ইনসাইড বাংলাদেশ

যৌথ প্রচেষ্টায় অমিমাংসিত বিষয়গুলো সমাধান করবে বাংলাদেশ ও ভারত

প্রকাশ: ০৭:৩৭ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২১


Thumbnail যৌথ প্রচেষ্টায় অমিমাংসিত বিষয়গুলো সমাধান করবে বাংলাদেশ ও ভারত

বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ প্রচেষ্টায় পারস্পরিক বিশ্বাস ও আস্থা বৃদ্ধির মাধ্যমে উভয় দেশের অমিমাংসিত বিষয়সমূহ অচিরেই সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বুধবার (০৮ ডিসেম্বর) বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমি, খুলনায় বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার, ভারতীয় হাই কমিশন, ঢাকা, ভারতীয় সহকারী হাই কমিশন, খুলনা, বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির যৌথ আয়োজনে এ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে মুজিববর্ষ , মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশতজন্মবর্ষ এবং ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে দুই দেশের সরকারের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু ও মহাত্মা গান্ধীর জীবন ও কর্ম নিয়ে এ প্রদর্শনী আয়োজন করা হচ্ছে।

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ আক্তারুজ্জামান, খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এস এমন জগলুল হায়দার অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন।

ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার, খুলনা রাজেশ কুমার রাইনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। খুলনার জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার, খুলনা বিএল কলেজের অধ্যক্ষ শরীফ আতিকুজ্জামান প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, "ভারত বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু। দুই দেশের কিছু অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে। অভিন্ন সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও আদর্শের ক্ষেত্রে দুদেশের অনেক ভালো অবস্থান রয়েছে। আমাদের এক কোটি জনগণকে আশ্রয় দেয়া, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেয়াসহ অন্যান্য সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের জনগণ অসাধারণ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। শুধু তাই নয় আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন রক্ষার্থে ভারতের তৎকালীন সরকার প্রধান ইন্দিরা গান্ধী বিশ্ব পরিমণ্ডলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব যতদিন থাকবে ভারত ও বাংলাদেশের বন্ধুত্ব কোনভাবেই বিনষ্ট হবে না"।

মন্ত্রী আরো বলেন, "বন্ধুত্ব ও সম্পর্ক জোরদারের পাশাপাশি আমি দুদেশের কিছু অমিমাংসিত বিষয় উল্লেখ করতে চাই। তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তিসহ দুদেশের মধ্যে অন্যান্য অমিমাংসিত বিষয় আমরা অবশ্যই সমাধান করতে পারবো। ইতোমধ্যে আমরা দুদেশের স্থলসীমান্ত সমস্যা, সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত সমস্যা সর্বোচ্চ কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করতে পেরেছি"। 

মন্ত্রী আরো যোগ করেন, "বাঙালি জাতির ইতিহাসের সম্পদ হচ্ছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর ভারতবর্ষের ইতিহাসের মহানায়ক মহাত্মা গান্ধী। উভয়ের মধ্যে অসাধারণ সাদৃশ্য রয়েছে। মহাত্মা গান্ধী অহিংস আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন, দেশ মাতৃকাকে স্বাধীন-সার্বভৌম করার জন্য ভূমিকা রেখেছিলেন। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে স্বাধীন-সার্বভৌম জাতিতে পরিণত করার জন্য আইনানুগ প্রক্রিয়ায় লড়াই করেছেন।জনপ্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা বলেছেন। অন্যথায় যার যা কিছু আছে তা নিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করার কথা তিনি বলেছেন। অপরদিকে মহাত্মা গান্ধী আফ্রিকা থেকে শুরু করে সারাবিশ্বে অহিংস বাণীর কথা যেভাবে প্রচার করেছিলেন, সে দর্শন ছিল বিস্ময়কর। তাই বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনীত শুধু ছবি দেখার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে গভীরে গিয়ে মহাত্মা গান্ধীর জীবনালেখ্য জানতে হবে, বঙ্গবন্ধুর জীবনদর্শন ও দেশপ্রেমের কথা বুঝতে হবে"।

তিনি আরো বলেন, "আজ ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক একটা অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। ভারত অসাম্প্রদায়িকতা প্রাধান্য দেয়। বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম বিষয় হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষতা ও অসাম্প্রদায়িকতা। মুক্তিযুদ্ধের যে চেতনার কথা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, আজকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার সরকার একই উচ্চারণ করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে বঙ্গবন্ধুকে বিশ্ববন্ধু বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন বঙ্গবন্ধুর মতো নিপীড়িতের কণ্ঠস্বর এ উপমহাদেশের জন্য অনুপ্রেরণা যোগাবে"।

"আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর যে লক্ষ্য ছিল, যে দর্শন ছিল, যে বিশ্বাস ছিল, মানবকল্যাণে আত্মোৎসর্গের জন্য তাদের যে রাজনীতি ছিল সে রাজনীতি হোক আমাদের পাথেয়। আর যখনই বাংলাদেশ কিংবা ভারত প্রান্তে সাম্প্রদায়িকতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে, শান্তির পৃথিবী নির্মাণের জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করে আমরা তার বিরুদ্ধে দাঁড়াবো"-যোগ করেন মন্ত্রী।

বাংলাদেশের উন্নয়নসহ সামগ্রিক কর্মকাণ্ডে ভারতের চমৎকার ভূমিকার কথা স্মরণ করে মন্ত্রী আরো বলেন, " আমরা পরস্পরের সহযোগিতার ক্ষেত্র আরো সম্প্রসারণ করবো। ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিসহ অভিন্ন সীমান্ত, অভিন্ন পানি আমরা সম্মিলিতভাবে ব্যবহার করছি। এই ধারা অব্যাহত রেখে ভারত ও বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে সম্প্রীতির অনন্য উদাহরন হিসেবে তুলে ধরতে হবে। শুধু দক্ষিণ এশিয়ায় নয় বরং সমগ্র বিশ্বে যৌথভাবে নেতৃত্বের আসনে উভয় দেশকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে"।

পরে মন্ত্রী জেলা শিল্পকলা একাডেমি খুলনায় বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনীর উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

ভারত   শ ম রেজাউল করিম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভাঙচুরের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা কারাগারে

প্রকাশ: ১০:১৪ এএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা পরিষদের হল রুমের আসবাবপত্র ভাঙচুর এবং বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থক ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলায় ময়নুল হক মনু নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। একই মামলায় আরও পাঁচজন আসামি কারাগারে রয়েছেন। নীলফামারীর ডোমার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দিন ফলাফল ঘোষণার সময় এ ঘটনা ঘটে।

রোববার (১২ মে) ভোরে ডোমার পৌর এলাকার চিকনমাটি ধনীপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুরে থানা-পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করলে শুনানি শেষে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ময়নুল হক মনু ওই এলাকার মৃত আব্দুল হকের ছেলে। তিনি ডোমার পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ডোমার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহসীন আলী বলেন, আমরা ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করছি।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ৮ মে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ শেষে ডোমার উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে (কন্ট্রোল রুম) ফল ঘোষণার কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফায়েল আহমেদের ছোট ভাই মনজুর আহমেদ ডনের নেতৃত্বে শতাধিক লোক লাঠিসোটা নিয়ে সেখানে হামলা চালান। এরপর পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রাত ১১টার দিকে ফল ঘোষণা করা হলে আবারও উত্তেজনা শুরু হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে হামলাকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। একপর্যায়ে পুলিশ গুলি ছোড়ে। রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ওই সংঘর্ষ চলে। এ ঘটনায় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন।

কারাগারের পাঁচ আসামি হলেন-উপজেলার ছোট রাউতা ফরেস্ট পাড়া এলাকার আবু সুফিয়ান (৪০), সদর ইউনিয়নের বড় রাউতা থানাপাড়া এলাকার রাকিউল ইসলাম (৪০), চিলাই পাগলা বাজার এলাকার মো. দুলু (৩৮), পশ্চিম বোড়াগাড়ি স্কুলপাড়া এলাকার রিমুন ইসলাম (২৪) ও পাঙ্গা মটুকপুর ইউনিয়নের মেলাপাঙ্গা এলাকার হারুন অর রশিদ (৩০)।


আওয়ামী লীগ   কারাগার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গোপালগঞ্জে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশ: ০৯:৩০ এএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

গোপালগঞ্জে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী নুরী বেগম ওরফে মুনিয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রোববার (১২ মে) সকালে গোপালগঞ্জের সদর উপজেলার মোছড়া গ্রামে ঘটনা ঘটে।

নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান জানান, বিয়ের পর থেকে পরিবারিক কলহ নিয়ে স্ত্রী নুরী বেগম ওরফে মুনিয়ার উপর বিভিন্ন সময় নির্যাতন চালাতো স্বামী আশিকুর রহমান শেখ।

রোববার (১২ মে) সকালে মুনিয়াকে বেদম মারধার করে স্বামী। এর এক পর্যায়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে বিষয়টি টের পেয়ে পরিবারের লোকজন মুনিয়াকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে। ঘটনায় পরিবারের সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী আশিকুর রহমান শেখকে আটক করে পুলিশ।

ওসি আরও জানান, আটককৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। মামলা হলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


স্ত্রী হত্যা   শ্বাসরোধ করে হত্যা   নির্যাতন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সৈয়দপুরে বন্ধ বিমান ওঠা-নামা

প্রকাশ: ০৮:২৭ এএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে বিমান ওঠা-নামা বন্ধ রয়েছে। রানওয়েতে বৈদ্যুতিক তারে শর্টসার্কিটের কারণে বিমান ওঠা-নামা বন্ধ করা হয়।

রোববার (১২মে) সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে বিমান ওঠা-নামা বন্ধ হয়েছে।বিষয়টি নিশ্চিত করে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক সুপ্লব কুমার ঘোষ

তিনি বলেন, রানওয়ের বৈদ্যুতিক লাইনে শর্টসার্কিটের কারণে সন্ধ্যার দিকে বিমান চলাচল বন্ধ হয়। ইতোমধ্যে তিনটি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাতিল হওয়া ফ্লাইটগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ বিমান, ইউএস-বাংলা ও নভোএয়ারের একটি করে ফ্লাইট রয়েছে। আমরা দ্রুত বিমান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি।


সৈয়দপুর বিমান বন্দর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পাবনায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১০

প্রকাশ: ০৮:১৯ এএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী তানভীর ইসলামের সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে আরেক প্রার্থী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম কামালের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ১০ জন আহত হয়েছেন।

রোববার (১২ মে) রাতে উপজেলার দেবোত্তর ইউনিয়নের মতিগাছা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, রোববার (১২ মে) রাত ১০টার দিকে তানভীর ইসলামের নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন শেষে ফেরার পথে তানভীর ইসলামের সমর্থকদের মারধর করে কামালের সমর্থকরা। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আটঘরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান তানভীর ইসলাম বলেন, কয়েকদিন আগে আমার সমর্থকদের ওপর হামলা করেছে কামালের লোকজন। আজকে আমার সমর্থকরা অফিস উদ্বোধন শেষে বাড়ি ফেরার পথে পরিকল্পিতভাবে কামালের সমর্থকরা হামলা করেছে। এতে আমার বেশ কয়েকজন সমর্থক গুরুতর আহত হয়েছেন। আমি এর উপযুক্ত শাস্তি চাই।


উপজেলা নির্বাচন   সংঘর্ষ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শহীদ মিনারে সিপিবি নেতা রনোর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন বেলা সাড়ে ১১টায়

প্রকাশ: ০৮:০১ এএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টা হায়দার আকবর খান রনোর জানাজা ও দাফন আজ সোমবার অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাঁকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা গার্ড অব অনার দেওয়া হবে। সর্বস্তরের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তাঁর মরদেহ রাখা হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।

সিপিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ সকাল ১০ টায় হায়দার আকবর খান রনোর মরদেহ প্রথমে রাজধানীর পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় মুক্তিভবনে আনা হবে। সেখানে দলের পক্ষ থেকে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।

মুক্তিভবনে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শোক র‍্যালি নিয়ে আকবর খান রনোর মরদেহ নেওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে বেলা সাড়ে ১১ টায় তাঁকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে। এরপর সেখানে সর্বস্তরের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তাঁর মরদেহ রাখা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হায়দার আকবর খান রনোর জানাজা বেলা দেড়টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে তাঁকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

হায়দার আকবর খান রনোর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আজ দেশব্যাপী শোক পালন করবে সিপিবি। এর অংশ হিসেবে তাদের দলীয় কার্যালয়গুলোতে কালো পতাকা উত্তোলন ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হবে। পাশাপাশি আকবর খান রনোর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।

গত শুক্রবার দিবাগত রাত ২টায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন মার্ক্সবাদী তাত্ত্বিক হায়দার আকবর খান রনো। তিনি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও নেতা। একাধিক বইয়ের লেখক তিনি।

হায়দার আকবর খান রনো ১৯৪২ সালের ৩১ আগস্ট অবিভক্ত ভারতের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস নড়াইলের বরাশুলা গ্রামে।


শহীদ মিনার   সিপিবি   রনো  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন