বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার মামলার ২২ আসামিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। আজ রোববার (২৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার পর কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাদের আদালত হাজির করা হয়।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানার ইনচার্জ পুলিশের এসআই নিপেন বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ মামলায় ২৫ আসামির মধ্য তিন আসামি পলাতক রয়েছেন। বাকি আসামিরা আদালতে হাজির রয়েছেন। রোববার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালত এ রায় ঘোষণা করবেন।
সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর আবু আব্দুল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, রোববার দুপুর ১২টায় বিচারক রায় ঘোষণা করবেন।
এর আগে, গত ১৪ নভেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজ দিন ধার্য করেন। এ মামলায় মোট ৪৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জন এবং এর বাইরে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আরও ছয় জন জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জন ও এজাহারের বাইরে থাকা ছয় জনের মধ্যে পাঁচ জনসহ মোট ২২ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতক রয়েছেন তিনজন। অভিযোগপত্রে ৬০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে এবং ২১টি আলামত ও আটটি জব্দ তালিকা আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।
এজাহারে থাকা আসামিরা হলেন- মেহেদী হাসান রাসেল, অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মেহেদী হাসান রবিন, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুল ইসলাম, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, মোর্শেদুজ্জামান জিসান ও এহতেশামুল রাব্বি তানিম।
এজাহারবহির্ভূত ছয় আসামি হলেন- ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না, অমিত সাহা, মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, এস এম মাহমুদ সেতু ও মোস্তবা রাফিদ।
পলাতক তিনজন হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। এদের মধ্যে প্রথম দুজন এজাহারভুক্ত।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে আবরারকে তার কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে যান বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। তারা ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে গিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে রাত ৩টার দিকে শেরে বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই বছরের ৭ অক্টোবর রাজধানীর চকবাজার থানায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
মন্তব্য করুন
বরিশালের বানারীপাড়ায় ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে বিস্ফোরক আইনের মামলার আসামী বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ৫ নেতা-কর্মী বেকসুর খালাস পেয়েছেন।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) বরিশাল অতিরিক্ত ১ম জেলা ও দায়রা জজ আয়শা নাসরিন এর আদালতে অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
খালাস প্রাপ্তরা হলেন, বানারীপাড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাইদুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন সরদার, পৌর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সিরাজ ফকির, পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জসিম আকন ও সাবেক ছাত্রদল কর্মী কামরুল বেপারী। এছাড়া মামলার ১ নম্বর আসামী পৌর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি তুহিন মৃধা ওই সময় বরিশালের মাদক নিরাময় কেন্দ্র হলি কেয়ার রিহ্যাব সেন্টারে ভর্তি থাকায় চার্জশীট থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে খালাসপ্রাপ্তরা আদালতে ন্যায় বিচার পেয়েছেন জানিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর বানারীপাড়া থানায় বিস্ফোরক বিশেষ আইনে দায়ের হওয়া এ মামলার বাদী ছিলেন উপজেলার বেতাল গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী কবির হোসেন মৃধা।
মন্তব্য করুন
তাপপ্রবাহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হাইকোর্ট
মন্তব্য করুন
রাজধানীর ফুটপাত অবৈধভাবে দখল ও বিক্রি করার সঙ্গে কারা কারা জড়িত
তাদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা নির্দেশ
দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের
দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
আগামী ১৩ মের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনকে ফুটপাত
বিক্রি ও অবৈধ দখলকারীদের সঙ্গে কারা কারা জড়িত আদালত তা জানানোর জন্য বলেছেন বলে
জানান মনজিল মোরসেদ।
মন্তব্য করুন
রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড
কলেজের ছাত্রীকে প্রলোভন ও ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও ফাওজিয়া
রাশেদীর স্থায়ী জামিন (পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত) দিয়েছেন আদালত। মামলার অধিকতর
তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকার নারী ও শিশু
নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক শওকত আলীর আদালতে মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন
দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন
(পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এজন্য বিচারক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২ জুন
ধার্য করেন।
অন্যদিকে, খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও ফাওজিয়া
রাশেদী স্থায়ী জামিনের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী ফারুকুর
রহমান ভুইয়া সোহাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ১৪ মার্চ মামলাটি পুলিশ ব্যুরো
অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮
এর বিচারক শওকত আলীর আদালত। একই সঙ্গে অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৯ এপ্রিল
দিন ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, খন্দকার মুশতাক প্রতিষ্ঠানটির
গভর্নিং বডির দাতা সদস্য ও ফাওজিয়া রাশেদী কলেজটির অধ্যক্ষ। আলোচিত এ মামলার বাদী ওই
শিক্ষার্থীর বাবা মো. সাইফুল ইসলাম।
মন্তব্য করুন
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে আব্দুর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার
প্রায় ২২ বছর পর ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে
পঞ্চাশ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের
বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্তরা পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা
গ্রামের বাসিন্দা। তাদের মধ্যে দুই আসামি পলাতক রয়েছেন। নিহত আব্দুর রহমানও একই গ্রামের
বাসিন্দা ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জেরে ২০০২ সালের ২২ নভেম্বর
রাতে পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা গ্রামের সামসুদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহমানকে ধানের জমি
থেকে ধরে আসামি আলমের বাড়িতে নিয়ে যায় অন্য আসামিরা। এরপর সেখানে আটকে রেখে তাকে নির্মমভাবে
বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করে এবং পা দিয়ে বুক ও পেটে আঘাত করে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই আব্দুল বারিক মুন্সী বাদী হয়ে পাঁচবিবি থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত আজ এ রায় ঘোষণা করেন।
মন্তব্য করুন