নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:১৪ এএম, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১
কয়েকদিন থেকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি অবশেষে ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’-এ পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ঘূর্ণিঝড়টির সরাসরি কোন প্রভাব না থাকলেও দেশের সবগুলো সমুদ্রবন্দরগুলোতে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-২) এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
তবে ঘূর্ণিঝড়টির বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার কোনো আশঙ্কা নেই। এটি ভারতের উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও কাছকাছি উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত ও পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে শনিবার রাত ৯টায় উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’-এ পরিণত হয়েছে। এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে বলে বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এতে আরও বলা হয়, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা এবং পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে এর পরিবর্তে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ করতে নিষেধ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়, ‘গুলাব’ রোববার ভারতের ওড়িশার দক্ষিণে এবং অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তরে কলিঙ্গপত্তনমের ওপর দিয়ে স্থলভাগ অতিক্রম করতে পারে। স্থলভাগে উঠে সোমবার এটি শক্তি ক্ষয়ে গভীর নিম্নচাপ ও নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর শনিবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায়; ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
এসময়ে সারাদেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
শনিবার দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। তবে ময়মনসিংহ ও সিলেটে কোনো বৃষ্টি হয়নি। রংপুরে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। এসময় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়, ৫৩ মিলিমিটার। শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ময়মনসিংহে, ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দেশের
সব বিভাগে ঝড় ও শিলাবৃষ্টি
হতে পারে বলে জানিয়েছে
আবহাওয়া অফিস। ঝড়বৃষ্টির এ প্রবণতা পরবর্তী
৪৮ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে।
শুক্রবার
(১০ মে) সন্ধ্যা ৬টা
পর্যন্ত রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের
অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও
চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায়
অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো
হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, সারা দেশে শুক্র ও শনিবার দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে শনিবার রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। পরের দিন রোববার দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আর বর্ধিত ৫ দিন তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
মন্তব্য করুন
সারাদেশে বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। চলমান এই বৃষ্টিপাত আগামী রবিবার পর্যন্ত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। একইসঙ্গে আসছে ২৪ ঘণ্টায় ৮ বিভাগেই বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) নিয়মিত বুলেটিনে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ আবদুর রহমান খান গণমাধ্যমকে বলেছেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে বা রাতে ঢাকায় বজ্রসহ বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির প্রবনতা কমলে তাপমাত্রা বাড়বে। তবে ১৭ মে পর্যন্ত দেশে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা নেই। মে মাসের দ্বিতীয়ার্ধে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘু চাপ সৃষ্টি হতে পারে। এ সময় অভ্যন্তরীণ নদী বন্দরগুলোকে দুই নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি, কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।
এতে আরও বলা হয়- সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে আবহাওয়া অফিস জানায়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
মন্তব্য করুন
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ১২টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে ৮০ কিলোমিটার বেগে
ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বুধবার (৮ মে) সকালে নদীবন্দরের সতর্কবার্তায়
এ তথ্য জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।
আবহাওয়া অফিসের ওই সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, বরিশাল, পটুয়াখালী,
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে দমকা ও ঝড়োহাওয়া
সহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে দুই
নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, নোয়াখালী, কুমিল্লা, ঢাকা, ময়মনসিংহ
এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার
বেগে দমকা ও ঝড়োহাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকায়
এক নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
চলতি বছরের ৩১ মার্চ দেশে তাপপ্রবাহ শুরু হয়ে টানা ৩৭ দিন পর স্বাভাবিক
হয়েছে তাপমাত্রা। প্রথমে মৃদু তাপপ্রবাহ দেখা দিলেও এপ্রিলের শেষার্ধে তা তীব্র থেকে
অতি তীব্র হতে থাকে। পরে ঝড়-বৃষ্টির প্রবণতা বাড়ায় কমতে থাকে তাপমাত্রা। শেষ পর্যন্ত
মঙ্গলবার (০৭ মে) এসে পুরো দেশে থেকেই বিদায় নিল তাপপ্রবাহ। ৩১ মার্চ থেকে টানা ৩৭
দিন ধরে দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এ তাপপ্রবাহ ৭৬ বছরের মধ্যে রেকর্ড।
গত ৩০ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস
রেকর্ড করা হয় যশোরে, যা গত পাঁচ দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। এদিন চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ
তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ১৯৯৫ সালে চুয়াডাঙ্গায়
৪৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, মঙ্গলবার (০৭ মে) দেশের সর্বোচ্চ
তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায়। ঢাকার সর্বোচ্চ
তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি হলে তাপপ্রবাহ
ধরা হয়। সে হিসাবে স্বাভাবিক স্তরে নেমে এসেছে তাপমাত্রা।
২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল আগের ৯ বছরের মধ্যে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
রেকর্ড করা হয় ঈশ্বরদীতে, ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ২০১৪ সালের মে মাসে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ
৪৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় ১৯৭২ সালের ১৮ মে।
চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড
করা হয়, যা তার আগের ৫৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ঢাকায় ১৯৬৫ সালে থার্মোমিটারের পারদ
উঠেছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এর আগে ১৯৬০ সালে ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়েছিল ৪২
দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তাপপ্রবাহ তাপমাত্রা আবহাওয়া অধিদপ্তর
মন্তব্য করুন
চলতি বছরের ৩১ মার্চ দেশে তাপপ্রবাহ শুরু হয়ে টানা ৩৭ দিন পর স্বাভাবিক হয়েছে তাপমাত্রা। প্রথমে মৃদু তাপপ্রবাহ দেখা দিলেও এপ্রিলের শেষার্ধে তা তীব্র থেকে অতি তীব্র হতে থাকে। পরে ঝড়-বৃষ্টির প্রবণতা বাড়ায় কমতে থাকে তাপমাত্রা। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার (০৭ মে) এসে পুরো দেশে থেকেই বিদায় নিল তাপপ্রবাহ। ৩১ মার্চ থেকে টানা ৩৭ দিন ধরে দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এ তাপপ্রবাহ ৭৬ বছরের মধ্যে রেকর্ড।