নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০৮ পিএম, ১৩ অক্টোবর, ২০২১
উন্নয়ন বনাম জীবন-জীবিকার তাগিদ। একদিকে মেগা প্রকল্প, অন্যদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। কোনটি সরকারের জন্য অস্বস্তিকর, কোনটি ভোটে কাজে লাগবে, এই প্রশ্ন এখন বিভিন্ন মহলে আলোচনা হচ্ছে।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি জনজীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। মধ্যবিত্ত নাগাল ছেড়ে এখন দ্রব্যমূল্যের ঝাঁজ লাগছে উচ্চবিত্তের কাছেও। মানুষ হাঁসফাঁস করছে। আর এরকম অবস্থা যদি চলতে থাকে, দ্রব্যমূল্যের যদি লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি থাকে, তাহলে শেষ পর্যন্ত উন্নয়নের সুফল পোকা খেয়ে ফেলবে বলে অনেকে মনে করছেন।
গত এক যুগে বাংলাদেশের অসাধারণ উন্নতি হয়েছে, কোনো সন্দেহ নেই। বিশেষ করে কয়েকটি মেগা প্রকল্প আগামী বছরই দৃশ্যমান হতে যাচ্ছে। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, রূপপুর পারমানবিক প্রকল্প, এই উদ্যোগগুলো অসাধারণ এবং বাংলাদেশের উন্নয়নের চিহ্ন বটে। কিন্তু এই সমস্ত উন্নয়নগুলো মানুষের কাছে মূল্যহীন হয়ে যাবে যদি মানুষ জীবন-জীবিকার টানাপোড়নে বিধ্বস্ত হয়। আর সেরকম একটা পরিস্থিতির দিকেই সবকিছু যাচ্ছে কিনা সে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
গত কিছুদিন ধরে বাজারের অবস্থা লাগামহীন। জিনিসপত্রের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এই মুহূর্তে সয়াবিন তেলের প্রতি লিটারে মূল্য ১৭০ টাকা। যা অকল্পনীয় এবং অবিশ্বাস্য বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ। পেঁয়াজের দাম ডাবল সেঞ্চুরির পর মাঝখানে কিছুদিন কম ছিল। এখন আবার ধাপে ধাপে বাড়ছে। এখন পেঁয়াজের কেজি ৭০ টাকায় ঘোরাফেরা করছে। করোনা পরবর্তী অর্থনীতিতে মানুষ এমনিই নানা রকম টানাপোড়নের মধ্যে আছে। তারপর জিনিসপত্রের এই উর্ধ্বগতি দিশেহারা করে দিয়েছে। মানুষের এখন সংসার সামলানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এরকম বাস্তবতায়, উন্নয়নের রঙিন দৃশ্যগুলো মানুষের কাছে ঝাপসা হতে শুরু করছে।
একটি বড় সেতু নির্মাণ, কিংবা একটি টানেল নির্মাণের সুফল যদি সাধারণ মানুষ না পায় তাহলে সেই উন্নয়ন ভোটে কাজে লাগে না, এই কথাটি রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন। মানুষ দৃশ্যমান উন্নতি দেখে খুশি হয়। মানুষ দৃশ্যমান উন্নতি দেখে পুলকিত হয়। কিন্তু তার যদি জীবন-জীবিকায় টানাপোড়েন চলে তাহলে এই খুশি টেকসই হয়না। বরং এ সমস্ত উন্নয়নের সঙ্গে যদি দ্রব্যমূল্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখা যায় তাহলে পরেই মানুষ সবচেয়ে শান্তিতে থাকে। তাহলেই উন্নয়নটি মানুষের কাছে তৃপ্তির স্মারক হিসেবে আসে।
সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে যে, দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণে সরকারের উদ্যোগগুলো সমন্বয়হীনতায় বদলি হয়ে আছে। পেঁয়াজ নিয়ে একই বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী বলছেন এক ধরণের কথা, বাণিজ্যসচিব বলছেন এক ধরণের কথা। ভোজ্যতেলের মূল্য কেন বাড়ছে সে নিয়ে কোনো কথাবার্তা কারোরই নেই। আবার চালের দাম হুহু করে বাড়ার পর খাদ্যমন্ত্রী বা কৃষিমন্ত্রীর কথার মধ্যেও কোন আস্থা পাচ্ছে না মানুষ।
কাজেই সাধারন মানুষ মনে করে, উন্নয়ন তো অবশ্যই দরকার। কিন্তু বেঁচে-থাকাটা তার চেয়ে বেশি জরুরি। মানুষ যদি অভাবে থাকে, মানুষ যদি ঠিকঠাক মত বাজার-সদাই করতে না পারে, তাহলে উন্নয়ন তার কাছে অর্থহীন মনে হয়। সেরকম পরিস্থিতির দিকে দেশ যেন না যায়, সেজন্য এখনই সবাইকে নজর দিতে হবে। বিশেষ করে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতির লাগাম টেনে ধরতে হবে সরকারকে, তা যেকোনো মূল্যের বিনিময়ে। তা না হলে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলের যে আবেদন তা জনগণের কাছে মূল্যহীন হয়ে পড়তে পারে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস।
মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন