ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির দাবি খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত নয়, রাজনৈতিক: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:২৫ পিএম, ২৮ নভেম্বর, ২০২১


Thumbnail বিএনপির দাবি খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত নয়, রাজনৈতিক: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে চায় বিএনপি। যেন সেখান থেকে তিনি বেআইনিভাবে রাজনীতি করতে পারেন, যেটি তারেক রহমান করছে। আমরা আপনাদের ফন্দি-ফিকির বুঝি। বিএনপির দাবি খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত নয়, রাজনৈতিক, কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য সরকার বদ্ধপরিকর।’

রোববার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে ঢাকা উত্তর মহানগর আওয়ামী লীগের দারুস সালাম থানার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ১০ ইউনিটের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মন্ত্রী।

‘বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে নানা কথা বলে অথচ গত একবছর ধরে বেগম জিয়া তাদের তত্ত্বাবধানে, বেগম জিয়ার পছন্দের এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সেকারণে তার কিছু হলে তারাই দায়ী। বিএনপি নানা কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চায়, জনগণ বিভ্রান্ত হবে না।’

ড. হাছান বলেন, ‘এখন মনে হচ্ছে বিএনপির রাজনীতি আর জনগণের জন্য নয়, একমাত্র খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য। গত ১৫ থেকে ২০ দিন ধরে বিএনপি নেতাদের বক্তব্য যদি শোনেন তাহলে দেখতে পাবেন, অন্য কোনো বক্তব্য নেই, খালেদা জিয়ার কী হয়েছে সেটিই তারা প্রতিনিয়ত বলছেন। শনিবার টেলিভিশনের পর্দায় দেখলাম মির্জা ফখরুল সাহেব বলছেন, খালেদা জিয়ার পেটে কী কী সমস্যা হয়েছে। এখন মির্জা ফখরুল, রিজভী, গয়েশ্বর সাহেবও বড় চিকিৎসক হয়ে কথা বলা শুরু করেছেন। আজ মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন, যে বেগম খালেদা জিয়াকে না কি আইনের ধারাবলে বিদেশে পাঠানো যাবে। এখন মনে হচ্ছে ফখরুল সাহেব শুধু চিকিৎসক নয়, ভেতরে ভেতরে ব্যারিস্টারও হয়েছেন, আইনেরও ব্যাখ্যা দেওয়া শুরু করেছেন।’

এসময় দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কেউ যাতে ষড়যন্ত্র করতে না পারে সেজন্য সবাইকে চোখ-কান খোলা রেখে ব্যবস্থা নিতে হবে। সুযোগ সন্ধানীদের দলের মধ্যে দরকার নেই। যারা পিঠ বাঁচানোর জন্য আওয়ামী লীগ করতে চায়, যারা জায়গা দখল করার জন্য কিংবা দখল করা জায়গা রক্ষার জন্য আওয়ামী লীগে তাদের দরকার নেই। যারা আওয়ামী লীগের আদর্শ, উদ্দেশ্য, নীতিতে বিশ্বাস করে তাদের দরকার আছে।’

‘ছাত্রদের হাফ ভাড়া নিয়ে বাস-মালিকরা বিশেষ প্রণোদনা চাচ্ছেন’ এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি যখন ছাত্র ছিলাম তখন আমি নিজেও বাসে হাফ ভাড়া দিয়ে চলেছি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাবস্থায় শহর থেকে বাসে যেতাম হাফ ভাড়া দিয়েই। তখন সরকার বাস মালিকদের কোনো প্রণোদনা দিতো না। বাস মালিকরাও প্রণোদনা দাবি করে নাই। তারা বিনা প্রণোদনাতেই ছাত্রদের হাফ ভাড়া দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। আজকে কেন প্রণোদনা লাগবে সেটি আমার ব্যক্তিগত জিজ্ঞাসা। একটি বাসে ৪০ থেকে ৫০ জন যাত্রী থাকে সেখানে দু-তিন-পাঁচজন ছাত্র থাকে এবং এতে বাস মালিকদের কি অসুবিধা হবে, সেটি আমার ব্যক্তিগত প্রশ্ন।’

মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ছাত্রদের প্রতি সহানুভূতিশীল, সরকার সহানুভূতিশীল এবং সেই কারণে প্রধানমন্ত্রী সরকারি সংস্থা বিআরটিসির ভাড়া হাফ করে দিয়েছেন। যারা ছাত্র তারা আমাদের সন্তান, তাদেরও সন্তান। আমি আশা করবো, পরিবহনের মালিকরাও তাদের সন্তানদের কথা চিন্তা করে বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে নিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেবেন।’



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কাউকে জেতানোর দায়িত্ব নেবে না আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, দলের যাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, তাদেরকে জিতে আসতে হবে নিজ যোগ্যতায়, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে। কাউকেই জেতানোর দায়িত্ব নেবে না আওয়ামী লীগ।কেউ যদি নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সাহায্যের জন্য হাত পাতে বা অন্য কোনো উপায় অবলম্বনের চেষ্টা করে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মনোনয়ন প্রাপ্তদের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, আওয়ামী লীগ সভাপতি এবার বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরতে চান। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করতে চান যে, বিদেশিরা যে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যে সমস্ত আশঙ্কা এবং সন্দেহ পোষণ করেছিল তার সবই ছিল অমূলক। বরং বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রপ্রিয়। তারা গণতন্ত্রের চর্চা করতে চায়। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চায়। আর এই লক্ষ্যেই তারা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। 

আওয়ামী লীগের প্রধান লক্ষ্য হল ৭ জানুয়ারি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করা। দ্বিতীয় লক্ষ্য হল ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করা এবং তৃতীয় লক্ষ্য হল উৎসবমুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটগ্রহণ যেন সম্পন্ন হয় সেটি নিশ্চিত করা। এজন্য নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করতেও তারা প্রস্তুত। কিন্তু কোন কোন প্রার্থী ইতোমধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী দাঁড়ানোতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা মনে করছেন, এর ফলে তাদের নিশ্চিত বিজয় ঝুঁকিতে পড়ল। কিন্তু আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা এটিকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন। তারা মনে করছেন, এর ফলে নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে। নির্বাচন হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ভোটার ভোট দিতে ভোটকেন্দ্রে যাবেন। এটি আওয়ামী লীগের চাওয়া। কে জিতল না জিতল এটা আওয়ামী লীগের বড় লক্ষ্য নয়। এই কারণেই সব প্রার্থীদেরকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। 

এছাড়াও প্রশাসনকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, কোনো প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে অবস্থান গ্রহণ করা যাবে না। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন যে ব্যবস্থা নেবে সেই ব্যবস্থার সঙ্গে সহমত পোষণ করবে আওয়ামী লীগ। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন যে, নির্বাচন কমিশন এখন সমস্ত কিছু তদারকি করছে। নির্বাচন কমিশনকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন প্রশাসনে রদবদল শুরু করেছে। সকল থানার ওসি

যাদের চাকরির মেয়াদ একবছরের বেশি হয়েছে তাদেরকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসাথে  সুনামগঞ্জ এবং ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসককে আজ প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদেরকেও সরানোর ব্যাপারে প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ সমস্ত কর্মকাণ্ডের ফলে যারা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন তাদের মধ্যে এক ধরনের অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। তাদের কেউ কেউ মনে করছেন যে, এবারের নির্বাচনের সহজ বিজয় আর সম্ভব হবে না। এ কারণে তারা স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরকে হুমকি ধামকি দেওয়া, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বসিয়ে দেওয়া ইত্যাদি তৎপরতার সঙ্গে যুক্ত হতে শুরু করেছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কড়া হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। যে খুশি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে এবং নির্বাচনে জনগণ যাকে ভোট দিবে তিনি এমপি হবেন। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের কোনো রকম পছন্দ নেই। কাউকে টেনে নির্বাচনে জয়ী করা বা কোন হিসাব নিকাশ মিলিয়ে কাউকে ভোটের মাঠে বিজয়ী করার কোন অভিপ্রায় আওয়ামী লীগের নাই এবং সেটা আওয়ামী লীগ করবে না। 

আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতা বলেছেন, নির্বাচনে ন্যূনতম কারচুপি হলেও সেটি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে শোরগোল পড়বে। একারণে আর যাই হোক না কেন, কোন প্রার্থীকে জয়ী করার দায়দায়িত্ব আওয়ামী লীগ নেবে না।


আওয়ামী লীগ   নির্বাচন   প্রধানমন্ত্রী   শেখ হাসিনা   গণতন্ত্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদা জিয়ার মতোই আচরণ করলেন সাদেক খান

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

২০১৫ সালের কথা মনে আছে? ওইসময় বেগম খালেদা জিয়া সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ ডেকেছিলেন। অবরোধ সফল করতে তিনি গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। বলেছিলেন যে, যতক্ষণ পর্যন্ত সরকারের পতন ঘটবে তত ক্ষণ পর্যন্ত তিনি ঘরে ফিরবেন না। সেখানে নাওয়া খাওয়া এবং রাত্রিযাপনের ব্যবস্থাও করেছেন বেগম জিয়া। এই সময় আকস্মিকভাবে ঘটে দুর্ঘটনা। মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বেগম খালেদা জিয়ার ছোট পুত্র আরাফাত রহমান কোকো মৃত্যুবরণ করেন। 

আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুবরণের পর শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েন বেগম খালেদা জিয়া। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একজন মা। আর তাই মায়ের হৃদয়ের বেদনা তিনি অনুভব করতে পেরেছিলেন। এজন্য তিনি ছুটে গিয়েছিলেন গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে। কোনোরকম প্রোটোকল বা নিরাপত্তার কোনো তোয়াক্কা করেননি তিনি। যদিও সেই সময় বিএনপি -জামায়াতের আন্দোলন চলছিল। বেগম খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে যাওয়াটা প্রধানমন্ত্রীর জন্য ছিল ঝুঁকিপূর্ণ এবং নিরাপত্তার হুমকি। তারপরও সবকিছুকে কিছুকে উপেক্ষা করে মাকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার সাঙ্গপাঙ্গরা প্রধানমন্ত্রীর আগমনের কথা শুনে গেট আটকে দেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘক্ষণ গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন। ভেতরে বিএনপির অনেক নেতাই উপস্থিত ছিলেন। যাদের মধ্যে প্রয়াত ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, শিমুল বিশ্বাস অন্যতম। তারা কেউই দরজা খোলেননি। 

৪০ মিনিট বেগম খালেদা জিয়ার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে সান্ত্বনা না দিতে পেরে ফিরে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই ঘটনাটি অমানবিকতার এবং শালীনতা বিবর্জিত হিসেবে রাজনৈতিক ইতিহাসে স্বীকৃত। এই ঘটনার পর সারা দেশে ধিক্কার পড়ে। একজন প্রধানমন্ত্রীকে ন্যূনতম সম্মান দেওয়ার যোগ্যতা যাদের নেই তারা কিভাবে আন্দোলন করতে চাই এবং রাজনীতি করে এই প্রশ্ন উঠেছিল দলমত নির্বিশেষে সকলের মধ্যে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, ২০২৩ সালে ঠিক একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করলেন আওয়ামী লীগের একজন এমপি। 

ঢাকা-১৩ আসনের বর্তমান এমপি সাদেক খান এবার মনোনয়ন পাননি। এই আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক। জাহাঙ্গীর কবির নানক ২০০৮ এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনেও এই আসন থেকে বিজয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু রাজনীতিতে তিনি উদারতার এক বড় নজির। ২০১৮ সালে মনোনয়ন না পেলেও তিনি সাদেক খানকে সহযোগিতা করেছিলেন। সারা দেশে নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সভাপতির পাশে থেকে তদারকি করেছিলেন। আর সে কারণেই তিনি পুরষ্কার পান। যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক থেকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন। এবার তিনি তার ত্যাগ এবং রাজনৈতিক প্রজ্ঞার পুরস্কার পেয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন ওই একই আসন থেকে। মনোনয়ন পাওয়ার পর তিনি প্রথম ছুটে গিয়েছিলেন সাদেক খানের বাসায়। তিনি একা নন, সঙ্গে ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতিও। দুজন সাদেক খানের বাসভবনে গেলে সাদেক খান খালেদা জিয়ার মতো এই কাণ্ড করেন। তিনি কোলাপসিবল গেট আটকে দেন। এমনকি ছোট গেটটিও বন্ধ করে দেন। 

এসময় ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন যে সাদেক খানকে বলেন, আমরা এসেছি। তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করব। এই সময় গেটের দারোয়ান জানান যে সাদেক খান বাড়িতে নেই। এসময় উত্তরের সভাপতি বজলু বলেন যে, সাদিক খান সাহেব থাকার দরকার নেই। তার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আসবো। কিন্তু তখনও দারোয়ান গেইট খোলেনি। জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং ঢাকা উত্তরের সভাপতি প্রায় ৪০ মিনিট সেখানে দাঁড়িয়ে থেকে চলে আসেন। আওয়ামী লীগের একজন সংসদ সদস্য যখন খালেদা জিয়ার মতোই আচরণ করেন তখন তাকে কি বলবেন?

সাদেক খান   ঢাকা-১৩   দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন   জাহাঙ্গীর কবির নানক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ইইউর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করল বিএনপি

প্রকাশ: ০৯:০৯ পিএম, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছে বিএনপি। শনিবার (২ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দুই মাসের জন্য ঢাকায় আসা ইইউ ইলেকশন এক্সপার্ট টিমের সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খানসহ বিএনপির ৫ নেতা এতে অংশ নেন। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ ভার্চুয়াল বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ইইউ প্রতিনিধি দলের কাছে দলীয় সরকারের অধীনে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বয়কটের কারণ তুলে ধরেন বিএনপি নেতারা। একইসঙ্গে দেশে যে এখন কোনো রকম নির্বাচনী পরিবেশ নেই, সে বিষয়টিও তুলে ধরেন তারা। এর স্বপক্ষে গায়েবি মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় নেতারাসহ সারা দেশে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার, পরিবারের সদস্যদের ওপর নির্যাতন, গভীর রাত পর্যন্ত আদালতের কাজ চালু রেখে বিরোধীদলের সম্ভাব্য প্রার্থীসহ শত শত নেতাকর্মীর ফরমায়েসি সাজা প্রদান, দমনপীড়নের বিষয়টি তুলে ধরে বিএনপি। দলটির নেতারা বলেন, এমন পরিবেশে দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। এ সময় সরকার ফের একতরফা নির্বাচনের দিকে এগুচ্ছে বলে দলের অভিমত তুলে ধরেন নেতারা।

এর আগে গত ২৯ নভেম্বর ঢাকায় পৌঁছায় ইইউর চার সদস্যের নির্বাচনী এক্সপার্ট টিমটি। তারা হলেন- ডেভিড নোয়েল ওয়ার্ড (ইলেকশন এক্সপার্ট), আলেকজান্ডার ম্যাটাস (ইলেকটোরাল এনালিস্ট), সুইবেস শার্লট (ইলেকটোরাল এনালিস্ট) এবং রেবেকা কক্স (লিগ্যাল এক্সপার্ট)।

ইইউ   ভার্চুয়াল বৈঠক   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

অবরোধের সমর্থনে রাজধানীতে রিজভীর নেতৃত্বে মশাল মিছিল

প্রকাশ: ০৮:৪৬ পিএম, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

নবম ধাপের অবরোধ কর্মসূচির সমর্থনে রাজধানীতে মশাল মিছিল করেছে বিএনপি। শনিবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে আগারগাঁও থেকে শেওড়াপাড়া সড়কে মিছিল করেন দলটির নেতাকর্মীরা। 

এসময় রিজভী বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলন চলবে। তিনি বলেন, ‘দেশের বেশিরভাগ জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল সরকারের বিরুদ্ধে। তারা নির্বাচন বর্জন করেছে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় করেই তারা নির্বাচনে যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘চারদিক থেকে সরকারের বিরুদ্ধে যেভাবে লাল নোটিশ আসছে, জনগণ যেভাবে জেগে উঠেছে তাতে বিজয়ের মাসেই সরকারের পতন ঘটবে। দেশ বাঁচাতে হলে সরকারের পতন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।’

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ড. খন্দকার বাবলু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য নাদিয়া পাঠান পাপন, রামপুরা থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক কাউন্সিলর নিলুফা ইয়াসমিন নিলু, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ সভাপতি তারেকুর জামান তারেক, ঢাকা মহানগর পশ্চিমের সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান জুয়েল, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি রাফিজুল হাই রাফিজ, এ বি এম মাহমুদ সর্দার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আউয়াল, ইউনুস আলী রাহুল, সহ-সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান আমিন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জাকারিয়া হোসেন ইমনসহ অনেকে।

অবরোধ   মশাল মিছিল   বিএনপি   রুহুল কবির রিজভী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কাদের-শাহ জাফর নাকি শমসের

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি একটি ভিন্ন ধরনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে কারা বিজয়ী হবে তা নিয়ে কারোরই কোন সন্দেহ নেই। বিএনপি-জামায়াত জোট যখন এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না তখন এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ে একটি আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। আওয়ামী লীগ যে আবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে এবং সরকার গঠন করতে যাচ্ছে, এটি নিয়ে কারও কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে মজার যে বিষয়টি সামনে এসেছে তা হল কারা প্রধান বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় সংসদের দায়িত্ব পালন করবে। শেষ পর্যন্ত যদি ৭ জানুয়ারি নির্বাচন হয় তাহলে এই নির্বাচনী লড়াইয়ের প্রধান আকর্ষণ হবে কে হতে যাচ্ছে জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধীদল? 

এর আগে গত তিনটি নির্বাচনে একটিতে বিএনপি প্রধান বিরোধী দল ছিল। অন্য দুটিতে জাতীয় পার্টির প্রধান বিরোধী দল হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিল। ২০০৮ এর নির্বাচনে বিএনপি বিরোধী দল হয়। ২০১৪ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করায় জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিল দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে। আর ২০১৮ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করলেও তারা তৃতীয় হয়েছিল। জাতীয় পার্টি দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিল। যদিও ওই নির্বাচনকে বিএনপি গ্রহণযোগ্য মনে করে না। গ্রহণযোগ্য মনে না করলেও সেই নির্বাচনের পর বিএনপির সংসদ সদস্যরা সংসদে গিয়েছিল এবং প্রায় পুরোটা সময় সংসদে থাকার পর তারা শেষ মুহূর্তে এসে পদত্যাগ করেছিল। কিন্তু এবারের নির্বাচনে বিএনপি না থাকলেও তিনটি রাজনৈতিক দল আলোচনা আছে। এই তিনটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে যেকোনো একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে থাকার সম্ভবনা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে যে দুটি রাজনৈতিক দল আলোচনায় এসেছে সেই দুটি দল এবং জাতীয় পার্টি রয়েছে। 

সাম্প্রতিক সময় আলোচনায় আসা দলগুলোর মধ্যে একটি হল বিএনএম। বিএনএম এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক বিএনপি নেতা শাহ্ আবু জাফর। তিনি ফরিদপুরের একটি আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিএনএম এবার যে আসনগুলোতে প্রার্থী ঘোষণা করেছে তার মধ্যে কয়েকটি আসনে তারা ভালো ফলাফল করতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। বিশেষ করে ফরিদপুরের আসনে বা শাহ্ আবু জাফর সহ আরও কয়েকটি আসনে তারা চমকে দিতে পারেন। এক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত ৮২টি আসন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও যদি বিএনএম দ্বিতীয় প্রধান দল হিসেবে আবির্ভূত হয় তাহলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। সেক্ষেত্রে শাহ্ আবু জাফর বিরোধী দলের নেতা হবেন। 

এই নির্বাচনে তৃণমূল বিএনপিকে নিয়ে অনেক আলাপ আলোচনা এবং প্রত্যাশার জায়গা ছিল। তৃণমূল বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে, তারা তিনশ আসনে প্রার্থী দিবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা তিনশ আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি। তিনশ আসনে প্রার্থী দিতে পারুক না পারুক তৃণমূল বিএনপির অনেকগুলো আসনেই ভালো ফল করবে। বিশেষ করে তৃণমূল বিএনপির সভাপতি এবং মহাসচিব এই নির্বাচনে ভালো ফলাফল করবেন। তৃণমূল বিএনপি যদি শেষ পর্যন্ত প্রধান বিরোধী দল হন বা দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। সেক্ষেত্রে তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী হতে পারেন বিরোধী দলের নেতা।

জাতীয় পার্টি গত দুবারের বিরোধী দল। এবারও জাতীয় পার্টির ২৮৭ টি আসনে মনোনয়ন দিয়েছে। আওয়ামী লীগের পরই তারা সবচেয়ে বেশি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। তবে জাতীয় পার্টির অবস্থা আগের মতো নেই। তাছাড়া দলের মধ্যে নানা রকম বিভক্তি এবং অর্ন্তকলহ রয়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে তারা প্রধান বিরোধী দল হিসেবে জায়গা করতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে জাতীয় পার্টি যদি নির্বাচনে দ্বিতীয় দল হয় সেক্ষেত্রে জিএম কাদের হবেন বিরোধী দলের নেতা।

জি এম কাদের   জাতীয় পার্টি   দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন   তৃণমূল বিএনপি   বিএনএম   শাহ্ জাফর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন