ফিরে যায় বিশাল সমুদ্রের কাছে, ছুড়ে ফেলে আসে দুঃখগুলোকে।

সম্প্রতি বাংলাদেশী ওটিটি প্ল্যাটফর্ম “চরকি”তে মুক্তি পেয়েছে একটি মিউজিক্যাল ফিল্ম। “আধখানা ভালো ছেলে, আধা মস্তান” শিরোনামের এই মিউজিক্যাল ফিল্মটির বিষয়বস্তু ছিলো বাংলাদেশী সঙ্গীতশিল্পী শায়ান চৌধুরী অর্নব। মিউজিক্যাল ফিল্মটির পরিচালনায় ছিলেন আবরার আতহার।

৭০ মিনিট কি একটা জীবনকে তুলে জন্য যথেষ্ট! সেটি যদি হয় শায়ান চৌধুরী অর্নব যিনি একটা সময় হুট করেই আমাদের সামনে এনে দিয়েছিলেন বাংলাগানের নতুন এক স্টাইল, নতুন এক প্রাণ। নিজেদের ছেড়ে দেওয়া বাবা মাকে ছেড়ে ভদ্র ছেলের মতো সোজা শান্তিনিকেতন, এরপরে একদিন যেন কাউকে না বলেই চলে এলেন এদেশীয় সংগীতে আমাদের ডুবিয়ে দিতে। ক্যারিয়ারের মাঝগগনে হুট করেই আবার ডুব। গানের লিরিকের মতো শুকনো পাতায় ঘুমের দেশে তলিয়ে যেতে যেতে যিনি আবার ফিরে এসেছেন সুনিধির মতো প্রেমিকা কিংবা জীবন সঙ্গীর হাত ধরে। আবারো মাতিয়েছেন গোটা ভারত, বাংলাদেশের বাংলা গানের ভক্ত আর অর্ণবের গানে শৈশব কাটিয়ে অর্ণবের সাথে বড় হয়ে ওঠা গানপাগলাদের। তাই ৭০ মিনিটের এই জার্নিটাকে আধখানা জীবন বলা যেতেই পারে।

বিশ্বে এই ধরণের মিউজিক্যাল ফিল্মের কনসেপ্ট প্রলচিত একটি বিষয় হলেও বাংলাদেশে এধরণের কাজ এই প্রথম। ৭০ মিনিটের ডকু স্টাইলের এই সিনেমাটিতে পুরোটা সময় জুড়েই ছিলেন অর্ণব। আবরার আতহার অর্ণবকে খুজতে খুজতে গিয়েছেন সমুদ্রে, পাহাড়ে, কখনো একাত্তরের, তারেক মাসুদ, মুক্তির গান, যাদবপুরের হোক কলরবের গল্প ছুঁয়ে মিলেছে শাহবাগে। ১২টি গানের সাথের এই জার্নিতে দেখা মিলেছে ছোট্ট অর্ণবের, কখনো দেখা মিলেছে শান্তিনিকেতনের শান্ত অর্ণবের। না চাইলেও জীবনের বড় একটা সময় জুড়ে থাকা সাহানা বাজপেয়ী এসেছেন সুরে কিংবা কথায়। সেই সুরের সাথেই সমুদ্রে হেটেছেন অর্ণবের বর্তমান সুনিধি নায়েক আর তাদের প্রেম। সমুদ্রের গর্জন আর বাতাস কখনো বেজেছে গিটার হয়ে, ভোররাতের কোনো একটা সময়ে কখনো অর্ণব গিটার হাতে বসে পড়েছেন সমুদ্রের পাড়ে থাকা গাছের গুড়িতে। অর্ণবের বাবা, মা আর প্রিয় কুকুর দুব্বা ব্যক্তি অর্ণবকে চিনিয়েছে আবরার আতহারের এই সিনেমার প্রতিটি ফ্রেমে। প্রথাগত সুরে না হেটে গোটা ক্যারিয়ারে উল্টোপথে হাটা অর্ণবের মাঝে মাঝে মাঝরাতে দেখা স্বপ্নের ভিজুয়াল পর্দায় একেছেন আবরার। অন্য সবার থেকে কিভাবে শায়ান চৌধুরী অর্ণব আলাদা হলেন সেই গল্প অর্ণব তার নিজ মুখেই সুরে সুরে শুনিয়েছেন মিউজিক্যাল ফিল্মের এই জার্নিতে।

সুনিধি সমুদ্রের পাড়ে দাঁড়িয়ে বলেছেন কতোটুকু চেনা আছে এই অর্ণবকে। অর্ণবের একা থাকার ভীতি আর ভয় সুনিধির চোখেমুখে ফুটে উঠেছে প্রতিটি শব্দে। ভালোবাসার মানুষমাত্রই তো বুঝতে পারে আলাদা দেহে থাকা অন্য প্রাণের কথাগুলো। ঠিক পরক্ষনেই অর্ণবের মুখে নিজের স্বভাব আর গুনের কথা শুনতে শুনতে শব্দ হারিয়েছেন সুনিধি। আলো আধারী কাটিয়ে সকালের আলো ফুটতে ফুটতে অর্ণব শুনিয়েছেন তার জীবনে আলো ফিরে আসার গল্প। স্টেজে উঠে একটা খারাপ সময়ে অসহায় হয়ে ওঠা অর্ণবকে নিজেদের সুরে সুরে সামলে দেওয়া দর্শকদের গল্পটাও বাদ যায়নি অর্ণবের মুখ থেকে।

একজন শিল্পীকে আমরা পর্দায় যা দেখি, এই সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে তার জীবন সম্পর্কে আশপাশ থেকে ভুল সত্য যেটাই আমরা জানতে পারি, এই সকল বিষয়গুলো যখন ওই শিল্পী তার দর্শকের জন্য নিজ মুখে বলেন সেটি যে এক ধরণের মাদকতা সৃষ্টি করতে পারে সেটির জ্বলন্ত উদাহরণ হয়ে থাকবে “আধখানা ভালোছেলে আধা মস্তান” সিনেমাটি। শেষভাগে আবরারের কথাগুলোর মতো তাই বলতে চাই, অর্ণব একটা সময় থাকবেনা, কিন্তু থেকে যাবে অর্ণবের সৃষ্টিগুলো। আমাদের সেই অর্ণব থেকে যাবেন যিনি হোক কলররে ঝড় তুলে মাঝরাতে হারিয়ে গিয়েছি দিয়ে ভক্তদের ডুবাতে পারেন গানের অন্যরকম এক জার্নিতে।



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ঢাকাই সিনেমায় অভিনয় করতে চাইলেন নাসিরুদ্দিন শাহ

প্রকাশ: ০৯:০৯ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’ এর ৭৭তম আসরে হাজির হয়েছেন বলিউডের কিংবদন্তী অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ। উৎসবে চতুর্থ দিনে নাসিরুদ্দিন শাহ’র ‘মন্থন’ সিনেমাটি প্রদর্শিত হয়েছে ‘কান ক্লাসিকে’।

চার যুগ আগে ‘মন্থন’ সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন এই তারকা। যেটি ছিল অভিনেতার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় চলচ্চিত্র। গুজরাটের দুগ্ধখামারীদের ওপর কর্পোরেট আগ্রাসন ঘিরে বর্ষীয়ান নির্মাতা শ্যাম বেনেগালের ধ্রুপদি এই সিনেমাকে সম্মান জানিয়ে এই বিভাগে ঠাই দিয়েছে উৎসব কর্তৃপক্ষ।

এই শ্যাম বেনেগালই নির্মাণ করেছেন বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’। যেখানে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা আরিফিন শুভ। এই অভিনেতার অভিনয় বেশ মনে ধরেছে বলিউডের বিখ্যাত এই তারকার।

নাসিরুদ্দিন শাহ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক সিনেমাটি আমি দেখেছি। খুবই ভালো সিনেমা। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে বলতে হয়, শ্যাম বেনেগালের সিনেমাটি ব্যাপকভাবে প্রদর্শিত হয়নি। কিন্তু আমি মনে করি, মূল চরিত্রে যিনি (শুভ) অভিনয় করেছেন তিনি দারুণ করেছেন। আমি সিনেমাটি উপভোগ করেছি। সিনেমাটি দারুণ ইনফরমেটিভ, ইন্টারেস্টিং এবং নাটকীয়।’

এ সময় বাংলাদেশে অভিনয়ের আগ্রহও প্রকাশ করেন এই অভিনেতা। তিনি বলেন, ‘আমি কখনো বাংলাদেশে সিনেমা করার অফার পাইনি। পেলে খুব খুশি হতাম। যদিও আমি দুইবার গিয়েছি সেখানে থিয়েটারে পারফর্ম করতে। কিন্তু সিনেমাটা করা হয়নি। বাংলাদেশের নির্মাতাদের জন্য আমার দরজা সব সময় খোলা।’


ঢাকা   সিনেমা   অভিনয়   নাসিরুদ্দিন শাহ  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সিনেমায় অভিনয়ের জন্য পারিশ্রমিক নেই না: শাহরুখ খান

প্রকাশ: ০৭:৫১ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

বলিউডের সুপারস্টার শাহরুখ খান। সিনেমায় অভিনয়ের ক্ষেত্রে এক পয়সাও নেন না বলিউডের এই বাদশাহ। ভারতের সাংবাদিক রজত শর্মার ‘আপ কি আদালত’ অনুষ্ঠানে এসে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। যেই ভিডিও ইতোমধ্যেই ভাইরাল।

ভিডিওটিতে শাহরুখের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, ‘সিনেমায় অভিনয়ের জন্য আপনার পারিশ্রমিক কেমন?’। উত্তরে শাহরুখ বলেন, ‘আমি বিভিন্ন শো’র জন্য পারিশ্রমিক নেই, এন্ডোর্সমেন্টের জন্য নেই, লাইভ শো’র জন্য নেই। কিন্তু কখনোই সিনেমায় অভিনয়ের জন্য পারিশ্রমিক নেই না। গেল ২০ বছরে কোনো নির্মাতা এই কথা বলতে পারবে না যে, আমি সিনেমায় অভিনয়ের জন্য তাদের কাছে অর্থ চেয়েছি। আমি নির্মাতাদের বলি- আপনারা সিনেমায় আমাকে নিন। যদি লাভ হয় আমাকে দিয়েন। না হলে আমাকে দেওয়ার প্রয়োজন নেই।’

এমন উত্তরের পর তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, ‘তাহলে তার আয়ের উৎস কী?’। এ সময় অভিনেতা আরও বলেন, ‘সিনেমায় অভিনয়ের জন্য আমি পারিশ্রমিক না নিলেও আমি সিনেমার বাইরে এত কাজ করি যে, তা দিয়েই আমার সংসার চলে যায়। কারণ সিনেমায় অভিনয় আমার কাছে পূজা করার মতো। এই কাজ করে আমি কখনোই পারিশ্রমিক নেই না।’


সিনেমা   অভিনয়   পারিশ্রমিক   শাহরুখ খান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মারা গেছেন ডা. খোদেজা বেগম মৃধা

প্রকাশ: ০৫:৩৭ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিশিষ্ট ডা. খোদেজা বেগম মৃধা মৃত্যুবরণ করেছেন। গত রবিবার (১২ মে) রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

প্রয়াত ডা. খোদেজা বেগম মৃধা কবি, সাহ্যিতিক ও গীতিকার জোবেদা খাতুনের জেষ্ঠ্য কন্যা ছিলেন। মৃতকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। 

মরহুমার ভাই তবলা বাদক জাহাঙ্গীর মির্জা বাবুলের মহাখালীর নিজ বাড়িতে তার কুলখানি গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হয়। কুলখানিতে দেশের বহু ব্যক্তিত্বদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন মরহুমার ভাগনি আঁখি আলমগীর, কবি খোশনূর আলমগীর, ফটো সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।


ডা. খোদেজা বেগম মৃধা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ফারিণের সঙ্গে নতুন গান গাইতে আগ্রহী তাহসান

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রথমবারের মতো হানিফ সংকেতের ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ সংগীতশিল্পী তাহসান খান গান গেয়েছিলেন। পেশাদার সংগীতশিল্পী না হয়েও তাহসানের সঙ্গে খুব চমৎকারভাবেই গানটি গেয়েছিলেন ফারিণ। এরপর তা ভক্তদের কাছে ব্যাপক প্রশংসিত হয়।

ফারিণের সঙ্গে নতুন করে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তাহসান খান। শুক্রবার (১৭ মে) গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে তাহসান জানান, ভালোবাসার জন্য বছরের পর বছর ধরে গান করেন তিনি।

সংগীতশিল্পী তাহসান বলেন, আমাকে এবং তাসনিয়া ফারিণকে একসঙ্গে গান করার জন্য বলা হয়েছিল এবং কবির বকুল ভাইকে ধন্যবাদ জানাই তিনি সুযোগটা করে দিয়েছিলেন। আমরা ভেবেছি নতুন গান নিয়ে আরও কাজ করবো তবে এখন না। আমাদের যখন মনে হবে গানটা প্রকাশ করার সময় হয়ে গিয়েছে ঠিক তখন আমরা কাজ করবো।

রঙে রঙে রঙিন হব গানের বিষয়ে তাহসান বলেন, মানুষ যে গান ভালোবাসে এটা তারই বহিঃপ্রকাশ। কারণ আমাকে অনেকদিন পর এবার অনেকে বলেছে, ভাই গানটা খুব ভালো লেগেছে। তবে ঈদকে কেন্দ্র করে সামনে ব্যস্ততা রয়েছে আমার নতুন গান আসবে।


ফারিণ   তাহসান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মায়ের পৃথিবীর মঞ্চ ছাড়ার সময়ে ঢাকার মঞ্চে মোনালি

প্রকাশ: ০৩:০৪ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতীয় সংগীতশিল্পী অভিনেত্রী মোনালি ঠাকুর। জীবন থেকে কঠিন এক শিক্ষা পেলেন তিনি। ঢাকার মঞ্চে তিনি যখন গান গাইছেন। তখন পৃথিবীর মঞ্চ ছেড়ে তার মা মিনতি ঠাকুর না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। বিষয়টি জানতে পেরেও গান থামান নি এই শিল্পী। শ্রোতাদের গেয়ে শুনিয়েছেন মায়ের প্রিয় গানতুমি রবে নীরবে

চলতি বছরের এপ্রিল মাসের শেষে মোনালির মাকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার দুটো কিডনিই কাজ করছিল না, ডায়ালাইসিস চলছিল। শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

মায়ের একটি ছবি শেয়ার করে ইনস্টাগ্রামে মোনালি লিখেছেন, ‘শেকল ছিঁড়ে গেছে, অবশেষে কষ্টের অবসান।

বলিউডের অনেক সিনেমার গানে প্লেব্যাক করেছেন মোনালি। তার গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানগুলো হলো— ‘জারা জারা টাচ মি’ (রেস), ‘গুডনাইট’ (দিল কাবাডি), ‘খুদায়া খায়ের’ (বিল্লু), ‘গোলামাল’ (গোলমাল থ্রি) প্রভৃতি। শুধু গান নয়, বলিউডের বেশকিছু সিনেমাতে অভিনয়ও করেছেন এই গায়িকা।

এর আগে একটি কনসার্টে অংশ নিতে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বাংলাদেশে এসেছিলেন মোনালি। রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার বিষয়টি অনেক আগেই ঠিক হয়ে ছিল।


মা   পৃথিবী   মোনালি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন