নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১৩ পিএম, ২৫ নভেম্বর, ২০২১
তালিকা থেকে বাদ পড়া বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেটে অন্তর্ভুক্তিতে যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ কোটা বাতিল ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মো. মাহবুব উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
রিটের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) ঐ পরিপত্রটি জারি করে। ওই পরিপত্রে বলা হয় যে প্রত্যেক উপজেলায় গেজেট অন্তর্ভুক্ত হয়নি এমন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেটভুক্তির জন্য বিদ্যমান রাষ্ট্রীয় ভাতা-ভোগী সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যার ১০ শতাংশের বেশি তালিকাভুক্ত করা যাবে না।
তৌফিক ইনাম বলেন, রায়ে হাইকোর্ট গেজেট অন্তর্ভুক্ত হয়নি এমন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেটভুক্তির ক্ষেত্রে বিদ্যমান গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যার ১০ শতাংশের বেশি তালিকাভুক্ত না করা সংক্রান্ত জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) বিধান/পরিপত্রটি বাতিল ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন।
আইনজীবী বলেন, অথচ ২০১৭ সালে উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটির মাধ্যমে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের একটি `ক` তালিকা প্রস্তুত করা হয় এবং ওই তালিকাতে রিট আবেদনকারীরা তালিকাভুক্ত হন। কিন্তু আলোচ্য সিদ্ধান্তটির ফলে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা অনেকেই বাদ পড়ে যান। সে কারণেই ১০ শতাংশ সংক্রান্ত ঐ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সাভার সদর, সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলাসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার `ক` তালিকাভুক্ত প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা হাইকোর্টে ২০২০ সালে রিট আবেদন দায়ের করেন। হাইকোর্ট ওই বছরই জামুকার পরিপত্রটি অর্থাৎ বিধানটি কেন বাতিল করা হবে না মর্মে জানতে চেয়ে জামুকা ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেন।
ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম বলেন, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা শুধু বেআইনিই নয় অসাংবিধানিকও। কারণ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ১০ শতাংশের কম বা বেশিও হতে পারে। একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাকেও তালিকার বাইরে রাখা যেমন বেআইনি, একইভাবে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নয় এমন একজনকেও তালিকাভুক্ত করা বেআইনি। কিন্তু এধরনের পরিপত্র জারি করার মাধ্যমে জামুকা যাচাই-বাছাই কমিটিকে একটি ফ্রি লাইসেন্স দিয়েছে। তারা তাদের সুবিধা ও সন্তুষ্টি অনুসারে শুধুমাত্র ১০ শতাংশ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাকে গেজেটভুক্ত করার জন্য সুপারিশ করতে পারবে। কিন্তু এই সংখ্যা এলাকাভেদে অনেক বেশি আবার কোথাও কমও হতে পারে। তাই এ ধরনের সংখ্যা নির্ধারণ জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন ও সংবিধান সমর্থন করে না।
রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট আজ ১০ শতাংশ সংক্রান্ত ঐ পরিপত্রটি বেআইনি ও অসাংবিধানিক মর্মে ঘোষণা করে রায় দেন।
মন্তব্য করুন
বিজেপি আন্দালিব রহমান পার্থ কোটা আন্দোলন ডিএমপি
মন্তব্য করুন
নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ২০ আগস্ট ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া জানান, গত ২৩ জুলাই কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। এদিন আদালত সাক্ষ্য গ্রহণের নতুন দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত বছরের ১৯ মার্চ একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
২০০৭ সালে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করে দুদক। দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেছিলেন। ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দুদক আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
বাকিরা হলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
এর মধ্যে এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় মামলার দায় হতে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে সরকারে থাকাকালে খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজন ক্ষমতার অপব্যবহার করে কানাডার কোম্পানিটিকে অবৈধভাবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের সুবিধা পাইয়ে দেয়। অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
মন্তব্য করুন
গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের মামলায় অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এক বছরের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (২৪ জুলাই) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকতার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। এর আগে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের মামলায় অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আবেদনে অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চাওয়া হয়।
গত ১২ জুন গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের মামলায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
মন্তব্য করুন
বুধ এবং বৃহস্পতিবার (২৪ ও ২৫ জুলাই) আদালতের কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আপিল বিভাগ, হাইকোর্ট ও নিম্ন আদালতে বিচারকাজ চলবে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে রাজধানীসহ সারা দেশে তাণ্ডব শুরু হলে শুক্রবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টা থেকে রোববার (২১ জুলাই) সকাল ১০টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করে সরকার। তবে এর মধ্যেই রোববার নজিরবিহীনভাবে বসে আদালত। এদিন কোটা সংস্কার করে রায় দেন আপিল বিভাগ।
রোববার থেকে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত সারা দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে জনপ্রসাশন মন্ত্রণালয়। এরপর অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ বাড়ানো হয়। যদিও প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল করা হয়েছিল।
এ ধারাবাহিকতায় বুধ ও বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ঢাকাসহ আশপাশের ৪ জেলায় কারফিউ শিথিল থাকবে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া বাকি জেলাগুলোর সিদ্ধান্ত নেবে জেলা প্রশাসন।
এদিকে বুধবার থেকে সরকারি-বেসরকারি অফিস বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে জনপ্রসাশন মন্ত্রণালয়। আগামী দুই দিন (বুধ ও বৃহস্পতিবার) বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা করে সব বাণিজ্যিক ব্যাংকও খোলা থাকবে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এ সময়সূচিতেই ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু থাকবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সুপ্রিম কোর্ট বিচারকাজ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন
উদ্দিন বলেছেন, কোটা বাতিল চেয়ে লিভ টু আপিল দ্রুত শুনানি করতে সরকারের পক্ষ থেকে আমাকে
নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা রোববার সকালেই আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল দ্রুত শুনানির
জন্য মেনশন করব। আশা করছি জনগুরুত্ব বিবেচনায় আদালত আমাদের আবেদন গ্রহণ করবেন। শুনানিতে
আমরা হাইকোর্টের রায় বাতিল চাইব।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল দায়ের করেছে দুই শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় দুই শিক্ষার্থীর পক্ষে অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক লিভ টু আপিল দায়ের করেন।
দুই শিক্ষার্থী হলেন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া ও উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থী আহনাফ সাঈদ খান।
গত মঙ্গলবার প্রথম ও দ্বিতীয়
শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া
রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল দায়ের করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। লিভ টু আপিলে হাইকোর্টের রায়
বাতিল চাওয়া হয়েছে।
রোববার সকাল আপিল বিভাগ লিভ টু আপিল দ্রুত শুনানি চেষ্টা
মন্তব্য করুন
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, কোটা বাতিল চেয়ে লিভ টু আপিল দ্রুত শুনানি করতে সরকারের পক্ষ থেকে আমাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা রোববার সকালেই আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল দ্রুত শুনানির জন্য মেনশন করব। আশা করছি জনগুরুত্ব বিবেচনায় আদালত আমাদের আবেদন গ্রহণ করবেন। শুনানিতে আমরা হাইকোর্টের রায় বাতিল চাইব।