নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৯ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০১৮
শান্তিতে নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহম্মদ ইউনূস নতুন দল গঠনে আগ্রহী নন। বরং তিনি আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে চান। শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর ভুল বোঝাবুঝির অবসান চান। এজন্য তিনি আওয়ামী লীগের একজন উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে জানিয়েছেন। সম্প্রতি ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্য সফরকালে, নোবেল জয়ী এই অর্থনীতিবিদ তাঁর ঘনিষ্ঠ শিক্ষাবিদ ও বন্ধুদের সঙ্গে আলাপকালে এরকম মনোভাব ব্যক্ত করেছেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত ২০ এপ্রিল প্যারিসে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন। আগামী ২০২৪ সালে প্যারিস অলিম্পিকে এক যৌথ প্রস্তুতি সভায় যোগ দেন তিনি। এই প্রস্তুতি সভা শেষে তিনি তাঁর ঘনিষ্ঠ কয়েকজন বাঙালি শিক্ষাবিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এসময় তাঁর নেতৃত্বে নতুন দল প্রসঙ্গে ড. ইউনূস খোলামেলা কথাবার্তা বলেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ড. ইউনূস বলেছেন, একবারই মানুষ ভুল করে। নতুন দল একবার করার তিক্ত অভিজ্ঞতা তিনি তাঁর অনুজ বন্ধুদের বলেন। ড. ইউনূস মনে করেন চটজলজি বাংলাদেশের রাজনীতিতে তৃতীয় ধারার কোনো সম্ভাবনা নেই। এ ধরনের উদ্যোগের সঙ্গে তিনি থাকবেন না বলেও জানান। আলাপকালে ড. ইউনূস স্বীকার করেছেন যে, ড. কামাল হোসেন সহ কয়েকজন একটি তৃতীয় ধারা গড়ে তোলার জন্য তাঁকে নেতৃত্ব দেওয়ার অনুরোধ করেছিল। কিন্তু ওই অনুরোধ তিনি ইতিমধ্যেই প্রত্যাখান করেছেন বলে জানান।
প্যারিস থেকে ড. ইউনূস লন্ডনে যান। সেখানে ২৩ এপ্রিল লন্ডন ইম্পেরিয়াল কলেজের উদ্যোগে আয়োজিত ‘ফিউচার ফিন্যান্স’ শিরোনামে এক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। ঐ অনুষ্ঠানের পর তিনি লন্ডনে প্রভাবশালী কয়েকজন বাঙালি ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে ড. ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশ আরও কিছুদিন আওয়ামী লীগের সরকারই ক্ষমতায় থাকবে।’ ড. ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশে যে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে, তাতে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বিশেষ করে বৈষম্য এবং তরুণদের কাজে লাগানোর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে সরকারের সঙ্গে এসব বিষয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চান।
একটি সূত্র জানিয়েছে, এনিয়ে ড. গওহর রিজভীর সঙ্গে সম্প্রতি তাঁর দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে। ড. ইউনূস ড. রিজভীকে বলেছেন, আওয়ামী লীগের একটি মহল ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধারের জন্য তাঁর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্ক নষ্টের চেষ্টা করেছে। ড. ইউনূস ঐ উপদেষ্টাকে বলেছেন, পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধের জন্য আমি মোটেও চেষ্টা করিনি। অথচ এটা প্রধানমন্ত্রীকে বোঝানো হয়েছে। ওই উপদেষ্টাও বলেছেন, পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধের জন্য যে ইউনূসের কোনো হাত নেই, সেটা তিনিও জানেন। ড. গওহর রিজভী আশ্বস্ত করেছেন যে, ড. ইউনূসের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্কের উন্নয়ন করতে তিনি কাজ করছেন। তবে যেহেতু বিরোধিতাটা ব্যক্তি পর্যায়ে তাই এটা সময়সাপেক্ষ।
লন্ডনে ড. ইউনূস ঐ বৈঠকের প্রসঙ্গটি এনে বলেছেন, আমি সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভাবে কাজ করতে চাই।
একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, সরকারের মধ্যেও ড. ইউনূসের ব্যাপারে এখন নমনীয় মনোভাব দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে ইউনূস সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক তৈরি করতে যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ভারতও আগ্রহী হচ্ছে।
Read in English- https://bit.ly/2Fscysz
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএনপি
চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার
সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠকে তিনি দলের সার্বিক বিষয়ে দলীয় প্রধানকে অবগত করেছেন।
বৃহস্পতিবার
(২৫ এপ্রিল) রাতে চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাত ৮টা
২০ মিনিটে খালেদা জিয়ার বাসভবনে প্রবেশ করেন বিএনপির মহাসচিব। রাত সোয়া ৯টার দিকে
তিনি বের হয়ে আসেন।
বিএনপির
মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ
তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতেই মির্জা ফখরুল ফিরোজায় গিয়েছিলেন। তবে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।