নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:১২ এএম, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১
জমি নিয়ে বিরোধের এক রিটের শুনানিতে হাইকোর্ট বলেছেন, ২০০৪ সালে আইন হয়েছে। আছে আদালতের রায় ও নির্দেশ। তা সত্ত্বেও ১৭ বছরেও আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন হলো না, যা আদালতের জন্য বিরক্তিকর।
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ করে গতকাল রোববার হাইকোর্ট এসব কথা বলেন। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এই রিটের ওপর শুনানি হয়।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমারের উদ্দেশে আদালত আরও বলেন, ‘১৭ বছরেও আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারেননি। ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে কথা বলেন। কী পদক্ষেপ নিয়েছেন, জানান। ব্যবস্থা না নেওয়া হয়ে থাকলে প্রয়োজনে সচিবকে ডেকে আনা হবে।’
এ সময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার বলেন, ২০১৩ সালে আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। বিচারক নিয়োগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
তখন আদালত বলেন, ‘গ্রামারের কথা এই আদালতে বলবেন না।’
ডেমরার ডগার মৌজায় অবস্থিত সাড়ে চার কাটা জমি নিয়ে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের দুটি রায় ও সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে মো. আশরারুল আজিম ওই রিট করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নসীব কায়সার।
পরে আইনজীবী নসীব কায়সার বলেন, ১৯৫০ সালের রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন ২০০৪ সালে সংশোধন করা হয়। সংশোধনীতে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল ও আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠনের কথা রয়েছে। সংশোধনীর পর ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হলেও আপিল ট্রাইব্যুনাল এখনো গঠন করা হয়নি।
আইনজীবীরা বলছেন, ২০০৪ সালের সংশোধিত রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনের ২ ধারায় ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল ও ল্যান্ড সার্ভে আপিলের ট্রাইব্যুনাল গঠনের কথা বলা হয়েছে। আইন অনুযায়ী দেশে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে।ট্রাইব্যুনালগুলোর নেতৃত্বে আছেন যুগ্ম জেলা জজ পর্যায়ের বিচারক। ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনাল না থাকায় ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের রায়, ডিক্রি ও আদেশে সংক্ষুব্ধ বিচারপ্রার্থী উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন।
২০১৯ সালের ২৫ জুলাই হাইকোর্ট এক রায়ে অনুলিপি পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন করে আদালতকে অবহিত করতে ভূমিসচিবকে নির্দেশ দেন।
রায়ে বলা হয়, ২০০৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত, তথা দীর্ঘ ১৫ বছরে ভূমি মন্ত্রণালয় আপিল ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করতে না পারায় লাখ লাখ মানুষ চরম ও সীমাহীন দুর্ভোগে নিমজ্জিত হয়েছে। সাধারণ জনগণ যাদের কারণে দীর্ঘ ১৫ বছর এই ভোগান্তি ভোগ করল, তাদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। দাঁড়াতে হবে জনগণের কাঠগড়ায়।
মন্তব্য করুন
মৃত্যুদণ্ডাদেশ
চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম
সেলে বন্দি রাখা অবৈধ ও
বেআইনি ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। রায়ে আদালত একইসঙ্গে
জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক
ঘোষণা করেছেন।
সোমবার (১৩ মে) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নাসিম ইসলাম রাজু। আইনজীবীরা বলেছেন, এটা একটা ঐতিহাসিক রায়।
এর আগে ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন বেআইনি হবে না এবং কেন জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়।
বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন।
গত বছরের ৫ এপ্রিল মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন বেআইনি হবে না এবং কেন জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কনডেম সেলে থাকা বন্দিদের বিষয়ে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মামলা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হওয়ার আগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
চট্টগ্রাম কারাগারে কনডেম সেলে থাকা জিল্লুর রহমানসহ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন বন্দির পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির এ রিট দায়ের করেন।
রিট আবেদনকারী হলেন– চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেম সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুর বশির ও কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই তিন আসামির আপিল হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন
মহানবী
হজরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে
কটূক্তির দায়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী তিথি সরকারকে পাঁচ
বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। সোমবার (১৩ মে) ঢাকার
সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার
হায়াত এ রায় ঘোষণা
করেন।
এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম শামীম বলেন, এ মামলায় তিথি সরকারের ৫ বছরের সাজা হয়েছে। তবে আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তার এক বছরের প্রবেশন মঞ্জুর করেছেন। এই সময়ের মধ্যে তার আচরণগত কোনো পরিবর্তন হলে তাকে সাজা ভোগ করতে হবে না।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)কে নিয়ে ফেসবুকে ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিরূপ মন্তব্য করে আসছিলেন তিথি সরকার। পরে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ছাত্র সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা তিথি সরকারের বহিষ্কার দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০২০ সালের ২৩ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে তিথি সরকারকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
এরপর তার পরিবার থেকে অভিযোগ আসে তিথি নিখোঁজ। ওই বছরের ৩১ অক্টোবর সিআইডির সাইবার মনিটরিং টিম দেখতে পায়, সিআইডির মালিবাগ কার্যালয়ের চারতলা থেকে তিথি সরকারকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বলে একটি মিথ্যা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা হয়। এটি ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। প্রকৃতপক্ষে সিআইডিতে এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। এ ঘটনার তদন্তে নেমে গুজব রটনাকারী নিরঞ্জন বড়াল নামের একজনকে রামপুরার বনশ্রী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। নিরঞ্জনসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ২ নভেম্বর পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়।
২০২১ সালের ১৯ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের এসআই মেহেদী হাসান তাদের দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর তিথি সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। তবে তার স্বামী শিপলু সরকার মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেন আদালত।
মন্তব্য করুন
নাহিদ সুলতানা যুথী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচন শেখ ফজলে শামস পরশ শেখ ফজলে নূর তাপস
মন্তব্য করুন
গঠনতন্ত্র
অনুযায়ী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের দায়িত্ব পালনের
বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান
হিসেবে জি এম কাদেরের কার্যক্রম চালাতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
রোববার (১২ মে) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে হাইকোর্টের দেওয়া রুল নিষ্পত্তি করতে বলেছেন আপিল বিভাগ।
আদালতে জি এম কাদেরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. অজি উল্লাহ, অ্যাডভোকেট শেখ সিরাজুল ইসলাম। অপরপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা।
এর আগে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের দায়িত্ব পালনে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে লিভ টু আপিল দায়ের করা হয়।
২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রুল জারি করেন আদালত। বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়ালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে জিএম কাদেরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম। পরে এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হয়।
২০২২ সালের ৪ অক্টোবর জাপা থেকে বহিষ্কৃত নেতা দলটির সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করেন। বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ৩১ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের দলীয় যাবতীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞার অস্থায়ী আদেশ দেন।
পরে শেখ সিরাজুল ইসলাম, কলিম উল্যাহ মজুমদারসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী জি এম কাদেরের পক্ষে এ আবেদন করেন। আবেদনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের ওপর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রত্যাহার চাওয়া হয়েছে। গত ২৪ নভেম্বর এই আবেদনের শুনানির জন্য জেলা জজ আদালতে মিস আপিল দায়ের করা হয়। সেই আবেদন নামঞ্জুর করেন জেলা জজ আদালত। জেলা জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন জিএম কাদের।
জিএম কাদের চেয়ারম্যান আপিল বিভাগ
মন্তব্য করুন
নারায়ণগঞ্জের
আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী জাকির খানকে (৪৯) অস্ত্র মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল
রেখেছেন আপিল বিভাগ। রোববার (১২ মে) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের
নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে
জাকির খানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি
করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
গত
বছরের ১৫ জুন নারায়ণগঞ্জের আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী জাকির খানকে (৪৯) অস্ত্র মামলায় জামিন দেন হাইকোর্ট।
পরে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
নারায়ণগঞ্জ
জেলা পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী জাকির খান দেওভোগ এলাকার দয়াল মাসুদ নামে
অপর এক শীর্ষ সন্ত্রাসীকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেন। সর্বশেষ ২০০৩ সালে সাব্বির
আলম হত্যাকাণ্ডের পর তিনি দেশ ছেড়ে থাইল্যান্ডে পাড়ি জমান। তার বিরুদ্ধে ৪টি হত্যা
মামলাসহ অসংখ্য মামলা রয়েছে। ২০২২ সালের ২ সেপ্টেম্বর বসুন্ধরার ভটারা এলাকায় অভিযান
চালিয়ে অস্ত্রসহ তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১।
মন্তব্য করুন